Powered By Blogger

Friday, January 16, 2015

নয়া হোক কলরব'।



 


 
দীর্ঘ চার মাসের আন্দোলনের মুখে অবশেষে পদত্যাগ করলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তী।
কিন্তু যাওয়ার সময় তিনি প্রতিবাদী ছাত্রদের বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদক, অ্যালকোহলের রমরমা বলে ভয়ংকর অভিযোগ রেখে গেলেন।  আরও বললেন,‘আমি রাজনৈতিক আন্দোলনের শিকার হলাম। আমায় অগণতান্ত্রিক আন্দোলনে চলে যেতে হল বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদক অ্যালকোহলের রমরমার অভিযোগ এর আগে তুলেছিলেন সর্বভারতীয় যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ফেসবুকে মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো লিখেছিলেন, মদ, গাঁজা, চরস বন্ধ। তাই কি প্রতিবাদের গন্ধ’?'

 পদত্যাগ ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই সকাল থেকেই উৎসবের আমেজে মেতে ওঠে প্রতিবাদী শিক্ষার্থীরা। ক্যাম্পাস জুড়ে শুরু হয়েছিল অসময়ের  হোলি খেলা। আনন্দে মাতোয়ারা ছাত্রছাত্রীরা একে অপরকে নানা রঙে রঙিন করে তুলছিল। চলছিল মিষ্টিমুখের পালাও। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে গোলপার্ক পর্যন্ত গিয়ে আবারও বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে আসে শিক্ষার্থীদের মিছিল।
এখন গোটা ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে স্বাভাবিকভাবেই মনে প্রশ্ন জাগেঃ-------
উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তী যদি রাজনৈতিক আন্দোলনের শিকার হয়ে থাকেন তাহলে এটাও কি উপাচার্য স্বীকার করবেন উপাচার্য পদে তাঁর অস্থায়ী ও স্থায়ী নিয়োগটাই ছিল রাজনৈতিক?
যদি উপাচার্যের চলে যাওয়াটা অগণতান্ত্রিক আন্দোলনের ফলে হয় তাহলে এটাও কি ঠিক নয় ছাত্র আন্দোলনের উপর পুলিশি হস্তক্ষপের সিদ্ধান্তও ছিল তাঁর অগণতান্ত্রিক?
বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীদের নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টার প্রতিবাদেই পদত্যাগ করেছেন উপাচার্য। তাই নিজের পদত্যাগকে শিক্ষার কালো দিন বলে দাবি করেছেন তিনি। যদি তাই হয় তাহলে তাঁর নিয়োগ, তাঁর উপস্থিতিতে ছাত্রীর শ্লীলতাহানি, রাতের অন্ধকারে ক্যাম্পাসে পুলিশ দিয়ে ছাত্রছাত্রী পেটানো, ক্যাম্পাসে ছাত্রছাত্রীদের উপর পুলিশি নজরদারি, শিক্ষা ও শিক্ষাক্ষেত্রকে দলীয় রাজনীতির শিকার বানানো,  শিক্ষাজগতে শিক্ষকের পবিত্র ভাবমূর্তির উপরে বলাৎকার ইত্যাদি ঘটনা কি কালো দিনের আওতায় পড়ে না?
কি বলেন উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তী মহাশয়?????
এছাড়া ছাত্রছাত্রীদের কাছে জিজ্ঞাস্যঃ-----

বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদক অ্যালকোহলের রমরমার যে অভিযোগ রেখে গেলেন বিদায়ী উপাচার্য এবং সাংসদ অভিজিৎ বন্দোপাধ্যায়, সেই অভিযোগও কি  একটি অগ্রণী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গায়ে কালি ছিটিয়ে গেল না?  কথায় আছে, ‘যা রটে তা বটে ভারতের অগ্রণী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উচ্চমেধাসম্পন্ন সচেতন প্রাক্তন বর্তমান ছাত্রছাত্রীদের কাছে অনুরোধ এই অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হোক কিম্বা যদি বিশ্ববিদ্যালয় তথা উচ্চমেধাসম্পন্ন ভবিষ্যৎ ভারতের দিশারীদের গায়ে এই অভিযোগের এতটুকুও কালি লেগে থাকে অবিলম্বে নিঃশব্দে কালি মুছে ফেলার জন্য শুরু নয়া হোক কলরব।   

No comments:

Post a Comment