খোলা জানালা দিয়ে একটা চড়ুই ঢুকে পড়েছিল।
ঘরের মধ্যে মাথার ওপর ঘুরতে থাকা
পাখাটাকে
নিখুঁত
দক্ষতায় পাশ কাটিয়ে সাক্ষাৎ মৃত্যুকে
হাতে
নিয়ে ঘরের চারপাশ বিরামহীন ঘুরতে ঘুরতে
এসে
বসেছিল আয়নার ওপরে। স্থির ভঙ্গিমায় ওপাশে
প্রতিবিম্বে
চেয়েছিল অনেকক্ষণ, বিজয়ের উল্লাসে
বিস্ফারিত
হয়েছিল দু’চোখ! তারপর ছোট্ট ঠোঁটে
ক্রমাগত
ঠুকরে ঠুকরে কি জানি চেয়েছিল বলতে
ওপাশের
সাথীকে! কি বলতে চেয়েছিল সে?
উত্তপ্ত
অস্থির শরীরী ভাষা তার জানান দিয়েছিলঃ
পথ
কোথায়? পথ কোথায়? কোথায় মুক্তির পথ?
ক্ষণিক
নীরবতায় আয়নায় সৃষ্ট পথের মরীচিকাকে
চেয়েছিল
বুঝে নিতে, চিনে নিতে মিথ্যে মোহজাল।
তারপর
মিথ্যে মুক্তির মায়াবী আলোর জালকে ছিন্ন
করে
মৃত্যুকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ছুটন্ত পাখাটাকে
পাশ
কাটিয়ে ছুটে বেরিয়ে গেছিল অভিভূত চড়ুই
মিথ্যে
মুক্তিপথের কুহকী হাতছানিকে উপেক্ষা করে
অসীম
দৃঢ়তায় খোলা জানালা দিয়ে দূর নীলাকাশে!
ফিরে
গেছিল ‘ফিরে চল মন নিজ নিকেতন’
ডাকে
সাড়া দিয়ে পূর্ণতার বুকে মিশে যাবে বলে;
জীবন
খুঁজে পাবে সেথায় আছে যেথায় জীবনস্বামী,
এই
সত্যে!
আর
রেখে গেছিল মুহুর্তের ভ্রমে সৃষ্ট মিথ্যে কপট
স্বর্গ
সুখের লক্ষ্যে রত বৃথা মুক্তি সংগ্রামের চিহ্নঃ
পাখার আঘাতে খসে পড়া একটা ছোট্ট পালক,
ব্যর্থতার স্মৃতিফলক হয়ে মিথ্যে মুক্তির সরণিতে।
************************************************
No comments:
Post a Comment