নৈরাজ্য ও গণতন্ত্রহীনতার প্রতিবাদে বিশিষ্ট
মানুষদের মৌন মিছিল হ’ল গত ১৪ই আগস্ট’
২০১৫। মিছিল হ’ল কলেজ স্ট্রীট থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত। মিছিলে
রাজনৈতিক কোনও রঙ ছিল না, ছিল বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। আর ছিল বিভিন্ন পেশার সঙ্গে যুক্ত বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী ও অনান্যরা।
প্রাক্তন বিচারপতি অশোক কুমার গাঙ্গুলি, প্রাক্তন
অধ্যক্ষ হাসিম আব্দুল হালিম, পরিচালক বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত, তরুণ মজুমদার, সাহিত্যিক
কিন্নর রায় ও স্বপ্নময় চক্রবর্তী, রাজা মিত্র, কবি মন্দাক্রান্তা সেন, সুবিমল সেন, প্রাক্তন উপাচার্য আনন্দদেব মুখোপাধ্যায়, পবিত্র
সরকার ও অশোকনাথ বসু, অধ্যাপিকা মালবিকা চট্টোপাধ্যায়, আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য ও
অরুণাভ ঘোষ, আর, এস, পি-র মনোজ ভট্টাচার্য, নাট্যকার চন্দন সেন, অভিনেত্রী ও
বিজেপি নেত্রী রূপা গাঙ্গুলি, পাপিয়া অধিকারী, বাদশা মৈত্র, শিল্পী সমীর আইচ ও
সৌরভ পালোধি, শিলাদিত্য চৌধুরী, প্রাক্তন ফুটবলার শিবাজী বন্দোপাধ্যায় সহ বিভিন্ন
পেশার আরো অ-নে-ক বিশিষ্টরা এই মিছিলে পা মেলান।
মিছিলকে সমর্থন জানালেও আসেননি কবি শঙ্খ ঘোষ,
নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, প্রাক্তন অধ্যক্ষ সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়, অভিনেত্রী অপর্ণা
সেন।
নাগরিক অধিকার, গণতন্ত্র, শান্তি ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে
আনার জন্য, অন্যায়ের প্রতিবাদ জানানোর জন্য এই মিছিলে সমস্ত অংশের মানুষ শামিল
হয়েছিলেন।
স্বাভাবিক ভাবেই মনে প্রশ্ন জাগে মুখ্যমন্ত্রী
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে এই আন্দোলন থেকে কি পাবো আমরা রাজ্যবাসী?
আবার পরিবর্তন?
আজ থেকে কয়েক বছর আগে বুদ্ধিজীবীদের পরিবর্তনের
আন্দোলন দেখেছিল মানুষ। সেখানে রাজ্যের সমস্ত অংশের বুদ্ধিজীবী মানুষ মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিলেন। অংশগ্রহণ করেছিলেন সিপিএম
তথা বামফ্রন্টের টানা ৩৪ বছরের অপশাসনের হাত থেকে রাজ্য ও রাজ্যবাসীকে মুক্ত করার
জন্য। আজ আন্দোলনের চার বছর শেষে পরিবর্তনের পরিবর্তন দাবীতে আবার আন্দোলনের
প্রয়োজন অনুভব করেছেন রাজ্যের বিদ্বজ্জন। সামনে ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচন। তারই
প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেল? রাজ্যের সমস্ত অংশের বিদ্বজ্জনদের বুদ্ধি তীক্ষ্ণ। তাঁরা
মনে করেছেন এখনই আর দেরী না করে পরিবর্তনের ডাক দিতে হবে, নতুবা রাজ্যবাসীর শিয়রে
শমন। তাই তাঁরা সম্মিলিতভাবে দলমত নির্বিশেষে রাজনীতির রঙ, রাজনৈতিক ছোঁয়াছুঁয়িকে
দূরে সরিয়ে রেখে রাজ্যবাসীর উদ্দেশ্যে ডাক দিয়েছেনঃ
“এখন আর দেরী নয়, ধরগো তোরা হাতে হাতে ধরগো”।
তাই সবাই বিভেদ ভুলে রাজ্য ও রাজ্যবাসীর বৃহত্তর
স্বার্থে হাতে হাত রেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে পথে
নেবেছেন প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে রাজ্যের বিদ্বজ্জনরা।
এখন বিদ্বজ্জনদের উদ্দেশ্যে একজন আম আদমী হিসাবে
প্রশ্নঃ
· কি হবে এই পথে নেবে?
· এত তাড়াতাড়ি পরিবর্তনের পরিবর্তন প্রয়োজন অনুভব করলেন কেন?
· এখন নূতন কি এমন ভয়ংকর মহাভারত ঘটল যা এর পুর্বে কখনো ঘটেনি?
· এখন যা ঘটছে সেগুলি দেখতে দেখতে গা সওয়া হয়ে যায়নি কি?
· তাহ’লে কি কারণে কেন গত পরিবর্তনের ‘সময়’ বুঝতে ৩৪ বছর লেগেছিল
বুদ্ধিজীবী বিদ্ধজ্জনদের?
· তখন পরিবর্তনের ডাক কোন বুদ্ধিজীবী দিয়েছিলেন?
· তখন ৩৪ বছরের অচলায়তনের বিরুদ্ধে মৃত্যুকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে
পরিবর্তনের ডাক বিদ্বজ্জনরা দিয়েছিলেন না-কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যুকে হাতের
মুঠোয় নিয়ে নিরলস দীর্ঘ কঠোর পরিশ্রম ও আপোষহীন সংগ্রামের উপর গড়ে ওঠা মঞ্চে
দাঁড়িয়ে বুদ্ধিজীবী বিদ্বজ্জনরা পরিবর্তনের ডাক দিয়েছিলেন?
· পরিবর্তনের মন্ত্রীসভা গঠনের কিছুদিনের মধ্যেই বুদ্ধিজীবী
বিদ্বজ্জনদের মোহভঙ্গ হ’ল কেন?
· এই আন্দোলনে মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের ওপর মানুষের আস্থা কমে যাবে?
· মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে পরিচালিত দল
তৃণমূলের ওপর থেকে জন সমর্থন পড়ে যাবে?
· নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর থেকে
রাজ্যবাসীর বিশ্বাস চলে যাবে?
· মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অপদার্থ
মুখ্যমন্ত্রী প্রমান করা যাবে?
· কি ভাবে এই অপশাসনের হাত থেকে রাজ্য ও
রাজ্যবাসীকে মুক্তি দেওয়া যাবে?
· ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনের মাধ্যমে?
· তাহ’লে কি ‘সর্বদল সমন্বয়’ দল গঠিত হবে?
· মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে সরাবার জন্য সবার সব দলের নীতি
আদর্শ চুলোয় যাবে?
· নিজের নিজের দলের আদর্শকে ঘায়েল করে চুক্তি রফা করার জন্য আবার নতুন
কোনো দল গঠিত হবে? যা দেখতে দেখতে
আমরা আম আদমিরা ক্লান্ত, বিধ্বস্ত।
· না-কি আলাদা আলাদা ভাবে নির্বাচনে লড়াই হবে?
· আলাদা আলাদা দলে বিভক্ত হয়ে নির্বাচনে লড়লে আজকের
এই মিলিত প্রতিবাদের মেওয়া কে খাবে?
· সবার সব ভোট যোগ হলে অপদার্থ মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে সিংহাসন থেকে
নাবানো যেতে পারে কি?
· বিহারের উপ-নির্বাচনে একমাত্র ক্ষমতা দখলের লক্ষ্যে আদর্শহীন লালু-নীতীশ-রাহুল
রসায়নের সাফল্যের মত পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রে আজকের এই মিছিলের
রসায়ন কি ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনের আগে টেস্ট পরীক্ষা?
· ফাইনালে চ্যালেঞ্জ নিয়ে দেখবেন না-কি?
· মমতা বনাম কে???
· তৃণমূল বনাম বিজেপি, কংগ্রেস, বাম জোট না-কি ‘সর্বদল সমন্বয়’ দল ?
· আর যদি জোট না হয় তাহলে কেন, কিসের জন্য এই মিছিলের আয়োজন?
· পরিবর্তনের পরিবর্তনে কে হবেন মুখ্যমন্ত্রী?
· অশোক গাঙ্গুলি না রূপা গাঙ্গুলি না-কি অন্য কেউ?
· কে হবেন বিদ্বজ্জনদের গ্রহণযোগ্য বাংলার পরবর্তী মুখ?
· এবার আপনারা গ্যারান্টি দেবেন তো পরিবর্তনের পরিবর্তনে বাংলার যিনি
মুখ্যমন্ত্রী হবেন তিনি হবেন গঙ্গাজলে ধোয়া স্বচ্ছ ঝকঝকে পবিত্র তুলসী পাতা?
আপনারা জানেন তো তুলসী পাতা কার পায়ে দেওয়া যায়?
· আছে না-কি বাংলার বুকে তেমন চরিত্রের অধিকারী কোনও শক্তিশালী
ব্যক্তিত্ব?
· সাধারণ মানুষকে আর কত বুদ্ধিজীবীরা বুদ্ধিহীন ভাববেন?
· মিছিলে অংশগ্রহণকারী বিদ্বজ্জনরা নিজেরাই কি বিভ্রান্ত?
· সেদিন যদি আপনারা আপনাদের বুদ্ধি দিয়ে, দূরদৃষ্টি দিয়ে মমতার মধ্যে
লুকিয়ে থাকা আর এক স্বৈরাচারী মমতাকে চিনতে পেরে না থাকেন তাহলে আপনাদের ওপর কি
বুদ্ধিহীন ভাঙ্গাচোরা আম আদমী আর ভরসা রাখতে পারে?
· বুদ্ধিজীবী বিদ্বজ্জনরা নিশ্চয়ই একথা জানেন নিরাপদ দূরত্বে দাঁড়িয়ে
অন্যের ভুল, দোষ, ত্রুটি ধরা খুবই সহজ কিন্তু নিজের বেলায়?
· পরিবর্তনের পরিবর্তন আরও এক মহাভুল হবে না-তো রাজ্যবাসীর কাছে?
· এবার ‘আর এই ভুল হবে না’ এই গ্যারান্টি দেবেন তো? কারণ লড়াই-এর
ময়দানে প্রাণ যায় উলুখাগড়া-দের। কথায় আছে রাজায় রাজায় যুদ্ধ হয়, প্রাণ যায়
উলুখাগড়ার।
· ‘পরিবর্তনের পরিবর্তন’ আপনাদের এই স্লোগানে উজ্জীবিত হয়ে আপনাদের
তৈরী মসলাদার চাটনি খেয়ে যদি কেউ বা কোনও উঠতি নওজোয়ান-এর জীবন গাড়ী চিরদিনের মত
থেমে যায় বা ভয়ংকর ক্ষতি হয়ে যায়, ক্যারিয়ার নষ্ট হয়ে যায় আর রাজ্যের অবস্থা যেমন
তেমনই থেকে যায়, সে ‘পরিবর্তনের পরিবর্তন’ হোক আর না হোক, তার দায় আপনারা নিজেদের
কাঁধে তুলে নেবেন তো?
· আপনারা বিদ্বজ্জনরা সবাই নিজের নিজের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত। প্রতিষ্ঠা
লাভের শুরুতে কিম্বা মাঝপথে আপনারা কে কে রাজ্য ও রাজ্যবাসীর দুঃখ-দুর্দশার জন্য,
নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে, বিশৃঙ্খলা ও অপশাসনের বিরুদ্ধে পথে নেবেছিলেন বলতে পারেন?
জানতে ইচ্ছে করে।
· নিরাপদ দূরত্বে দাঁড়িয়ে জীবনের শেষবেলায় ‘আমার গায়ে আঁচ না লাগে
ফুরিয়ে যাবে মামলা’ মানসিকতায় ভরপুর বুদ্ধিমানরা পুতুল পুতুল লড়াইয়ে আর কতদিন
বুদ্ধিহীনদের বোড়ে বানিয়ে ‘রাজ্য ও রাজ্যবাসীর’ অজুহাতে নিজেদের ব্যক্তিগত পাওয়া
না-পাওয়ার হিসাব, প্রতিহিংসা চরিতার্থতা, একটু অন্যভাবে, অন্য প্ল্যাটফর্মে জীবনকে
উপভোগ করার সুপ্ত ইচ্ছা, ক্ষমতার অলিন্দে প্রবেশের পথ তৈরী করবেন?
· আর কতদিন চলবে বিদ্বজ্জনদের নতুন এই খেলা?
· বিদ্দজ্জনরা কি জানেন বিত্ত-বৈভবের চূড়ায় বসে চুকচুক করে সুখ পান করা
আপনাদের এই লড়াকু মানসিকতা আজ বুদ্ধিহীন, সরল-সাধাসিধা, ভাঙ্গাচোরা, বেকুব আম
আদমীর কাছে মেকী, ধান্দাবাজি, চূড়ান্ত
স্বার্থপর মানসিকতা বলে প্রমানিত?
· বুদ্ধিজীবীরা, বিদ্বজ্জনরা তো অনেক দূরের জিনিস দেখতে পান বলে আম
আদমীর ধারণা। আপনাদের কবিতায়, উপন্যাসে, প্রবন্ধে, রচনায়, সিনেমায়, ছবিতে
বিভিন্নভাবে তা ফুটে ওঠে। তাই তো আপনারা আম আদমীর কাছে প্রণম্য। তো আপনারা মানুষের
মঙ্গলের জন্য, রাজ্যের মঙ্গলের জন্য বিভক্ত কেন? কিসের জন্য?
· তাহ’লে বুদ্ধিহীন সরল বেকুব ভাঙাচোরা আম আদমীর মধ্যে ভাগাভাগির বেলায়
ভুল কোথায়?
· আপনাদের ভুলের জন্য যে মহা বিপর্যয় নেবে আসে জনজীবনে তার দায় এড়িয়ে
যান। কেন?
· কেন তার দায় ঘাড়ে নিয়ে সরে দাঁড়ান না?
· আপনারা, যারা সেদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে পরিবর্তনের লড়াই-এ
সামিল হয়েছিলেন, আজ তাদের যদি মনে হয়ে থাকে সেদিন আপনারা স্বৈরাচারী মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিনতে পারেননি তাঁরা কি আজ গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারেন আগামীদিনে
পরিবর্তনের পরিবর্তনে এমন ভুল আর হবে না?
· আপনারা নিজেরাই যেখানে অন্ধ সেখানে অন্যদের পথ দেখানো যায় কি?
· একজন অন্ধ আর একজন অন্ধকে কি পথ দেখাতে পারে?
· পরিবর্তনের পরিবর্তনে রাজ্যজুড়ে স্বর্গরাজ্য বা রামরাজ্য প্রতিষ্ঠা
হবে আপনাদের নেতৃত্বে, এমন গ্যারান্টি দেবেন তো?
· আর যদি সম্মিলিতভাবে এই অপশাসন, নৈরাজ্য, বিশৃঙ্খলার অচলায়তনের
বিরুদ্ধে ভোটবাক্সের মধ্যে দিয়ে লড়াই ছুঁড়ে দিতে না পারেন তাহ’লে কিসের জন্য আজকের
এই আন্দোলন?
· অন্য কোন সমীকরণ আছে কি?
· না-কি পশ্চিমবঙ্গের বুকে বিপ্লব, বিদ্রোহ ঘটাবেন?
· কোনটা? জানতে বড় ইচ্ছে করে বিদ্বজ্জনদের কাছে অভাগা বুদ্ধিহীন আম
জনতার।
উত্তর পাবো কি?
আপনাদের বিদ্বজ্জনদের কাছে তো
‘রামরাজ্য’ ইউটোপিয়া বলে মনে হয়। আপনারা তো রামরাজ্যকে গাঁজাখুরি গালগপ্প বলে মনে
করেন। এর অস্তিত্ব নিয়েই আপনারা সন্দেহ প্রকাশ করেন, ব্যঙ্গ করেন। তাহলে কিসের
আশায় এই রকম রামরাজ্যের মত এক ইউটোপিয়া রাজ্যের কল্পনা করেন? এর থেকে এটা কি
প্রমান হয় না আপনারা রামরাজ্যকে নিয়ে যতই কটুক্তি, ব্যঙ্গ, অস্বীকার, তাচ্ছিল্য
করুন না কেন মনে মনে কিন্তু আপনারা এই রকম ‘রামরাজ্য’-এর মত রাজ্যের, রামের মত
রাজার স্বপ্ন দেখেন, কল্পনা করেন? কিন্তু কখনো নিজেদের প্রশ্ন করেছেন, আপনারা বুদ্ধিজীবীরাই
‘রামরাজ্য’-এর মত এইরকম এক ইউটোপিয়া রাজ্যের স্বপ্ন যখন দেখেন তখন সেই ইউটোপিয়া
রাজ্য যদি সত্যি সত্যিই বাংলার মানুষ বাস্তবে পায় তাহ’লে সেই রাজ্যের প্রধান
‘রাম’-এর মত কে হবেন? আছে নাকি এমন কেউ এই বাংলায়, এই দেশে, এই পৃথিবীতে?
যাই হোক যদিও আশায় মরে চাষা তবুও আশা
নিয়েই তো বেঁচে থাকা। তাই আমিও আশা নিয়ে বাঁধি বাসা। আর মনে মনে বলি
“ধন্য আশা কুহকিনী! তোমার মায়ায়
মুগ্ধ মানবের মন, মুগ্ধ ত্রিভুবন!
দুর্বল মানব-মনোমন্দিরে তোমায়
যদি না সৃজিত বিধি; হায়! অনুক্ষণ
নাহি বিরাজিতে তুমি যদি সে মন্দিরে-----
শোক, দুঃখ, ভয়, ত্রাস, নিরাশ, প্রণয়,
চিন্তার অচিন্ত্য অস্ত্র নাশিত অচিরে
সে মনোমন্দির শোভা।......”
No comments:
Post a Comment