গত শনিবার (২২/৮/১৫) প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র
আন্দোলনে উপস্থিত ছাত্রদের সম্পর্কে বিজ্ঞানী বিকাশ সিনহার প্রশ্নঃ "এরা কারা?
আর বিজ্ঞানীর পরবর্তী প্রতিক্রিয়া ছিল, “বেশিরভাগই বহিরাগত৷ সাধারণ মানুষের ট্যাক্সের টাকায় ওরা পড়ছে৷ ক্রমশ সীমা ছাড়াচ্ছে”।
বিকাশ সিনহার প্রশ্নের উত্তরঃ এরা ভারতের
অগ্রণী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রেসিডেন্সি, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের এক একজন রত্ন,
উচ্চমেধাসম্পন্ন সচেতন প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্রছাত্রী। যারা দেশের সম্পদ, ভারতের আকাশের
ধ্রুবতারা!!
আর পরবর্তী প্রতিক্রিয়া সম্বন্ধে বলা
যেতে পারে, এই বহিরাগত ব্যাপারটা আজ আর নতুন কিছু নয়। পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত স্কুল,
কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আন্দোলনের নামে ছাত্র উচ্ছৃঙ্খলার ক্ষেত্রে এই
বহিরাগত ব্যাপারটা গা সওয়া নিত্ত নৈমিত্তিক ঘটনা। মনের শক্তির সঙ্গে শারীরিক
শক্তির সমান মিশ্রণ যেমন লক্ষ্য পূরণে গুরুত্বপূর্ণ বিরাট ভুমিকা পালন করে ঠিক
তেমনি সবক্ষেত্রেই আন্তঃশক্তির সঙ্গে বহিঃশক্তির একটা মিলন প্রয়োজন। আর তা
সৃষ্টিমূলক অথবা ধ্বংসাত্মক যে কাজের জন্যই হোক না কেন সমানভাবে ক্রিয়া করে।
পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষাক্ষেত্রে এই মিলন আজ এইডস বা ক্যান্সারে পরিণত হয়েছে। দুঃখের
বিষয় এই রোগের আতুর ঘর স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস। আর এই রোগের শিকার
অনামী, অখ্যাত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাধারণ ছাত্রছাত্রী থেকে
শুরু করে নামী ও খ্যাত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অসাধারণ
উচ্চমেধাসম্পন্ন ছাত্রছাত্রী পর্যন্ত।
আর বিজ্ঞানীর ‘সাধারণ মানুষের টাকায়
ওরা পড়ছে’ এই প্রসঙ্গে বলা যেতেই পারে, বেশ করছে। ওই উচ্চশিক্ষিতমেধাসম্পন্ন
ছাত্রছাত্রীদের দায় সাধারণ মানুষ বইবে না-তো টাটা আম্বানি বইবে? যদিও টাটা
আম্বানিও ট্যাক্স দেয়। ওরা অর্থাৎ ওই অসাধারণ উচ্চমেধাসম্পন্ন ছাত্রছাত্রীরা
আগামীদিনের সমাজ ও দেশের কাণ্ডারি, সাধারণ মানুষের ভাগ্যবিধাতা। ভবিষ্যৎ সুন্দর
সমাজের কথা ভেবেই তো সাধারণ মানুষকে নিজেদের স্বার্থেই ওই উচ্চমেধাসম্পন্ন ভবিষ্যৎ
ভাগ্যবিধাতাদের ভাগ্য গড়ে দেওয়ার পিতৃদায় নিতেই হবে। খাও না খাও কেউ দেখতে যাবে না
কিন্তু তোমাকে এই দেশের রত্নদের জন্য স্বার্থত্যাগ করতেই হবে। এখানে কোনও রকম
প্রশ্ন চলবে না। প্রশ্ন করলেই চোখ পাকিয়ে বলা হবে, প্রশ্ন করবা না, উত্তর দিমু না।
এছাড়া বিকাশবাবুর কথা ‘সীমা ছাড়াচ্ছে’
প্রসঙ্গে একটা কথা উনাকে বলতে চাই, উনি সম্ভবত ছাত্রদের জন্য একটা স্পেস ছেড়ে
রাখলেন। এক্ষেত্রে ‘সীমা ছাড়াচ্ছে’ প্রসঙ্গে স্পষ্টতই বলতে চাই, বিকাশবাবু
সীমা বহু বহুদিন আগেই ছাড়িয়ে গেছে তার প্রমাণ কি আপনি পাননি? কুম্ভকর্ণের মত হঠাৎ
জেগে উঠলেন না-কি? না-কি এখানেও ধমকের মোড়কে সাবধান হয়ে যাবার জন্য উচ্ছৃঙ্খল
ছাত্রছাত্রীদের স্পেস দিলেন? হয়তো আপনার সেরকম কোনও উদ্দেশ্য নেই এবং আপনি তা নন।
তবুও একটু অপ্রিয় হলেও (নিজগুনে ক্ষমা করে দেবেন) আর কতদিন সত্যকে সরাসরি সত্য বলে
তুলে ধরতে, স্পষ্ট কথা স্পষ্টভাবে বলতে সময় আমরা নেবো? আজও দেখলাম, কালও দেখেছি,
প্রতিদিনই দেখছি টিভির চ্যানেলে চ্যানেলে একশ্রেণীর বুদ্ধিজীবী কথার জাগ্লিং-এ
ছাত্রছাত্রীদের অপরাধকে মেনে নিয়েও হাল্কাভাবে দেখতে ও দেখাতে চাইছেন, তাদের পাশে
দাঁড়াচ্ছেন এবং ঘুরিয়ে কথার মারপ্যাঁচে প্রশাসকদের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে দিচ্ছেন।
আন্দোলনকারী ও প্রশাসক উভয় পক্ষকেই ডালেচালে মিশিয়ে খিচুড়ি বানিয়ে ছেড়ে দিচ্ছেন।
ওঃ কি অসাধারণ প্রতিভা! আর বিকাশবাবু সীমা ছাড়ানোর এই বিষবৃক্ষটা বপন হয়েছে
নির্দিষ্ট করে না বললেও বহু বহু বহু বছর আগেই। আর ধীরে ধীরে বপনকারী বুদ্ধিজীবীদের
দেওয়া জল, ছায়া, রোদ্দুর পেয়ে পেয়ে সেই চারা ক্রমশঃ ডালপালা ছড়াতে ছড়াতে বিশাল
বৃক্ষে পরিণত হয়েছে আর সেই বৃক্ষে ফলছে যে সুমিষ্ট বিষাক্ত ফল সেই ফল খেয়ে চলেছে
জেনারেশনের পর জেনারেশন ছাত্রসমাজ।
বিকাশবাবু আপনি বলুনতো কিছুদিন আগে
‘হোক কলরব’ নামে যে ছাত্র আন্দোলন হ’ল সেই আন্দোলনে আজকের আন্দোলনের ছাত্রছাত্রীরা
ছিল না? প্রাক্তন ও বর্তমান এই সমস্ত উচ্চমেধাসম্পন্ন ছাত্রছাত্রীদের টিভির
চ্যানেলে চ্যানেলে বসে ছাত্র আন্দোলনের সমর্থনে বারবার নিজের ঢাক নিজে পেটাবার মত
গর্বভরে তাদের নিজেদের উচ্চমেধা আর ‘যাদবপুর, প্রেসিডেন্সী’ প্রতিষ্ঠানের তারিফ
করতে শুনেছি, শুনেছি দেশের প্রতিনিধিত্ব করার কথা, শুনেছি ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে
জড়িত থাকার কথা। ‘হোক কলরব’-এ আমরা কি দেখেছিলাম আর কি পেয়েছিলাম? সেই একই রোগঃ
উপাচার্য অপসারণ! আজও তাই। কি আন্দোলন! কি লড়াই! কি উৎসাহ! কি উদ্দীপনা! আন্দোলনের
কি নূতনত্ব! “সেই একই Tradition সমানে বয়ে চলেছে”;
সবসময় উচ্চমেধার অহংকারে টগবগ করে ফুটছে উচ্চমেধাসম্পন্ন ছাত্রছাত্রী সমাজ। একটা
হিপি সংস্কৃতির আবহাওয়ায় আচ্ছাদিত ‘উত্তেজিত
মস্তিষ্ক আর বৃথা আড়ম্বর যুক্ত কল্পনা’র অধিকারী
প্রেসিডেন্সী, যাদবপুরের এক শ্রেণীর বর্তমান ও প্রাক্তন উচ্চমেধাসম্পন্ন ছাত্রসমাজকে
একটা নেশার মত পেয়ে বসেছে। মুচমুচে পাঁপড়
ভাঁজার মত সবসময় পড়াশুনার পাশাপাশি সময় কাটানোর জন্য Part time হিসাবে উদারতার ভঙ্গী নিয়ে একটা ‘সমাজকো বদল ডালো’র আঁতলামো সুড়সুড়ি
চাই, আন্দোলন চাই, চাই হৈ চৈ, চাই কলরব, চাই গুঞ্জন, চাই ‘উত্তেজিত মস্তিষ্ক আর
বৃথা আড়ম্বর যুক্ত কল্পনা’র তীব্র হলাহল ভরা কোলাহল যেখানে মিলবে এলোমেলো করে
দেওয়ার সুযোগ আর বলতে পারবে, ‘দে মা লন্ডভন্ড
করে, লুটে পুটে খায়’।
প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যার বিভাগীয় প্রধান
সোমক রায়চৌধুরি আন্দোলনের কড়া নিন্দা করে বলেন, "গুন্ডামি চলছে৷
প্রেসিডেন্সিতে বহিরাগতদের জায়গা নেই৷ অন্তর্বাস পরে ঘুরে বেড়ানোয় প্রেসিডেন্সির সম্মানহানি হল”৷
এই
প্রসঙ্গে বলা যেতে পারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গুন্ডামি তো বাংলার সংস্কৃতি। আর সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বহিরাগতদের প্রবেশ, সে
ছাত্রই হোক আর ছাত্রের ছদ্মবেশে গুন্ডা, মস্তান, নেশাখোর, হঠকারী রাজনীতির সঙ্গে
যুক্ত তথাকথিত এলিট বা ইন্টেলেকচুয়ালস ইত্যাদি যাই হ’ক, তাদের স্বাধীন অধিকারের
মধ্যেই পড়ে। সোমকবাবু তো নিজেই এই কলেজের
প্রাক্তনি ছিলেন, তাঁর সময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির সংস্কৃতি কি ছিল তা অবশ্য তিনিই
ভালো বলতে পারবেন আর এছাড়া তিনি বোধহয় বহু বছর দেশের বাইরে থাকায় বাংলার বুকে
বাংলার কৃষ্টি-সংস্কৃতির পটপরিবর্তন সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নন। তাই তিনি ঐভাবে
রিঅ্যাক্ট করেছেন।
‘অন্তর্বাস সংস্কৃতি’র জন্য প্রেসিডেন্সির
সম্মানহানি হ’ল কি? আর হলেও শুধু প্রেসিডেন্সির কেন? অভিবক্ত গোটা বাংলা ও বাঙালির
সম্মানহানি নয়, অপমান নয়? গোটা বাংলার ছাত্র সমাজ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নয়? আসলে
সোমকবাবু জানেনই না যে অনেক আগেই বাংলার উচ্চমেধাবী ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলনের
ভাষাটাই পালটে গেছে। তিনি কি সুন্দর অভিনব ‘ন্যাপকিন আন্দোলন’-এর রুপটা দেখেননি!? অনেকদিন
আগে সেই ব্যর্থ নকশালি আন্দোলন শেষে পরবর্তী সময়ে ব্যর্থ হতাশাগ্রস্ত কোমরভাঙ্গা
অথচ নাকউঁচু উচ্চমেধাবী এক নকশালি যুবকের গাঁজার কলকেতে সকাৎ শব্দে টান দিয়ে
আকাশপানে মুখ তুলে ধোঁয়ার মেঘ উড়িয়ে গেয়ে ওঠা ‘গাছে গাছে কবিতা ঝোলাবো’র মত সেই
ট্রাডিশান ‘গাছে গাছে, দেওয়ালে দেওয়ালে ন্যাপকিন ঝোলাবো’ যেন সমানে বয়ে চলেছে
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে উচ্চমেধাবী ছাত্রছাত্রীদের হাত ধরে। সেখানে
শুধু ক্যাম্পাসের গাছেই নয়, ন্যাপকিনের উপর ধর্ষণবিরোধী বিভিন্ন্ ধরনের মন্তব্য লিখে বাথরুমে, হোর্ডিংয়ের গায়ে, দেওয়ালে সেঁটে দেওয়া হয়েছিল ন্যাপকিন, ন্যাপকিন আর ন্যাপকিন। সম্ভবত সেই সুন্দর মনোরম স্বাস্থ্যকর
আধুনিক ‘ন্যাপকিন
সংস্কৃতি’র কথা জানেন না সোমকবাবু। সেই অত্যন্ত উচ্চমার্গের রুচিশীল আন্দোলনের
পুরোধা ছিলেন নারীরাই!!!!!!
“অবাক পৃথিবী! অবাক করলে তুমি”! সুকান্তকে বাঁচিয়ে রেখেছে এই নারীরাই!!!! হ্যাটস অফ
আজকের আধুনিক নারীসমাজ!!!!!!!
প্রকাশ্য দিবালোকে যাদবপুরের ছাত্রছাত্রীদের
রাস্তার উপরে এই ‘চুমু আন্দোলন’-এর কথা কি জানেন না সোমকবাবু? কি অপুর্ব দৃষ্টিনন্দন দেশের নামকরা অন্যতম সেরা প্রতিষ্ঠানের উচ্চমেধাবী ছাত্রছাত্রীদের
এই আন্দোলন। নারীদের নিজেদের লজ্জা নিয়ে প্রকাশ্যে
কি বোল্ড আলট্রা মডার্ন আন্দোলন!? কত এগিয়ে গেছে রবীন্দ্রনাথ, বিদ্যাসগর, বিবেকানন্দ,
জীবনানন্দ ইত্যাদির বাংলা! সত্য সেলুকস! কি বিচিত্র এই লেখাপড়া জানাওয়ালা নারী
সমাজ, নারী চরিত্র, নারী শিক্ষা! নিজেদের শরীরের গোপন অঙ্গের গোপন লজ্জাবস্ত্র আজ
আন্দোলনের হাতিয়ার! তাও আবার প্রকাশ্যে পুরুষের সঙ্গে হাত মিলিয়ে! শিক্ষিত, ভদ্র,
রুচি ও রক্ষণশীল জ্ঞানী নারী সমাজ আজ চুপ কেন!? কেন তাঁরা আজও নীরবে সব সহ্য করে
যাচ্ছেন? আর কবে তাঁরা তথাকথিত এই লেখাপড়াজানা উচ্চমেধাসম্পন্ন অহংকারী নারী যারা
নিজেদের নিজেরাই বাজারের পণ্য করে তোলেন তাদের ঘুম ভাঙ্গাবার জন্য পথে নামবেন? সোমকবাবু
আপনি কি এসব ঘটনার সঙ্গে পরিচিত নন কিম্বা আপনাকে কেউ আপডেট করেনি? এরাই শেষ কথা।
এর মধ্যে অবশ্য কিছু ভালো ছাত্রছাত্রী আছে যাদের কোনও ভুমিকা বা গুরুত্বই নেই এই
সমস্ত বিকৃত রুচিসম্পন্ন হুলিগান ছাত্র
সমাজের কাছে।
অতএব মাথা ঠান্ডা রাখুন সোমকবাবু,
বিকাশবাবুরা। যখন সমাজ ব্যবস্থা ধ্বংসের Extreme Point-এ চলে যায় তখন আর কোনোকিছুই সেই
ব্যবস্থাকে ঘুরে দাঁড় করাতে পারে না। ধ্বংস-ই তার ইতি, ধ্বংস-ই তার ভবিষ্যৎ
সমাধান। তাই এরা বা এইসব ঘটনাই আগামী বাংলা আর বাংলার ছাত্র সমাজের কাছে ভবিষ্যৎ। যা আগামী প্রজন্মকে পথ
দেখাবে বাংলার বুকে নেবে এসে বাংলাকে কবরে নিয়ে যাবার জন্য। জন্ম নেবে রক্তবীজের
ঝাড়। শুনতে পাচ্ছেন আপনারা আগামী রক্তবীজেরা গাইছেঃ
আবার আসিব ফিরে
আবার আসিব ফিরে প্রেসিডেন্সী,
যাদবপুরে –-- এই বাংলায়
হয়তো মানুষ নয় --- হয়তো বা দানব কংসের বেশে,
হয়তো ভোরের রাহু হয়ে এই ‘ধর্ষণ করো’র দেশে
তমসার বুকে ভেসে একদিন আসিব এই ‘সংস্কৃতি’র ছায়ায়;
হয়তো বা অশনি হবো – তমঘ্নোর - ব্যাটন রহিবে শ্বেত রেখায়,
সারাদিন কেটে যাবে অন্ধকারে ঢেকে থাকা আকাশে ভেসে ভেসে;
আবার আসিব আমরা বাংলায় অন্তর্বাস ন্যাপকিন চুমু সংস্কৃতি
ভালোবেসে
উচ্ছৃঙ্খলার ঢেউ এ ভেজা বাংলার এ হলুদ বর্ণের ডাঙ্গায়;
হয়তো দেখিবে চেয়ে পাশুপাত উড়িতেছে সন্ধ্যার বাতাসে;
হয়তো শুনিবে এক শকুনি ডাকিতেছে শিক্ষাঙ্গনের ছাদে;
হয়তো ধ্বংসের বীজ ছড়াতেছে এক ছাত্র অঙ্গনের ঘাসে;
গঙ্গার ঘোলা জলে আগামী তমোঘ্ন ন্যাপকিন, অন্তর্বাস উড়িয়ে
ডিঙ্গা বায়; অসভ্যতার নিকষ আঁধার জড়িয়ে আসিতেছে নীড়ে
চুম্বনে মগ্ন উদোম ছাত্রী-ছাত্র; আমাদেরও পাবে তোমরা ইহাদের
ভিড়ে।
No comments:
Post a Comment