এই সমস্ত পোষ্টের ভিড়ে মাঝে মাঝে অক্সিজেন পেলেও সিরিয়াস পোষ্ট ও আলোচনা করার মানুষের বড়ই অভাব। আর, যদিও বা দেখি সিরিয়াস কোনও লেখা তাও সংগৃহীত বা কালেক্টেড লেখা থাকে। লেখকের নাম জানা যায় না।
যাই হ'ক, দিন শুরু হচ্ছে উস্কানিমূলক হিংসা আর যৌন সুড়সুড়িতে ভরপুর পোষ্ট দিয়ে আর শেষ হচ্ছে তাই দিয়ে। ধর্মের মর্যাদা রক্ষা না-করা, গুরুজনের মর্যাদা রক্ষা না-করা, নারীর মর্যাদা, নারীর সম্ভ্রম রক্ষা না-করা, শিশু, অসহায়, নিরাশ্রয়দের আশ্রয় হ'য়ে না ওঠা, ঈশ্বর ও প্রেরিতদের অবজ্ঞা করা, কুৎসা করা, নিন্দা, সমালোচনা, অশ্লীল গালাগালি করা আজ ট্রেন্ড হ'য়ে দাঁড়িয়েছে সমাজে। এই বিষয়ে বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ট বিস্ময় শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র স্পষ্টভাষায় সাবধান ক'রে দিয়ে গেছেন আমাদের। কিন্তু চোরা না শোনে ধর্মের কাহানী। আমরা সৎসঙ্গীরাই তাঁর কথা শুনিনি। শুনছি না।
সম্প্রতি আমরা দেখলাম, শুনলাম বাংলাদেশের আন্দোলনে যৌবন শক্তিতে পরিপূর্ণ নারীপুরুষের সমান তালে কানে গরম সীসা ঢেলে দেওয়ার মত অশ্লীল গালাগালিতে ভরপুর শ্লোগান এবং হাতে মায়েদের অন্তর্বাস নিয়ে নির্লজ্জ মিছিল, উল্লাস।
এই ট্রেন্ড ছাড়া সবচেয়ে আরও ভয়ংকর একটা ট্রেন্ড ভারত বিরোধীতা। যে কোনও ইস্যুতে ভারত বিরোধীতা। প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ, যে দেশ একদিন ভারতেরই অঙ্গ ছিল, সেই দেশের প্রজন্মের পর প্রজন্মকে ভারত বিরোধী ক'রে তোলা হয়েছে ও হচ্ছে সুকৌশলে। সবচেয়ে বেশী প্রভাব পড়েছে এপার ওপার দুই বাংলার বাঙালীদের মধ্যে। যদিও এখন আর মনে হয়না বাংলাদেশীরা নিজেদের বাঙ্গাল বাঙালি ভাবে। দুইভাগে ভাগ হ'য়ে গেছে বাংলাদেশ মুসলমান আর হিন্দু বা সংখ্যা লঘু শব্দে, আজ আর বাঙালী কেউ না। এপার বাংলা সেই সংক্রামক ব্যাধিতে এখনও আক্রান্ত হয়নি তবে যেভাবে যেদিকে এগোচ্ছে গতিক দেখে মনে হয় এপার বাংলাও একদিন সেই পথ অনুসরণ করবে, তা' আর বেশীদিন নেই। অথচ চুপ ক'রে বসে দেখছে দুই দেশের শিক্ষিত সমাজ। যুদ্ধবাজ বা দুরাত্মাদের কোনও ধর্ম ও জাত নেই। তাদের একটাই ধর্ম ও জাত তা' হ'লো 'দে মা লন্ডভন্ড ক'রে, লুটেপুটে খায়।' আর, তার পৃষ্টপোষক এলিট সমাজের ভীষ্মরা।
তাই মন বলে, এক কোপে কেটে দে বাবা শান্তিতে অন্তত মরি। রোজ রোজ দাঁত খিচুনি আর ভালো লাগছে না। কয়েকটা লোকের জন্য, তা' বিশ্বের যে দেশেরই হ'ক, আজ আম জনতা প্রভাবিত। শুধু মরণের পথে নিয়ে যাবার উস্কানি, তা সে যেই-ই হ'ক, শুধু বিষ বিপ্লবের হাতছানি।
হে আম জনতা, আসুন একসঙ্গে সবাই মরে যায়। চ্যাপ্টার ক্লোজ হ'ক মানব জাতির।
কথাটা বললাম এইজন্যে আজও একটা পোষ্ট দেখলাম প্রতিদিনের মত ভারত বিরোধী ছাত্র মিছিলের। কে বা কারা উস্কাচ্ছে ছাত্রদের যে কোনও ইস্যুকে কাজে লাগিয়ে তা' বোঝা যাচ্ছে না। ছাত্র সমাজ বুঝতেই চাইছে না, "উত্তেজিত মস্তিষ্ক আর বৃথা আড়ম্বর যুক্ত কল্পনা দু'টোই অসিদ্ধির লক্ষ্মণ।" আর, যারা উস্কাচ্ছে তারা ঠিকই করেছে তারা আমৃত্যু এইসব ঘৃণ্য কাজ করে যাবে। একটা না একটা ইস্যু চাই-ই চাই বর্তমান ছাত্র সমাজের কাছে নিজেদের বুদ্ধিতে সেরা প্রমাণ করার জন্য। বাংলাদেশের বর্তমান প্রধান ডাঃ ইউনুস কি এসেই ঘুমিয়ে পড়েছেন? তিনি যদি ব্যবস্থা নিতে না পারেন দেশের পরিস্থিতি মোকাবিলা করার তাহ'লে পুরো দেশটাই ছাত্রদের হাতে তুলে দেওয়া হ'ক। ডাঃ ইউনুস ছাত্রদের এগিয়ে না দিয়ে নিজে মোকাবিলা করুন দেশের পরিস্থিতির জন্য ভারতের বিরুদ্ধে। ভারতের বিরুদ্ধে যদি যুদ্ধ করার ইচ্ছা হয়েই থাকে তাহ'লে সেই ইচ্ছাও পূরণ করে নিন। শুধু শুধু দিনের পর দিন ভারতের বিরুদ্ধে ঘৃণার চাষ করা বন্ধ হ'ক। এতে কখনোই ভবিষ্যৎ সুন্দর হয় না। ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হ'ক। আলোচনার টেবিলই বর্তমান সময়ের এক ও একমাত্র সমাধানের পথ। ঝগড়া দিয়ে, হিংসা দিয়ে, মারামারি কাটাকাটি দিয়ে কোনও সমস্যার সমাধান হয়না ও হয়নি, বিশাল মাপের ক্ষয়ক্ষতি হওয়া ছাড়া। শান্তিতে নোবেল পুরস্কার প্রাপ্ত শান্তির দূত ডাঃ মহম্মদ ইউনুস আপনার মত মহান জ্ঞানী না বুঝলে তাহ'লে আর কে বুঝবে? কবে বুঝবে? এভাবে ঘৃণা নিয়ে বেঁচে থাকার থেকে হ'য়ে যাক এসপার ওসপার, সবাই একসঙ্গে শেষ হ'য়ে যাই।
( লেখা ২৩শে আগষ্ট'২০২৪)
No comments:
Post a Comment