( লেখা ১৮ই অক্টোবর'২০২৪)
Saturday, October 18, 2025
উপলব্ধিঃ আমি আগে সৎসঙ্গী, পরে হিন্দু।
ধ্বংস তো অনিবার্য। আজ নয়তো কাল। শুধু সময়ের অপেক্ষা। কারণ এটা কলিযুগ। সবাই ধ্বংস হবে। কেউ বাঁচবে না। আগে হিন্দুরা পরে অন্যরা বা আগে অন্যরা পরে হিন্দুরা ধ্বংস হবে, এমন কোনও কথা নয়। আগে আর পরের ব্যাপার। সবাইকেই ধ্বংস হতেই হবে। আর তা' হবে ধর্মের মারামারির কারণে। হিন্দুদের কোনওদিনই ঐক্য ছিল না। তাই তাদের আজ এই অবস্থা। তারা নিজেদের সনাতনী ঐতিহ্যের ধ্বজার লাঠি দিয়ে হিন্দুর পেছনেই বাঁশ দেয়, পুরুষোত্তমের নিন্দা করে, করে অপমান আবার সনাতনী ধ্বজা উড়িয়ে বালখিল্য ঐক্যের আন্দোলনের ডাক দেয়। এই কপট চরিত্ররা কাদের এজেন্ট? আগে তাদের চিহ্নিত করতে হবে। আর আমি আগে সৎসঙ্গী, পরে হিন্দু। প্রবি।
বিচিত্রা ১৮৮
পৃথিবীর যে কোনও দেশে ধর্ম্মের নামে, গণতন্ত্র রক্ষার নামে, ক্ষমতা দখলের নামে তা সে যে কারণেই হোক যদি সেই দেশে অন্য ধর্ম্মের অবমাননা হয়, গণহত্যা হয়, অবাধ নারীধর্ষণ, লুটপাট ও ভাংচুর হয় সেটা সেই দেশের আভ্যন্তরীণ ব্যাপার; সেখানে মানবতা রক্ষা, মানুষ হিসাবে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর প্রশ্ন অর্থহীন ও মূল্যহীন! সাবাস! হ্যাটস অফ এলিট সমাজ! হ্যাটস অফ!!
বাংলাদেশের শারদোৎসবে কুমিল্লা সহ বিভিন্ন স্থানে নারকীয় ঘটনায় পশ্চিমবাংলার শিক্ষামন্ত্রী একসময়ের বামপন্থী নাট্যকার ব্রাত্য বসুর প্রতিক্রিয়াঃ ওটা বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ ব্যাপার!!
বড্ড দেরি হ'য়ে গেল বুঝতেঃঅসৎ পথেই অর্থ-মান-যশ!
অন্যায় পথেই সুখ-শান্তি সব!
মিডিয়া R বাংলা প্রশ্ন তুলেছেঃ
বাংলাদেশের কুমিল্লা সহ বিভিন্ন স্থানে নির্ম্মম ঘটনায় রাষ্ট্রসংঘ চুপ কেন?উত্তরঃ মিডিয়া জানে না ৭১ এর বাংলাদেশের ওপর পাকিস্তান সেনাবাহিনীর নারকীয় অত্যাচার যেমন ৩০,০০,০০০ লক্ষ মানুষের মৃত্যু, ৪,০০,০০০ লক্ষ নারীর ওপর নারকীয় যৌন অত্যাচারের সময়ও সেদিন রাষ্ট্রসংঘ নির্লজ্জভাবে চুপ ছিল!?
( লেখা ১৮ই অক্টোবর'২০২১)
বিচিত্রা ১৮৭
প্রতিনিয়ত ঘরে বাইরে, দেশে বিদেশে নানা বিষয়ের ওপর বিশেষজ্ঞের নতুন নতুন মতামত উঠে আসছে। এ নিয়ে পক্ষ প্রতিপক্ষের বাদ বিসংবাদ লেগেই আছে। বিশেষ কোনও বিষয়ের ওপর আপনার বিশেষ ভাবনা যদি ছড়িয়ে দিতে চান সবার মাঝে তাহ'লে আপনাকে সেই বিষয়ের অনেক গভীরে যেতে হবে। অনেক ধীর, স্থির, শান্ত, সংযত হ'য়ে ধৈর্য সহকারে সহ্য শক্তি নিয়ে সেই নতুন দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কিত জটিল স্পর্শকাতর বিষয়ে আপনাকে অগ্রসর হতে হবে। প্রচুর পড়াশুনা করতে হবে বিষয়ের ওপর। সংশ্লেষন ও বিশ্লেষনের মধ্যে দিয়ে বিষয়ের একেবারে গভীরে পৌঁছে তবেই সমাধানের মুক্তো তুলে আনতে হবে। মনে রাখতে হবে প্রগতি যেন দুর্গতিকে ডেকে না আনে। মনে রাখতে হবে আপনার কোনো চিরাচরিত প্রচলিত বস্তু বা বিষয়ের ওপর বৈপ্লবিক ভাবনার অনিচ্ছাকৃত অসম্পূর্ণতা যেন আপনার মতের বিরোধীদের অহেতুক সুযোগ ক'রে না দেয় আপনার সদিচ্ছাকে খতম করতে। আমি আপনার নতুন কোন বৈপ্লবিক দৃষ্টিভঙ্গি ও মতের মানসিকতার সঙ্গে সহমত পোষণ করি কিন্তু আমি চাই সেই বিষয়ের ওপর প্রচুর যুক্তিপূর্ণ আলাপ আলোচনা বিতর্ক হোক এবং অবশ্যই তা লক্ষ্যে পৌঁছোবার মানসিকতা নিয়েই হোক। অহেতুক ইগোর লড়াই যেন উদ্দেশ্যকে ব্যহত না করে।
( লেখা ১৮ই অক্টোবর'২০১৪)
তুমি না হয় হ'য়ে রইলে শবরী
চেয়ে রইলে পথপানে অনন্তকাল
সে আসবে ব'লে।
কিন্তু তুমি শবরী,
অন্তরে বাহিরে শবরী হয়ে যদি থাকো চিরকাল
তবে জেনো একদিন সে আসবে,
আসবেই আসবে,
যদি হয় সে রাম।
হে আজকের শবরী!
রাম ভেবে রাবণের অপেক্ষায় দিন নষ্ট ক'রো না।
রাম ভেবে রাবণের অপেক্ষায় দিন নষ্ট ক'রো না।
জীবন ছোট, ভুল ক'রে রাবণকে আলিঙ্গন ক'রে ব'সো না।
বন্ধু!
আমি শবরী হ'তে রাজী।
রাখো বাজি, এক ডুবে হব আমি পার;
আমি শবরী হ'তে রাজী।
রাখো বাজি, এক ডুবে হব আমি পার;
আমি কাটবো সাঁতার।
যদি সে হয় রাম অবতার!!!!!
যদি সে হয় রাম অবতার!!!!!
শব্দবাজি আর আজান
একই গোত্র, একই তান!?
তথা হ'তে আগত
Divine dictation!!
বুড়ো বয়সে বালখিল্য আচরণ?
.
তথা হ'তে আগত
Divine dictation!!
কেনই বা নোটবন্দি সমর্থন আর
কেনই বা তা' প্রত্যাহার!?
হে রাম!বুড়ো বয়সে বালখিল্য আচরণ?
কেন যে লোক কমল হাসান!!!!!
জল আর জলপাই
( লেখা ১৮ই অক্টোবর'২০১৮)
যদি হয় এক
তাহ'লে কোথায় জল পাই?
শব্দবাজি আর আজান
শব্দবাজি আর আজান
যদি হয় এক
তাহ'লে ডাকাত আর ডাক্তার
এক হ'লে কেমন হয় দ্যাখ।
তারা কেন নয় এক?
তথা হ'তে আগত তথাগত
আর তথাগত
দুজনেই সমান স্বাগত!?
হে বনবিবি! আমি ব'নে যাবো
তোর প্রেমে মাতাল হবো
সেথায় সবুজ আছে,
সবুজ প্রাণ আছে,
তোর গায়ের মিষ্টি গন্ধে
আমি পাগল হবো।
(লেখা ১৮ই অক্টোবর'২০১৮)
জংলী জংলী প্যারি জংলী
মানুষের জঙ্গলে না।
সুইটি সুইটি সুইটি জংলি
জংলি সভ্যতার না।
তোমার হাতে হাত রেখে
আমি হ'তে চাই ভবসাগর পার;
তুমি আছো তাই তো আমি আছি
সাঁতরে যাবো আমি
জীবন মৃত্যুর পারাবার।
যার যে রূপ লাগে ভালো
সে সেই রূপে মজুগ গো;
আমার লাগে ভালো রূপ মীরাবাঈ
আমি তাঁরে পুঁজি গো।
( লেখা ১৮ই অক্টোবর'২০১৭)
.
Friday, October 17, 2025
কবিতাঃ ঐক্যের দিকে এক ধাপ-------
একটি পদক্ষেপ, দৃঢ় ও অবিচল পদক্ষেপ
আত্মবিশ্বাসে পূর্ণ একটি পদক্ষেপ
অবিরাম একাগ্রতার সাথে পদক্ষেপ
একমাত্র উপযুক্ত ও যোগ্য পদক্ষেপ
একত্রিতার দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য।
ঐক্যের অনুভূতির জন্ম হয়
ভাগ করা কষ্ট থেকে, যেমন কষ্ট
যাযাবর জীবনের কষ্ট।
আমাদের সমস্ত কষ্ট সাহসের সাথে সহ্য করতে হবে
অদম্য অবিচল আনুগত্যের সাথে।
আমি তোমার কথা ভাবছি
তুমি আমার কাছে এসো
আমার দুর্বল পাতলা হাত
ঠান্ডায় কাঁপছে হাত
তোমার সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য উষ্ণ হাতে
আমার বেঁচে থাকার ইচ্ছা এবং বেড়ে ওঠার ইচ্ছা,
আমাকে জাগিয়ে তোলো
আমার ভেতরে ঘুমন্ত শক্তিকে জাগিয়ে তোলো
আবার নতুন ভোরের ঝলকের সাথে,
নতুন ভোরের আভাস দিয়ে।
বৃষ্টি, সাফল্যের বৃষ্টি সহজেই নেমে আসে
সর্বশক্তিমানের আশীর্বাদের বৃষ্টির মতো
বহুবর্ষী শুষ্ক ও ফ্যাকাশে জীবন, নরকের জীবনকে
স্নান করানোর জন্য।
আত্মবিশ্বাসে পূর্ণ একটি পদক্ষেপ
অবিরাম একাগ্রতার সাথে পদক্ষেপ
একমাত্র উপযুক্ত ও যোগ্য পদক্ষেপ
একত্রিতার দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য।
ঐক্যের অনুভূতির জন্ম হয়
ভাগ করা কষ্ট থেকে, যেমন কষ্ট
যাযাবর জীবনের কষ্ট।
আমাদের সমস্ত কষ্ট সাহসের সাথে সহ্য করতে হবে
অদম্য অবিচল আনুগত্যের সাথে।
আমি তোমার কথা ভাবছি
তুমি আমার কাছে এসো
আমার দুর্বল পাতলা হাত
ঠান্ডায় কাঁপছে হাত
তোমার সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য উষ্ণ হাতে
আমার বেঁচে থাকার ইচ্ছা এবং বেড়ে ওঠার ইচ্ছা,
আমাকে জাগিয়ে তোলো
আমার ভেতরে ঘুমন্ত শক্তিকে জাগিয়ে তোলো
আবার নতুন ভোরের ঝলকের সাথে,
নতুন ভোরের আভাস দিয়ে।
বৃষ্টি, সাফল্যের বৃষ্টি সহজেই নেমে আসে
সর্বশক্তিমানের আশীর্বাদের বৃষ্টির মতো
বহুবর্ষী শুষ্ক ও ফ্যাকাশে জীবন, নরকের জীবনকে
স্নান করানোর জন্য।
বিচিত্রা ১৮৬
সেদিন মানুষের ভরা দরবারে মা দ্রৌপদীকে উলংগ করেছিল দূর্যোধনের নেতৃত্বে দুঃশাসন আর সেই সময় তা চুপ ক'রে দেখেছিল সমাজের উচ্চবর্গের মহাবীর ভীষ্মেরা! আর আজও ওপার বাংলায় শারদোৎসবে উলঙ্গ করলো মা দূর্গাকে আজকের দুঃশাসনেরা আর দু'বাংলার বাঙালী সমাজের এলিট সম্প্রদায়ের ভীষ্মেরা চুপ, নিশ্চুপ!!! আর আনন্দে মাতোয়ারা এ বাংলার শারদোৎসবে তামাম হিন্দু বাঙালী!!!!!!!!
সেই ট্রাডিশন সমানে চলেছে!
ও বাংলার শারদোৎসবের নির্ম্মম ঘটনায়
এ বাংলায় শারদোৎসবে ভয়ংকর এক আনন্দময় শান্তিপূর্ণ নীরবতা!!!!
হ্যাটস অফ হিন্দু বাঙালী!
রাম! রাম!!
তবে বদলার প্রতীক্ষায় নয়,
ফিরিয়ে দিয়ে সম্মান নেবো চির আরাম।
সেই ট্রাডিশন সমানে চলেছে!
এ বাংলায় শারদোৎসবে ভয়ংকর এক আনন্দময় শান্তিপূর্ণ নীরবতা!!!!
হ্যাটস অফ হিন্দু বাঙালী!
( লেখা ১৭ই অক্টোবর'২০২১)
যাকেই ভাবি সৎ
দুর্নীতির আখড়া চালনায় সেই দেয় মদত!!
যাকেই ভাবি ভরসা করা যায়
সেই ভাসিয়ে দিয়ে চলে যায়!যাকেই ভাবি সৎ
দুর্নীতির আখড়া চালনায় সেই দেয় মদত!!
( লেখা ১৯ই অক্টোবর'২০২১)
তার তেমন ভাব, তেমন লাভ,
তেমন ভালোমন্দ।
যার যেমন ভাব তার তেমন লাভ,
আবার যার যেমন সঙ্গ তার তেমন ভাব, তেমন লাভ,
তেমন ভালোমন্দ।
আজ তোমার দিন
আমার দিনের প্রতিক্ষায় রইলাম।রাম! রাম!!
তবে বদলার প্রতীক্ষায় নয়,
ফিরিয়ে দিয়ে সম্মান নেবো চির আরাম।
আজ কাছে আছি তাই অবহেলায় বাঁচি
যেদিন থাকবো না আর কাছে মুখে বসবে মাছি
সেদিন পড়বে মনে খালি
চলে যাওয়া দিনগুলি।
আজকে দিলে গালি যেদিন থাকবো না
সেদিন পড়বে মনে খালি
কোথায় পাবো তারে?
শুধরে নিয়ে ভুল
এবার রাখবো তারে হৃদমাঝারে ধ'রে!!
কিন্ত সে গুড়ে বালি,
হৃদয় রবে তোমার খালি।
তাই সময় থাকতে জাগো
নিজের ভুল ভাঙো।
( লেখা ১৭ই অক্টোবর'২০১৮)
Thursday, October 9, 2025
বিচিত্রাঃ ১৮৫
।। মতবিরোধ ও মনবিরোধ।।
আজ লক্ষীপুজো। দয়ালের কাছে প্রার্থনা
করি আমার কাছের দূরের যত পরিচিত মানুষ সবার ঘরে লক্ষী অধিষ্ঠিত হ'ক।
আর এই পবিত্র দিনে প্রার্থনা করি সবার সঙ্গে আলোচনা হ'ক, আলোচনায় মতবিরোধ হ'ক কিন্তু মনবিরোধ যেন না হয়।
কারণ দয়ালের ভাষায় আমিও বলি, "I love you in the name of Dayal (Christ). I love you because I love Dayal (Christ) (আমি তোমাকে দয়ালের (খ্রীষ্টের) নামে ভালবাসি। আমি দয়ালকে (খ্রীষ্টকে) ভালবাসি ব'লেই তোমাকে ভালবাসি)।"
আর এই পবিত্র দিনে প্রার্থনা করি সবার সঙ্গে আলোচনা হ'ক, আলোচনায় মতবিরোধ হ'ক কিন্তু মনবিরোধ যেন না হয়।
কারণ দয়ালের ভাষায় আমিও বলি, "I love you in the name of Dayal (Christ). I love you because I love Dayal (Christ) (আমি তোমাকে দয়ালের (খ্রীষ্টের) নামে ভালবাসি। আমি দয়ালকে (খ্রীষ্টকে) ভালবাসি ব'লেই তোমাকে ভালবাসি)।"
( লেখা ৯ই অক্টোবর'২০২৩)
Wednesday, October 8, 2025
প্রবন্ধঃ নাস্তিক ও আস্তিক আর স্বীকার ও অস্বীকার এবং গ্রহণ ও বর্জন ।
নাস্তিক আর আস্তিক শব্দ নিয়ে ঈশ্বর বিশ্বাসী আর ঈশ্বর অবিশ্বাসীদের মধ্যে লড়াই আজও বিদ্যমান। নাস্তিক কেউ না, সবাই আস্তিক। কারণ প্রত্যেকের অস্তিত্ব আছে, আর সবাই অস্তিত্বে বিশ্বাসী, বিশ্বাসী পারিপার্শ্বিক সহ নিজের অস্তিত্ব রক্ষা ও তার শ্রীবৃদ্ধিতে। তাই কেউ নাস্তিক নয়, সবাই আস্তিক।
মানুষের ধারণা ঈশ্বরকে যে বিশ্বাস করে সে আস্তিক আর ঈশ্বরকে যে বিশ্বাস করে না সে নাস্তিক। ঈশ্বরের অস্তিত্ব আছে কি নেই তা' নিয়ে তর্কবিতর্ক বা বিশ্বাস অবিশ্বাস করার দরকার নেই, নিজের অস্তিত্বকে বিশ্বাস করে কিনা সেটাই মুখ্য। যে নিজের অস্তিত্বকে বিশ্বাস করে, অনুভব করে, উপলব্ধি করে সে অস্তিত্বের অস্তিত্ব পরম অস্তিত্বকে, উৎসের উৎস পরম উৎসকে, কারণের কারণ পরম কারণকে বিশ্বাস করে, অন্বেষণ করে। ভেবে দেখে আমি কেন জন্মেছি সেই কারণ জানার।
পরমপ্রেময় শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র বললেন,
" তুমি কেন জন্মেছ মোটাভাবেও কি দেখেছ ? থাকাটাকে কি উপভোগ ক'রতে নয় ---- চাহিদা ও কর্ম্মের ভিতর - দিয়ে পারস্পরিক সহবাসে ----- প্রত্যেক রকমে ?
তেমনি বুঝছ না ভগবান কেন সৃষ্টি ক'রেছেন ? উত্তর কি এখন ?----- নিজেকে অনুভব ক'রতে , উপভোগ ক'রতে ---- বিশ্বে , প্রত্যেক অনুপাতে --- দেওয়ায় , নেওয়ায় -- আলিঙ্গনে , গ্রহণে , কর্ম্মবৈচিত্রে , ----- নয় কি ? "
তাই ঈশ্বরে বিশ্বাস বা অবিশ্বাস করা আমার নিজের ব্যাপার। আমি স্বাধীন। আমার স্বাধীনতায় স্রষ্টা কোনও হস্তক্ষেপ করেন না। স্রষ্টা একমাত্র গণতান্ত্রিক পুরুষ অর্থাৎ তিনিই এক ও একমাত্র নিরপেক্ষ, ন্যায়পরায়ণ এবং সকলের প্রতি তাঁর সমান অধিকার। স্রষ্টা নিজেই এমন একটি আদর্শের প্রতীক যা সকলের জন্য প্রযোজ্য।
তাই আমি স্রষ্টার অস্তিত্বকে, স্রষ্টার মানুষী রূপকে মানতে পারি আবার অগ্রাহ্য করতেও পারি। তাঁর দেখানো পথে চলা শুরু করতেও পারি আবার উল্টো পথেও চলতে পারি। এটা আমার অধিকার। তাঁর দেখানো পথ গ্রহণ ও বর্জন করার অধিকার আমার আছে। জাগতিক ভাবে আমার সংসারে যে নিয়ম, স্রষ্টার দরবারেও তাই নিয়ম। আমাকে আমার পিতা মাতা পৃথিবীর আলো দেখিয়েছেন, তাই তাদের একটা দায়িত্বও আছে আমাকে রক্ষা করার, বাঁচার ও বেড়ে ওঠার পথে চালিত করার জন্য আমাকে গাইড করার। এবার আমি বড় হয়েছি, আমি স্বাধীন, আমি সেই গাইডেন্স অনুযায়ী জীবনে চলতেও পারি, আবার নিজের ইচ্ছেমত নিজের জীবনকে চালাতে পারি। তাদের কথা শুনতেও পারি, আবার নাও শুনতে পারি। বড় জোর আমার জাগতিক পিতামাতা চেঁচামেচি করতে পারেন, মারধর করতে পারেন আমাকে তা' আমি যতদিন ছোটো ততদিন কিন্তু আমি যখন বড় হ'য়ে গেছি, বৃত্তি-প্রবৃত্তির বৃত্তে ঘোরা শুরু করেছি, রিপুর গরম উপস্থিতি অনুভব করতে শিখেছি শরীরে-মনে তখন তাঁদের কথা অনুযায়ী আমি চলবো কি চলবো না সেটা আমার একান্তই ব্যক্তিগত ব্যাপার ও সেই অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণ ব্যক্তিগত।
আমার ইচ্ছা তখন একান্তই আমার, আমি আমার নিজের ইচ্ছেমত চলতে পারি, নিজের ইচ্ছের ডানা মেলে উড়তে পারি। সেখানে পিতামাতা কিছু করতে পারেন না, তাঁরা আমার এই পৃথিবীতে আসার কারণ হওয়া সত্ত্বেও তাঁরা আমার স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করতে পারেন না, করলেও আল্টিমেট কোনও লাভ হয় না, সফল হ'ন না, কারণ আমি তাঁদের কথা শুনি না, তাঁদের পরামর্শ নিই না, নেওয়ার প্রয়োজন বোধ করি না। আমি স্বাধীনচেতা, পরাধীনতা আমার চেতনায় নেই। গলায় বকলেস বাঁধা পোষা কুকুর হ'তে আমি রাজী ন'ই, আমার আত্মমর্যাদায় বাধে, অহংবোধের প্রাবল্যে আমি মুক্তমনা। আমার পিতামাতা আমায় জন্ম দিতে পারে কিন্তু আমার স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করতে পারেন না। তাই এমতাবস্থায় আমার পিতামাতা পরাধীন। আমার পিতামাতা বোঝে না যে আমি চড়ুই পাখি হ'তে চাই না, আমি বাবুই পাখি, বা বাবুই পাখি হ'তে চাই। কবি রজনীকান্ত সেন আমার আদর্শ। কবি রজনীকান্ত সেনের বিখ্যাত কবিতা "স্বাধীনতার সুখ" আমার পথ চলার দর্শন, আদর্শ। 'স্বাধীনতার সুখ' কবিতায় কবি বলছেন,
"বাবুই পাখিরে ডাকি, বলিছে চড়াই,
কুঁড়ে ঘরে থেকে কর শিল্পের বড়াই,
আমি থাকি মহা সুখে অট্টালিকা পরে,
তুমি কত কষ্ট পাও রোদ-বৃষ্টি-ঝড়ে।"
উত্তরে বাবুই পাখি বলছে,
বাবুই হাসিয়া কহে, “সন্দেহ কি তায়?
কষ্ট পাই, তবু থাকি নিজের বাসায়।
পাকা হোক, তবু ভাই, পরের ও বাসা,
নিজ হাতে গড়া মোর কাঁচা ঘর, খাসা।”
এই কবিতার বাবুই পাখির মত স্বাধীনতা, আত্মমর্যাদা সবাই চায়, আত্মসম্মানবোধ সবার আছে। সবাই চায় নিজের পায়ে দাঁড়াতে, সবাই চায় নিজের সৃষ্টির স্বীকৃতি পেতে, স্বীকৃতি পাক, না-পাক নিজের সৃষ্টির প্রতি স্রষ্টার ভালোবাসা ও গর্ব থাকেই। তাই নিয়ে সে বড়াই করতেই পারে। কিন্তু সেই বড়াই, সেই গর্ব, সেই অহংকার যেন তার স্বাধীনতাকে, স্বাধীনতার অর্থকে কলুষিত না করে, ভারসাম্য নষ্ট না করে।
আবার কারও নিশ্চিন্ত আশ্রয়ে থেকে, সুখে থেকে সেই আশ্রয়কে নিয়ে অহংকারে অন্যকে ছোটো করা, অন্যের ছোট্ট আশ্রয়কে অপমান করা যেমন অন্যায়; ঠিক তেমনি অপরের আশ্রয়ে থেকে সেই নিশ্চিন্ত আশ্রয়কে অস্বীকার করা, আশ্রয়কে taken for granted ক'রে নেওয়া অর্থাৎ কারও আশ্রয়ে থেকে তার দয়া, করুণাকে প্রকৃত মূল্য না দিয়ে বা আশ্রয়দাতার গুরুত্বকে অবমূল্যায়ন ক'রে ধরে নেওয়া যে এই আশ্রয় আমার অধিকারের মধ্যে পড়ে এবং এই অধিকার আমার সবসময় থাকবে বা পাওয়া যাবে; এটা ভাবাও তেমনি অন্যায় ও মূর্খামি।
তাই, স্বাধীনতার অর্থ বেঈমানি, অকৃতজ্ঞতা ও নেমকহারামী নয়। স্বাধীনতার অর্থ অহংকার বা অহংকারী হওয়া নয়। স্বাধীনতার অর্থ উচ্ছৃঙ্খলতা নয়, স্বাধীনতার অর্থ উৎসকে অস্বীকার করা নয়। স্বাধীনতার অর্থ কু-এর অধীন হওয়া নয়।
স্বাধীনতার অর্থ সু-এর অধীন হওয়া। স্বাধীনতার ইংরেজী Independence কিন্তু এর প্রকৃত অর্থ Interdependence অর্থাৎ পরস্পর নির্ভরতা, পরস্পর পরস্পরের প্রতি নির্ভশীল হওয়া। সেই নির্ভরশীলতা, সেই কৃতজ্ঞতা, সেই বিশ্বস্ততা বাপের প্রতি বা স্রষ্টার প্রতি যার থাকে না সে কি জানি না, তবে মনুষ্য পদবাচ্য নয় এবং সে মহামূর্খ ও পাগল।
আর, যে বাপকে বাপ ব'লে স্বীকৃতি দেয় না, উৎসকে স্বীকৃতি দেয় না, তা'তে বাপের বা উৎসের কিচ্ছু যায় আসে না, বাপ যদি পুত্রকে পুত্র ব'লে পরিচয় না দেয়, উৎস যদি তাকে স্বীকৃতি না দেয় তাহ'লে সে জারজ ব'লে বিবেচিত হয়।
যাই হ'ক শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের দৃষ্টিতে বিষয়টি দেখবার ও বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করলাম। এই বিশ্লেষণ গ্রহণ ও বর্জনের অধিকারও পাঠকের নিজস্ব। গ্রহণও করতে পারে, বর্জনও করতে পারে।
মানুষের ধারণা ঈশ্বরকে যে বিশ্বাস করে সে আস্তিক আর ঈশ্বরকে যে বিশ্বাস করে না সে নাস্তিক। ঈশ্বরের অস্তিত্ব আছে কি নেই তা' নিয়ে তর্কবিতর্ক বা বিশ্বাস অবিশ্বাস করার দরকার নেই, নিজের অস্তিত্বকে বিশ্বাস করে কিনা সেটাই মুখ্য। যে নিজের অস্তিত্বকে বিশ্বাস করে, অনুভব করে, উপলব্ধি করে সে অস্তিত্বের অস্তিত্ব পরম অস্তিত্বকে, উৎসের উৎস পরম উৎসকে, কারণের কারণ পরম কারণকে বিশ্বাস করে, অন্বেষণ করে। ভেবে দেখে আমি কেন জন্মেছি সেই কারণ জানার।
পরমপ্রেময় শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র বললেন,
" তুমি কেন জন্মেছ মোটাভাবেও কি দেখেছ ? থাকাটাকে কি উপভোগ ক'রতে নয় ---- চাহিদা ও কর্ম্মের ভিতর - দিয়ে পারস্পরিক সহবাসে ----- প্রত্যেক রকমে ?
তেমনি বুঝছ না ভগবান কেন সৃষ্টি ক'রেছেন ? উত্তর কি এখন ?----- নিজেকে অনুভব ক'রতে , উপভোগ ক'রতে ---- বিশ্বে , প্রত্যেক অনুপাতে --- দেওয়ায় , নেওয়ায় -- আলিঙ্গনে , গ্রহণে , কর্ম্মবৈচিত্রে , ----- নয় কি ? "
তাই ঈশ্বরে বিশ্বাস বা অবিশ্বাস করা আমার নিজের ব্যাপার। আমি স্বাধীন। আমার স্বাধীনতায় স্রষ্টা কোনও হস্তক্ষেপ করেন না। স্রষ্টা একমাত্র গণতান্ত্রিক পুরুষ অর্থাৎ তিনিই এক ও একমাত্র নিরপেক্ষ, ন্যায়পরায়ণ এবং সকলের প্রতি তাঁর সমান অধিকার। স্রষ্টা নিজেই এমন একটি আদর্শের প্রতীক যা সকলের জন্য প্রযোজ্য।
তাই আমি স্রষ্টার অস্তিত্বকে, স্রষ্টার মানুষী রূপকে মানতে পারি আবার অগ্রাহ্য করতেও পারি। তাঁর দেখানো পথে চলা শুরু করতেও পারি আবার উল্টো পথেও চলতে পারি। এটা আমার অধিকার। তাঁর দেখানো পথ গ্রহণ ও বর্জন করার অধিকার আমার আছে। জাগতিক ভাবে আমার সংসারে যে নিয়ম, স্রষ্টার দরবারেও তাই নিয়ম। আমাকে আমার পিতা মাতা পৃথিবীর আলো দেখিয়েছেন, তাই তাদের একটা দায়িত্বও আছে আমাকে রক্ষা করার, বাঁচার ও বেড়ে ওঠার পথে চালিত করার জন্য আমাকে গাইড করার। এবার আমি বড় হয়েছি, আমি স্বাধীন, আমি সেই গাইডেন্স অনুযায়ী জীবনে চলতেও পারি, আবার নিজের ইচ্ছেমত নিজের জীবনকে চালাতে পারি। তাদের কথা শুনতেও পারি, আবার নাও শুনতে পারি। বড় জোর আমার জাগতিক পিতামাতা চেঁচামেচি করতে পারেন, মারধর করতে পারেন আমাকে তা' আমি যতদিন ছোটো ততদিন কিন্তু আমি যখন বড় হ'য়ে গেছি, বৃত্তি-প্রবৃত্তির বৃত্তে ঘোরা শুরু করেছি, রিপুর গরম উপস্থিতি অনুভব করতে শিখেছি শরীরে-মনে তখন তাঁদের কথা অনুযায়ী আমি চলবো কি চলবো না সেটা আমার একান্তই ব্যক্তিগত ব্যাপার ও সেই অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণ ব্যক্তিগত।
আমার ইচ্ছা তখন একান্তই আমার, আমি আমার নিজের ইচ্ছেমত চলতে পারি, নিজের ইচ্ছের ডানা মেলে উড়তে পারি। সেখানে পিতামাতা কিছু করতে পারেন না, তাঁরা আমার এই পৃথিবীতে আসার কারণ হওয়া সত্ত্বেও তাঁরা আমার স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করতে পারেন না, করলেও আল্টিমেট কোনও লাভ হয় না, সফল হ'ন না, কারণ আমি তাঁদের কথা শুনি না, তাঁদের পরামর্শ নিই না, নেওয়ার প্রয়োজন বোধ করি না। আমি স্বাধীনচেতা, পরাধীনতা আমার চেতনায় নেই। গলায় বকলেস বাঁধা পোষা কুকুর হ'তে আমি রাজী ন'ই, আমার আত্মমর্যাদায় বাধে, অহংবোধের প্রাবল্যে আমি মুক্তমনা। আমার পিতামাতা আমায় জন্ম দিতে পারে কিন্তু আমার স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করতে পারেন না। তাই এমতাবস্থায় আমার পিতামাতা পরাধীন। আমার পিতামাতা বোঝে না যে আমি চড়ুই পাখি হ'তে চাই না, আমি বাবুই পাখি, বা বাবুই পাখি হ'তে চাই। কবি রজনীকান্ত সেন আমার আদর্শ। কবি রজনীকান্ত সেনের বিখ্যাত কবিতা "স্বাধীনতার সুখ" আমার পথ চলার দর্শন, আদর্শ। 'স্বাধীনতার সুখ' কবিতায় কবি বলছেন,
"বাবুই পাখিরে ডাকি, বলিছে চড়াই,
কুঁড়ে ঘরে থেকে কর শিল্পের বড়াই,
আমি থাকি মহা সুখে অট্টালিকা পরে,
তুমি কত কষ্ট পাও রোদ-বৃষ্টি-ঝড়ে।"
উত্তরে বাবুই পাখি বলছে,
বাবুই হাসিয়া কহে, “সন্দেহ কি তায়?
কষ্ট পাই, তবু থাকি নিজের বাসায়।
পাকা হোক, তবু ভাই, পরের ও বাসা,
নিজ হাতে গড়া মোর কাঁচা ঘর, খাসা।”
এই কবিতার বাবুই পাখির মত স্বাধীনতা, আত্মমর্যাদা সবাই চায়, আত্মসম্মানবোধ সবার আছে। সবাই চায় নিজের পায়ে দাঁড়াতে, সবাই চায় নিজের সৃষ্টির স্বীকৃতি পেতে, স্বীকৃতি পাক, না-পাক নিজের সৃষ্টির প্রতি স্রষ্টার ভালোবাসা ও গর্ব থাকেই। তাই নিয়ে সে বড়াই করতেই পারে। কিন্তু সেই বড়াই, সেই গর্ব, সেই অহংকার যেন তার স্বাধীনতাকে, স্বাধীনতার অর্থকে কলুষিত না করে, ভারসাম্য নষ্ট না করে।
আবার কারও নিশ্চিন্ত আশ্রয়ে থেকে, সুখে থেকে সেই আশ্রয়কে নিয়ে অহংকারে অন্যকে ছোটো করা, অন্যের ছোট্ট আশ্রয়কে অপমান করা যেমন অন্যায়; ঠিক তেমনি অপরের আশ্রয়ে থেকে সেই নিশ্চিন্ত আশ্রয়কে অস্বীকার করা, আশ্রয়কে taken for granted ক'রে নেওয়া অর্থাৎ কারও আশ্রয়ে থেকে তার দয়া, করুণাকে প্রকৃত মূল্য না দিয়ে বা আশ্রয়দাতার গুরুত্বকে অবমূল্যায়ন ক'রে ধরে নেওয়া যে এই আশ্রয় আমার অধিকারের মধ্যে পড়ে এবং এই অধিকার আমার সবসময় থাকবে বা পাওয়া যাবে; এটা ভাবাও তেমনি অন্যায় ও মূর্খামি।
তাই, স্বাধীনতার অর্থ বেঈমানি, অকৃতজ্ঞতা ও নেমকহারামী নয়। স্বাধীনতার অর্থ অহংকার বা অহংকারী হওয়া নয়। স্বাধীনতার অর্থ উচ্ছৃঙ্খলতা নয়, স্বাধীনতার অর্থ উৎসকে অস্বীকার করা নয়। স্বাধীনতার অর্থ কু-এর অধীন হওয়া নয়।
স্বাধীনতার অর্থ সু-এর অধীন হওয়া। স্বাধীনতার ইংরেজী Independence কিন্তু এর প্রকৃত অর্থ Interdependence অর্থাৎ পরস্পর নির্ভরতা, পরস্পর পরস্পরের প্রতি নির্ভশীল হওয়া। সেই নির্ভরশীলতা, সেই কৃতজ্ঞতা, সেই বিশ্বস্ততা বাপের প্রতি বা স্রষ্টার প্রতি যার থাকে না সে কি জানি না, তবে মনুষ্য পদবাচ্য নয় এবং সে মহামূর্খ ও পাগল।
আর, যে বাপকে বাপ ব'লে স্বীকৃতি দেয় না, উৎসকে স্বীকৃতি দেয় না, তা'তে বাপের বা উৎসের কিচ্ছু যায় আসে না, বাপ যদি পুত্রকে পুত্র ব'লে পরিচয় না দেয়, উৎস যদি তাকে স্বীকৃতি না দেয় তাহ'লে সে জারজ ব'লে বিবেচিত হয়।
যাই হ'ক শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের দৃষ্টিতে বিষয়টি দেখবার ও বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করলাম। এই বিশ্লেষণ গ্রহণ ও বর্জনের অধিকারও পাঠকের নিজস্ব। গ্রহণও করতে পারে, বর্জনও করতে পারে।
Subscribe to:
Comments (Atom)