পিছনে কে আছে দেখতে যেও না।
ওঠো। সামনে বাধার পাহাড় ভেঙে
যাও এগিয়ে।
খুঁজতে যেও না
সামনে পিছনে দাঁয়ে বাঁয়ে
কে আছে না আছে তোমার।
ওঠো। দাঁড়াও। সমস্ত শক্তি তাঁতে
কেন্দ্রায়িত ক'রে
ভীম বিক্রমে দাও ঝাঁপ।
প'ড়ো না ভেঙ্গে, হ'য়ো না হতাশ।
আর নির্ভর করো তাঁর প্রতি, রাখো বিশ্বাস।
পিছনে হাজারো পদধ্বনি পাচ্ছো শুনতে
সে পদধ্বনি নয় লক্ষ্য তোমার।
তুমি একা! হ্যাঁ একা!
তোমার লক্ষ্য সামনে
তমসার পার
অচ্ছেদ্যবর্ণ মহান পুরুষের দিকে।
তুমি তাঁরই জন্য, শুধু প্রভুর জন্য।
পিছনের পদধ্বনি সেও ঐ একই লক্ষ্যে
চলেছে ছুটে।
পদধ্বনি শুনে ক'রো না ভুল
তোমাকে লক্ষ্য ক'রে নয় ছুটে আসা এ পদধ্বনি
এ তোমার উদ্দেশ্যে ছুটে আসা
পদধ্বনি নয়!
তুমি যার দিকে চলেছো ছুটে
পিছনের হাজারো পদধ্বনি তাঁকে
উদ্দেশ্য ক'রে
তাঁরি দিকে চলেছে ছুটে।
হে প্রকাশ! হও অর্জুন!
মাছের চোখের মত
তুমি দেখতে পাচ্ছো
শুধু প্রভুর প্রেমময় মুখ!
শুনতে পাচ্ছো তাঁর সুধাভরা কণ্ঠস্বর।
দিন শেষে দেখতে যেও না মার্কশীটে
কত নম্বর পেয়েছো কোন ঘরে।
হে প্রকাশ! ওঠো।
বন্দে পুরুষোত্তমম
ব'লে সমস্ত শক্তি নিয়ে
মুষ্ঠিবদ্ধ দু'হাত তুলে
উর্ধপানে দাও লাফ!
শুরু হ'ক নতুন ক'রে চলা।
পিছনের এতদিনের হিসেব নিকেশ
পিছনে ফেলে
শুরু হ'ক নতুন ক'রে চলা।
এ চলা অন্তহীন চলা!
সকলের মাঝে একাকী চলা!
গহীন অন্ধকার পথে শুধু সামনের দিকে
এগিয়ে চলা
দূরের দিকে তাকিয়ে একেলা।
নদী নালা, খানাখন্দ, মাঠ পাহাড় ডিঙিয়ে
অন্ধকার আলোর জগতকে পিছনে ফেলে
নিশিডাকের মায়াময় হাতছানির মত
প্রিয়পরমের ডাকে এগিয়ে চলা;
অন্তহীন ক্লান্তিহীন ভয়হীন শঙ্কাহীন
অমরধামের পথে নিঃশব্দে নীরবে এগিয়ে চলা।
প্রকাশ চলো এগিয়ে।
আচার্যদেবের বলা
নির্দেশ মাথায় নিয়ে চলো এগিয়ে
নিঃশব্দে নীরবে এবেলা ওবেলা দু'বেলা।
No comments:
Post a Comment