শীর্ষেন্দুবাবু ও সৎসঙ্গীদের চাপানউতোর।
শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়কে আমার চিঠি লেখা নিয়ে শুরু হ'য়ে গেল সৎসঙ্গীদের চাপান উতোর। নানাজনের নানা মন্তব্য চিঠি লেখাকে ঘিরে। বেশীরভাগ সৎসঙ্গী সাধুবাদ জানিয়ে মন্তব্য করেছেন, ওয়াটস আপ, মেসেঞ্জারে তাদের মতামত জানিয়েছেন, ফোন ক'রে কুশল জিজ্ঞেস ক'রে এমন একটা লেখা লেখার জন্য তাদের অকৃত্রিম অকৃপণ আনন্দ ব্যক্ত করেছেন ও ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তাদের সকলের জন্য দয়ালের চরণে মঙ্গল প্রার্থনা করি। এছাড়াও কেউ কেউ নিম্নরূচীর মানসিকতা সম্পন্ন নিম্নমানের সৎসঙ্গী নামধারী অসৎসঙ্গী আছেন যারা আমার চিঠির সমর্থনকারী পাঠকদের মগজ ধোলাই ক'রে বিভ্রান্ত করেছেন যাতে মন্তব্য বা শেয়ার ডিলিট ক'রে দেয়। তা'তে সফলও হয়েছেন অনেকেই।
যাই হ'ক, সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে তাদের এবং বিশেষ ক'রে ঘৃণ্য নিন্দুকদের সকলের অবগতির জন্য জানাই শীর্ষেন্দুবাবুর সম্পর্কে আপনি বা আপনারা কি শুনেছেন আমি জানি না। তবে কারও কথা শুনে জাজমেন্টাল হওয়া উচিত না। তাহ'লে আমার দয়াল ঠাকুর সম্পর্কে হাজার হাজার প্রতিনিয়ত খুল্লমখুল্লা কুৎসা হ'য়ে চলেছে আজও দেহ রাখার ৫০ বছর পরেও। কুৎসার বন্যা ভাসিয়ে দিচ্ছে তাঁর পরবর্তী প্রজন্ম 'সৎসঙ্গ' পরিচালক পূজ্যপাদ শ্রীশ্রীদাদাদের। আর এটা ঠাকুর যতবার এসেছিলেন ততবার হয়েছে এবং যে কোনও মহান ব্যক্তিদের ক্ষেত্রেও হয়েছে। আর কারা কুৎসা রটায়? মহাত্মারা কুৎসা রটায় না; কুৎসা রটায় জীবাত্মা।
তাই উদাহরণ স্বরুপ বলি, আমার এই লেখা একজন শেয়ার ক'রেছিল। আর সেই শেয়ারকে কেন্দ্র অনেক শেয়ার হ'য়ে চলেছিল। আশা করা গিয়েছিল এইভাবে শ্রদ্ধেয় শীর্ষেন্দুদার কাছে পৌঁছে যাবে এই চিঠি ও চিঠির মধ্যে দিয়ে সকলের আবেদন। সেখানে অনেক পজিটিভ কমেন্টের মধ্যে একজনের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নেগেটিভ কমেন্টে ভয় পেয়ে সন্দেহবশতঃ জাজমেন্টাল হ'য়ে শেয়ার করা আমার লেখা ডিলিট ক'রে দেয় সেই ফেসবুক ব্যবহারকারী। ডিলিট করার আগে আমার চিঠির বিষবস্তু নিয়ে আমার সঙ্গে কথা ব'লে একবারও সত্য মিথ্যা যাচাই করার প্রয়োজন মনে করেনি; এতটাই প্রভাবিত হয়েছিল। কথায় আছে, চিল নিয়ে গেছে কান শুনে চিলের পিছনে না দৌড়ে নিজের কানে হাত দিয়ে পরীক্ষা ক'রে দেখে নিতে হয় সত্য মিথ্যা। যা করেনি ঐ যুবক সৎসঙ্গী। এর ফলে সমস্ত শেয়ারও ডিলিট হ'য়ে যায়। এই যদি সৎসঙ্গীদের নড়বড়ে চরিত্র হয়, মানসিকতা হয় মিথ্যা প্রচারে ভরসা রাখার, নির্ভর করে কুতসা রটনাকারীর রটনার ওপর তাহ'লে জন্মজন্মান্তরেও আমরা ঠাকুরের যোগ্য সন্তান হ'য়ে উঠতে পারবো না।
শীর্ষেন্দুবাবু সম্পর্কে শুধু বলতে পারি তিনি একজন অত্যন্ত ক্ষমতাশালী কলমচি। অসাধারণ তাঁর সমগ্র সাহিত্য। শুধু একটা দুটো বা দশটা বারোটা নয় একের পর এক, একের পর এক তিনি সৃষ্টি ক'রে গেছেন বড় ও ছোটোদের জন্য বহু উপন্যাস, বড়, ছোটো, অদ্ভুতুরে গল্প। তাঁর লেখা যদি অনুবাদ হয় তাহ'লে ভারত তথা বিশ্ববাসী জানতে পারতো কতবড় উচু মাপের প্রতিভাবান মানুষ তিনি। একদিন তিনি দেশের সেরা কোনও পুরস্কারে পুরস্কৃত হ'লেও আশ্চর্য হবো না। এই মানুষটি যেহেতু ঠাকুরের মন্ত্র শিষ্য ও ঋত্বিক মানুষ এবং প্রথিতযশা স্বাভাবিকভাবেই এদের দায়িত্ব সাধারণ ভক্তমন্ডলীর চেয়ে অনেক অনেক গুণ বেশী। এদের দায়িত্ব আছে 'সমাজ কো বদল ডালো'-র ক্ষেত্রে যেমন, ঠিক তেমনি আছে নিজের জীবনাদর্শকে বিশ্বব্যাপী তুলে ধরার দায়িত্বও সমান। কম তো নয়ই বরং বেশী। কারন তার পরিচয়েই আজকে আমার পরিচয়। আমার পরিচয়ে পরিচিত নন তিনি। তাই একজন গুরুভাই হিসেবে গুরুভাইকে লিখেছিলাম চিঠি; এই যা মাত্র। এখানে কোনও অকারণ অহেতুক বিতর্ক নেই। যাদের বিতর্ক করার করবে কারণ তাদের সবরকম দৃষ্টিই অশুদ্ধ।
এছাড়া বলতে পারি আজকের এই শয়তানি পৃথিবীতে হাতে গোনা কয়েকজন মানুষের মধ্যে শ্রদ্ধেয় শীর্ষেন্দুবাবু একজন নিঃসন্দেহে ভদ্র, সভ্য, জীবন্ত ঈশ্বর বিশ্বাসী উৎকৃষ্ট মনের মানুষ।--------প্রবি।
No comments:
Post a Comment