বহু দিন মাস বছর পিছনে ফেলে
ছুটেছি ক্রমাগত,
যৌবনের পাগলা ঘোড়ায় চেপে
প্রৌঢ়ত্বের আঙিনায়
ছুটেছি অলিম্পিয়াস তনয় রূপে;
রাজনীতির যত
ঘোর অন্ধকার গোলকধাঁধায় ঘুরেছি আমি, আরো গভীর
অন্ধকার ঘিঞ্জি ধর্মের পাংশুল প্রাঙ্গণে হায়! আমি
হতভম্ব
জড়ভরত প্রাণ এক,
চারিদিকে জীবনের সমুদ্র প্রতিকূল,
আমারে অজড় অমর
প্রাণ দিয়েছিল নব বৃন্দাবনের অনুকূল।
আঁখি তাঁর কবেকার
হারিয়ে যাওয়া সেই আলোর পর্বত,
হাসি তাঁর সৌদামিনীর
রুপোলী ঝলক, নির্মল
সমুদ্র সফেন, যেন
মৃতসঞ্জীবনী শীতল সরবৎ;
মাঝিহীন যে জীবনখেয়া
হারিয়ে দিশা
খাদের কিনারায়
ফেলে নোঙর,
ভেসে ওঠে শেষের
সেদিনের ভয়ংকর ছবি;
বেঁচে ফেরার পথ
আর অন্ধকার কেটে গিয়ে ভোর
যখন সে চোখে দেখে
বিধাতার-বিধির ভিতর,
তেমনি দেখেছি আমি
তাঁরে জীবনের ঘোর অন্ধকারে;
বলেছে সে, ‘জীবন
খুঁজে পাবে হেথায়,
ছুটে এসো, চলে
এসো, পিছনে ফেলে যত প্রতিকূল’
বরাভয় হাতে হাসির
ফোয়ারা তুলে দেবঘরের অনুকূল।
সমস্ত দিনের শেষে
বিকেলের ফুলের মতন
বিষন্নতা আসে; মধ্যাহ্নের
সূর্যের মত রক্তের উষ্ণতা
শেষ বেলার ম্লান
আলোয় ঝিম মেরে হতে চায় ছন্দপতন।
তখন আবার তাঁর
ডাকে_________
বাধভাঙ্গা জলের
স্রোতের তীব্রতার মত জাগে বাঁচার মত্ততা;
সব আলো ফিরে আসে,
ফিরে আসে স্নিগ্ধ মলয়ানিল
পেলব স্পর্শে
কেটে যায় শেষ বিকেলের ক্লান্তি ঘুম
জেগে ওঠে সুপ্তোত্থিত
হৃদয়ের উষ্ণতা
আর ফিরে যায়, সরে
যায় সব যত প্রতিকূল;
থাকে শুধু তাঁর
নাম পেয়ালা, আর নাম মদ অনুকূল।
No comments:
Post a Comment