বিহারের সাম্প্রতিক বিধানসভা নির্বাচনে
ভোটের শতকরা বিভাজনে দেখা যায়,
বিজেপি বিহারে ২৫ শতাংশ মানুষের রায় পেয়েছে।
আরজেডি পেয়েছে ১৮ দশমিক ৮ শতাংশ।
জেডি (ইউ) পেয়েছে ১৫ দশমিক ৬ শতাংশ।
কংগ্রেস সাড়ে ৬ শতাংশ
লোক জনশক্তি পার্টি ৫ দশমিক ৩ শতাংশ ভোট পেয়েছে।
২০১০ সালেঃ
লালু (আর জে ডি) ১৯টি।
নীতিশ ১১৫টি।
বিজেপি ৯১টি।
সোনিয়া গান্ধী ৪টি।
২০১০ সালের বিহার বিধানসভা নির্বাচনে নীতিশ কুমার কিন্তু বিজেপির হাত ধরেছিলেন। তাঁর দল সংযুক্ত জনতা একক গরিষ্ঠতা পায়নি। ১১৫টি আসন পেয়ে থমকাতে হয়েছিল। বিজেপি ৯৮টি আসন পেয়ে তাদের পাশে দাঁড়ায়। নীতিশ কুমার বিজেপির সহযোগিতায় মুখ্যমন্ত্রী
হলেন।
সেদিন লালুকে মনে পড়েনি নীতিশকুমারের।
২০১৫ সালেঃ
বিহার ভোটে লালু পেলেন ৮০।
নীতিশ ৭১ টি।
সোনিয়া গান্ধী ২৭টি।
বিজেপি ৫৩টি।
এনডিএ জোট ৫৮টি।
নীতিশকুমারের দল এবারের নির্বাচনে সর্বোচ্চ আসন পায়নি। জয়ের হিরো তিনি নন,
জয়ের হিরো লালু। লালুকে ঘিরেই জয়জয়কার। এ নিয়ে বারবার তিনবার মুখ্যমন্ত্রী হয়ে হ্যাটট্রিক করলেন নীতিশ কুমার। তবু প্রাণ খুলে হাসতে পারছেন না। বুকে কাঁটা বিঁধছে। লালুর বদান্যতায় ফের মুখ্যমন্ত্রী হওয়া।
আর আজ পরিবর্তনের জমানায় নরেন্দ্র মোদী তথা বিজেপিকে মনে
পড়েনি।
এখানে দ্বিধাবিভক্ত
জনগণের রায়ের প্রকৃত প্রতিফলন কোথায়? ক্ষমতা দখলের রাজনীতি না-কি স্বচ্ছ রাজনীতির
প্রতিফলন এই নির্বাচন?????? চাবিকাঠি কার হাতে? দ্বিধাবিভক্ত জনগণের হাতে না-কি
সর্ব্বশক্তিমান রাজনীতিবিদদের হাতে? ক্ষমতার গন্ধে সময় অনুযায়ী এরা জোট গড়ে আবার
জোট ভাঙ্গে। কিন্তু জনগণ কি কখনও জোটবদ্ধ হতে পারে? এসবের উত্তর কোথায়?????
উত্তর একটাইঃ ইয়াদ রাখুঙ্গা! তুঝে ইয়াদ রাখুঙ্গা!!!!! সময়
সবসে বড়া বলবান!!
No comments:
Post a Comment