Powered By Blogger

Sunday, March 16, 2014

মাঝপথে সিরিয়াল বন্ধ হয়ে যাওয়া কোন আশ্চর্যের বিষয় নয়। এটা স্বাভাবিক একটা ব্যাপার মাত্র। কারন সিরিয়াল তৈরীর সময় পরিচালক ও প্রযোজকের বিষয়ের কোনও constructive base-এর প্রতি লক্ষ্য থাকে না, থাকে শুধু বৃত্তি-প্রবৃত্তিতে সুড়সুড়ি দিয়ে টাকা কামানোর একমাত্র লক্ষ্য। আর তাই অনেক সম্ভাবনা নিয়ে জন্ম হওয়া প্রায় প্রতিটি সিরিয়াল টাকা কামাতে কামাতে বৃত্তি-প্রবৃত্তির গোলকধাঁধার অন্ধ গলিতে পথ হারিয়ে শেষে হারিয়ে যায়। সমাজে বাস করবো অথচ সামাজিক রীতিনীতি,বন্ধন মানবো না, আমি স্বাধীন; আমার ইচ্ছেটা আমারই, তাই ইচ্ছের ডানা মেলে উড়বোই। আর যখন সমাজ আমার পাশে থাকবে না ও রাবনের হাতে জটায়ুর ডানা কাটার মত বৃত্তি-প্রবৃত্তির হাতে ইচ্ছের ডানা কেটে যখন মুখ থুবড়ে পড়বো তখন কাকে দোষারোপ করব? আর কেই বা শুনবে, কারই বা সময় আছে আমার কথা শোনার? সমাজ বলবে, কাঠ খেয়েছো যখন, যাও আলমারি হাগো গিয়ে এখন! বাস্তব বড় কঠিন, রুঢ় এ-কথা মনে রেখো! এটা কোন সামাজিক সমস্যা নয়। চারপাশে যখনই কোন অস্বাভাবিক কিছু দেখি তখনই আমরা বলি সামাজিক সমস্যা। সমাজ বলেই যখন কিছুই মানি না তখন সমাজের ওপর দোষ বা সমস্যা চাপাই কেন? বিপদকালে হরির নাম? কেউ যদি নিজের সম্পর্কে নিজে সচেতন না থাকে, নিজের সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে, নিজের বিপদ সম্পর্কে, নিজের ভবিষ্যত সম্পর্কে, নিজের জীবন সম্পর্কে ওয়াকিবহাল না থাকে তাহ’লে কার কি করণীয়? এতে সমাজের দায়বদ্ধতা কোথায়? সমাজ তো কোনো বস্তু বা ব্যক্তি নয়! পরস্পর পরস্পরকে সহযোগীতার মাধ্যমে যেখানে মানুষ বাস করে তাকেই সমাজ বলে। সমাজে যারা পরস্পর পরস্পরের সঙ্গে মিলে মিশে বাস করে তাদেরই সামাজিক মানুষ বলে। এখানে ‘মাথার ঘায়ে কুকুর পাগল’-এর মত অবস্থা মানুষের। কে কাকে সহযোগীতা করবে, কে কার সঙ্গে বাস করবে? প্রত্যেক মানুষ তো নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত! ফারুক যা দেখিয়েছেন তা-তো understood! এতো সবাই জানে কিসের ভালোবাসা? কে প্রেমিক? এ-তো সব চুলকানি! এ-তো infatuation! উঠতি বয়সের বুদ্ধিভ্রংশ অবস্থা! মিথ্যা ভালোবাসা বা অনুরাগ! একটা মোহিতকরণ বিবশ অবস্থা! এটা সেই state of obsession! ভাবের আবেগ! আচ্ছন্ন অবস্থা! কিসের অন্তঃসত্ত্বা? কিসের পিতৃত্বের দায়-দায়িত্ব? পুরোটাই শরীরী ব্যাপার! পুরোটাই আগুনের পাশে ঘি থাকলেই গলবে থিয়োরি! আর তার থেকেই অবশ্যম্ভাবি বিপত্তি! মেয়েটির শেষে কি হয়েছিল কারো সময় নেই ভাবার। অসতর্ক মুহুর্তে ঘটা কাজের খতিয়ান স্বরুপ অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পরবর্তী ঘটনাবলী নিয়ে কেঊ চিন্তিত নয়সবাই ‘আমার গায়ে আঁচ না লাগে ফুরিয়ে যাবে মামলা’ মানসিকতার। ক্ষতি বা লোকসান যা হবার সবটাই হয়েছে নারীর। পুরুষ বীজ বপন করে খালাস। এখন এই বীজ নিয়ে নারী তুমি বোঝো যা বোঝার, করো যা করার। যা কিছু সহানুভূতি, যা কিছু সাহায্য, যা কিছু সহযোগীতা সব সাময়িক। তোমার বোঝা তুমি বও নারী। তোমার পাঁঠা তুমি ল্যাজে কাটবে না মাথায় কাটবে তা তুমি বোঝো গিয়ে। পুরুষের সময় নেই। সে ব্যস্ত অন্য ফুলে মধু খেতে। নারী তুমি তোমার শরীর দিয়ে, মন দিয়ে, বিবেক দিয়ে, ভালোবাসা দিয়ে, পরিশ্রম দিয়ে এই পাপের বোঝাকে লালনপালন করো। সিরিয়ালের যবনিকা তো টানতে হবেই। জীবনের যবনিকা যেখানে পড়ে গেছে জীবনের শুরুতেই যৌবনের ঔদ্ধত্ব্যে সেখানে জীবনের সাফল্যের গল্প পাহাড়ের কোন চূড়ায় উঠবে? এটা কোন সামাজিক সমস্যাই নয়। এ সমস্যা ব্যক্তিগত সমস্যা, অজ্ঞানতার সমস্যা, উচ্ছৃঙ্খলতার সমস্যা, অহংকারের সমস্যা, অনিয়ন্ত্রিত বৃত্তি-প্রবৃত্তির সমস্যা, অশ্রদ্ধার সমস্যা, কোনো কিছুকে না মানার মানসিকতার সমস্যা, লজ্জাহীনতার সমস্যা, কৃষ্টিবিহীন, সংস্কৃতিহীন জীবনের সমস্যা, পারিবারিক পুর্বসূরী সদস্যদের জীবন চলনার সমস্যা। সর্বোপরি আদর্শহীন জীবনের সমস্যা। তাই এই ধরনের সমস্যা নিয়ে নাটক, সিনেমা বা সিরিয়াল করার সাহসের প্রশ্নই ওঠে না। কারণ কোনো নাট্যকার, পরিচালক কিম্বা লেখক যাই করে সবটাই ভাসা ভাসা ওপর ওপর! সমস্যার গভীরে যাওয়ার মত ডুবসাঁতারুর বড় অভাব। সমস্যা দেখানোর মধ্যে কোনো কৃতিত্ব নেই। কৃতিত্ব সমাধানে। কে দেবে সমাধান? কে আছে সমাধান দেবার পুর্ণতা প্রাপ্ত, সম্পুর্ণাবস্থা সম্পন্ন, প্রকৃষ্ট কৌশল প্রদর্শনে দক্ষ, চরম শ্রেষ্টতা অর্জনে সিদ্ধ জ্ঞানী প্রজ্ঞাবান দ্রষ্টাপুরুষ? তাই মনে রাখতে হবে “যেমন কর্ম তেমনি ফল। ভালো ছাড়া মন্দ করলে পরিস্থিতি ছাড়বে না”।

বিবাহ বহির্ভূতভাবে অর্থাত সামাজিক অনুমোদন না নিয়ে ভালবাসার প্রেমিকের সন্তান গর্ভে ধারণ করলে এবং তাকে পৃথিবীতে আনলে এই সমাজ তাকে কী চোখে দেখে তা ফারুকী দেখিয়েছেন তার টিভি সিরিয়াল নাটকে অন্তঃসত্ত্বা প্রেমিকাকে অসহায়ভাবে ফেলে রেখে বাবার হাত ধরে চলে যায় প্রেমিক প্রবরপিতৃত্ব্বের দায়দায়িত্ব সম্পূর্ণ অস্বীকার করেআর সন্তানটিকে পৃথিবীতে এনে কলেজ ছাত্রী মেয়েটির জীবন হয়ে পড়ে দুর্বিষহ তার এবংতার প্রাক্তন প্রেমিক প্রবরের কিছু ভাল বন্ধুরা মেয়েটিকে বিভিন্ন পরিচিত জনের বাসায় রাখার চেষ্টা করেকিন্তু স্বামী না দেখে কেউ খুব বেশি দিন তাকে জায়গা দেয় না শেষে এই বন্ধুদের প্রায় সকলেই তাকে ছেড়ে চলে যায় আর মেয়েটি যেসব বড় ভাইদের বাসায় আশ্রয় নেয় তারা তার কাছ থেকে যৌন সেবা প্রত্যাশা করে 

No comments:

Post a Comment