কেউ পিছিয়ে নেই, কেউ এগিয়ে নেই। উভয়ের যৌথ সহযোগীতায় সংসার সুন্দর হ'য়ে ওঠে। সংসারকে টেনে চলে বাবা-মা দু'জনেই আমৃত্যু ঘরে-বাইরে সমস্ত্রকম প্রতিকুলতাকে মোকাবিলা করেই। এটা আমরা যেন ভুলে না যায় একচক্ষু হরিণ হওয়ার কারণে। নতুবা এই বড় ছোটোর আলোচনায় একটা অকারণ বিভেদের সম্ভাবনা দেখা দেয়, যা মিথ্যে বালখিল্য ইগোর থেকে জন্ম হয়। ফলে সংসারে সবার জীবন ধ্বংস হয়। আর, আমরা যেন ভুলে না যায় উভয়ের পরিশ্রমে সংসার গড়ে উঠলেও স্বামী, পুত্র, বাবা, ভাই সে যে পুরুষই হ'ক না কেন সবার নাড়ীর টান সেই সবার মায়ের সঙ্গে। তাই মা মা-ই, আর বাবা বাবা-ই। বাবা-মা উভয়েই সংসারের জন্য, সন্তানের জন্য প্রাণপাত ক'রে সংসার থেকে বিদায় নেয়, তা করে কোনও বাহবা বা স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য নয়, করে নিজের আত্মজর জন্যে। এখানে কোনও জ্ঞানগর্ভ খবরদারী চলে না।
কিন্তু সেই যে ১০মাস ১০দিন নিজের শরীরের সঙ্গে অন্য একটা শরীর ব'য়ে বেড়ায়, তা সে পুত্র বা কন্যা যাই-ই হ'ক না কেন,----- মনে রাখতে হবে পুরুষ-নারী উভয়েই নারীর পেটেই জন্ম নেয়, ---- তা; এই যে ব'য়ে বেড়ানো, এ ব'য়ে বেড়ায় নানা কষ্ট যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে, তারপর সন্তান বড় হওয়া পর্যন্ত, সাবালক হওয়া পর্যন্ত যে তাকে নিজের হাতে মা প্রত্যক্ষ পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে শত কষ্ট হ'লেও আনন্দের সঙ্গে লালন পালন করে তা কিন্তু একদিনের জন্যও বাবারা করে না। তাই সন্তানের কোনও বিপদ ঘটলে তা সে যে বয়সেই ঘটুক, আগে মায়ের মনে কু ডাক দেয়, বাবার মনে দেয় না। কারণ, নাড়ির টান থাকে মায়েদের, বাবাদের নয়। এটা বিজ্ঞান। এটা যেন ভুলে না যায়। আর, ব্যতিক্রমী পুরুষ অবশ্যই আছে, যেমন আছে ব্যতিক্রমী নারী। ব্যতিক্রম ব্যতিক্রমই। তাই, এটাও দেখা গেছে প্রতি সংসারে বাবাদের টান মেয়েদের প্রতি বেশী থাকে, তার মর্মার্থ বুঝি আর না-বুঝি, অজান্তেই সেই টান থাকে মেয়েদের প্রতি বাবাদের। ব্যস এইটুকু তফাৎ মনে রাখলেই হবে। এখানে বড় ছোটোর কোনও ব্যাপার নেই। আছে হীনমন্যতার ব্যাপার। আছে অবান্তর ইগোর ব্যাপার। আছে স্বীকৃতি পাওয়ার ব্যাপার। কারণ সংসারে মায়েদের আধিপত্য থাকে স্বাভাবিক নিয়মেই তা বাবা যতই পাহাড় ভাঙ্গুক না কেন বাইরে। এক্ষেত্রে সমাধান একমাত্র খোলা মনে সত্যকে স্বীকার করা। সংসারে স্বামীস্ত্রীর উভয়ের যথাযথ স্থানে বৈশিষ্ট্যমাফিক সম্মানের সঙ্গে অবস্থান করা। অহেতুক বালখিল্য আলোচনায় সম্পর্কে চনা পড়ে মা-বাবার মধুর সম্পর্ক কেটে গিয়ে ছানা কাটার মত হ'য়ে যায়। তাই, সাধু সাবধান, এমনতর আলোচনা থেকে। যে আলোচনায় আলো আছে ঠিক কথা কিন্তু তার সঙ্গে আছে চনা।
( লেখা ১৫ই মে' ২০২৪)
.
No comments:
Post a Comment