Powered By Blogger

Wednesday, July 2, 2025

প্রবন্ধঃ পৃথিবীর সর্বনাশের জন্য আমরা আসামী (২য় পর্ব)।

আমরা প্রথম পর্বে দেখেছি বাংলাদেশের প্রধান উপাদেষ্টা ড মহম্মদ ইউনুস পৃথিবীর সর্বনাশের আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, "পৃথিবীর সর্বনাশের জন্য আমরা আসামী।" তিনি আরো বলেছেন যে, মানুষ প্রকৃতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলছে না। উল্টো পথে চলছে। প্লাস্টিকের ব্যবহার নিয়ে ড ইউনুস মানুষকে সাবধান ক'রে দিয়েছেন। পৃথিবীর সর্বনাশের জন্য মানুষের লাইফ স্টাইলকে দায়ী করেছেন। বলেছেন, মানুষকে তার লাইফ স্টাইল পাল্টাতে হবে।

এই যে উল্টো দিকে চলার কথা বললেন বাংলাদেশের প্রধান উপাদেষ্টা ড ইউনুস, এই উল্টো দিকে চলা বাংলাদেশ, আমার দেশ, বিশ্বের অন্যান্য দেশেও তাই।
মানুষের জগতে উল্টো চলাটাই এখন সোজা চলা। ইন্ডিসিপ্লিনটাই এখন ডিসিপ্লিন হ'য়ে গেছে। বিশৃংখলায় এখন শৃংখলা। দুর্নীতি আর উন্নতি এখন দুই ভাই, হাত ধরাধরি ক'রে চলে। অসততা আর সততার এখন সহাবস্থান, সত্য-মিথ্যা এখন গলা জড়াজড়ি ক'রে চলে। আসল নকল এখন কাঁধে কাধ মিলিয়ে চলে। এইসমস্ত সঠিক আর বেঠিক সবকিছু ক্ষমতাবানদের ক্ষমতা দখলের জন্য সময় সময়ের অস্ত্র। এই ঘোর কলিযুগে নকল ও ভেজাল জিনিসে অভ্যস্ত হ'য়ে গেছে মানুষ। এখন সবসময় দিনরাত কানের কাছে বেজে চলেছে, 'আসল ছেড়ে নকলেতে মনটা মজাও।' আসল জিনিস বা খাঁটি জিনিসে বদহজম হ'য়ে যাবে। নকল জিনিসের দৌরাত্মে আসল জিনিস না পেতে পেতে মানুষ আসল জিনিসের স্বাদই জানে না, জানে না তার স্বাদ কেমন। কার্বাইড পাকা ফল খেতে খেতে গাছ পাকা ফল কেমন খেতে তা জানে না। আর এ দৃশ্য এখন বিশ্বজুড়ে। নকল আর মিথ্যা এখন আসল ও সত্য হ'য়ে গেছে আর আসল আর সত্য এখন নকল ও মিথ্যা হ'য়ে গেছে। আসলের মুখোশ পড়ে নকল আর সত্যের মুখোশ পড়ে মিথ্যা যখন আমাদের সামনে জাগলারের ভূমিকায় হাজির হ'য়ে সকাল-সন্ধ্যা আসল-নকল ও সত্য-মিথ্যার জাগলিং খেলা দেখাচ্ছে আর আমরা সেই খেলায় বিভ্রান্ত হ'য়ে যেই আসল আর সত্যের দিকে ঝুঁকে পড়ছি না বুঝে আবেগে সরল মনে বিশ্বাস ক'রে অমনি বলি হ'য়ে যাচ্ছি, কোতল হ'য়ে যাচ্ছি নির্ম্মম, নিষ্ঠুরভাবে জাগলারের হাতে। তাই আমরা আজ বিভ্রান্ত। তাই সাধারণ মানুষও যখন যেমন তখন তেমন গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসিয়ে দেয় এতে সাধারণ মানুষ অভ্যস্ত হ'য়ে গেছে। দয়াল প্রভু ঈশ্বর আজ তাঁর সৃষ্ট জীবেদের কাছে অসহায়, আর তাই পৃথিবী ধ্বংস হবে তাঁর ভয়াল রূপে।
কথাটা বললাম এইজন্যে যে, প্লাস্টিক ব্যবহার নিয়ে ড ইউনুস যা বলেছেন সেরকম আমার দেশেও মাঝে মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির প্রোগ্রাম চলে। প্রকৃতির সঙ্গে তাল না মিলিয়ে চলা আমার দেশেও ঘটে। প্রশ্ন হচ্ছে, জনগণের সচেতনতার অভাব, এই কথাটা সত্যি হলেও শাসনব্যবস্থার অসীম ত্রুটি, শাসনব্যবস্থায় আসীন ব্যক্তির অসীম অজ্ঞানতা, অযোগ্যতা, অদক্ষতা, অসততা, অলসতা, অক্ষমতা, অভদ্রতা, অস্বচ্ছতা, অমানবিকতা, অনিচ্ছা ইত্যাদি যাবতীয় 'অ' সমৃদ্ধ জালি শাসন ব্যবস্থার কারণেই জনগণ উল্টো পথে চলতে সাহস পায়, পায় প্রশ্রয়। শাসনব্যবস্থার ত্রুটি ও ঢিলেমির কারণে এতে লাভবান হয় দুস্কৃতিকারী। একেবারে পুরো মেওয়া খেয়ে বেড়িয়ে যায় তারা। লম্ফঝম্পয় ভরা জনগণের অবস্থা দিনের শেষে সেই তিন নম্বর ছাগলছানার মত হয়, যে ছানা মায়ের দুধ খাওয়ার জন্য লাফিয়েই বেড়ায় দু'পাশে কিন্তু কোনও বাট পায় না, দু'টো বাটই মুখে দিয়ে দুধ টেনে খেয়ে ফেলে ১নং আর ২নং ছাগলছানা। আর ৩নং ছাগলাছানার মত জনগণ 'দিনগত পাপক্ষয়' ব'লে আফশোসের দীর্ঘশ্বাস ফেলে কাটিয়ে দেয় জীবন। আগে দেশের মাথাকে ঠিক হ'তে হয়। দেশের মাথা ও শাসনব্যবস্থা ঠিক থাকলে, অকপট থাকলে দেশের জনগণ ঠিক থাকে।
এই যে লাইফ স্টাইল পাল্টানোর কথা বললেন ড ইউনুস সাহেব এই লাইফ স্টাইল পাল্টানো সম্পর্কে আমার অভিমত, মানুষের লাইফ স্টাইল তখনি পালটায় যখন মানুষ জীবন্ত আদর্শে কেন্দ্রায়িত থাকে। আর জীবন্ত আদর্শ হ'তে হয় সর্বশ্রেষ্ঠ জীবন্ত আদর্শ। সেই সর্বশ্রেষ্ঠ জীবন্ত আদর্শ হলেন শ্রীশ্রীরাম, কৃষ্ণ, বুদ্ধ, যীশু, হজরত মহম্মদ, মহাপ্রভু, রামকৃষ্ণ এবং পরমপ্রেমময় শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র। ফলে মানুষের মধ্যে values grow করে, মানবিকতার জন্ম হয়। আর মানবিকতা কার থাকে? কে বুঝবে এই values? মনুষ্যত্ব থাকলে তবেই না মানবিকতার প্রশ্ন আসে। তবেই না বুঝবে জীবনের values-এর গুরুত্ব। আর যদি মনুষ্যত্ব ব'লে কিছু অবশিষ্ট থাকে তখনি মানুষ পৃথিবীর ভয়ঙ্কর সর্বনাশ সম্পর্কে সচেতন হয়, ঘুম ভেঙে জেগে ওঠে। নতুবা সবটাই তাত্ত্বিক আমেজে ডুবে থেকে কথার স্রোতে ভাসা ছাড়া আর কিছুই নয়। ভালো ভালো কথা সবটাই বকোয়াসে পরিণত হয়। নিজের সঙ্গে নিজে চালাকি করা আর নিজেকে নিজে ফাঁকি দেওয়া ছাড়া আর কিছুই নয়। এতে সার্বিক সর্বনাশ ত্বরান্বিত হয়।
এইসব দেখে মনে পড়ে যায়, The greatest phenomenon of the world, The greatest wonder in the world দ্রষ্টাপুরুষ SriSriThakur Anukulchbadra আজ থেকে ১০০বছর আগে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বলা সাবধান বাণীর কথা।
পরবর্তী ৩য় পর্বে শ্রীশ্রীঠাকুরের কথা তুলে ধ'রে আলোচনা করবো আমাদের কথায় ও কাজে কতটা মিল, আমরা ঠিক কোন জায়গায় আছি। ধ্বংসের চরম কিনারায় নাকি স্বর্গ রচনার পথে।













অভিনেতা নেতাদের বিচিত্র ভাষণ।

বিশ্বের সর্ববৃহৎ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ১৬ইমে প্রকাশ হওয়ার ঠিক একমাস পর উন্মোচিত হ’ল নির্বাচিত প্রতিনিধির মুখ আর মুখোশের রহস্য।

গত ১৫ জুন নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র কৃষ্ণনগরের অন্তর্গত নাকাশিপাড়ার হরনগর গ্রামে নিহত তৃণমূল কর্মী আসাদুল মণ্ডলের স্মরণসভায় যোগ দিতে যান তাপস পাল। ম্যাটাডরে চেপে সেই সভায় আসার পথে দুর্ঘটনায় আহত হন নাকাশিপাড়ার শেষ সীমানা চৌমাহা গ্রামের কয়েক জন তৃণমূল কর্মী-সমর্থক। তাই শুনে স্মরণসভা থেকে সটান চৌমাহা গ্রামে চলে যান তাপস পাল। সেখানে উত্তেজিতভাবে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক বক্তব্য পেশ করেন।

কী বলেছিলেন তাপস পাল ?
“যদি বিরোধী কেউ থেকে থাকেন, শুনে রাখুন, যদি এই গ্রামে আমাদের মা বোন, বাচ্চা, চাচা, চাচি – কারও গায়ে হাত পরে, এই তাপস পাল ছেড়ে কথা বলবে না আমি বলে রাখলাম।”
“তাপস পাল নিজে রিভলবার বার করে গুলি করে দিয়ে চলে যাবে। একজনের গায়ে হাত পড়লে তাদের বাড়ি এখান থেকে ভেঙ্গে চৌপাট করে দেবে তাপস পাল।
“আমি প্রচুর মস্তানি করেছি। আমি চন্দননগরের মাল, কলকাতার মাল না। আমি পকেটে মাল নিয়ে ঘুরি।”
তার পরেই তাঁর ভাষণের সবথেকে বিতর্কিত মন্তব্য ছিল,
“যদি তৃণমূলের কারও গায়ে হাত দেয়, তাদের গুষ্টিকে আমি .. যা-তা করে দিয়ে চলে যাব। আমার ছেলেদের ঢুকিয়ে দেব, রেপ করে চলে যাবে। রেপ করে চলে যাবে” ইত্যাদি ইত্যাদি আরো আছে।

সোমবার সংবাদ মাধ্যমে তার বক্তব্যের এই ভিডিও প্রচার হওয়ার পরে তার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে।
ক্রিয়ার যেমন প্রতিক্রিয়া আছে ঠিক তেমনি প্রতিক্রিয়ারও আবার প্রতিক্রিয়া আছে। এখন সেই পর্ব চলছে দেশজুড়ে!
তাপস পালের বিরুদ্ধে শুরু হয়েছে তীব্র প্রতিক্রিয়া! কিন্তু বাংলার মানুষ এইসবে অভ্যস্ত হ’য়ে গেছে বহু বহু বছর আগে। তবুও আমাদের ভাগ্য ভালো তাপসবাবুর মুখ কথা বলেছে এখনো হাত কথা বলেনি! এরকম আলগা আলটপকা ভারসাম্য ও বোধবুদ্ধিহীন নিম্নরুচীর কথা আরও অনেক শিল্পী বলেছেন।

“ভোটের উত্তেজনা কেমন লাগছে” সাংবাদিকের এই প্রশ্নের উত্তরে আজকের জনপ্রিয় নায়ক দেব বলেছিলেন, "ভোটের উত্তেজনা ধর্ষণের মত, হয় চিৎকার কর নয় উপভোগ কর।"

দেবের এই বক্তব্য নিয়েই ওঠে বিতর্কের ঝড়। অভিযোগ প্রমাণিত হলে কমিশন দেবের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে পারে। এমনকী, অভিযোগপ্রমাণিত হলে মহিলাদের বিরুদ্ধে কটূক্তি করার জন্য এই টলিউট স্টারের তিন বছরের জেল এবং জরিমানাও হতে পারে।
যদিও এমন কিছু এখনো ঘটেনি বা হয়নি এই বাংলায়!

শতাব্দী রায় বলেছিলেন, “আমাকে আপনারা আগে পয়সা খরচ করে সিনেমা হলে দেখতেন, এম পি হবার পর ৫বছর বিনা পয়সায় দেখেছেন। আবার যদি বিনা পয়সায় আমায় দেখতে চান তাহ’লে আমাকে পুনরায় জিতিয়ে আনুন। কি বিনা পয়সায় আমায় দেখতে চান?”
লোকসভা নির্বাচনের আগে মুনমুন সেন বলেছিলেন, “আমায় দেখলে দুষ্টুমি করতে ইচ্ছে করে না?”
নব নির্বাচিত এম পি মিঠুন চক্রবর্তী সিনেমার ডাইলগের অনুকরণে মস্তানী ঢঙে বলেছিলেন জনসভায়, “বোতাম টিপব এখানে, সরকার গড়ব দিল্লীতে”। যেন সবটাই হাতের মোয়া!!!!!!! ইচ্ছেমত হাত ঘোরালেই নাড়ু পাওয়া যায়!
এরকম অনেক উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে। এঁরা সব চলচিত্রশিল্পী। দিনের পর দিন, বছরের পর বছর এঁরা স্ক্রিপ্টের ডাইলগ নির্ভর জীবন কাটিয়েছে। পান্ডুলিপির জমকালো জমাট ডাইলগের বাইরে বাস্তবজীবনে এঁদের কথা ফ্যাকাসে আলগা! আর রাজনীতির একটা স্বাভাবিক ছন্দ আছে! যে বা যারাই রাজনীতিতে অংশগ্রহন করে সে বা তারাই নিজেদের সমাজের সুপারম্যান হিসাবে ভাবতে শুরু করে। আর এই Tradition সমানে বয়ে চলেছে। দাদাগিরি করাটা তাদের অধিকারের মধ্যে পড়ে। আর এই ধরণের যারা কৃষ্টি বা সংস্কৃতির জগৎ থেকে আসেন তাঁরা রাজনীতির জগতের সঙ্গে নিজেদের মানানসই করতে গিয়ে অবাস্তব জগতের সাহায্য নিতে গিয়ে সমস্ত ব্যাপারটা ঘেঁটে ঘ ক’রে দেয়। তবুও ভাগ্য ভালো এঁদের মুখ কথা বলে কিন্তু রাজনীতির জগতের সঙ্গে যারা সরাসরি যুক্ত তারা এতই পারদর্শী যে, মুখে যেটা এরা বলেন নিশ্চিতভাবে হাতেও সেটা ক’রে দেখান। আর রাজনীতির বাইরে কৃষ্টি-সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত বিশিষ্ট প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিত্ব বা এলিট সম্প্রদায়ের মানুষ যারা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত বা সমর্থক তাঁরা বিরোধী দলের একটা ছোট্ট ফুটো নিয়ে তীব্র সোচ্চার হ’লেও নিজের পছন্দের দলের হাজার হাজার ভয়ানক ফুটো দেখেও না দেখার ভান ক’রে থাকেন, কথার মারপ্যাঁচে হ্যাঁ-কে না, না-কে হ্যাঁ ক’রে থাকেন কিম্বা নীরব ভুমিকা পালন করেন আর সমাজের কাছে গুণী ও শ্রদ্ধার পাত্র হিসাবে বিবেচিত হ’ন আদি অনন্তকাল! এঁরা রবীন্দ্রনাথের সেই নির্মম সত্য থেকে মুখ ফিরিয়ে থাকেন, “অন্যায় যে ক’রে আর অন্যায় যে সহে তব ঘৃণা তারে তৃণসম দহে”।
এখন প্রশ্ন এই সংস্কৃতির শেষ কোথায়?
আমি বলি, এই (বয়ে চলা সংস্কৃতির) পথ যদি না শেষ হয়, তবে কেমন হ’ত জনতা বলোতো?
স্বাভাবিকভাবেই জনতা বলতে পারে, এ কেমনধারা আব্দার!?
আমি বলি, এই সংস্কৃতির যারা ধারক বাহক জননেতা তাদের তো আমরাই নির্বাচিত করি বছরের পর বছর বারবার হাজারবার!!!!!!!!!!!!!!!!
( লেখা ২রা জুলাই'২০১৪)


উপলব্ধিঃ শ্রীশ্রীঠাকুরের কথা ও সৎসঙ্গীদের বালখিল্য ঘাই।

শ্রীশ্রীঠাকুরের সব অভূতপূর্ব কথা অর্থাৎ পূর্বে কখনও যা বলা হয় নাই এমন সব আশ্চর্য অভাবনীয় কথা! সারা বিশ্বের যারা পন্ডিত, বিদগ্ধ জ্ঞানী তারাই হজম করতে পারছে না এই সমস্ত আশ্চর্য অভাবনীয় অভূতপূর্ব কথা আর সাধারণ সৎসঙ্গী ও সাধারণ মানুষের কথা না-হয় ছেড়েই দিলাম। সৎসঙ্গীদের আজ গম্ভীরভাবে শ্রীশ্রীঠাকুরকে বোঝার সময় এসেছে। অভূতপূর্ব এইজন্য বললাম যে জীব ও জগতকে রক্ষা করার জন্য জীব ও জগতের সমস্ত বিষয়ে এমন সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম আশ্চর্য অকল্পনীয় ও অভাবনীয় পরিপূর্ণ সমাধান দিয়ে গেছেন শ্রীশ্রীঠাকুর যা পৃথিবীর কারও পক্ষে সে যত বড় পন্ডিত, যত বড় জ্ঞানী আর যত বড় বিদ্ধান হ'ন না কেন তাঁদের কারও পক্ষেও বোঝা সম্ভব নয়।
তাই হার্ট স্পেশালিস্ট ডঃ জে সি গুপ্ত পাবনায় একবার শ্রীশ্রীঠাকুরকে দেখতে এসে বলেছিলেন,
"আপনার পরিবেশ আপনার মর্যাদা বুঝতে পারবে না।
YOU ARE MUCH IN ADVANCE OF YOUR TIME"
যার বাংলা করলে দাঁড়ায়
"আপনি আপনার সময়ের বহু পূর্বে এসেছেন।"
আজ যা প্রমাণিত।
অথচ সৎসঙ্গীরা তাদের প্রোফাইলে এবং নানা পেজে শ্রীশ্রীঠাকুরের অভূতপূর্ব বাণী, কথা নিয়ে বিশ্লেষণের ভঙ্গিতে পিং পং বলের মতো খেলা করে আর তাঁর হাজার হাজার বাণী সমুদ্রে বালখিল্য ঘাই মারে।-
( লেখা ২রা জুলাই'২০২৩)

Tuesday, July 1, 2025

প্রবন্ধঃ পৃথিবীর সর্বনাশের জন্য আমরা আসামী। (১ম পর্ব)

বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০২৫ উপলক্ষে আয়োজিত 'বৃক্ষরোপন অভিযান ও বৃক্ষমেলা' সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড মহম্মদ ইউনুস বলেন, "পৃথিবীর সর্ব্বনাশের জন্য যারা দায়ী তারা আমরা সবাই এখানেও হাজির। আমরা আসামী।--------যুদ্ধবিগ্রহ, প্রযুক্তির ব্যাপক প্রসার ও অপব্যবহার আমাদের সামনে নানারকমের চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে। কিন্তু যে চ্যালেঞ্জ আমরা এখনও অনেকেই উপলব্ধি করতে পারছি না সেটা হ'লো প্রকৃতির বিধ্বংসী রূপ। এটা প্রকৃতির দোষ না, এটা আমাদের দোষ। আমরা যারা এখানে বসবাস করি তাদের প্রকৃতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে যে চলা, সেটা না ক'রে উল্টো দিকে চলি। দোষটা প্রকৃতির না, দোষটা হ'লো প্রকৃতির বিধ্বংসী এক জীব, যার নাম হ'লো মানুষ।"
এছাড়া প্লাস্টিকের ব্যবহারে যে সংকট সৃষ্টি হয়েছে সেই ব্যাপারেও তিনি সতর্ক করেছেন। প্লাস্টিক সংকট এমন একটা জায়গায় পৌঁছেছে যে, তিনি বললেন,
"প্লাস্টিকের জয়যাত্রা অব্যাহত রয়েছে। তারা আমাদের অসহায়ত্ব দেখে খিলখিল ক'রে হাসে, আমাদের উদ্যোগের অভাব দেখে।"

তিনি আরও বললেন,
"আমরা দিবস উদযাপন ক'রে ফিরে যাবো, যথারীতি আগের মতো প্লাস্টিক ব্যবহার করবো, এ একটা সামান্য জিনিস, এ আর এমন কি ক্ষতি করতে পারে আমাদের? আমরা যদি আমাদের লাইফ স্টাইল পরিবর্তন না করি, এ যুদ্ধে সামগ্রিক ভাবে মানুষের পরাজয় অবধারিত, এর থেকে মুক্তি নাই।"

ডাঃ মহম্মদ ইউনুসের বক্তব্য শুনতে শুনতে ভাবছিলাম, তিনি বললেন, "পৃথিবীর সর্ব্বনাশের জন্য যারা দায়ী তারা আমরা সবাই এখানেও হাজির। আমরা আসামী'। আর এই সর্বনাশের জন্য তিনি কারণ হিসেবে 'যুদ্ধবিগ্রহ, প্রযুক্তির ব্যাপক প্রসার ও অপব্যবহার'-এর কথা তুলে ধরেছেন। ফলে প্রকৃতি ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে ও ক'রে চলেছে। প্রকৃতির এই বিধ্বংসী রূপ ধারণের জন্যে তিনি মানুষকেই দায়ী করেছেন। তিনি বলেছেন, মানুষ প্রকৃতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলছে না। প্রকৃতির এই বিধ্বংসী রূপের জন্য প্লাস্টিক ব্যবহার অন্যতম দায়ী। এর জন্যে মানুষের লাইফ স্টাইল দায়ী এবং মানুষকে লাইফ স্টাইল পাল্টাতে হবে। নতুবা পরাজয় অবধারিত এবং এর থেকে মুক্তি অসম্ভব।

আমি এই বিষয়ে বিশ্ববিখ্যাত গুণী মানুষ শান্তিতে নোবেল পুরস্কারে পুরস্কৃত, বিশ্বজুড়ে ১৪৫টা পুরস্কারে পুরস্কৃত, ৪৮টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রী পাওয়া, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানে গঠনমূলক কাজের জন্য আমন্ত্রিত অতিথি হ'য়ে বক্তৃতা দিতে যাওয়া মহান ব্যক্তিত্বের অধিকারী ড মহম্মদ ইউনুস পৃথিবীর সর্বনাশের কথা তুলে ধ'রে উপস্থিত অতিথিদের সাবধান ক'রে দিয়ে যে স্পষ্ট বার্তা দিলেন বিশ্ববাসীকে তার জন্য তাঁকে আন্তরিক শ্রদ্ধা ও সম্মান জানায়। পৃথিবীর ভয়ংকর কঠিন সর্বনাশের সময়ে তাঁর এই মানবিক মুখের জন্য আমি কৃতজ্ঞ। যথাসময়ে তিনি মানবিক হওয়ার আবেদন করেছেন মানুষের লাইফ স্টাইল পাল্টানোর আবেদনের মধ্যে দিয়ে।

আসুন এই ব্যাপারে আমরা একটু আলোচনা করি। পরবর্তী ২য় পর্বে আমি এই বিষয়ে বিশদে আলোচনা করবো।