রামলীলায় শপথ নিলেন কেজরিওয়াল।
দিল্লির অষ্টম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে রামলীলা ময়দানেই শপথ নিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও তাঁর
দলের আরও ছয় সদস্য। সাধারনভাবে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান
হয়ে থাকে রাজভবনে৷ কিন্তু অবিশ্বাস্যভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে
দিল্লির গদিতে পুনরায় ফিরে আসা৷র পর
রামলীলা ময়দানেই
পুনরায় শপথ নিলেন কেজরিওয়াল। গুরু আন্না হাজারে তাঁর সাংবাদিক সম্মেলনে কেজরিওয়ালকে নির্বাচনে জিতে আসার জন্য
আন্তরিক ধন্যবাদ জানান এবং শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান সম্পর্কে
তাঁর আগাম পরামর্শ ছিল যে শপথ গ্রহণ
অনুষ্ঠান যেন খুব লোকদেখানো আড়ম্বরপূর্ণ না
হয়। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান যেন রীতি মেনে অনাড়ম্বরভাবেই রাজভবনেই অনুষ্ঠিত হয়।
কিন্ত গুরু আন্না হাজারের পরামর্শ মানার প্রয়োজন বোধ করেননি কেজরিওয়াল। যেমন
তিনি এর পূর্বে প্রয়োজন বোধ করেননি আন্না হাজারের রাজনৈতিক দল গঠন না করা
ও অরাজনৈতিক, সামাজিক অন্দোলনের পরামর্শ ও সিদ্ধান্ত।
আন্নার সঙ্গে দুর্নীতি বিরোধী গণ-আন্দোলনে নেমেছিলেন
তিনি৷ তারপর সবটাই ইতিহাস। সবটাই মানুষের জানা। পথচলা শুরুর আগেই শপথ
গ্রহণ অনুষ্ঠানে অযথা বেশ কিছু বড় বড় কথার ফানুস উড়িয়ে প্রতিশ্রতি পালনে
অঙ্গিকারবদ্ধ হয়েছে কেজরিলাল ও তাঁর বাহিনী৷ তাঁর ভাষণের বক্তব্য বিষয়ে মনে
হ'ল
যেন একটা ক্ষমতা দখলের অহংকার ঝরে পড়ছে, ঝরে
পড়ছে তাঁর শরীরী ভাষায়। অথচ তিনি বিজেপি ও কংগ্রেসের মত অহংকারী
হতে নিষেধ করেছেন দলীয় সমস্ত মানুষকে তাঁর নির্বাচন পরবর্তী ফল প্রকাশের
পরে আয়োজিত অনুষ্ঠানের ভাষণে। অসম্ভবকে সম্ভব করার এক অপার্থিব শক্তি
নিয়ে পৃথিবীর মাটিতে নেবে এসেছে যেন কোন এক দেবদূত তাঁর নারায়ণী সেনা নিয়ে
৪৯ দিনের ব্যর্থতা ভুলে,ভুলের থেকে শিক্ষা নিয়ে পাঁচ বছরের জন্য স্থায়ী
সরকার গঠনের মাধ্যমে দুর্নীতি মুক্ত দিল্লী গড়বে বলে!!!!!!!
কেজরিওয়ালকে তাঁর স্বপ্ন পূরণের জন্য
জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। তার সঙ্গে
জানাইThe greatest phenomenon of the world Sri Sri Thakur
Anukul Chandra-এর
একটা সাবধান বাণীঃ
"কর্ম্ম নাই চিন্তা সৎ,
পাথর পেছল নরক পথ"।
"কর্ম্ম নাই চিন্তা সৎ,
পাথর পেছল নরক পথ"।