আলোচনা তখনই চলতে পারে না, চলা থেমে যায়, ছন্দপতন ঘটে যখন আলোচনায় চনা পড়ে। তখন আলোচনা তার আলো হারায় আর তখনই শুরু হয় অন্ধকারের রাজত্ব। অন্ধকার দূর করতে এসে অন্ধকারকেই করি হাতিয়ার অন্ধকারকে করতে আবাহন!? অন্ধকারের সম্রাট কিলবিস কি কখনো সভ্যতার আলো দেখাতে পারে নাকি দেখায়!? আর আলোচনার বিষয় তুলে ধ'রেই দায়বদ্ধতা খতম হ'য়ে যায় না। আলোচনা যেন ডিরেইল্ড হ'য়ে না যায় তার জন্য লক্ষ্য রাখতে হয়। আলোচনা ডিরেইল্ড হ'লে আলোচনা আর আলোচনার পর্যায়ে থাকে না। যখন আলোচনার আকাশে হাওয়া তীব্র থেকে তীব্রতর হয় তখন আলোচনা তরীর পাল তুলে দিয়ে সতর্ক দৃষ্টিতে দৃঢ় হাতে গুণ ধ'রে রাখতে হয় যাতে আলোচনা রূপী তরী এলোমেলোভাবে ছুটতে ছুটতে ঘুরপাক খেয়ে মাঝ নদীতে আলোচনার সলিল সমাধি না হয়। এর জন্য দায়ী থাকে আলোচনার তরীকে জনসমুদ্রে ভাসিয়েছে যে মাঝি, সে। সাবধান! বিষয় উত্থাপন ক'রে দিয়ে দূরে দাঁড়িয়ে আলোচনা থেকে এড়িয়ে গিয়ে বাদাম ভাজা খেতে খেতে কে কি বলছে মজা দেখলে আলোচনা উত্থাপকের কোনও গ্রহণযোগ্যতা থাকে না। কড়া হাতে ধরতে হয়। প্রতিটি মন্তব্যকে লক্ষ্য রাখতে হয়। অশ্লীল, ভিত্তিহীন, চুলকানি মন্তব্যকে মোকাবিলা করতে হয় সামনে দাঁড়িয়ে। আলোচনার টেবিলে চনা ফেলার দক্ষ কারিগরকে চিনে নিতে হয় নিজের যোগ্যতায় ও সৎ মানসিকতায় আর বলিষ্টতার সঙ্গে তৎক্ষণাৎ সরিয়ে দিতে হয় আলোচনার আকাশ থেকে কালো কথার মেঘকে তবেই আলোচনার বিষয় উত্থাপন করা ও আলোচনায় অংশগ্রহণ করা ও আলোচনা করার অধিকার জন্মায় আর সেখানেই বেরিয়ে আসে সমাধান। নতুবা সবটাই তাত্ত্বিক আমেজে ডুবে থেকে উদারতার ভঙ্গী নিয়ে সমস্যা জর্জরিত সমাজে ডুবে ডুবে জল খাওয়া আর মাঝে মাঝে সমস্যা সমুদ্রের মাঝখানে ভেসে উঠে ঘাই মারা আর ঘাই মেরে জানান দেওয়া যে 'হাম হ্যাঁয় না' ছাড়া আর কিছুই নয়। বন্ধু সাবধান!!!!!
(লেখা ১৮ইজানুয়ারী'২০১৮)
No comments:
Post a Comment