মাটির মাকে ডেকে বলি, মা! মাগো! রেখো আমায় তুমি ভালো!
যে মা দিল জন্ম তাঁকে অন্ধকারে রেখে কেড়ে নিয়েছি তাঁর আলো!!
মাটির মাকে ডাকি আর কেঁদে কেঁদে ভাসায় আমার বুক!
ঘরে যে আমার বুড়ী মা কাঁদে ছেঁড়া আঁচল দিয়ে মুখ ঢাকে
কখনো দেখেছি কি তাঁর মলিন, ব্যাথায় কাতর মুখ!?
প্রশ্ন করি নিজেকে, ভণ্ডামি আর মূর্খামি দিয়ে আর চলবে কতকাল?
নিজে আছো ঘুমিয়ে আর জাগাও অন্যকে? শালা! ঝরঝরে ইহকাল পরকাল!
মাটির বোবা মাকে ডাকি আর ইচ্ছেমত মাঙ্গি যা আসে তাই মনে
বৃত্তি-প্রবৃত্তির সুড়সুড়ি খাই আর যা ইচ্ছা তাই করি ভাই
আর মা, মা, বলে কেঁদে উঠি বিপদ যখন দেয় হানা শয়নে-স্বপনে!
মাটির মাকে ডেকে বলি, মা! মাগো! রেখো তুমি সন্তানেরে
মোর দুধে আর ভাতে; আর দিন গুজরান করি উচ্শৃঙ্খল আর
বিশৃঙ্খলার হাতে হাত রেখে!
এমনিভাবেই বেলা শেষে যখন আঁধার ধেয়ে আসে
মাটির বোবা মা কি তখন দাঁড়ায় এসে পাশে?
বিছানাতে শুয়ে পঙ্গু আমি যখন জানালা দিয়ে বাইরে চেয়ে দেখি
বিগত দিনের বাঁধন ছেঁড়া ষড়রিপুর উদ্দামতা মারছে উঁকিঝুঁকি!
চোখের জলে ভাসিয়ে বুক ব্যাথায় 'মা' 'মা' ব'লে উঠি ডেকে
কোথায় মাটির বোবা মা! এ যে আমার বুড়ি মা! আঁচল দিয়ে মুখ ঢেকে
মুছিয়ে দিয়ে চোখের জল বলে রুগ্ন মা আমার মিষ্টি হাসি হেসে
'ভয় কি বাবা! এই যে আমি! দ্যাখ চোখ মেলে তোর চেয়ে
ঐ যে পরমপিতা দাঁড়িয়ে আছে, হাত বাড়িয়ে ডাকছে তোকে
আসতে তাঁর কাছে! দুঃখ-ব্যাথা ভুলিয়ে দেবে, কষ্ট সব মুছে নেবে
তাঁর চলন পূজায় ভরিয়ে দে তোর জীবন জীবননাথকে ডেকে!'
মায়ের দিকে চেয়ে চেয়ে অশ্রুভেজা বোবা স্বরে বলি, এই তো আমার মা!
জীবননাথকে হেলায় ফেলে, চলন পূজা দূরে ঠেলে এতদিন করেছি বিষ পান!
জীবননাথই যে জগন্নাথ! নিজের মা-ই যে জগৎ মা! শিখিনি এই গান!?
হে প্রভু! হে পরমপিতা! তুমি ক'রো আমায় ক্ষমা!!
যে মা দিল জন্ম তাঁকে অন্ধকারে রেখে কেড়ে নিয়েছি তাঁর আলো!!
মাটির মাকে ডাকি আর কেঁদে কেঁদে ভাসায় আমার বুক!
ঘরে যে আমার বুড়ী মা কাঁদে ছেঁড়া আঁচল দিয়ে মুখ ঢাকে
কখনো দেখেছি কি তাঁর মলিন, ব্যাথায় কাতর মুখ!?
প্রশ্ন করি নিজেকে, ভণ্ডামি আর মূর্খামি দিয়ে আর চলবে কতকাল?
নিজে আছো ঘুমিয়ে আর জাগাও অন্যকে? শালা! ঝরঝরে ইহকাল পরকাল!
মাটির বোবা মাকে ডাকি আর ইচ্ছেমত মাঙ্গি যা আসে তাই মনে
বৃত্তি-প্রবৃত্তির সুড়সুড়ি খাই আর যা ইচ্ছা তাই করি ভাই
আর মা, মা, বলে কেঁদে উঠি বিপদ যখন দেয় হানা শয়নে-স্বপনে!
মাটির মাকে ডেকে বলি, মা! মাগো! রেখো তুমি সন্তানেরে
মোর দুধে আর ভাতে; আর দিন গুজরান করি উচ্শৃঙ্খল আর
বিশৃঙ্খলার হাতে হাত রেখে!
এমনিভাবেই বেলা শেষে যখন আঁধার ধেয়ে আসে
মাটির বোবা মা কি তখন দাঁড়ায় এসে পাশে?
বিছানাতে শুয়ে পঙ্গু আমি যখন জানালা দিয়ে বাইরে চেয়ে দেখি
বিগত দিনের বাঁধন ছেঁড়া ষড়রিপুর উদ্দামতা মারছে উঁকিঝুঁকি!
চোখের জলে ভাসিয়ে বুক ব্যাথায় 'মা' 'মা' ব'লে উঠি ডেকে
কোথায় মাটির বোবা মা! এ যে আমার বুড়ি মা! আঁচল দিয়ে মুখ ঢেকে
মুছিয়ে দিয়ে চোখের জল বলে রুগ্ন মা আমার মিষ্টি হাসি হেসে
'ভয় কি বাবা! এই যে আমি! দ্যাখ চোখ মেলে তোর চেয়ে
ঐ যে পরমপিতা দাঁড়িয়ে আছে, হাত বাড়িয়ে ডাকছে তোকে
আসতে তাঁর কাছে! দুঃখ-ব্যাথা ভুলিয়ে দেবে, কষ্ট সব মুছে নেবে
তাঁর চলন পূজায় ভরিয়ে দে তোর জীবন জীবননাথকে ডেকে!'
মায়ের দিকে চেয়ে চেয়ে অশ্রুভেজা বোবা স্বরে বলি, এই তো আমার মা!
জীবননাথকে হেলায় ফেলে, চলন পূজা দূরে ঠেলে এতদিন করেছি বিষ পান!
জীবননাথই যে জগন্নাথ! নিজের মা-ই যে জগৎ মা! শিখিনি এই গান!?
হে প্রভু! হে পরমপিতা! তুমি ক'রো আমায় ক্ষমা!!
(লেখা ১০ই জানুয়ারী'২০১৯)
No comments:
Post a Comment