কথায় আছে, চালুনি বলে, সূঁচ তোর পিছনে ফুটো কেন? এমনটা কেন হয়? কখন হয়? কেউ কি জানো?
কারণ থাকুক আর না থাকুক অন্যকে খোঁচা না দিয়ে, নীচা না দেখিয়ে, দোষ না দেখে, নিন্দা, সমালোচনা না ক'রে মানুষের যেন খাবার হজম হয় না, রাতের ঘুম হয় না; ব্যাপারটা যেন এরকম! খোঁচা মারা, নীচা দেখানো, দোষ ধরা, সমালোচনা করা, নিন্দা করা ইত্যাদি মানুষের কাছে হজমোলা আর রাতের ঘুমের ওষুধের মতন। এই ওষুধে হজম ও ঘুমের কাজ হয় বৈকি! হয় বদহজম আর চিরনিদ্রা!
পেটের মধ্যে পাকিয়ে ওঠে অসহিষ্ণুতার তীব্র গ্যাস। উঠে আসে উপরে, ঠেলা মারে একেবারে হৃদপিণ্ড ছাড়িয়ে ব্রহ্মতালুতে। হৃদপিণ্ডে বা মস্তিষ্কে ধাক্কা মারলে হয় একেবারে ইতি আর নাহয় আধা মানুষ আধা যন্ত্রবৎ। আর ব্রহ্মতালুর অসহিষ্ণুতার আগ্নেয়গিরি ফেটে বেরিয়ে আসে আদর্শের প্রতি সততা, নিষ্ঠা, আনুগত্য, কৃতীসম্বেগ, ভালবাসা ইত্যাদির গরম লাভা দোষদৃষ্টি হ'য়ে অন্য জীবনের প্রতি। কপট গুণের গরম লাভায় অন্যের জীবন ছারখার ক'রে দিয়ে তৃপ্তি পেতে চায়, শান্তি পেতে চায়, সুখ পেতে চায় জীবন। হিংসার আগুনে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে খাক ক'রে দিতে চায় অন্যের সাজানো বাগান নিজে কিছু করতে না পারার ব্যর্থতায়। নিজের ভুল, নিজের দোষ, নিজের ত্রুটি, নিজের খুঁত, নিজের অপারগতা, নিজের অক্ষমতা, নিজের ব্যর্থতা, নিজের অপরিপক্বতা, নিজের অজ্ঞানতা, নিজের বিশৃঙ্খলা, নিজের নীচ মানসিকতা, নিজের অদক্ষতা, নিজের অপটুতা, নিজের অসহিষ্ণুতা, নিজের অদূরদর্শিতা, নিজের অসততা, নিজের কপটতা ইত্যাদির তীব্র বিষাক্ত বীজ অন্যের জীবনে বপন ক'রে দিয়ে শ্মশান ক'রে দিতে চায় অন্যের জীবন ও চারপাশ। মানুষকে বিভ্রান্ত ক'রে, পথভ্রষ্ট ক'রে, আদর্শকে কালিমালিপ্ত ক'রে, পরিবেশকে কলুষিত ক'রে আদর্শের মিশন রথের অগ্রগমনকে রুখে দিতে চায়, আদর্শের চাকাকে চায় থামিয়ে দিতে, আদর্শের রথের দড়িকে চায় টেনে ধ'রে রাখতে আর সেই সমস্ত নোংরা কাজের দায় চাপিয়ে দিতে চায় ক্লান্তিহীন, শ্রান্তিহীন পথে এগিয়ে চলা আদর্শের স্বার্থ প্রতিষ্ঠায় শ্রমসুখপ্রিয় আদর্শের অকপট সৈনিকদের ঘাড়ে!!!!!!!! এমনটা কেন হয় জানো?
জীবন যখন তার গতিময়তা হারায় তখন হয় জেনো।
তাহ'লে এখন কি করণীয়? কে করবে বিচার? কি হবে বিচার? কে হবে বিচারক?
বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ট বিস্ময় পরমপ্রেমময় শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের ব'লে যাওয়া 'সত্যানুসরণ' গ্রন্থের অমৃতনিষ্যন্দী বাণী মনে পড়লো।
শ্রীশ্রীঠাকুর বললেন, "বিচারের ভার, শাস্তির ভার আপনহাতে নিতে যেও না; অন্তরের সহিত পরমপিতার উপর ন্যস্ত কর, ভাল হবে।"
কারণ থাকুক আর না থাকুক অন্যকে খোঁচা না দিয়ে, নীচা না দেখিয়ে, দোষ না দেখে, নিন্দা, সমালোচনা না ক'রে মানুষের যেন খাবার হজম হয় না, রাতের ঘুম হয় না; ব্যাপারটা যেন এরকম! খোঁচা মারা, নীচা দেখানো, দোষ ধরা, সমালোচনা করা, নিন্দা করা ইত্যাদি মানুষের কাছে হজমোলা আর রাতের ঘুমের ওষুধের মতন। এই ওষুধে হজম ও ঘুমের কাজ হয় বৈকি! হয় বদহজম আর চিরনিদ্রা!
পেটের মধ্যে পাকিয়ে ওঠে অসহিষ্ণুতার তীব্র গ্যাস। উঠে আসে উপরে, ঠেলা মারে একেবারে হৃদপিণ্ড ছাড়িয়ে ব্রহ্মতালুতে। হৃদপিণ্ডে বা মস্তিষ্কে ধাক্কা মারলে হয় একেবারে ইতি আর নাহয় আধা মানুষ আধা যন্ত্রবৎ। আর ব্রহ্মতালুর অসহিষ্ণুতার আগ্নেয়গিরি ফেটে বেরিয়ে আসে আদর্শের প্রতি সততা, নিষ্ঠা, আনুগত্য, কৃতীসম্বেগ, ভালবাসা ইত্যাদির গরম লাভা দোষদৃষ্টি হ'য়ে অন্য জীবনের প্রতি। কপট গুণের গরম লাভায় অন্যের জীবন ছারখার ক'রে দিয়ে তৃপ্তি পেতে চায়, শান্তি পেতে চায়, সুখ পেতে চায় জীবন। হিংসার আগুনে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে খাক ক'রে দিতে চায় অন্যের সাজানো বাগান নিজে কিছু করতে না পারার ব্যর্থতায়। নিজের ভুল, নিজের দোষ, নিজের ত্রুটি, নিজের খুঁত, নিজের অপারগতা, নিজের অক্ষমতা, নিজের ব্যর্থতা, নিজের অপরিপক্বতা, নিজের অজ্ঞানতা, নিজের বিশৃঙ্খলা, নিজের নীচ মানসিকতা, নিজের অদক্ষতা, নিজের অপটুতা, নিজের অসহিষ্ণুতা, নিজের অদূরদর্শিতা, নিজের অসততা, নিজের কপটতা ইত্যাদির তীব্র বিষাক্ত বীজ অন্যের জীবনে বপন ক'রে দিয়ে শ্মশান ক'রে দিতে চায় অন্যের জীবন ও চারপাশ। মানুষকে বিভ্রান্ত ক'রে, পথভ্রষ্ট ক'রে, আদর্শকে কালিমালিপ্ত ক'রে, পরিবেশকে কলুষিত ক'রে আদর্শের মিশন রথের অগ্রগমনকে রুখে দিতে চায়, আদর্শের চাকাকে চায় থামিয়ে দিতে, আদর্শের রথের দড়িকে চায় টেনে ধ'রে রাখতে আর সেই সমস্ত নোংরা কাজের দায় চাপিয়ে দিতে চায় ক্লান্তিহীন, শ্রান্তিহীন পথে এগিয়ে চলা আদর্শের স্বার্থ প্রতিষ্ঠায় শ্রমসুখপ্রিয় আদর্শের অকপট সৈনিকদের ঘাড়ে!!!!!!!! এমনটা কেন হয় জানো?
জীবন যখন তার গতিময়তা হারায় তখন হয় জেনো।
তাহ'লে এখন কি করণীয়? কে করবে বিচার? কি হবে বিচার? কে হবে বিচারক?
বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ট বিস্ময় পরমপ্রেমময় শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের ব'লে যাওয়া 'সত্যানুসরণ' গ্রন্থের অমৃতনিষ্যন্দী বাণী মনে পড়লো।
শ্রীশ্রীঠাকুর বললেন, "বিচারের ভার, শাস্তির ভার আপনহাতে নিতে যেও না; অন্তরের সহিত পরমপিতার উপর ন্যস্ত কর, ভাল হবে।"
( লেখা ৩১শে জানুয়ারী'২০১৮)
No comments:
Post a Comment