সরকারে যারা আসীন থাকে সেই সরকারের নেতৃবৃন্দ ইচ্ছা করলেই তো নেতাজীর প্রতি যথাযথ ও প্রকৃত সম্মান প্রদর্শন করতেই পারে! 'করে না কেন' এ নিয়ে তো কোনও বিতর্ক বা প্রশ্ন থাকার কথা নয়!
যাই-ই হ'ক আর যাই-ই করুক এসব ভাবতে গেলে মাথা খারাপ হ'য়ে যাবে। শুধু এটুকু কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের কাছে অনুরোধ নেতাজীর মতো ভারত রত্নদের জন্মদিনে ও বিশেষ বিশেষ দিনে তাঁদের প্রতি এবং সেইদিনগুলির প্রতি সম্মানার্থে ড্রাই ডে অর্থাৎ মদ বিক্রি নিষিদ্ধ হ'ক এবং সচেতন ও নিষিদ্ধ করা হ'ক যততত্র তাঁদের জন্মদিন পালন ও বিশেষ বিশেষ দিনগুলি পালন। যেন রাস্তাঘাটে অলিতেগলিতে নর্দমার ধারে যেখানে সেখানে জন্মদিন পালনের নামে বয়োজেষ্ঠ্যদের দ্বারা বালখিল্য তামাশা করা না হয়। দিনের শেষে খোলা আকাশের নীচে ফাঁকা পরিবেশে একাকী রাস্তার ধুলার মাঝে পড়ে থেকে কুত্তা, ছাগল, গরুর মুখের ছোঁয়া ও প্রস্রাব থেকে বা মঞ্চে অবহেলায় পড়ে থাকার এ অপমানের সংস্কৃতি বন্ধ হ'ক ও ভারতরত্ন অসহায় নেতাজীকে রক্ষা করা হ'ক। আমরা অপদার্থ বেইমান অকৃতজ্ঞ দেশবাসী যেন ভুলে না যায় এঁদের জন্যই আমরা আজ বৃটিশ শাসন মুক্ত ভারতে বাস করছি। এঁদের মতো বিপ্লবীরা পরিবার পরিজুন ছেড়ে নিজের জীবন বিসর্জন দিয়েছিল ব'লেই আমরা আজ পরিবার নিয়ে আছি।
আর সবচেয়ে যে অপমান বুকে নিয়ে আজও নেতাজী বেঁচে আছেন মানুষের মনে তা হ'লো তিনি যুদ্ধ অপরাধী। আজও ব'য়ে বেড়াচ্ছে সেই অপমান দেশ স্বাধীন হওয়ার ৭৫ বছর পরেও। যদি আজ যুদ্ধ অপরাধী তকমা উঠে গিয়ে থাকে তাঁর নামের উপর থেকে তাহ'লে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। আর যদি না উঠে গিয়ে থাকে তাহ'লে তামাম ১৩৫কোটি দেশবাসীর দাবি, অন্তরাত্মা বলছে, অবিলম্বে নেতাজীকে সেই চরম অপমানের বন্দীদশা থেকে, যুদ্ধ অপরাধীর তকমা থেকে মুক্ত করা হ'ক। তাঁর জন্য যা করার করুক কেন্দ্রীয় সরকার, দাবি তুলুক রাজ্য সরকার, আওয়াজ তুলুক সমস্ত রাজনৈতিক দল সহ ১৩৫কোটি দেশবাসী। ব্যাস্! আর কিছু চাই না আমাদের। আপাতত এই সম্মানটুকু দেখানো হ'ক নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুকে। পরে নাহয় আরও কিছু ভাবা যাবে।
No comments:
Post a Comment