বাবা বাবা-ই আর মা মা-ই-ই!!!!!!
মা না বাবা কে বড় আর কে ছোটো কথাটাই ভুল। সন্তানের ক্ষেত্রে দুজনের ভূমিকাই সমান গুরুত্বপূর্ণ। কখনও কখনও পরিস্থিতি পরিবেশ অনুযায়ী কারও কারও ভুমিকা আরেকজনকে ছাপিয়ে যায় সময়ানুযায়ী এই-ই যা মাত্র।
একজন মা মা হওয়ার আগে মেয়ে থাকে তারপর বিধির বিধান অনুযায়ী বিবাহিত জীবনে প্রবেশ করার পর পুরুষ বা স্বামীর সংস্পর্শে এসে মাতৃত্ব লাভ করে ঠিক তেমনি পুরুষও বাবা হওয়ার আগে ছেলে থাকে তারপরে বিবাহ হওয়ার সুবাদে নারী বা স্ত্রীর সংস্পর্শে এসে পিতৃত্ব লাভ করে। উভয়ের যৌথ আবেগ ও মিলনের মধ্যে দিয়ে যে তৃতীয় জনের আবির্ভাব হয় সেই তৃতীয় জন অর্থাৎ সন্তানের পরিচর্যার রকমফের দুজনের অর্থাৎ স্বামীস্ত্রীর দুরকমের হয়। কে বড় আর কে ছোটো, কে বেশী গুরুত্বপূর্ণ আর কে কম এসব তর্ক ক'রে জন্মদাতাদের ছোটো করা হয়। মায়ের সঙ্গে সন্তানের জন্ম সংক্রান্ত ব্যাপারে ভ্রূণ থেকে শুরু ক'রে ১০মাস ১০দিন পর্যন্ত যে সম্পর্ক সেই সম্পর্কের একটা অন্তহীন গভীর অর্থ বিদ্যমান। আর তাই মায়ের সঙ্গে সন্তানের নাড়ী ছেঁড়া টান। ভ্রূণ সৃষ্টি থেকে শুরু ক'রে জন্ম নেওয়া পর্যন্ত এই দীর্ঘ সময় সন্তান মায়ের সঙ্গে যুক্ত থাকে তাই মায়ের সঙ্গে সন্তানের লাগাও থাকে চুম্বকের মতন। আর এই চুম্বকের টান সন্তান জন্ম থেকে সাবালক অর্থাৎ বড় হওয়া পর্যন্ত লালনপালনের মধ্যে দিয়ে তীব্র থেকে তীব্রতর হ'তে থাকে আর সেই টান থাকে মৃত্যুর দিন পর্যন্ত আর এই টান সব মায়ের দিক থেকেই থাকে একতরফা। মা মা-ই-ই!!!!! জন্মেই শিশু কেঁদে ওঠে ওঁয়া ওঁয়া ব'লে অর্থাৎ জড়ানো গলায় মা মা ব'লে। মা মা-ই-ই!!!!!!!!!!! ব্যতিক্রম অবশ্যই থাকে আর তা থাকে মহাপুরুষের ক্ষেত্রে। অবশ্য ঘোর কলির কথা আলাদা। সে ভিন্ন প্রসঙ্গ।
আর, সেই চুম্বকের টান বাবার সঙ্গেও থাকে। শুধু বাবাকে একটু সামান্য কৌশিশ করতে হয় মাত্র যা মাকে করতে হয় না।
যাই হ'ক, সন্তানের প্রতি মায়ের উপস্থিতির অন্তহীন সীমাহীন গুরুত্বের কথা অবনত মস্তকে মেনে নিয়েও বলছি আমার দেখা এমন বাবাও আছেন যে সন্তানকে, জন্মের পর থেকে সন্তান মাতৃহারা হওয়ার কারণে, মাতৃস্নেহে লালন পালন ক'রে এসেছে। হপ্যতো বা তা ব্যতিক্রম কিন্তু ধ্রুবতারার মত জ্বলজ্বল!!!!! যে কাজ একান্তই মায়ের, যে কাজ সম্পূর্ণ মা নির্ভর সেই কাজ একেবারে জন্মের পর থেকে পুরুষের পক্ষে করা যে কি অসম্ভব, কি ভয়ঙ্কর কঠিন তা' অনুভব করা কারও পক্ষে কখনও সম্ভব না কারণ সেই গভীর তীব্র বোধ বা অনুভূতি সম্পূর্ণ ঈশ্বরের; ঈশ্বর ছাড়া বাকী সবার সব কিছু সাধারণ মানের। ঈশ্বরের সঙ্গে যুক্ত ও ঈশ্বরে বিলীন হ'য়ে যাওয়া মহাত্মা ছাড়া আর কারও পক্ষে এই অনুভূতি সম্ভব না। আর সম্ভব ভুক্তভোগীর! সাপের ছোবল যে খায়নি সে বুঝবে কি ক'রে সাপের বিষের অসহ্য যন্ত্রণাময় জ্বালা!?
আর সন্তান যদি ছেলের জায়গায় মেয়ে হয় আর মেয়ের মা মারা যায় তাহ'লে মেয়েকে নিয়ে বাবার যে কি কঠিন বিড়ম্বনা যতদিন না মেয়ের বিয়ে হ'য়ে মেয়ে স্বামীর বাড়ি চ'লে যাচ্ছে ততদিন পর্যন্ত ভুক্তভোগী বাবা ছাড়া আর কারও পক্ষে বোঝা সম্ভব নয়। আর শুধু মা হারা মেয়ের ভবিষ্যৎ জীবন নিশ্চিত নষ্ট হ;য়ে যাবে সতীনের হাতে পড়ে এই কথা ভেবে ভেবে দায়িত্বজ্ঞানসম্পন্ন বহু বাবাও বাকী জীবন কাটিয়ে দিয়েছে একা, একা; আর বিয়েই করেননি!!!! 'ছেলেরা বিয়ে না ক'রে থাকতে পারে না' কথাটা সম্পূর্ণ বায়াসড কথা। একজন বাবা বাবা ও মা দুটোই হতে পারে এমন বহু নজীর আছে।
যাই হ'ক তবুও বলি মায়ের স্থান মায়ের আর বাবার স্থান বাবার তবুও পরিস্থিতি- পরিবেশ অনুযায়ী কখনো কখনো মা-বাবা উভয়কেই দুটো ভূমিকায় পালন করতে হয়। তাই কেউ ছোট ও কেউ বড় নয়। বাবা বাবাই আর মা মা-ই-ই!!!!!!!!!! সবাই সবার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ও সবাই সমান।
(লেখা ২৭শে জানুয়ারী' ২০১৮)
মা না বাবা কে বড় আর কে ছোটো কথাটাই ভুল। সন্তানের ক্ষেত্রে দুজনের ভূমিকাই সমান গুরুত্বপূর্ণ। কখনও কখনও পরিস্থিতি পরিবেশ অনুযায়ী কারও কারও ভুমিকা আরেকজনকে ছাপিয়ে যায় সময়ানুযায়ী এই-ই যা মাত্র।
একজন মা মা হওয়ার আগে মেয়ে থাকে তারপর বিধির বিধান অনুযায়ী বিবাহিত জীবনে প্রবেশ করার পর পুরুষ বা স্বামীর সংস্পর্শে এসে মাতৃত্ব লাভ করে ঠিক তেমনি পুরুষও বাবা হওয়ার আগে ছেলে থাকে তারপরে বিবাহ হওয়ার সুবাদে নারী বা স্ত্রীর সংস্পর্শে এসে পিতৃত্ব লাভ করে। উভয়ের যৌথ আবেগ ও মিলনের মধ্যে দিয়ে যে তৃতীয় জনের আবির্ভাব হয় সেই তৃতীয় জন অর্থাৎ সন্তানের পরিচর্যার রকমফের দুজনের অর্থাৎ স্বামীস্ত্রীর দুরকমের হয়। কে বড় আর কে ছোটো, কে বেশী গুরুত্বপূর্ণ আর কে কম এসব তর্ক ক'রে জন্মদাতাদের ছোটো করা হয়। মায়ের সঙ্গে সন্তানের জন্ম সংক্রান্ত ব্যাপারে ভ্রূণ থেকে শুরু ক'রে ১০মাস ১০দিন পর্যন্ত যে সম্পর্ক সেই সম্পর্কের একটা অন্তহীন গভীর অর্থ বিদ্যমান। আর তাই মায়ের সঙ্গে সন্তানের নাড়ী ছেঁড়া টান। ভ্রূণ সৃষ্টি থেকে শুরু ক'রে জন্ম নেওয়া পর্যন্ত এই দীর্ঘ সময় সন্তান মায়ের সঙ্গে যুক্ত থাকে তাই মায়ের সঙ্গে সন্তানের লাগাও থাকে চুম্বকের মতন। আর এই চুম্বকের টান সন্তান জন্ম থেকে সাবালক অর্থাৎ বড় হওয়া পর্যন্ত লালনপালনের মধ্যে দিয়ে তীব্র থেকে তীব্রতর হ'তে থাকে আর সেই টান থাকে মৃত্যুর দিন পর্যন্ত আর এই টান সব মায়ের দিক থেকেই থাকে একতরফা। মা মা-ই-ই!!!!! জন্মেই শিশু কেঁদে ওঠে ওঁয়া ওঁয়া ব'লে অর্থাৎ জড়ানো গলায় মা মা ব'লে। মা মা-ই-ই!!!!!!!!!!! ব্যতিক্রম অবশ্যই থাকে আর তা থাকে মহাপুরুষের ক্ষেত্রে। অবশ্য ঘোর কলির কথা আলাদা। সে ভিন্ন প্রসঙ্গ।
আর, সেই চুম্বকের টান বাবার সঙ্গেও থাকে। শুধু বাবাকে একটু সামান্য কৌশিশ করতে হয় মাত্র যা মাকে করতে হয় না।
যাই হ'ক, সন্তানের প্রতি মায়ের উপস্থিতির অন্তহীন সীমাহীন গুরুত্বের কথা অবনত মস্তকে মেনে নিয়েও বলছি আমার দেখা এমন বাবাও আছেন যে সন্তানকে, জন্মের পর থেকে সন্তান মাতৃহারা হওয়ার কারণে, মাতৃস্নেহে লালন পালন ক'রে এসেছে। হপ্যতো বা তা ব্যতিক্রম কিন্তু ধ্রুবতারার মত জ্বলজ্বল!!!!! যে কাজ একান্তই মায়ের, যে কাজ সম্পূর্ণ মা নির্ভর সেই কাজ একেবারে জন্মের পর থেকে পুরুষের পক্ষে করা যে কি অসম্ভব, কি ভয়ঙ্কর কঠিন তা' অনুভব করা কারও পক্ষে কখনও সম্ভব না কারণ সেই গভীর তীব্র বোধ বা অনুভূতি সম্পূর্ণ ঈশ্বরের; ঈশ্বর ছাড়া বাকী সবার সব কিছু সাধারণ মানের। ঈশ্বরের সঙ্গে যুক্ত ও ঈশ্বরে বিলীন হ'য়ে যাওয়া মহাত্মা ছাড়া আর কারও পক্ষে এই অনুভূতি সম্ভব না। আর সম্ভব ভুক্তভোগীর! সাপের ছোবল যে খায়নি সে বুঝবে কি ক'রে সাপের বিষের অসহ্য যন্ত্রণাময় জ্বালা!?
আর সন্তান যদি ছেলের জায়গায় মেয়ে হয় আর মেয়ের মা মারা যায় তাহ'লে মেয়েকে নিয়ে বাবার যে কি কঠিন বিড়ম্বনা যতদিন না মেয়ের বিয়ে হ'য়ে মেয়ে স্বামীর বাড়ি চ'লে যাচ্ছে ততদিন পর্যন্ত ভুক্তভোগী বাবা ছাড়া আর কারও পক্ষে বোঝা সম্ভব নয়। আর শুধু মা হারা মেয়ের ভবিষ্যৎ জীবন নিশ্চিত নষ্ট হ;য়ে যাবে সতীনের হাতে পড়ে এই কথা ভেবে ভেবে দায়িত্বজ্ঞানসম্পন্ন বহু বাবাও বাকী জীবন কাটিয়ে দিয়েছে একা, একা; আর বিয়েই করেননি!!!! 'ছেলেরা বিয়ে না ক'রে থাকতে পারে না' কথাটা সম্পূর্ণ বায়াসড কথা। একজন বাবা বাবা ও মা দুটোই হতে পারে এমন বহু নজীর আছে।
যাই হ'ক তবুও বলি মায়ের স্থান মায়ের আর বাবার স্থান বাবার তবুও পরিস্থিতি- পরিবেশ অনুযায়ী কখনো কখনো মা-বাবা উভয়কেই দুটো ভূমিকায় পালন করতে হয়। তাই কেউ ছোট ও কেউ বড় নয়। বাবা বাবাই আর মা মা-ই-ই!!!!!!!!!! সবাই সবার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ও সবাই সমান।
(লেখা ২৭শে জানুয়ারী' ২০১৮)
No comments:
Post a Comment