একটা কথা না লিখে আর পারলাম না; একজন কবির কবিতায় কেন বারবার ফিরে ফিরে আসে নারীর ঠোঁট, স্তন, সঙ্গম, কটিদেশ!? নারীর শরীর তার কবিতার একমাত্র বিষয়বস্তু!? এছাড়া কি কবিতার জন্ম হয় না!? কবিতা লিখতে গেলেই নারীর চোখ, মুখ, গ্রীবা, কুচ, কুচাগ্র, নাভি, কটিতট, জঙ্ঘা, নিতম্ব যত সব অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কবির কলমে শব্দ হ'য়ে ঝরে পড়ে!! আর সে কবিতা হ'য়ে ওঠে নান্দনিক, দার্শনিক!!!!! এইসব নারী শরীরের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ নাকি উচ্চমার্গের দ্ব্যর্থ প্রয়োগ। যার যেমনি রুচি তার নাকি তেমনি অর্থ বোধ! নব্য কবি অন্তরাত্মার এই কি আদেশ! তাই মনে প্রশ্ন জাগে বারবার, কবিতা তুমি কার? শুদ্ধ বুদ্ধ আত্মা নাকি বিকৃত অন্তরাত্মার? তুমি স্বর্গের নাকি নরকের দ্বার? কবি মনে করে কবিতা মানেই নারী; তাই নারীর নাম হয় কবিতা! তাহ'লে এইজন্যই বোধহয় বলে নারী নরকের দ্বার! যেহেতু কবিতা আর নারী নামের এপিঠ ওপিঠ ও সমার্থক আর কবিতা শব্দে আছে 'তা' বাদ দিয়ে কবি তাই কবির আছে পুরো অধিকার কবিতার শরীরে। তাই কবি দিয়ে যায় 'তা' নারীর শরীরে বারেবারে উষ্ণতার তরে বিরামহীন নিজের অগোচরে।
(লেখা ২৩শে জানুয়ারী' ২০১৮)
No comments:
Post a Comment