২৩শে জানুয়ারি'১৯ বুধবার নেতাজি স্মরণে গোপালকৃষ্ণ গান্ধী বক্তব্য রাখতে গিয়ে অনেক কথা মাঝে রাজনীতি নিয়ে বলতে গিয়ে বললেন, "রাজনীতি আজ কলুষিত।" অর্থাৎ তিনি যেটা বলতে চেয়েছেন সেটা যদি সবার বোঝার সুবিধার জন্য বিশ্লেষণ করা যায় তার অর্থ দাঁড়ায় রাজনীতি আজ পাপে ভরে গ্যাছে, মলিন অর্থাৎ অপরিচ্ছন্ন হ'য়ে গ্যাছে, হাজার দোষে দূষিত হ'য়ে গ্যাছে রাজনীতি আজ, এত মল জমেছে রাজনীতির পেটে যে দুর্গন্ধে ভরে উঠেছে আকাশ বাতাস ফলে বাতাস থেকে লুপ্ত হ'য়ে যাচ্ছে অক্সিজেন, দোষ স্বঘোষে প্রকাশ্যে রাজনীতির মঞ্চে জানান দিচ্ছে, সে রাজনীতির মহামূল্যবান রত্নহার!
'রাজনীতি আজ কলুষিত' বলতে গোপালকৃষ্ণ গান্ধী যেটা বলতে চেয়েছেন তা বিশ্লেষণ করলে 'কলুষিত' শব্দের পরতে পরতে উপরে উল্লিখিত বক্তব্য লুকিয়ে রয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন জাগে মনে আজ এতদিন পরে জীবন সায়াহ্নে গোপালকৃষ্ণ গান্ধীর কেন মনে হ'লো, 'রাজনীতি কলুষিত'!? এতদিন কি কলুষিত ছিল না? নিষ্কলুষ ছিল?
না, তা ছিল না। তাহ'লে তিনি কি বলতে চেয়েছিলেন? কেন বললেন এ কথা? এত দেরীতে তাঁর বোধোদয় হ'লো কেন!?
রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন, "চারিদিকে নাগিনীরা ফেলিতেছে বিষাক্ত নিশ্বাস।"
নেতাজি বলেছিলেন, "স্বাধীনতার পর দেশ ১০বছর কঠোর মিলিটারি শাসনে রাখতে হবে।"
কেন বলেছিলেন এই কথা তাঁরা?
কেন দেশবন্ধু তাঁর গুরুদেব শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রকে বলেছিলেন, "একজন কাউকে পাই না যার উপর সব ভার দিয়ে আমি দু'দিনের জন্য আপনার সান্নিধ্যে সময় কাটিয়ে যাবো। যদি পাই হয় সে সব ওলটপালট ক'রে দেয় নইলে বিশ্বাসঘাতকতা করে।"
আরো অনেক উক্তি তুলে ধরা যেতে পারে। তাহ'লে কি গোপালকৃষ্ণ গান্ধী জানতেন না এইসব? আসলে ব্যাপারটা তা নয়। তার বলার মধ্যে ছিল একটা প্রচ্ছন্ন হতাশা, বিরক্তি ও বিশ্বাস ভাঙার কষ্ট। তিনি জানতেন সব; জানতেন একটা ভয়ঙ্কর অবিশ্বাস, বেইমানি, অকৃতজ্ঞতা, নেমকহারামী, অযোগ্যতা ও অদক্ষতার আবহাওয়ার মধ্যে দিয়ে চলেছে সময়। তবুও হয়তো এই ঘোর অন্ধকারের মধ্যেও কারও কারও ওপরে হয়তো একটুখানি হ'লেও বিশ্বাস রেখেছিলেন, ছিল নির্ভরতা কোনও কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের ওপর। আর সেই শেষসম্বল ছিটেফোঁটা বিশ্বাসের নির্মম মৃত্যু ঘটায় তিনি ভিতরের কষ্ট, হতাশাকে উগড়ে দিয়েছিলেন নেতাজির জন্মদিবসে নেতাজির আপোষহীন লৌহ ব্যক্তিত্বের অকপট চরিত্রের কথা স্মরণ ক'রে।
আসলে 'রাজনীতি কলুষিত'এই কথা বলার পিছনে কারণ একটাই, 'বহুত গাদ্দা! গাদ্দা বহুত!! ট্যাঙ্কি সাফ হবার নয়!!!' অতীতেও ছিল পচা দুর্গন্ধময় গাদ্দা, বর্তমানেও তাই আর ভবিষ্যতেও তাই -ই থাকবে, হবে আরও ভয়াবহ গাদ্দা যার পরিণতি মহাপ্রলয়! কিন্তু তখন অর্থাৎ অতীতে গোবরে পদ্মফুলের মত পচা দুর্গন্ধময় গাদ্দা মাঝে সুগন্ধী ফুলের মত রবীন্দ্রনাথ ছিলেন, বিবেকানন্দ ছিলেন, অরবিন্দ ছিলেন, ছিলেন নেতাজি, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন, আম্বেদকর, ছিলেন শ্যামাপ্রসাদ, ছিলেন নজরুল, বিদ্যাসাগর, রাজা রামমোহন ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি সুন্দর ফুলেরা!!!!!
আর এখন? সবক্ষেত্রেই এক মহা শূন্যতা!
তাই বিচক্ষণ ব্যক্তিত্ব গোপালকৃষ্ণ গান্ধী 'রাজনীতি আজ কলুষিত' বলার মধ্যে দিয়ে ভয়ঙ্কর ভবিষ্যতের ইঙ্গিত দিয়ে গেলেন!
ক্রমশঃ।
'রাজনীতি আজ কলুষিত' বলতে গোপালকৃষ্ণ গান্ধী যেটা বলতে চেয়েছেন তা বিশ্লেষণ করলে 'কলুষিত' শব্দের পরতে পরতে উপরে উল্লিখিত বক্তব্য লুকিয়ে রয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন জাগে মনে আজ এতদিন পরে জীবন সায়াহ্নে গোপালকৃষ্ণ গান্ধীর কেন মনে হ'লো, 'রাজনীতি কলুষিত'!? এতদিন কি কলুষিত ছিল না? নিষ্কলুষ ছিল?
না, তা ছিল না। তাহ'লে তিনি কি বলতে চেয়েছিলেন? কেন বললেন এ কথা? এত দেরীতে তাঁর বোধোদয় হ'লো কেন!?
রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন, "চারিদিকে নাগিনীরা ফেলিতেছে বিষাক্ত নিশ্বাস।"
নেতাজি বলেছিলেন, "স্বাধীনতার পর দেশ ১০বছর কঠোর মিলিটারি শাসনে রাখতে হবে।"
কেন বলেছিলেন এই কথা তাঁরা?
কেন দেশবন্ধু তাঁর গুরুদেব শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রকে বলেছিলেন, "একজন কাউকে পাই না যার উপর সব ভার দিয়ে আমি দু'দিনের জন্য আপনার সান্নিধ্যে সময় কাটিয়ে যাবো। যদি পাই হয় সে সব ওলটপালট ক'রে দেয় নইলে বিশ্বাসঘাতকতা করে।"
আরো অনেক উক্তি তুলে ধরা যেতে পারে। তাহ'লে কি গোপালকৃষ্ণ গান্ধী জানতেন না এইসব? আসলে ব্যাপারটা তা নয়। তার বলার মধ্যে ছিল একটা প্রচ্ছন্ন হতাশা, বিরক্তি ও বিশ্বাস ভাঙার কষ্ট। তিনি জানতেন সব; জানতেন একটা ভয়ঙ্কর অবিশ্বাস, বেইমানি, অকৃতজ্ঞতা, নেমকহারামী, অযোগ্যতা ও অদক্ষতার আবহাওয়ার মধ্যে দিয়ে চলেছে সময়। তবুও হয়তো এই ঘোর অন্ধকারের মধ্যেও কারও কারও ওপরে হয়তো একটুখানি হ'লেও বিশ্বাস রেখেছিলেন, ছিল নির্ভরতা কোনও কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের ওপর। আর সেই শেষসম্বল ছিটেফোঁটা বিশ্বাসের নির্মম মৃত্যু ঘটায় তিনি ভিতরের কষ্ট, হতাশাকে উগড়ে দিয়েছিলেন নেতাজির জন্মদিবসে নেতাজির আপোষহীন লৌহ ব্যক্তিত্বের অকপট চরিত্রের কথা স্মরণ ক'রে।
আসলে 'রাজনীতি কলুষিত'এই কথা বলার পিছনে কারণ একটাই, 'বহুত গাদ্দা! গাদ্দা বহুত!! ট্যাঙ্কি সাফ হবার নয়!!!' অতীতেও ছিল পচা দুর্গন্ধময় গাদ্দা, বর্তমানেও তাই আর ভবিষ্যতেও তাই -ই থাকবে, হবে আরও ভয়াবহ গাদ্দা যার পরিণতি মহাপ্রলয়! কিন্তু তখন অর্থাৎ অতীতে গোবরে পদ্মফুলের মত পচা দুর্গন্ধময় গাদ্দা মাঝে সুগন্ধী ফুলের মত রবীন্দ্রনাথ ছিলেন, বিবেকানন্দ ছিলেন, অরবিন্দ ছিলেন, ছিলেন নেতাজি, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন, আম্বেদকর, ছিলেন শ্যামাপ্রসাদ, ছিলেন নজরুল, বিদ্যাসাগর, রাজা রামমোহন ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি সুন্দর ফুলেরা!!!!!
আর এখন? সবক্ষেত্রেই এক মহা শূন্যতা!
তাই বিচক্ষণ ব্যক্তিত্ব গোপালকৃষ্ণ গান্ধী 'রাজনীতি আজ কলুষিত' বলার মধ্যে দিয়ে ভয়ঙ্কর ভবিষ্যতের ইঙ্গিত দিয়ে গেলেন!
ক্রমশঃ।
(লেখা ২৪শে জানুয়ারী' ২০১৯)
No comments:
Post a Comment