Powered By Blogger

Thursday, January 19, 2023

উপলব্ধিঃ ১১

প্রায়ই শুনি, কানে আসে, কাগজে দেখতে পাই যেকোনও অসামাজিক ঘটনায় সমাজতাত্ত্বিক, মনস্তাত্ত্বিক, প্রশাসনিক বিশ্লেষণ মুখী আলোচনায় উঠে আসে একটাই কথা বারবার হাজারবার 'সামাজিক সচেতনতার অভাব'। সামাজিকভাবে সচেতন হওয়ার শিক্ষা নাকি দেওয়া হচ্ছে না আর হ'লেও তা' বৃহত্তর সমাজে পর্যাপ্ত নয়। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, সামাজিকভাবে সচেতন হওয়ার শিক্ষা এবং পর্যাপ্ত শিখাটা কি? এছাড়া এও বলা হ'য়ে থাকে বিভিন্ন জ্ঞানীগুণীর আলোচনা সভায় যে সমস্যা মোকাবিলায় দেশে কঠোর, জোরালো ও স্বচ্ছ আইন তৈরি করা দরকার। দেশে তো অনেক আইন আছে, তৈরি হয়েছে এবং প্রতিনিয়ত হচ্ছে। কিন্তু আইনগুলি কি দেশের অসহায় মানুষের পক্ষে যাচ্ছে!? নাকি, সবই ক্ষমতা সর্বস্ব মানুষের ড্রইং রুমের শোভা বর্ধনের জন্য!?
এছাড়া আরও একটি বিষয় আজ শিরঃপীড়ার নাকি কারণ হ'য়ে দাঁড়িয়েছে সরকারের কাছে।। তাহ'লো জন্মসংখ্যা বৃদ্ধি। সংখ্যাবৃদ্ধি নাকি দেশের পক্ষে ভয়াবহ ভয়ের কারণ হ'য়ে দাঁড়িয়েছে। তাই আজ আর দেরী করার সময় নেই, অনেক দেরী হ'য়ে গেছে, মানুষ আজ আর শুনবে না নয় শুনতেই চায় না তাই নাকি আইন প্রয়োগ করেই কঠোর হাতে জন্মসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। যত্তসব বকোয়াস!!!!!! আর, জন্ম নিয়ন্ত্রণে বল প্রয়োগ!!!!!!! আইন দিয়ে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ!? করা যাবে!? সরকারের ডান্ডার ভয়ে এ তো অবৈধ সন্তান জন্ম এবং তাকে রাতের অন্ধকারে রাস্তার ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়ার সংস্কৃতির ঢালাও ছাড়পত্র!!!!! এ কেমনতর মস্তিষ্ক প্রসূত শিক্ষা!? শিক্ষা দেবার উপযুক্ত কাঠামো তৈরিতে নাকি দেরী হ'য়ে গেছে। কে দেরী করলো? কেন দেরী হ'লো? আর কাঠামোই বা কে তৈরি করবে? কে সে যে কঠোর হাতে জন্ম নিয়ন্ত্রণ করবে!? কঠোর হাত!? কার কঠোর হাত!? সমস্যার সমাধান কে দেবে? কার জানা আছে? এ তো বজ্র আটুনি ফস্কা গেরো। স্বপারিপার্শিক মানুষের বেঁচে থাকা ও বেড়ে ওঠার জন্য আজ পর্যন্ত কোন সিদ্ধান্তটা ত্রুটিহীন সিদ্ধান্ত হিসাবে গ্রহণ করতে পেরেছে দেশের শাসক বা বুদ্ধিজীবী গোষ্ঠী? দেরী কি শুধু এই ক্ষেত্রে হয়েছে? দেরী তো জীবনের সব ক্ষেত্রেই হয়ে গেছে ও হ'য়ে চলেছে বন্ধু!!!!! বহুত গাদ্দা বাবু! বহুত গাদ্দা!!!!!!! ধ্বংস ছাড়া সাফ হবার নয়।
(লেখা ১৯শে জানুয়ারী'২০১৮)

No comments:

Post a Comment