২৬শে জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবস। আজকের দিনেই নাকি ‘স্বাধীন’ হয়েছিল দেশ, তাই ধর্মতলায় প্রজাতন্ত্র দিবসে এই দিনটাকে স্মরণ করে মানুষ নাকি আনন্দ করছেন, বকশিস দিচ্ছেন শিল্পীকে। বাংলার বুকে বিহারী সংস্কৃতির উত্থান! ধর্মতলায় প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে চটুল নাচ। প্রকাশ্যেই উড়ল টাকা। এই নিয়ে মিডিয়ায় তোলপাড়। আমরা পন্ডিতরা কেন যে ভুলে যাই 'নানা ভাষা,নানা মত,নানা পরিধান, বিবিধের মাঝে দেখ মিলন মহান' কথাটা, তা' বুঝতে পারি না। একটা সংস্কৃতির সঙ্গে আর একটা সংস্কৃতির মেলবন্ধন ঘটাচ্ছে আজকের যুব সমাজ, আজকের প্রজন্ম, আজকের নেতৃত্ব এতে কি বিরাট মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে গেল এটাও এই ছোট্ট মাথায় ঢুকছে না! মাল খাওয়ার জন্য হাঙ্গামার বিপক্ষে আর মাল খাওয়ার স্বপক্ষে গুলাম আলী সাহেবের মায়াবী গজলের সওয়াল "হাঙ্গামা হ্যায় কিউ বারপা, থোড়ি সি যো পি-ই লি হ্যায়..." আর গানের সঙ্গে সঙ্গে এলিটদের বিজ্ঞতার পরশ ছোঁয়ানো মাথা দোলানো যদি উচ্চ মার্গের সংস্কৃতি হয়ে থাকে তাহলে আজকের প্রজন্মের, আজকের যুব সমাজের, আজকের উঠতি তুর্কি নেতৃত্বের 'থোড়ি সি যো নাচ লি হ্যায়' অপরাধ কেন? কেন অপসংস্কৃতি? কেন চটুল নাচ? কেন গেল গেল রব? বুঝলাম না। বুঝিয়ে দেবেন কেউ। আমরা যেন ভুলে না যায়, বাংলার 'বাবু কালচার' আর ''মহাজ্ঞানী মহাজন যে পথে করে গমন...' মহা মূল্যবান কথাটা।
No comments:
Post a Comment