হে কুৎসাকারী! আপনার একটা ভিডিও দেখলাম। শ্রীশ্রীআচার্যদেবকে নিয়ে আপনি স্বঘোষিত হিন্দুধর্মের রক্ষক ও প্রভু রামচন্দ্রের কলিযুগের ভক্ত বাঁদর হ'য়ে বাঁদরের যে বাঁদরামি করেছেন তা' দেখলাম। দেখলাম আচার্যদেবের উদ্দেশ্যে আপনার দাঁত খেঁচান ভঙ্গি, অসভ্য অভদ্র আচরণ ও সম্বোধন। আর দেখলাম তার উত্তরে পক্ষে-বিপক্ষে সমর্থন-অসমর্থনের প্রতিক্রিয়া।
তারপর ফোন ক'রে, ইনবক্সে, হোয়াটস্ আপে অনেকে অনুরোধ করায় আপনার ভিডিওতে কমেন্ট করেছিলাম এবং এই প্রসঙ্গে এখানেও এই লেখা লিখলাম।
প্রথমে সৎসঙ্গীদের বলি,
যিনি বা যারা আচার্যদেবের বিরুদ্ধে ইউ টিউবে কুৎসা করেছেন তিনি বা তারা যেমন অদীক্ষিত কুৎসাকারী আছেন; ঠিক তেমনি 'সৎসঙ্গ'-এর বিরুদ্ধ সৎসঙ্গীরাও (?) আছেন।
যাই হ'ক, সৎসঙ্গীরা যারা ইউ টিউবের সেই ভিডিওতে কমেন্ট করছেন তাদের মধ্যে অনেককেই দেখছি উদারতার একটা পোজ নিয়ে কুৎসাকারীকে কুৎসা না করার, না জেনে বাবাইদাদার বিরুদ্ধে কিছু না বলার কাতর অনুরোধ করছেন। সৎসঙ্গীরা কুৎসাকারীকে সমস্ত তথ্য নিয়ে বলার জন্য অনুরোধ করছেন সঙ্গে এও বলছেন যদি কষ্ট দিয়ে থাকি, দুঃখ দিয়ে থাকি তাহ'লে ক্ষমা ক'রে দেবার জন্য। এমনই এরা উদার বড় মনের সৎসঙ্গী যে কোনও রকম মন্তব্যের মধ্যে দুঃখ কষ্ট না দিয়েও ক্ষমা প্রার্থনা করছে। আবার কেউ কেউ যীশুর উক্তি তুলে ধ'রে বলছেন, এরা জানে না এরা কি করছে। একেবারে প্রায় যীশু হ'য়ে গিয়ে কুৎসাকারীকে আশ্রমে আমন্ত্রণ জানিয়ে বলছেন, তুমি আশ্রমে এসো, বাবাইদাদার সাথে কথা বলো, দেখবে বাবাইদাদা তোমাকে ভালোবাসবে, স্নেহ করবে। কেউ কেউ তাকে প্রথমে প্রণাম ও শেষে নমস্কার জানিয়ে বাবাইদাদার পুরো ভিডিও শোনার জন্য কাতর অনুরোধ করছে! মোদ্দা কথা একেবারে চরম ভালোমানুষ হ'য়ে ঠাকুরের পরম ভক্তের মতন তাকে তোয়াজ করছে। মনে হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী উৎকৃষ্ট মানুষটিকে সত্য মিথ্যা বোঝাতে সৎসঙ্গীদের মধ্যে প্রতিযোগীতা লেগে গেছে।
কিন্তু অবাক হ'তে হয় দেখে যে, একবারও ইউ টিউবে কুৎসাকারীর অসম্মানজনক উক্তি, বাবাইদাদাকে অশ্রদ্ধাভরে সম্বোধন, কটুক্তি, বাবাইদাদার কথার উদ্দেশ্যপূর্ণ বিকৃত ব্যাখ্যা, চরিত্র হনন সত্ত্বেও এর বিরুদ্ধে এইসমস্ত সৎসঙ্গীদের বুকের ভেতরে ঝড় ওঠে না, রাগ হয় না, বুকের ভেতরের ঘুমিয়ে থাকা পরাক্রমের বাঘটা একবারের জন্য জেগে ওঠে না।
এমনই এরা নিজেরাই এক একজন জীবন্ত ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র। এত এদের প্রেম। যে প্রেম যীশুকে ক্রূশবিদ্ধ হ'তে সাহায্য করেছিল। যে প্রেম প্রভু যীশুর ওপর নির্ম্মমভাবে ভয়ঙ্কর যন্ত্রণাদায়ক অত্যাচার হ'তে দেখেও ভক্তমন্ডলীদের মধ্যে আগ্নেয়গিরির ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ হ'তে দেখা যায়নি। এমনই এদের ভন্ডপ্রেম। সেই ধারা চলে আসছে যুগ যুগ ধ'রে। কুৎসাকারী যখন আমার প্রভু সম্পর্কে কুৎসা করতে দ্বিধা করে না, আমার প্রিয়পরমকে অশ্রদ্ধাভরে অশ্লীল ভঙ্গিতে সম্বোধন করতে, কাপড় টেনে খুলে ল্যাংটা করতে দু'বার ভাবে না তাকে কোলে বসিয়ে আদর!? নিজের বাড়ির লোকের প্রতি এমন আচরণ করেন তো এই সৎসঙ্গীরা? এত এদের সহ্যশক্তি? নাকি দুর্বল হৃদয়ের বহির্প্রকাশ? এর থেকে হিজড়েদেরও পরাক্রম ভয়ঙ্কর রকমের হয় আত্মরক্ষার্থে! কিসের জন্য এদের তোয়াজ? এখানে এত কমেন্টের মধ্যে দিয়ে নপুংশকের মতো অনুরোধের ঝড় কেন?
অথচ কই যখন ঠাকুরকে নিয়ে, শ্রীশ্রীবড়দাকে নিয়ে, শ্রীশ্রীদাদাকে নিয়ে, শ্রীশ্রীআচার্যদেব বাবাইদাদাকে নিয়ে, শ্রীশ্রীঅবিনদাদাকে নিয়ে ঘৃণ্য প্রচারের বিরুদ্ধে কোনও লেখা লিখি তখন তো দেখি না কোনও কমেন্ট করতে এগিয়ে আসতে এদের? শুধু তখন বালখিল্য জয়গুরু আর জয়গুরু; জয়গুরু আর জয়গুরু।
এখানেও কমেন্ট করতে কেউ এগিয়ে আসবে না দু'একজন ছাড়া। শেয়ারও হবে না একটাও। অথচ সৎসঙ্গের বিরুদ্ধে, আচার্যদেবের বিরুদ্ধে ভিডিও ক'রে প্রচারে এখনও পর্যন্ত লাইক, লাভ সাইন করেছে 8.9k, কমেন্ট করেছে 2.5k, শেয়ার করেছে 1.6k সৎসঙ্গ বিরোধীরা। আর সৎসঙ্গীরা পা ধ'রে তোয়াজ করতে বসে গেছে কুৎসাকারীকে সত্যমিথ্যা বোঝাতে। পাল্টা না নিজেরা কোনও প্রতিবাদ করবে, না কোনও শেয়ার ক'রে ছড়িয়ে দেবে এই লেখা। আমার লেখা ব'লে বলছি না। বুকের ভেতরের কষ্টটাকে আর অপ্রিয় সত্যটা শুধু তুলে ধরলাম।
আচ্ছা, ঠাকুর কি আমাদের এমনই নপুংসক সৎসঙ্গী তৈরী করতে চেয়েছিলেন? একটা মিনিমাম প্রতিবাদ থাকবে না? পরাক্রমের 'প' থাকবে না? এই ভিডিও লাইক করেছে এখনও এই লেখা পর্যন্ত 8.9k, কমেন্ট করেছে 2.5k, শেয়ার করেছে 1.6k আর লক্ষ লক্ষ বাঙ্গালী সৎসঙ্গীর মধ্যে ক'জন কমেন্ট করেছে? হাতে গোনা কয়েকজন। তার মধ্যে বেশীরভাগের কমেন্টে কুৎসাকারীর প্রতি অনুরোধের, ভালোবাসার, উদারতার বরফ গলে একেবারে ঝর্ণা হ'য়ে ঝ'রে পড়ছে, ভেসে যাচ্ছে। আর এর ভিডিও ঝড়ের বেগে ছড়িয়ে পড়ছে দিকে দিকে। আর উদারতার ধ্বজাধারী সৎসঙ্গীরা 'আমার গায়ে আঁচ না লাগে ফুরিয়ে যাবে মামলা' মানসিকতা নিয়ে 'পিঠ পুড়ে যাচ্ছে ফিরে শো' কথাটুকুও বলতে আলস্য বোধ করছে, বলছে 'পিপুপিসু!' এমনই আশ্চর্য সৎসঙ্গী নামক জীব এরা! যাক এদের নিয়ে যত কম কথা বলা যায় ততই মঙ্গল।
আমি কুৎসাকারীর উদ্দেশ্যে বলতে চাই,
হে কুৎসাকারী!
যার সম্বন্ধে আপনি কথাগুলি বলেছেন সেই আপনি আশ্চর্য জীব একবার আয়নায় নিজের চেহারাটা দেখুন। আর বাবাইদাদার চেহারাটা দেখুন। আপনি আপনার জীবন কিভাবে চালান, সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কিভাবে চলেন, কতটা আপনার কৃষ্টি সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত জীবন, কতটা অধ্যয়ন ও অধ্যাপনা করেন ব্যক্তি জীবনে, কতটা আপনি স্বঘোষিত হিন্দু ধর্ম ও রামচন্দ্রের পৈতৃক সম্পত্তির উত্তরাধিকারী তা আপনি ভালোভাবেই জানেন। তবে 'পহেলে দর্শনধারী, পিছে গুণ বিচারী' তত্ত্বে প্রথমটা দিয়ে এক নজরে আপনাকে বিচার করা যায়। আপনি সৎসঙ্গের কোটি কোটি সৎসঙ্গীর আচার্যদেব শ্রশ্রীবাবাইদাদার পায়ের নখের যোগ্য না--এই কথাটা বললেও তাঁর পায়ের ঐ সুন্দর ঝকঝকে নখও অপমান বোধ করবে, প্রতিবাদে গর্জে উঠবে। শ্রীশ্রীবাবাইদাদার কথা ছেড়ে দিন, সৎসঙ্গের ইষ্টপ্রাণ ভক্তদের পায়ের দিকে তাকিয়ে দেখবেন। তাদের পায়ের নখ এত সুন্দর যে সেই নখের যোগ্যও আপনি নন। সেই আপনি 'কাল কা যোগী ভাত কে বলে অন্ন' শ্রীশ্রীবাবাইদাদার ভুল ধরতে বসেছেন, করতে বসেছেন মূল্যায়ণ।
আপনি ইউ টিউবকে হাতিয়ার ক'রে নিয়েছেন ঠাকুরের, আচার্যদেবের ও সৎসঙ্গের কুৎসা ক'রে টাকা কামাবার জন্য। সৎসঙ্গের বিশাল প্ল্যাটফর্মকে বেছে নিয়েছেন সস্তায় প্রচার লাভের জন্য। আর ভাবছেন আপনার বালখিল্য বক্তব্যে আপনি বাজিমাত করবেন। তাই মদ্যপের মতো নেশাগ্রস্থের মতো তাল জ্ঞান হারিয়ে যা নয় তাই পাগলের প্রলাপ ব'কে চলেছেন। মনে রাখবেন, আপনি বাবাইদাদাকে কর্মফল ভোগের কথা বলেছেন। সে নাহয় দেখা যাবে। আপনার শেষের সেদিন ভয়ঙ্কর। আপনি সৎসঙ্গ কে বলেছেন অসৎসঙ্গ, জয়গুরু কে বলেছেন ভয়গুরু। অপেক্ষায় থাকুন আপনার ও আপনার পরিবারের শেষের সেদিন অসৎসঙ্গের ভিড়ে ভয়গুরু কতটা ভয়াল হ'য়ে নেবে আসছে।
শুনুন তবে বলি, আপনি তো রামচন্দ্রের বালখিল্য একজন স্বঘোষিত ভক্ত,
একবার ভক্তপ্রাণ শ্রীশ্রীহনুমানজীর লঙ্কা বিরোধী ভয়াল পরাক্রম দেখে স্বয়ং রামচন্দ্র ভয় পেয়ে হনুমানকে শান্ত হ'তে অনুরোধ করেছিল। তখন ভক্তপ্রাণ হনুমান প্রভু রামচন্দ্রকে বলেছিলেন, হে প্রভু! আপনার সব কথা আমি শুনি, শুনেছি এতদিন আর তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছি। কিন্তু এবার আমাকে আপনি কিছু বলবেন না, আমি এবার আপনার কথা রাখতে পারবো না, আমায় ক্ষমা করবেন। যে দুষ্ট, নোংরা হাত আমার প্রাণপ্রিয়, প্রাণাধিক, নয়নাভিরাম, প্রাণবল্লভ, প্রাণভোমরা, প্রিয়পরম প্রভু রামচন্দ্রের সহধর্ম্মিনী লক্ষ্মীস্বরূপিণী সীতামায়ের কেশ স্পর্শ করেছে, যে আমার প্রভুকে কষ্ট দিয়েছে, যন্ত্রণা দিয়েছে সেই শয়তান নরাধম নরকের কীট লোকের দুষ্ট, নোংরা হাত আমি দেখতে চাই না। স্বর্গ-মর্ত-পাতাল ও দিগন্ত কাঁপিয়ে ভয়ঙ্কর হুঙ্কার দিয়ে হনুমান দুষ্ট রাবণের দু'হাত টেনে ছিঁড়ে ফেলেছিল সেদিন। তারপর শান্ত হ'য়ে হাঁটু গেঁড়ে ব'সে প'ড়ে রামচন্দ্রের পায়ের কাছে কৃত কর্মের জন্য, প্রভুর কথা অমান্য করার জন্য ক্ষমা চেয়েছিল। সেদিন শত অনুরোধেও প্রভুর কথা শোনেনি হনুমান। আর সেই দৃশ্য দেখে স্তম্ভিত প্রভু রামচন্দ্রের দু'চোখ বেয়ে নেবে এসেছিল জলের ধারা। এমনই ছিল হনুমানের ভালোবাসা, প্রেম।
তাই একটা কথা বলি, হে ভন্ড সাধু সাবধান! সমঝদারকে লিয়ে ইশারা কাফি হোতা হ্যাঁয়।
তারপর ফোন ক'রে, ইনবক্সে, হোয়াটস্ আপে অনেকে অনুরোধ করায় আপনার ভিডিওতে কমেন্ট করেছিলাম এবং এই প্রসঙ্গে এখানেও এই লেখা লিখলাম।
প্রথমে সৎসঙ্গীদের বলি,
যিনি বা যারা আচার্যদেবের বিরুদ্ধে ইউ টিউবে কুৎসা করেছেন তিনি বা তারা যেমন অদীক্ষিত কুৎসাকারী আছেন; ঠিক তেমনি 'সৎসঙ্গ'-এর বিরুদ্ধ সৎসঙ্গীরাও (?) আছেন।
যাই হ'ক, সৎসঙ্গীরা যারা ইউ টিউবের সেই ভিডিওতে কমেন্ট করছেন তাদের মধ্যে অনেককেই দেখছি উদারতার একটা পোজ নিয়ে কুৎসাকারীকে কুৎসা না করার, না জেনে বাবাইদাদার বিরুদ্ধে কিছু না বলার কাতর অনুরোধ করছেন। সৎসঙ্গীরা কুৎসাকারীকে সমস্ত তথ্য নিয়ে বলার জন্য অনুরোধ করছেন সঙ্গে এও বলছেন যদি কষ্ট দিয়ে থাকি, দুঃখ দিয়ে থাকি তাহ'লে ক্ষমা ক'রে দেবার জন্য। এমনই এরা উদার বড় মনের সৎসঙ্গী যে কোনও রকম মন্তব্যের মধ্যে দুঃখ কষ্ট না দিয়েও ক্ষমা প্রার্থনা করছে। আবার কেউ কেউ যীশুর উক্তি তুলে ধ'রে বলছেন, এরা জানে না এরা কি করছে। একেবারে প্রায় যীশু হ'য়ে গিয়ে কুৎসাকারীকে আশ্রমে আমন্ত্রণ জানিয়ে বলছেন, তুমি আশ্রমে এসো, বাবাইদাদার সাথে কথা বলো, দেখবে বাবাইদাদা তোমাকে ভালোবাসবে, স্নেহ করবে। কেউ কেউ তাকে প্রথমে প্রণাম ও শেষে নমস্কার জানিয়ে বাবাইদাদার পুরো ভিডিও শোনার জন্য কাতর অনুরোধ করছে! মোদ্দা কথা একেবারে চরম ভালোমানুষ হ'য়ে ঠাকুরের পরম ভক্তের মতন তাকে তোয়াজ করছে। মনে হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী উৎকৃষ্ট মানুষটিকে সত্য মিথ্যা বোঝাতে সৎসঙ্গীদের মধ্যে প্রতিযোগীতা লেগে গেছে।
কিন্তু অবাক হ'তে হয় দেখে যে, একবারও ইউ টিউবে কুৎসাকারীর অসম্মানজনক উক্তি, বাবাইদাদাকে অশ্রদ্ধাভরে সম্বোধন, কটুক্তি, বাবাইদাদার কথার উদ্দেশ্যপূর্ণ বিকৃত ব্যাখ্যা, চরিত্র হনন সত্ত্বেও এর বিরুদ্ধে এইসমস্ত সৎসঙ্গীদের বুকের ভেতরে ঝড় ওঠে না, রাগ হয় না, বুকের ভেতরের ঘুমিয়ে থাকা পরাক্রমের বাঘটা একবারের জন্য জেগে ওঠে না।
এমনই এরা নিজেরাই এক একজন জীবন্ত ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র। এত এদের প্রেম। যে প্রেম যীশুকে ক্রূশবিদ্ধ হ'তে সাহায্য করেছিল। যে প্রেম প্রভু যীশুর ওপর নির্ম্মমভাবে ভয়ঙ্কর যন্ত্রণাদায়ক অত্যাচার হ'তে দেখেও ভক্তমন্ডলীদের মধ্যে আগ্নেয়গিরির ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ হ'তে দেখা যায়নি। এমনই এদের ভন্ডপ্রেম। সেই ধারা চলে আসছে যুগ যুগ ধ'রে। কুৎসাকারী যখন আমার প্রভু সম্পর্কে কুৎসা করতে দ্বিধা করে না, আমার প্রিয়পরমকে অশ্রদ্ধাভরে অশ্লীল ভঙ্গিতে সম্বোধন করতে, কাপড় টেনে খুলে ল্যাংটা করতে দু'বার ভাবে না তাকে কোলে বসিয়ে আদর!? নিজের বাড়ির লোকের প্রতি এমন আচরণ করেন তো এই সৎসঙ্গীরা? এত এদের সহ্যশক্তি? নাকি দুর্বল হৃদয়ের বহির্প্রকাশ? এর থেকে হিজড়েদেরও পরাক্রম ভয়ঙ্কর রকমের হয় আত্মরক্ষার্থে! কিসের জন্য এদের তোয়াজ? এখানে এত কমেন্টের মধ্যে দিয়ে নপুংশকের মতো অনুরোধের ঝড় কেন?
অথচ কই যখন ঠাকুরকে নিয়ে, শ্রীশ্রীবড়দাকে নিয়ে, শ্রীশ্রীদাদাকে নিয়ে, শ্রীশ্রীআচার্যদেব বাবাইদাদাকে নিয়ে, শ্রীশ্রীঅবিনদাদাকে নিয়ে ঘৃণ্য প্রচারের বিরুদ্ধে কোনও লেখা লিখি তখন তো দেখি না কোনও কমেন্ট করতে এগিয়ে আসতে এদের? শুধু তখন বালখিল্য জয়গুরু আর জয়গুরু; জয়গুরু আর জয়গুরু।
এখানেও কমেন্ট করতে কেউ এগিয়ে আসবে না দু'একজন ছাড়া। শেয়ারও হবে না একটাও। অথচ সৎসঙ্গের বিরুদ্ধে, আচার্যদেবের বিরুদ্ধে ভিডিও ক'রে প্রচারে এখনও পর্যন্ত লাইক, লাভ সাইন করেছে 8.9k, কমেন্ট করেছে 2.5k, শেয়ার করেছে 1.6k সৎসঙ্গ বিরোধীরা। আর সৎসঙ্গীরা পা ধ'রে তোয়াজ করতে বসে গেছে কুৎসাকারীকে সত্যমিথ্যা বোঝাতে। পাল্টা না নিজেরা কোনও প্রতিবাদ করবে, না কোনও শেয়ার ক'রে ছড়িয়ে দেবে এই লেখা। আমার লেখা ব'লে বলছি না। বুকের ভেতরের কষ্টটাকে আর অপ্রিয় সত্যটা শুধু তুলে ধরলাম।
আচ্ছা, ঠাকুর কি আমাদের এমনই নপুংসক সৎসঙ্গী তৈরী করতে চেয়েছিলেন? একটা মিনিমাম প্রতিবাদ থাকবে না? পরাক্রমের 'প' থাকবে না? এই ভিডিও লাইক করেছে এখনও এই লেখা পর্যন্ত 8.9k, কমেন্ট করেছে 2.5k, শেয়ার করেছে 1.6k আর লক্ষ লক্ষ বাঙ্গালী সৎসঙ্গীর মধ্যে ক'জন কমেন্ট করেছে? হাতে গোনা কয়েকজন। তার মধ্যে বেশীরভাগের কমেন্টে কুৎসাকারীর প্রতি অনুরোধের, ভালোবাসার, উদারতার বরফ গলে একেবারে ঝর্ণা হ'য়ে ঝ'রে পড়ছে, ভেসে যাচ্ছে। আর এর ভিডিও ঝড়ের বেগে ছড়িয়ে পড়ছে দিকে দিকে। আর উদারতার ধ্বজাধারী সৎসঙ্গীরা 'আমার গায়ে আঁচ না লাগে ফুরিয়ে যাবে মামলা' মানসিকতা নিয়ে 'পিঠ পুড়ে যাচ্ছে ফিরে শো' কথাটুকুও বলতে আলস্য বোধ করছে, বলছে 'পিপুপিসু!' এমনই আশ্চর্য সৎসঙ্গী নামক জীব এরা! যাক এদের নিয়ে যত কম কথা বলা যায় ততই মঙ্গল।
আমি কুৎসাকারীর উদ্দেশ্যে বলতে চাই,
হে কুৎসাকারী!
যার সম্বন্ধে আপনি কথাগুলি বলেছেন সেই আপনি আশ্চর্য জীব একবার আয়নায় নিজের চেহারাটা দেখুন। আর বাবাইদাদার চেহারাটা দেখুন। আপনি আপনার জীবন কিভাবে চালান, সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কিভাবে চলেন, কতটা আপনার কৃষ্টি সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত জীবন, কতটা অধ্যয়ন ও অধ্যাপনা করেন ব্যক্তি জীবনে, কতটা আপনি স্বঘোষিত হিন্দু ধর্ম ও রামচন্দ্রের পৈতৃক সম্পত্তির উত্তরাধিকারী তা আপনি ভালোভাবেই জানেন। তবে 'পহেলে দর্শনধারী, পিছে গুণ বিচারী' তত্ত্বে প্রথমটা দিয়ে এক নজরে আপনাকে বিচার করা যায়। আপনি সৎসঙ্গের কোটি কোটি সৎসঙ্গীর আচার্যদেব শ্রশ্রীবাবাইদাদার পায়ের নখের যোগ্য না--এই কথাটা বললেও তাঁর পায়ের ঐ সুন্দর ঝকঝকে নখও অপমান বোধ করবে, প্রতিবাদে গর্জে উঠবে। শ্রীশ্রীবাবাইদাদার কথা ছেড়ে দিন, সৎসঙ্গের ইষ্টপ্রাণ ভক্তদের পায়ের দিকে তাকিয়ে দেখবেন। তাদের পায়ের নখ এত সুন্দর যে সেই নখের যোগ্যও আপনি নন। সেই আপনি 'কাল কা যোগী ভাত কে বলে অন্ন' শ্রীশ্রীবাবাইদাদার ভুল ধরতে বসেছেন, করতে বসেছেন মূল্যায়ণ।
আপনি ইউ টিউবকে হাতিয়ার ক'রে নিয়েছেন ঠাকুরের, আচার্যদেবের ও সৎসঙ্গের কুৎসা ক'রে টাকা কামাবার জন্য। সৎসঙ্গের বিশাল প্ল্যাটফর্মকে বেছে নিয়েছেন সস্তায় প্রচার লাভের জন্য। আর ভাবছেন আপনার বালখিল্য বক্তব্যে আপনি বাজিমাত করবেন। তাই মদ্যপের মতো নেশাগ্রস্থের মতো তাল জ্ঞান হারিয়ে যা নয় তাই পাগলের প্রলাপ ব'কে চলেছেন। মনে রাখবেন, আপনি বাবাইদাদাকে কর্মফল ভোগের কথা বলেছেন। সে নাহয় দেখা যাবে। আপনার শেষের সেদিন ভয়ঙ্কর। আপনি সৎসঙ্গ কে বলেছেন অসৎসঙ্গ, জয়গুরু কে বলেছেন ভয়গুরু। অপেক্ষায় থাকুন আপনার ও আপনার পরিবারের শেষের সেদিন অসৎসঙ্গের ভিড়ে ভয়গুরু কতটা ভয়াল হ'য়ে নেবে আসছে।
শুনুন তবে বলি, আপনি তো রামচন্দ্রের বালখিল্য একজন স্বঘোষিত ভক্ত,
একবার ভক্তপ্রাণ শ্রীশ্রীহনুমানজীর লঙ্কা বিরোধী ভয়াল পরাক্রম দেখে স্বয়ং রামচন্দ্র ভয় পেয়ে হনুমানকে শান্ত হ'তে অনুরোধ করেছিল। তখন ভক্তপ্রাণ হনুমান প্রভু রামচন্দ্রকে বলেছিলেন, হে প্রভু! আপনার সব কথা আমি শুনি, শুনেছি এতদিন আর তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছি। কিন্তু এবার আমাকে আপনি কিছু বলবেন না, আমি এবার আপনার কথা রাখতে পারবো না, আমায় ক্ষমা করবেন। যে দুষ্ট, নোংরা হাত আমার প্রাণপ্রিয়, প্রাণাধিক, নয়নাভিরাম, প্রাণবল্লভ, প্রাণভোমরা, প্রিয়পরম প্রভু রামচন্দ্রের সহধর্ম্মিনী লক্ষ্মীস্বরূপিণী সীতামায়ের কেশ স্পর্শ করেছে, যে আমার প্রভুকে কষ্ট দিয়েছে, যন্ত্রণা দিয়েছে সেই শয়তান নরাধম নরকের কীট লোকের দুষ্ট, নোংরা হাত আমি দেখতে চাই না। স্বর্গ-মর্ত-পাতাল ও দিগন্ত কাঁপিয়ে ভয়ঙ্কর হুঙ্কার দিয়ে হনুমান দুষ্ট রাবণের দু'হাত টেনে ছিঁড়ে ফেলেছিল সেদিন। তারপর শান্ত হ'য়ে হাঁটু গেঁড়ে ব'সে প'ড়ে রামচন্দ্রের পায়ের কাছে কৃত কর্মের জন্য, প্রভুর কথা অমান্য করার জন্য ক্ষমা চেয়েছিল। সেদিন শত অনুরোধেও প্রভুর কথা শোনেনি হনুমান। আর সেই দৃশ্য দেখে স্তম্ভিত প্রভু রামচন্দ্রের দু'চোখ বেয়ে নেবে এসেছিল জলের ধারা। এমনই ছিল হনুমানের ভালোবাসা, প্রেম।
তাই একটা কথা বলি, হে ভন্ড সাধু সাবধান! সমঝদারকে লিয়ে ইশারা কাফি হোতা হ্যাঁয়।
প্রকাশ বিশ্বাস।
ভদ্রকালী, হুগলী।
(লেখা ২৯শে জানুয়ারী ২০২৩)
ভদ্রকালী, হুগলী।
(লেখা ২৯শে জানুয়ারী ২০২৩)
No comments:
Post a Comment