তাই যতই চেষ্টা করুক নেতাজিকে ভুলিয়ে দিতে, প্রতিদিন প্রতিমুহূর্তে ঘটনার ঘনঘটা মনে করিয়ে দেয়, আজও নেতাজির অভাব কেউ পূরণ করতে পারলো না! দেশকে রক্ষা করার, এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার নেতাজীর এই দূরদৃষ্টিসম্পন্ন আগ্রাসী কঠিন মনোভাব, সাহসী পদক্ষেপ, কঠোর হৃদয় আজও ৭০বছরে ভারতের মাটিতে পুনরায় জন্ম নিলো না!!!!! নেতাজির মধ্যে ছিল খাঁটি আর্য রক্ত!!!!!
সত্যদ্রষ্টা শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র বলেছিলেন, এখনও বাঙালির মধ্যে ব'য়ে চলেছে খাঁটি আর্য রক্ত! নেতাজির মধ্যে সেই টগবগে টাটকা তাজা ফুটন্ত আর্য রক্তের নমুনা দেখতে পেয়েছিল সেই সময়ের বিশ্ব নেতৃবৃন্দ আর তাই তারা নেতাজির থেকে নিজেদের বীরত্বের, সাহসিকতার, শৌর্য-বীর্যের, যোগ্যতা ও দক্ষতার খামতি ঢাকতে নেতাজিকে ঠেলে দিয়েছিল পর্দার পিছনে ঘোর অন্ধকারে! সেই অন্ধকার থেকে নেতাজিকে মুক্তি দিতে, আলোয় উদ্ভাসিত করতে ৭০ বছর শেষেও বাড়িয়ে দিল না হাত বিশ্বের তাবড় তাবড় কোনও নেতৃবৃন্দ!! সত্যিই নেতাজী! কি বিচিত্র এই পৃথিবী! কি বিচিত্র এই বিশ্বনেতৃবৃন্দ!!!!
আজ এই ঘোর দুর্দিনে কেবলই মনে হয় সেদিন যদি নেতাজি, দেশবন্ধু, শ্যামাপ্রসাদ ইত্যাদি ইত্যাদি মহান নেতৃবৃন্দ শ্রীশ্রীঠাকুরকে এই মহান ভারতের একজন মানুষ মনে ক'রে একটু মাত্র একটুখানি তাঁর কথা শুনতেন (যদিও দেশবন্ধু সব ছেড়ে দিয়ে তাঁর চরণতলে আশ্রয় নিয়েছিলেন কিন্তু দেশবন্ধু চলে গেলেন অকালে) তাহ'লে আজ এই রক্তক্ষয়ী ভারতের পরিস্থিতি হ'তো না!
শুধু অহংকার, অশ্রদ্ধা, হিংসা শেষ ক'রে দিল ভারতবর্ষকে।
(লেখা ১৫ই ফেব্রুয়ারী'২০১৯)
No comments:
Post a Comment