Powered By Blogger

Wednesday, February 15, 2023

খোলা চিঠিঃ প্রধানমন্ত্রী মোদীজি!

"প্রধানমন্ত্রী মোদীজি! যে বলায় কম কাজে বেশি, সে-ই প্রথম শ্রেণীর কর্মী;
যে যেমন বলে তেমনি করে, সে মধ্যম শ্রেণীর কর্মী;
যে বলে বেশী, কাজে কম, সে তৃতীয় শ্রেণীর কর্মী;
আর যার ব'লতেও আলস্য, ক'রতেও আলস্য, সেই অধম।"-----শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র।
দেশের নেতৃবৃন্দ কেউই অধম নয়; এ আমাদের মহাভাগ্য। ৭০ বছরে সেই মহাভাগ্যের অধিকারী আমরাও দেশের ১৩০কোটি আমজনতা!
কিন্তু আমাদের দেশের নেতারা কোন শ্রেণীর?
গতকালের কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সন্ত্রাসবাদী হামলার পর দেশ ও দেশের নেতৃবৃন্দ কোন পথে?
কোন শ্রেণীর?
কথায় বেশী কাজে কম?
কাজে বেশী কথায় কম?
কথায় ও কাজে দু'টোয় কম?
কথায় ও কাজে দু'টোয় বেশী?
প্রধানমন্ত্রী মোদীজি!
দেশ ল্যাংড়া হয়েছে আজ থেকে ৭০ বছর আগে দেশ স্বাধীনতার সময়েই। আর কোনোদিনই দু'পায়ের উপর দাঁড়াতে পারবে না ভারত! আপনার ও আপনার নেতা-মন্ত্রীদের আশ্বাস বাণীর মত দেশের মানুষ ও শহীদদের উদ্দেশ্যে সান্তনা আর প্রতিশোধের কথাবাজি শুনে আসছে আজ ৭০বছর ধ'রে। গোটা বিশ্ব জানে ভারত কথায় বেশি কাজে কম! এই শত্রুতার বীজ বপন হয়েছে আজ থেকে ৭০বছর আগে ব্রিটিশ ও দেশের নেতৃবৃন্দদের হাত দিয়ে। আজ বিশাল মহিরুহে পরিণত হয়েছে সেই বীজ! শত্রুতার ডিমে তা দিয়ে ক্রমশঃ শত্রুতার ডিম ফুটিয়ে চলেছে সেই দেশভাগ! সেই দেশ স্বাধীন হওয়ার অনেক আগেই শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র দেশের নেতৃবৃন্দদের স্যবধান ক'রে দিয়ে বলেছিলেন, "Dividing compromise is the hatch of animoisity."
ভারতবর্ষকে কেটে দু'টুকরো ক'রে দিয়ে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই "Dividig compromise is the hatch of the animoisity" কথার গভীর অন্তর্নিহিত অর্থ প্রমান হ'য়ে চলেছে আর একেবারে ধ্বংসের শেষদিন পর্যন্ত চলবে। ব্রিটিশদের হাত ধ'রে দেশ টুকরো দিয়ে শুরু হয়েছিল তথাকথিত জোর ক'রে সৃষ্টি করা হিন্দু-মুসলমানের সমস্যার সমাধান, যে সমস্যা কোনোদিনই ছিল না, সেই সমস্যার সমাধানের ভয়ঙ্কর পরিণতি সম্পর্কে শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র তাঁর সৃষ্ট সংগঠন 'সৎসঙ্গ' মারফৎ সাবধানী বার্তা পাঠিয়েছিলেন সেই সময়ের দেশনেতাদের কাছে কিন্তু দেশনেতারা সেই কথা গ্রাহ্য করেননি; উড়িয়ে দিয়েছিলেন হাওয়ায় বকোয়াস মনে ক'রে স্বার্থ সিদ্ধির উদ্দেশ্যে। যার ফলস্বরূপ দেশ দু'টুকরো থেকে তিন টুকরো হয়! জন্ম হয় বাংলাদেশের! আরও জন্ম হওয়ার অপেক্ষায় সময়!!!!!!
আর, আজও সেই সাবধানবাণীর কোনও গুরুত্ব নেই দেশের নেতৃবৃন্দের কাছে। এরকম অনেক সাবধানী সঙ্কেত ও সমাধানী বার্তা দিয়ে গেছেন The greatest phenomenon of the world সত্যদ্রষ্টা শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র! কিন্তু দিলে কি হবে!? কে মানবে!? কে জানবে!? জানেও না আর মানেও না! মানেও না তাই জানেও না!
সবাই ব্যস্ত , "মারি তো গণ্ডার লুটি তো ভান্ডার" তত্ত্বে ও কাজে!
অতএব,
এমনিভাবেই সময় যাবে ধ্বংস ধোঁয়ায় ভরবে ঘর!
আসছে যে ওই মহাপ্রলয়! শেষের সেদিন ভয়ঙ্কর!!


(লেখা ১৫ই ফেব্রুয়ারী'২০১৯)

No comments:

Post a Comment