Powered By Blogger

Saturday, November 8, 2025

ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক (১ম পর্ব)।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক সেনা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্ণেল (অবসর) হাসিনুর রহমান এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন, " ভারতকে ভয় পাবেন না, ভারত একমাত্র আমাদের শত্রু, তাদের জন্য ৩০০ ফাইটার জেট কিনবো।"

বহুদিন ধ'রে ভারত বিরোধীতার চর্চা চলে আসছে বাংলাদেশে। এক তো ব্রিটিশ হিন্দু-মুসলমান সম্পর্কে ফাটল ধরিয়ে Divide & Rule ঘৃণ্য নীতির ওপর দাঁড়িয়ে ভারতবর্ষকে ভাগ ক'রে দিল। ভাগ ক'রে দিল ভারত আর পাকিস্তান দুই দেশ সৃষ্টি ক'রে। এবং বেইমান, নেমকহারাম ব্রিটিশ পাকিস্তানকে এমনভাবে সৃষ্টি করলো ভারতকে মাঝখানে রেখে পূর্ব পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তান অংশে অদ্ভুত এক ম্যাপে যাতে ব্রিটিশ ভারত ত্যাগ ক'রে চলে গেলেও নিজের দেশে বসে রিমোট কন্ট্রোলে পাকিস্তানকে ব্যবহার ক'রে ভারতকে পশ্চিম ও পূর্ব দু'দিক দিয়েই চাপে রাখা যায়, দু'দিক দিয়েই ভারতের অভ্যন্তরে ধর্মীয়, রাজনৈতিক ও সন্ত্রাসী অস্থিরতা সৃষ্টি ক'রে ভারতের উন্নতি ও অগ্রগতিকে ব্যহত করা যায়, আটকে রাখা যায়; যাতে ভারত বিশ্বে কখনও মাথা উঁচু ক'রে দাঁড়াতে না পারে এবং এ কাজে ব্রিটিশকে সাহায্য করেছিল প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বিশ্বের অন্যান্য শক্তিধর রাষ্ট্রগুলি নিজেদের স্বার্থকে পুষ্ট করার জন্য।

আর, এছাড়া ভারতের তৎকালীন নেতৃবৃন্দও ব্রিটিশের দয়ায় স্বাধীন হওয়া ও ক্ষমতার অধিকারী হওয়ার জন্য এই ধরণের উদ্দেশ্যপূর্ণ ও বিকৃতভাবে দেশকে ভাগ করার জন্য কোনওরকম প্রতিবাদ করেননি। ভারতের তৎকালীন মহাত্মা, পন্ডিত, লৌহ মানব দেশনেতারা এই বিকৃত ভাগের বিরুদ্ধে কোনও প্রতিবাদ করেননি। মনে প্রশ্ন জাগে, দেশের নেতৃবৃন্দ কি ব্রিটিশদের এই ধরণের ভাগের উদ্দেশ্য বুঝতে পারেনি? ব্রিটিশরা তো সভ্য জাত ছিল তাহ'লে তারা এই ধরণের অসভ্য কাজ করলো কি ক'রে? আর ভারতের নেতৃত্বই বা কি ক'রে এমন নিজের বিপদ নিজে ডেকে আনার ব্যবস্থায় সায় দিল? তাহ'লে তারা কি ব্রিটিশের এমন সর্বনাশা ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বুঝতে পারেননি? নাকি বুঝেও ইচ্ছাকৃত ভাবে চুপ ছিল বা ছিল অসহায়?
ক্রমশ
(পরবর্তী অংশ ২য় পর্বে)।


No comments:

Post a Comment