নানা ধর্মগুরুর খুব সুন্দর সুন্দর ধর্মীয় পরামর্শ মেনে চললে মানুষ নিশ্চিত উপকৃত হবে, উপকৃত হবে তাঁদের জীবন বৃদ্ধির সুপরামর্শে। তবে এইসমস্ত পরামর্শ মেনেও মানুষ মৃত্যুকে আটকাতে পারে না। কারণ জন্মগতভাবে নিয়ে আসা নির্দিষ্ট আয়ু এইরকম পরামর্শ অনুযায়ী নিখুঁত চললে সেটা পুরোপুরি ছুঁতে পারে। কিন্তু বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই নির্দিষ্ট আয়ুর আগেই মানুষ ভুল জীবনযাপনের জন্য বিদায় নেয়। দীর্ঘায়ু ও সুস্থ বলিষ্ঠ স্বাস্থ্যের অধিকারী হওয়া এই পরামর্শের অঙ্গীভুত হ'লেও বংশধারা একটা মূল ব্যাপার। আর এর সঙ্গে তাঁরা ধ্যানের কথা বলেন। যেটা বলেন না সেটা হ'লো কার ধ্যান করবো, কি ধ্যান করবো। নামকরা প্রতিষ্ঠিত লোকেদের একটা অসুবিধা থাকে তাঁরা সরাসরি ঈশ্বরের সঙ্গে যুক্ত থাকার কথা বলতে পারেন না। আবার কেউ কেউ বললেওও জীবন্ত ঈশ্বরের কথা বলেন না বা স্বীকার করেন না। বললে বা স্বীকার করলেও একটা অদৃশ্য শক্তির কথা বলে বা স্বীকার করে। একটা সূক্ষ্ম ইগো কাজ করে এর পিছনে। এই সূক্ষ্ম ইগোর কারণে অর্জিত শক্তি ধীরে ধীরে নিঃশেষ হ'য়ে যায়।
'সৎসঙ্গ' প্রতিষ্ঠানের সৎসঙ্গীদের উদ্দেশ্যে শ্রীশ্রীবড়দা বলেছিলেন, " ট্যাঙ্কের একটা ফুটোও ফুটো, দশটা ফুটোও ফুটো। একটা ফুটো দিয়ে জল বেড়িয়ে যাবে, দশটা ফুটো দিয়েও জল বেড়িয়ে যাবে। দশটা ফুটো দিয়ে তাড়াতাড়ি বেড়িয়ে যাবে, আর একটা দিয়ে ধীরে ধীরে বেড়িয়ে যাবে, কিন্তু বেড়িয়ে যাবে।"
সৎসঙ্গী গুরুভাইবোনেরা আমার, আজ নয়তো কাল শূন্য হ'য়ে যাবে ট্যাঙ্কি। তাই সৎসঙ্গী সাবধান।
( লেখা ১৮ই নভেম্বর'২০২৩)

No comments:
Post a Comment