Powered By Blogger

Wednesday, November 5, 2025

শ্রীশ্রীঠাকুরের নামে কলকাতায় মেট্রো স্টেশন।

শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র নামে কলকাতায় মেট্রো স্টেশন তৈরী হচ্ছে এরকম একটা খবর ফেসবুকের মাধ্যমে জানতে পারলাম। ছবিতে গোলাপি রঙের করা আছে লাইনটা। সত্যি মিথ্যা ঠিক জানি না। এ সম্পর্কে আমার কোনও খবর জানা নেই। কিন্তু এই খবরকে কেন্দ্র ক'রে দেখলাম বিতর্ক দানা বেঁধেছে সৎসঙ্গীদের মধ্যে। তাদের বহু জনের তীব্র আপত্তি রয়েছে এই বিষয়ে। তাই তারা তাদের আপত্তির কথা তাদের মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে জানিয়েছে ফেসবুকে। তাদের কারও এই উদ্যোগ লজ্জার, কারও কাছে অসম্মানজনক ব'লে মনে হয়েছে।

যাই হ'ক কেন আপত্তি, কেন লজ্জা, কেন অভিযোগ, কেন অসম্মানজনক সেটা ঠিক বুঝলাম না। আমার মনে হয় যাদের আপত্তি রয়েছে এই উদ্যোগে, যাদের কাছে মনে হয়েছে এই উদ্যোগ লজ্জার, অসম্মানজনক তারা যুক্তির ওপর দাঁড়িয়ে বিশ্লেষণ করলে, ব্যাখ্যা করলে বিষয়টা বোঝা যায় ও সব সৎসঙ্গীদের দৃষ্টিভংগী ক্লিয়ার হয়।
এর আগেও এরকম হয়েছে। যে যেখানে পেরেছে নিজের মতো ক'রে মতামত চাপিয়ে দিয়েছে, বিষয়কে ক'রে তুলেছে বিতর্কিত বিষয়। যেন আমরা সৎসঙ্গীরা অভিভাবকহীন। কিছুদিন আগেও শ্রীশ্রীঠাকুরের জন্ম উৎসবে কেক কাটা নিয়ে সৎসঙ্গীরা ফেসবুকে তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি করেছিল। এরকম প্রায় সময়ই কোনও না কোনও বিষয়ে মতান্তর হয়। মতান্তর হ'ক কিন্তু মনান্তর যেন না হয়।

আর, এটা যেন আমরা সৎসঙ্গীরা ভুলে না যাই শ্রীশ্রীঠাকুর রেত শরীরে শ্রীশ্রীআচার্যদেবের মধ্যে অবস্থান করছেন। আমাদের কারও যদি সৎসঙ্গের কোনও বিষয়ে মনে কোনও প্রশ্ন জাগে সেই সম্পর্কে পাব্লিকলি বিতর্ক দানা বাঁধে এমন কোনও মন্তব্য করার আগে সতর্ক থাকি এবং মনে যদি কোনও সংশয় থাকে তাহ'লে আমরা যেন আচার্যদেবের কাছে জেনে নিই। তাহ'লে আমরা অহেতুক বিতর্ক থেকে দূরে থাকতে পারবো। মতান্তর হলেও মনান্তর হবে না কখনোই।

আর, যেহেতু আমাদের সামনে অভিভাবক রূপে শ্রীশ্রীআচার্যদেব আছেন তখন আমরা নিখুঁত সমাধান পাবোই পাবো। অবশ্য যদি সাধারণ সৎসঙ্গীদের বিন্দুমাত্র প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা থাকে, থাকে গভীর অনুভূতি ও তীব্র উপলব্ধি এই বিষয়ে। কারণ যারা কখনোই চাক্ষুস শ্রীশ্রীআচার্যদেবকে দেখেননি, দেখলেও শ্রীশ্রীআচার্যদেবের সঙ্গ করেনি ও সঙ্গ করলেও শ্রীশ্রীআচার্যদেব যাকে যা বলেছেন এবং তাদের জটিল সমস্যা সম্পর্কিত বিষয়ে যে সমাধান দিয়েছেন তা' ভালো ক'রে শোনেন নি, বুঝতে পারেননি ও তাঁর নির্দেশ নিখুঁতভাবে পালন করেননি তারা সেই নিখুঁত সমাধান ব্যাপারটা বুঝতে পারবেন না। ফলে শ্রীশ্রীআচার্যদেব কে এবং তিনি যে বাকসিদ্ধ পুরুষ তা' তাদের অভিজ্ঞতা হয়নি, অনুভব ও উপলব্ধি করতে পারেনি। এইজন্য তারা শ্রীশ্রীঠাকুরের দয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছে ও হচ্ছে প্রতিনিয়ত। অথচ তারাই আবার অনেকেই সৎসঙ্গে, ফেসবুকে ও ভিডিওতে সাদা কাপড়ে সাজা সৎসঙ্গী হ'য়ে বই পড়ে বই হ'য়ে কথার স্রোতে ভেসেছেন ও ভাসছেন। কিন্তু যারা এই অভিজ্ঞতার সাক্ষী তারা আজও অবাক বিস্ময়ে ভাবে কে এই আচার্যদেব শ্রীশ্রীবাবাইদাদা। তখন তাদের মনে পড়ে যায় শেক্সপিয়ারের হ্যামলেট নাটকের সেই বিখ্যাত সংলাপ, “THERE ARE MORE THINGS IN HEAVEN AND EARTH, HORATIO, THAN ARE DREAMPT OF IN YOUR PHILOSOPHY” ---যা শ্রীশ্রীঠাকুর প্রায় সময় রহস্যময় মুহুর্তে বলতেন।

আমাদের সৎসঙ্গীদের মাথায় রাখতে হবে আমাদের মাথার ওপর স্বয়ং শ্রীশ্রীঠাকুর শ্রীশ্রীআচার্যদেব রূপে আমাদের মাঝে জীবন্ত অবস্থান করছেন। শ্রীশ্রীঠাকুর আমাদের সামনে আছেন। আমরা যেন সৎসঙ্গীরা সবাই শ্রীশ্রীআচার্যদেবের আদেশেই চলি ও একসুরে কথা বলি এবং সমস্ত রকম অকারণ বিতর্ক এড়িয়ে তাঁকে অভিভাবক রূপে মাথায় নিয়ে সুখে শান্তিতে সমস্যা মুক্ত হ'য়ে এক যৌথ পরিবার হ'য়ে চলি।



No comments:

Post a Comment