Powered By Blogger

Monday, November 24, 2025

আবার আকাশ হাসবে।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফাঁসির সাজা শুনিয়েছে অবৈধ দখলদার ইউনুসের আদালত। একটা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত দেশের প্রধানকে মেটিকুলাস ডিজাইনে ক্ষমতাচ্যুত করলো দেশের বাইরে অন্য দেশে বসে সেই দেশের মদতে শান্তির নোবেল পুরষ্কার হাতে অশান্তির আগুন জ্বালিয়ে মহম্মদ ইউনুস। এই মেটিকুলাস ডিজাইনে ইউনুসকে বহু আগে থেকেই আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে নানা পুরস্কারের মাধ্যমে মহান ব্যক্তিতে পরিণত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল আজকের দিনের জন্য, যা বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন নেতৃত্ব শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকার, দেশের জনগণ এমনকি ভারতের নেতৃত্বও বুঝতে ব্যর্থ হয়েছিল। তাই ভারতও ইউনুসকে দশ দশটা পুরস্কারে পুরস্কৃত করেছিল। ফলস্বরুপ বাংলাদেশ যা পাবার তা' সেই দেশ, সেই দেশের জনগণ পেয়েছে, পেয়ে চলেছে, এই পাওয়া কোথায় গিয়ে থামবে তার কোনও নির্দিষ্ট সময় নেই; কিন্তু দুধ কলা দিয়ে বিষধর সাপকে পোষার মত ইউনুসকে ভারতও পোষণ দিয়েছিল নানা সম্মানে সম্মানিত ক'রে যাতে একদিন মহম্মদ ইউনুস তার প্রতিদানে তাঁর মেটিকুলাস ডিজাইনে ভারতকে ভাঙ্গার চক্রান্তে মুখ্য ভূমিকা নিতে পারে, ভারতের সেভেন সিস্টার্সকে ভারত থেকে ছিন্ন করার পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে পারে। ভারত ইউনুসকে দশ দশটা পুরস্কারে এইজন্য পুরস্কৃত করেছিল যাতে বেইমান, অকৃতজ্ঞ, নেমকহারাম ইউনুসের হাত ধ'রে একদিন বাইরের শক্তি ভারতের ঘাড়ে গরম নিঃশ্বাস ফেলতে পারে।

মহম্মদ ইউনুস দেশের বাইরে বসে ছাত্রদের অসৎ পথে চালিত ক'রে ছদ্ম ছাত্র আন্দোলনে গোটা দেশের ছাত্র সমাজকে কোটা সিস্টেমের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে দিয়ে পিছনের দরজা দিয়ে এসে বসে দেশের সিংহাসনে এবং ৫৪ বছর ধ'রে তিলে তিলে গড়ে তোলা সাজানো গোছানো দেশটাকে গত ১৬মাসে ধ্বংস ক'রে দিল আন্তর্জাতিক নানা দেশের নানা মহান পুরস্কারে পুরস্কৃত বহিঃশক্তির হাতের পুতুল হয়ে থাকা লেখাপড়াজানাওয়ালা ইউনুস একটা নিকৃষ্ট মনের হিংসুটে মানসিকতার অধিকারী দেশের মদতে।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফাঁসির রায় ঘোষণা হয়েছে। হাসিনাকে ফাঁসি দিতে হ'লে তো আগে ভারতের থেকে তাঁকে ইউনুসের হেফাজতে নিতে হবে। কি উপায়ে হাতে নেবে হাসিনাকে ইউনুসের বাংলাদেশ? কোন অধিকারে? বাংলাদেশে কি কোনও বৈধ সরকার আছে? আছে কোনও বৈধ সরকার প্রধান? কার হাতে তুলে দেবে? কেন তুলে দেবে? কে বিচার করবে দেশের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীকে? অবৈধ দখলদার বিচার করবে বৈধ দেশের প্রধানমন্ত্রীকে? এটাই এখন সত্য? এটাই এখন সততা? আন্তর্জাতিক বিশ্ব এই অবৈধ দখলকে ও দখলদারিকে স্বীকৃতি দেয়? সমগ্র বিশ্বের ছাত্র ও যুব সমাজ ভেবে দেখবে না বৈধতা, নৈতিকতার প্রশ্নে বিষয়টাকে? কোন ভয়ঙ্কর ধ্বংসের বারুদের স্তুপের ওপর রেখে যাচ্ছে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে? মেটিকুলাসদ ডিজাইনে ছাত্র যুবকে ক্ষেপিয়ে দিলেই ক্ষেপে যাবে ছাত্র যুব জনতা? দেশ বিদেশের উচ্চ লেখাপড়া জানাওয়ালা ধনী ব্যক্তিরা সুকৌশলে দেশে দেশে জেনোসাইড ঘটিয়ে দেবে? কোথায় যাচ্ছে মানব সভ্যতা ও মানবিকতা? কোথায় আজ মানুষের মনুষ্যত্ব? বিশ্বের সমস্ত উন্নত শিক্ষিত সভ্য দেশের উন্নত শিক্ষিত সভ্য মানুষ এই অন্যায়, অবৈধ, অনৈতিক ও অগণতান্ত্রিক উপায়ে ক্ষমতা দখলকে স্বীকার করে? তাহ'লে সত্যি সত্যিই কি মানুষের মনুষ্যত্ব লুপ্ত হ'য়ে যাচ্ছে ধীরে ধীরে?

এইজন্যেই সত্যদ্রষ্টা পুরুষোত্তম পরমপিতা পরমপ্রেমময় শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র বলেছিলেন,
"দুনিয়ার সামনে একটা সর্বনাশ আসছে যার তুলনায় এই মহাযুদ্ধ (২য় বিশ্বযুদ্ধ), লোকক্ষয়, সম্পদের ক্ষয় কিছুই না। গতিক দেখে মনে হয়, মনুষ্যত্বের মূল বুনিয়াদ লোপ পেয়ে যাওয়া অসম্ভব কিছুই নয়।"

যদি শেখ হাসিনাকে মারার ক্ষমতায় থাকতো তাহ'লে যেদিন বাংলাদেশের সেনাবাহিনী তোয়াজ ক'রে ভারতে দিয়ে গিয়েছিল হাসিনাকে, সেদিনই মেরে ফেলতে পারতো। কেন তারা ভারতে দিয়ে গিয়েছিল হাসিনাকে? কেন হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে একজন মুসলমান নেত্রীকে মুসলিম দেশের সেনাবাহিনী দিয়ে গেল? কেন বিশ্বের অন্যান্য ৫৬টি মুসলমান দেশে হাসিনাকে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী রেখে এলো না? ভারত তো বাংলাদেশে সেনাবাহিনী পাঠিয়ে হাসিনাকে নিজের দেশে নিয়ে আসেনি। ভারত তো হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে একজন মুসলমান নেত্রীকে আশ্রয় দিতে নাই পারতো। ভারতের কাছে আশ্রয় নেওয়া কোনও মানুষকে কি কোনও সভ্য দেশ জেনেশুনে মৃত্যু মুখে ঠেলে দিতে পারে? ভারত অতিথিপরায়ণ দেশ, ভারতের দর্শন 'অতিথি দেব ভব', ও ভারত 'বসুধৈব কুটূম্বকম' নীতিতে বিশ্বাসী। এর ওপর দাঁড়িয়ে আছে ভারত। এই ভিত্তিভূমি ভারতের চিরকালীন ভিত্তিভূমি। ভারতের এই দর্শন, এই নীতি যেদিন ধ্বংস হ'য়ে যাবে সেদিন বিশ্ব ধ্বংস হ'য়ে যাবে। বিশ্বের কোনও শক্তি আর পৃথিবীকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে সমর্থ হবে না।

মনে মনে ভাবি, হিংসা মানুষকে কোথায় নামিয়ে এনেছে! পৃথিবী জুড়ে আজ ভয়ংকর হিংসার আগুন জ্বালিয়ে পুড়িয়ে খাক ক'রে দিচ্ছে চারপাশ। ক্ষমতাশালী বড়লোকেরা অর্থের ক্ষমতায় গঠনমূলক কাজে ইন্টারেস্ট পায় না, আনন্দ পায় না। একটা বদ্ধ উন্মাদের মত অবস্থার শিকার তারা। ধ্বংস কাজে আজ আনন্দ বেশী। পৃথিবীকে ধ্বংস করার জন্য উন্মত্ত আজ বিশ্বের ক্ষমতাধর উচ্চলেখাপড়া জানাওয়ালা ও ধনী লোকেরা। চোখের সামনে বিশ্ব দেখলো ৫৪বছর ধ'রে আভ্যন্তরীণ নানা ঘাত প্রতিঘাতে জর্জরিত হ'য়ে, মৃত্যুকে আলিঙ্গন ক'রে উন্নয়নের পথে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাওয়া একটা দেশ বাংলাদেশ কিভাবে চক্রান্তের শিকার হ'য়ে ধ্বংসকে বেছে নিলো, বেছে নিলো দেশের ছাত্র যুবসমাজ। ভারতের চারপাশে আজ এইরকম শোচনীয় অবস্থা। ভারতের অভ্যন্তরেও একইরকম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে উচ্চ লেখাপড়াজানাওয়ালা ও ধনী লোকেরা। এইসমস্ত উচ্চ লেখাপড়াজানাওয়ালা ও ধনী লোকেরা প্রেমহীন, ভালোবাসাহীন এক রোবটে পরিণত হয়েছে। শুধু ক্ষমতার আস্ফালন আর হুংকার।

পরমপ্রেমময় শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র এঁদের উদ্দেশ্যে বললেন, "তুমি যদি এমন শক্তি লাভ ক'রে থাক, যাতে চন্দ্র-সূর্য কক্ষচ্যুত ক'রতে পার, পৃথিবী ভেঙ্গে টুকরা টুকরা ক'রতে পার বা সব্বাইকে ঐশ্বর্য্যশালী ক'রে দিতে পার, আর যদি হৃদয়ে প্রেম না থাকে, তবে তোমার কিছুই হয়নি।"
কিন্তু কে শোনে কার কথা।

বাংলাদেশের রূপকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবরের ফ্যামিলি শেষ হ'য়ে গেল ১৯৭৫সালের ১৫ই আগস্ট। পাকিস্তানের জনসংখ্যা আজ প্রায় ২৫কোটি আর বাংলাদেশের জনসংখ্যা সাড়ে ১৭কোটি। ১৯৪৭সালে পূর্ব পাকিস্তানে (বর্তমান বাংলাদেশে) জনসংখ্যা ছিল ৪কোটি ৪০লক্ষ আর পশ্চিম পাকিস্তানে ছিল ২কোটি ৫০লক্ষ। অথচ শাসক ছিল সংখ্যালঘু উর্দুভাষী মুসলমান। সংখ্যালঘু উর্দুভাষী মুসলমান সংখ্যাগুরু বাংলাভাষী মুসলমানের ওপর চালাত শাসন যন্ত্র। সেই উর্দুভাষী পাকিস্তানের আগ্রাসন থেকে বাংলাভাষী বাঙালি মুসলমানদের বাঁচাতে শেখ মুজিবর রহমান তাঁর জীবন উৎসর্গ করেন। তাঁকে ও তাঁর পুরো পরিবারকে নির্ম্মম ভাবে হত্যা করা হয়। সেইসময় শেখ হাসিনা বাইরে থাকায় বেঁচে যান নিষ্ঠুর জল্লাদদের হাত থেকে। শেখ হাসিনার আজ বয়স ৭৮বছর, আর ইউনুসের বয়স ৮৫বছর। শেখ হাসিনা মহম্মদ ইউনুসের চেয়ে ৮ বছরের ছোটো। ১৯৭১সালে ইউনুস ৩১বছরের তরতাজা যুবক ছিলেন। তিনি সেই রক্তাক্ত ভয়ঙ্কর দিনগুলির সময়ে দেশে ছিলেন না, ছিলেন আমেরিকায় উচ্চ শিক্ষার্থে নিজের ক্যারিয়ার গড়ার লক্ষ্যে। আবার ২০২৪-এর জুলাই-আগষ্ট মাসে ছদ্ম ছাত্র রাজনীতিতে উত্তাল বাংলাদেশেও তিনি ছিলেন না, সেইসময়েও ইউনুস ছিলেন আমেরিকায় নিজের ক্যারিয়ার গড়ার লক্ষ্যে, কোনও প্রত্যক্ষ অবদান কোনদিনও ছিল না ইউনুসের দেশকে পরাধীনতার হাত থেকে মুক্ত কিংবা স্বাধীন করার।

আর হাসিনা ১৯৭১-এ ছিলেন ২৩বছরের যুবতী। ১৯৯৬ সালে ৪৯ বছর বয়সে তিনি প্রথম দেশের শাসনভার গ্রহণ করেন। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ এবং ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সর্বমোট তিনি ২১বছর দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।

বাংলাদেশের আদালত শেখ হাসিনার ফাঁসির রায় ঘোষণা করার পর এই রায়ে উল্লসিত হাসিনা বিরোধীরা আবার গভীরভাবে চিন্তিত এই রায়ের ফাঁকফোকর নিয়ে। যদি এই রায়ের ফাঁকফোকর দিয়ে হাসিনা বেড়িয়ে যায় এইজন্য এই রায়কে ত্বরান্বিত করার জন্য তারা তৎপর, প্রায় উন্মাদ।

তাই, হাসিনার ফাঁসির রায়ে ফাঁকফোকর আছে কি নেই সেই ব্যাপারে যদি শেখ হাসিনার বিরোধীদের সন্দেহ থেকে থাকে তাহ'লে তারা জাতিসংঘের প্রধান বিচার বিভাগীয় অঙ্গ আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (International Court of Justice)-এ কেসটা নিয়ে যেতে পারে যাতে নিশ্চিন্তে তাঁর ফাঁসি হয়, শেখ হাসিনা বিরোধীদের মনোবাসনা পূরণ হয়। বলা হচ্ছে, মানবতা বিরোধী ও হত্যাকারী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ফাঁসির এই রায় বাংলাদেশের সমস্ত মানুষের রায়। বাংলাদেশের কারও মনে যদি সন্দেহ না থেকে থাকে হাসিনার মানবতা বিরোধী অপরাধ সম্পর্কে, তাহ'লে মনে হয় বাংলাদেশের প্রায় ১৮ কোটি মানুষ হাসিনার বিরুদ্ধে। তাহ'লে ভয় কোথায় হাসিনা বিরোধীদের? নির্বাচনের মধ্যে দিয়েই তো ১০০% মানবতা হত্যাকারী হাসিনার বিচার হ'য়ে যায়। তাই না? তাহ'লে এইরকম অন্যায় ভাবে অবৈধ দখলদার কর্তৃক নিয়োজিত অবৈধ বিচার ব্যবস্থার হাতে বিচার কেন? আগে তো দেশে নির্বাচিত সরকার হ'ক, বৈধ সরকার গঠন হ'ক দেশে, নৈতিক ও গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে দেশের সমস্ত রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে আসুক জনগনের সরকার, তারপর হ'ক বৈধ সরকার গঠন। হ;ক বৈধ সরকারের বৈধ বিচার ব্যবস্থার মাধ্যমে তাঁর বিচার।

আর, অবৈধ অনৈতিক অগণতান্ত্রিক দখলদারকে সরকার বলা যায় কি? নাকি দখলদার সরকারের কোনও অধিকার আছে কারও বিচার করার? যে নিজেই অবৈধ, যে নিজেই অনৈতিক, যে নিজেই অগণতান্ত্রিকতার প্রতীক তার গ্রহণযোগ্যতা কোথায়? আগে তো দেশের ভিতরেই দেশের ১৮ কোটি জনগণের কাছে দেশের পরিচালক, দেশের বিচার ব্যবস্থার গ্রহণযোগ্যতা আছে কিনা তার প্রমাণ হ'তে হবে, তারপর তো হাসিনার বিরুদ্ধে যে রায় প্রকাশ হয়েছে সেই রায়ের দেশের ভিতরে ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্যতার প্রশ্ন উঠবে? তাই না? কারও চাওয়া, না-চাওয়ায় কিছু আসে যায় কি? আগে তো দেশের জনগণের কাছে ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে অবৈধভাবে, অনৈতিকভাবে, অগণতান্ত্রিক ভাবে দখলদার সরকারের প্রধান ও সরকারের গ্রহণযোগ্যতা আছে কিনা তা' প্রমাণ করুক সততার সঙ্গে তারপর তো আসামীর বিচার করার অধিকার ও ফাঁসির রায় লিগালি সাউন্ড অর্থাৎ আইনত বৈধ বা আইনসম্মত কিনা তার প্রশ্ন আসবে। গ্লোবাল প্ল্যাটফর্ম কি অবৈধ, অনৈতিক, অগণতান্ত্রিক পথে দখলদারদের প্ল্যাটফর্ম ব'লে মনে করে হাসিনা বিরোধীরা?

হাসিনা বিরোধীদের শান্ত ঠান্ডা মাথায় একটা ভয় কাজ করছে কেউ হয়তো চ্যালেঞ্জ করবে এই ফাঁসির রায়ের বিরুদ্ধে। তাঁদের উদ্দেশ্যে বলি, ভয় নেই। হাসিনা বিরোধীরা নিশ্চিন্ত থাকুন সত্যের জয় হবেই, জয় হবেই দেশের জনগণের। ইউনুস বা কোনও ব্যক্তির, সে যেই-ই হ'ক, এই ফাঁসির রায় ঘোষণার ফলে কারও ব্যক্তিগত জয় মানবতা ও মনুষ্যত্ব ধ্বংসকে নিশ্চিত করে। ঈশ্বরের দরবারে মিথ্যার কোনও স্থান নেই। ঈশ্বর বা আল্লার বিচার শেষ বিচার। শেখ হাসিনার বিরোধীদের হিংস্র চাওয়া, না-চাওয়া দিয়ে ঈশ্বর বা আল্লা বিচার করেন না। সত্যের জয় হবেই হবে।

কথায় আছে, ঈশ্বর বা আল্লার দরবারে 'দের হ্যাঁয় লেকিন অন্ধেরা নেহী হ্যাঁয়'। ভয় নেই, 'রাত হয়, কিন্তু অন্ধকার নয়।' রাত আসে কিন্তু সময় পার হয়, সব সময় তা অন্ধকার হয় না, বরং কখনও কখনও সেখানে আলো থাকে বা শান্তি থাকে। সেদিনের অপেক্ষায়। ১৯৭১-এও পাকিস্তানের হাতে ৩০ লক্ষ বাঙ্গালীর মৃত্যু ও ৪লক্ষ মা-বোনেদের ইজ্জৎ লুন্ঠন ও নির্মম হত্যার ভয়ঙ্কর নারকীয় দিনগুলিতে ভারত মানবতার খাতিরেই মনুষ্যত্বকে রক্ষা করার জন্য আমেরিকার রক্তচক্ষু উপেক্ষা ক'রে বাংলাদেশের পাশে ছিল, আজও বাংলাদেশের সঙ্কটে ভারত পাশে আছে। কারও রক্তচক্ষু ভারত সহ্য করে না। কালো মেঘ কেটে যাবে, আবার আকাশ হাসবে। আবার গাছে গাছে ফুল ফুটবে, পাখি গান গাইবে, আজানের ধ্বনি ভেসে আসবে, ভেসে আসবে সন্ধ্যারতির ঘন্টাধ্বনি, ভেসে আসবে মন্দির, মসজিদ, গীর্জা, বিহার ইত্যাদি সমস্ত সম্প্রদায়ের উপাসনালয় থেকে নোতুন ক'রে বাঁচার ও বেড়ে ওঠার গান, মিলনের গান। সেদিন সমাগত।
প্রকাশ বিশ্বাস।
ভদ্রকালী, উত্তরপাড়া।


No comments:

Post a Comment