শ্রীশ্রীঠাকুর বিবাহ সম্পর্কে যে বাণী দিয়েছেন সেই বাণী যেটা আমি পোষ্ট করছি সেই বাণী সম্পর্কে ঠিক কি বলতে চেয়েছেন সেটা কি আমি বুঝেছি?
সবর্ণ বিবাহ ও অনুলোম বিবাহ এবং প্রতিলোম বিবাহ সংক্রান্ত নিয়মকানুন খুবই জটিল একটা বিষয়। আর, অনুলোম বিবাহ কে করবে, কখন করবে, শ্রীশ্রীঠাকুরের অনুলোম বিবাহ নীতি পালন করার উপযুক্ত সময় এসেছে কিনা সেটা যে বিবাহ করবে বা যে পোষ্ট করবে সেটাও নিজের কাছে ক্লিয়ার হওয়া দরকার। যদিও আমরা অনেকেই অনুলোম বিবাহ করেছি ও করছি শ্রীশ্রীঠাকুরের এই অনুলোম বিবাহে সম্মতি আছে দেখে। কিন্তু এই বিবাহ করা সম্পর্কেও শ্রীশ্রীঠাকুরের কিছু বিধিনিষেধ আছে। তা' না জেনেই আমরা বিবাহ করছি এবং অনেক জায়গায় গোত্র সংক্রান্ত কিছু ব্যতিক্রমী নিয়ম আছে সেটা না জেনেই সগোত্রে বিবাহ নিষেধ জেনে বিবাহ রিজেক্ট করেছি ও করছি। সবর্ণ বিবাহ, অসবর্ণ বিবাহ, সবর্ণ অনুলোম ও প্রতিলোম বিবাহ, অনুলোম বিবাহ, প্রতিলোম বিবাহ, সবর্ণ ও সগোত্রে বিবাহ, সবর্ণ ও ভিন্ন গোত্রে বিবাহ, অসবর্ণ ও সগোত্রে বিবাহ ইত্যাদি বিবাহ সংক্রান্ত জটিল বিজ্ঞানের ওপর আলোকপাত ক'রে গেছেন বিশ্বের বিস্ময়ের বিস্ময় সর্ব্বশ্রেষ্ঠ বিস্ময় শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র।
তাই একজন পুরুষ ক্ষমতার জোরে, অর্থের শক্তিতে, ভয় দেখিয়ে, দরিদ্রতার সুযোগে এবং ধর্মের ও প্রফেটদের বলে যাওয়া বিবাহ সংক্রান্ত বাণীর ইচ্ছাকৃত ভুল বিকৃত ব্যাখ্যা ক'রে একের অধিক বিবাহ করা ও পুরুষ কেন্দ্রিক শাসনব্যবস্থায় বহু বিবাহের স্বপক্ষে আইন পাস করিয়ে বহু বিবাহের আইনত অধিকার আদায় ক'রে বহু বিবাহ তো দূরের কথা তৎসহ অনুলোম বিবাহ কিংবা সবর্ণ বিবাহ পরের কথা আগে পুরুষ একটা বিবাহের জন্য বিবাহ যোগ্য, বিবাহ উপযুক্ত কিনা, যে নারীকে বিবাহ করবে তার যোগ্য কিনা, উপযুক্ত কিনা সেটা আগে দেখুন। তারপর পুরুষের বিবাহ। তা' সে বিশ্বের যে দেশের যে ধর্মের, যে সম্প্রদায়ের, যে জাতের পুরুষ হ'ক না কেন। সৃষ্টিকর্তার বিধান তাঁর সৃষ্ট সমস্ত পুরুষ জাতের জন্য সমান।
এইখানে এইভাবে যদি দেখতে যাই তখন পুরুষের বহু বিবাহ তো দূরের কথা একটা বিবাহও পুরুষের সম্ভব না। নারীর বিবাহ হবে সবসময় বিবাহে উপযুক্ত পুরুষের সঙ্গে। কিন্তু বিবাহে অনুপযুক্ত পুরুষের একটা বিবাহও বিবাহ বিজ্ঞানের দিক থেকে নিষিদ্ধ। তা'তে নারীদের বিবাহ না হ'লেও কাম্য, অবিবাহিত থাকলেও তা' নারীদের কাছে মহা সম্মানের। তথাপি একজন নিকৃষ্ট পুরুষকে বিবাহ করা নারীদের ক্ষেত্রে অপমান ও সমাজ বিধ্বংসী পদক্ষেপ, যা নারীদের ক্ষেত্রে আত্মহত্যার সমতুল্য। নারী নিজে তার থেকে উৎকৃষ্ট পুরুষ ছাড়া কিছুতেই নিকৃষ্ট পুরুষকে বিবাহ করবে না, নিকৃষ্ট পুরুষের নিকৃষ্ট বীজ সে গর্ভে ধারণ ক'রে গর্ভাধানের মত পবিত্র অনুষ্ঠানকে অপমান করবে না। তাহ'লে দেখুন ঈশ্বরের বিধানে জন্ম বিজ্ঞানে বিবাহ বিজ্ঞান কতটা মুখ্য ও সূক্ষ্ম।
আমরা শ্রীশ্রীঠাকুরের বিবাহ নীতি অনুযায়ী বিবাহ করার উপযুক্ত না হয়েও বিবাহ করেছি। অতএব শ্রীশ্রীঠাকুরের বিবাহ সংক্রান্ত বিষয় পোষ্ট করার আগে নিজেদের সতর্ক ও সচেতন থাকতে হবে। পোষ্ট করার পর সেই বাণীর ওপর ভিত্তি ক'রে যে কমেন্ট আসবে তার যথাযথ উত্তর দিতে হবে নতুবা ঠাকুরের বাণীর ভুল ব্যাখ্যা হবে। আর, ভুল মতামত শেয়ার হ'লে মানুষের কাছে বিবাহ সম্পর্কে ভুল মেসেজ যাবে। তা'তে উল্টো এফেক্ট হবে। এ বিষয়ে অনেকবার আমি আমার ভাবনা শেয়ার করেছি, এবারও করলাম। জয়গুরু।
( ১৩ই নভেম্বর'২০২৪)

No comments:
Post a Comment