Powered By Blogger

Friday, November 28, 2025

বিচিত্রাঃ ২১২

যতই তুমি মুখ লুকোও বন্ধু 
একদিন মুখোশ খসে পড়বেই!
মুখ আর মুখোশের দ্বন্ধে নিশ্চিত
উলঙ্গ তুমি হবেই!

একে মিনমিন, দুইয়ে পাঠ, তিনে গন্ডগোল, চারে হাট!
হাট বসার আগেই ঠাকুরের বিচারে
গন্ডগোলে কুপোকাৎ!!

কেষ্ট দাসেরা ফিরে ফিরে আসে ভাই!
কিন্তু ঠাকুরের দরবারে দলবাজির জায়গা নাই!!
এটাই নির্ম্মম সত্য!

পৃথিবীর পবিত্র মাটির জমিদারী কার হাতে?
শ্রীশ্রীঠাকুরের হাতে নাকি সৎসঙ্গী নামধারী 
কিছু উজবুকের হাতে!?

'সৎসঙ্গ' কি জায়গা দলবাজির?
নাকি কিছু তোষামোদকারী
'হাঁ জী! হাঁ জী'-র!?

সময় থাকতে সত্যকে ভয় পাও, 
সত্যের কাছে মাথা নত করো! 
সত্যই জেনো শ্রীশ্রীঠাকুর স্বয়ং, 
সত্যকে আঁকড়ে ধরো!!
নচেৎ -------

সাবাসী জানাই তোমার বুকের পাটাকে, 
জানাই সেলাম তোমার সাহসকে!
হিম্মৎ তোমার আছে বন্ধু শয়তানকে নিয়ে 
বুকে ঠাকুরকে চ্যালেঞ্জ জানাতে!
( লেখা ২৯শে নভেম্বর'২০১৯)

বক্তা চাই না ভক্ত চাই!
মরতে চাই না বাঁচতে চাই!
চরিত্র নাই ঠাকুর নিয়ে শুধুই কথার হাই! 
ঠাকুর সবার আয়ের উপকরণ তাই!!
( লেখা ২৯শে নভেম্বর'২০২০)



















































Thursday, November 27, 2025

বিচিত্রাঃ ২১১

 


বিচিত্রাঃ ২১০

 


বিচিত্রাঃ ২০৯

রাজনীতির যাঁতাকলে স্বামীজির আত্মা করছে হাঁসফাঁস! 
কোথায় ঠাকুর? রামকৃষ্ণ ছাড়া কোথায় নরেনের বিবেক? 
কোথায় আনন্দ? সবটাই উপহাস!!

বিবেকানন্দ আমজনতা
সবার প্রিয়, সবার খাসা আশা!
ভক্তের হৃদমাঝারে আছে শুধু 
ঠাকুর রামকৃষ্ণের বাসা!!

ঠাকুর রামকৃষ্ণে অ্যালার্জী!
বাচ্চা বুড়ো জোয়ান খুড়ো
নারীপুরুষ থুড়থুড়ো বিবেকানন্দে এনার্জী!!
( লেখা ২৭শে নেভেম্বর' ২০১৭)

ছাত্র জীবন নষ্ট হ'লো কার দোষে?
কাকে দেবে দোষ, কে অপরাধী?
শিক্ষক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বাবা-মা
নাকি নিজে তুমি?

পিছন থেকে ঢালছো বিষ অহর্নিশ
ভাবছো থাকবে তুমি ভালো?
শেষের সেদিন ভয়ঙ্কর!
ভীষণ অন্ধকার কালো!!

ঠাকুরের 'স্বতঃ অনুজ্ঞা' কি করেছো পাঠ, 
করেছো কি আত্মস্থ? 
সৎসঙ্গী! দয়াল তোমার মুখপানে আছেন চেয়ে 
হ'য়ে ভীত সন্ত্রস্ত!!

বন্ধু! তুমি দিচ্ছো লম্প মারছো ঘাই
তুমি কি সৎসঙ্গী?
দয়াল তোমায় ডাকছে তাই
হ'তে একাঙ্গি!
( লেখা ২৭শে নেভেম্বর' ২০১৯)

অখিলেশ যাদবরা ঘরে ঘরে
বয়সকালে মূলায়ম একঘরে
অখিলেশ বুঝবে সেদিন মূলায়মের জ্বালা
যেদিন অখিলেশের আসবে মূলায়ম হবার পালা।
( লেখা ২৭শে নেভেম্বর' ২০২১)





Wednesday, November 26, 2025

প্রশ্নঃ কোনটা শক্তিশালী লোকতন্ত্র না নেতাতন্ত্র?

কালো টাকা উদ্ধারের জন্য ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এর বিরুদ্ধে ও পক্ষে প্রতিবাদ ও সমর্থনের ঝড় উঠেছে। সাধারণ মানুষের দুর্ভোগও কম নয়। বাতিল হয়েছে নোট। চলছে দুর্ভোগ। প্রধানমন্ত্রীর এমন সিদ্ধান্তে গোটা দেশ উত্তাল। কেউ সঠিক বলছেন তো কেউ কেউ বেঠিকও বলছেন এই সিদ্ধান্তকে। ভারতকে বিশ্বের সর্ববৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশ বলা হয়। এখানে সাধারণ মানুষ নিজের মতামত প্রকাশ করতে পারে নানাভাবে এবং ভোটের মাধ্যমে তার প্রকাশও ঘটে। এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে দেশের সাধারণ মানুষ প্রবল সমস্যায় পড়ে যাবেন এবং বিভিন্ন বিরোধী দল যে বিরোধিতা করবে এ কথা প্রধানমন্ত্রী জানতেন এবং এই সিদ্ধান্তের সুফল পক্ষে না গিয়ে বিপক্ষেও যেতে পারে তা' জানা সত্ত্বেও তিনি এমন কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে দুবার ভাবলেনও না।

যাই হ'ক এখন দেশ জুড়ে পক্ষ-বিপক্ষ উন্মাদনা তুঙ্গে এবং সংসদ উত্তাল। ঠিক এমনি পরিস্থিতি তৈরী হয়েছিল ইন্দিরা গান্ধীর জরুরী অবস্থা ঘোষনার সময়ে। এখন স্বাভাবিকভাবেই মনে প্রশ্ন জাগে এই সমস্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের কারণে দেশজুড়ে যে উত্তাল পরিস্থিতি তৈরি হয় সে পরিস্থিতি বিশ্বের কাছে কি প্রমাণ করে? ভারতবর্ষ বিশ্বের বৃহৎ লোকতান্ত্রিক দেশ না নেতাতান্ত্রিক দেশ? ভারতবর্ষে কোনটা শক্তিশালী লোকতন্ত্র না নেতাতন্ত্র?
( লেখা ২৬শে নভেম্বর'২০১৬)।


বিচিত্রাঃ ২০৮

ইগো সমস্যাই দেশ, জাতি, সমাজ, সংসার ধ্বংস হওয়ার মূল কারণ। ইগো ভয়ানক এক ব্যাধি। ইগো সমস্যা থেকে কেউই মুক্ত নয়। তাই এই পৃথিবীতে মহাত্মা কেউ নয়। পরমাত্মা আর জীবাত্মার মাঝে তাই কেউ নেই, কিছু নেই। পরমাত্মা একমাত্র ইগো মুক্ত। সেই এক ও অদ্বিতীয় পরমাত্মা হ'লেন রাম, কৃষ্ণ, বুদ্ধ, যীশু, মহম্মদ, মহাপ্রভু, রামকৃষ্ণ ও সর্বশেষ The greatest phenomenon of the world শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র। আর তাদের প্রধান ভক্তরা হ'লেন একমাত্র মহাত্মা। বাকী সব জীবাত্মা।
( লেখা ২৬শে নভেম্বর'২০২২)

ভাঙার মন্ত্র শিখলে শেষে সৎসঙ্গে এসে!
দয়াল প্রভু চেয়ে আছেন মিষ্টি হাসি হেসে!!

বাংলাদেশের পাবনা জেলার হিমায়েতপুর গ্রামে
দয়াল ঠাকুর জন্ম নিলেন অনুকূল নামে!
রাম কৃষ্ণ বুদ্ধ যীশু হযরত রসুল
মহাপ্রভু রামকৃষ্ণ হ'য়ে অনুকূল!!
( লেখা ২৬শে নভেম্বর'২০১৯)











Tuesday, November 25, 2025

কবিতাঃ ফিরে দেখা।

আর কিছু সঞ্চয় করতে পারি আর না পারি

জীবন নদীর তীরে সঞ্চয় আছে মোর
পরনিন্দা, পরচর্চা, হিংসা, কুৎসা, গালাগালি,
বদনাম, অপমান, অশ্রদ্ধা, অসম্মান আর  

দোষ, ত্রুটি করা ও ধরা আর দলাদলি?

আমি সযত্নে করেছি সঞ্চয় জীবন ভর

যা কিছু অবগুণ আছে জগতে খালি?

তীরের সঞ্চয় পড়ে আছে তীরে

ভাঙ্গা জীবন নদীর কূলে,   

দয়ালকে পেয়েও তুচ্ছ নুড়ি মনে ক’রে

পরশ পাথর দিয়েছি ছুঁড়ে ফেলে?
সব হারিয়ে আজ আমি একা নিজের ভুলে? প্রবি।

Monday, November 24, 2025

বিচিত্রাঃ ২০৭

বন্ধু! 
যার হাত ধ'রে তুমি শিখলে সাঁতার তারেই মারতে চাও ডুবিয়ে!?
আসবে সেদিন যেদিন ঘোর আঁধারে তুমি নিশ্চিত যাবে হারিয়ে!

ভাঙার জাল শুধু বুনলে তুমি গড়লে না কিছুই জীবনে! 
ভাঙার কারিগর হ'লে শেষে বন্ধু
প্রভুর চোখে চোখ রাখো কেমনে!?
( লেখা ২৫শে নভেম্বর'২০১৯)

নিজের জাগতিক বাপকে যে চিনতে পারে নি বা পারে না 
সে এই মহাজাগতিক সৃষ্টির যে বাপ, পরমবাপ অর্থাৎ সৃষ্টিকর্তা 
তাঁকে চিনবে কেমন ক'রে!?

ঈশ্বরের কি কোনও ভুল আছে ?
( লেখা ২৫শে নভেম্বর'২০২০)

সৃষ্টিকর্তা কাউকেও অ-সুখ গুঁজে দেননি। সুখ ও অ-সুখ সবটাই আমি যা করেছি ও করছি তার ফল। আমার করা অনুযায়ী আমার ফল লাভ হয়। যদি সৃষ্টিকর্তা ব'লে কিছু বা কেউ থেকে থাকেন তাহ'লে আমার যাবতীয় করাকে তিনি গ্রাহ্য করেন আর সেই অনুযায়ী আমার সুখ ও অ-সুখ লাভ হয়। আমার সব সুখের পিছনে তাঁর দয়া আছে আর সব অ-সুখের পিছনে আমার করায় ত্রুটি আছে।
এছাড়া অন্যের কারণেও অ-সুখ হয়।
আর এছাড়া আমার নিকট ও দূরের জনদের সচেতন ক'রে তোলার প্রতি অবহেলা আমার অন্যতম অ-সুখের কারণ।

হে দয়াল! তুমি মানুষ ভিক্ষা চেয়েছিলে?
ভিক্ষা চেয়েছিলে আমাদেরই প্রাণের জন্য, আমাদেরই প্রাণভিক্ষায়, আমাদেরই সত্তার সম্বর্দ্ধনার জন্য ব্যাকুল হয়ে ইতস্ততঃ ঘুরে বেড়িয়ে; কে আছ এমন দরদী আর্য্য-আত্মজ সন্তান!--আমাকে মানুষ ভিক্ষা দেবে ব'লে আমাদের দ্বারে দ্বারে নতজানু হ'য়ে?
আর আমরা?
তোমার ভক্ত সেজে আমার গায়ে আঁচ না লাগে ফুরিয়ে যাবে মামলা মানসিকতায় মুখ ঘুরিয়ে আছি!!!
( লেখা ২৫শে নভেম্বর'২০২২)

আপনার কথায় বিশ্বাস ক'রে যারা পাপের অধিকারী হয়েছেন 
তাদের পাপের ভাগীদার আপনাকেই হ'তে হবে।
( লেখা ২৫শে নভেম্বর'২০২৪)


আবার আকাশ হাসবে।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফাঁসির সাজা শুনিয়েছে অবৈধ দখলদার ইউনুসের আদালত। একটা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত দেশের প্রধানকে মেটিকুলাস ডিজাইনে ক্ষমতাচ্যুত করলো দেশের বাইরে অন্য দেশে বসে সেই দেশের মদতে শান্তির নোবেল পুরষ্কার হাতে অশান্তির আগুন জ্বালিয়ে মহম্মদ ইউনুস। এই মেটিকুলাস ডিজাইনে ইউনুসকে বহু আগে থেকেই আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে নানা পুরস্কারের মাধ্যমে মহান ব্যক্তিতে পরিণত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল আজকের দিনের জন্য, যা বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন নেতৃত্ব শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকার, দেশের জনগণ এমনকি ভারতের নেতৃত্বও বুঝতে ব্যর্থ হয়েছিল। তাই ভারতও ইউনুসকে দশ দশটা পুরস্কারে পুরস্কৃত করেছিল। ফলস্বরুপ বাংলাদেশ যা পাবার তা' সেই দেশ, সেই দেশের জনগণ পেয়েছে, পেয়ে চলেছে, এই পাওয়া কোথায় গিয়ে থামবে তার কোনও নির্দিষ্ট সময় নেই; কিন্তু দুধ কলা দিয়ে বিষধর সাপকে পোষার মত ইউনুসকে ভারতও পোষণ দিয়েছিল নানা সম্মানে সম্মানিত ক'রে যাতে একদিন মহম্মদ ইউনুস তার প্রতিদানে তাঁর মেটিকুলাস ডিজাইনে ভারতকে ভাঙ্গার চক্রান্তে মুখ্য ভূমিকা নিতে পারে, ভারতের সেভেন সিস্টার্সকে ভারত থেকে ছিন্ন করার পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে পারে। ভারত ইউনুসকে দশ দশটা পুরস্কারে এইজন্য পুরস্কৃত করেছিল যাতে বেইমান, অকৃতজ্ঞ, নেমকহারাম ইউনুসের হাত ধ'রে একদিন বাইরের শক্তি ভারতের ঘাড়ে গরম নিঃশ্বাস ফেলতে পারে।

মহম্মদ ইউনুস দেশের বাইরে বসে ছাত্রদের অসৎ পথে চালিত ক'রে ছদ্ম ছাত্র আন্দোলনে গোটা দেশের ছাত্র সমাজকে কোটা সিস্টেমের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে দিয়ে পিছনের দরজা দিয়ে এসে বসে দেশের সিংহাসনে এবং ৫৪ বছর ধ'রে তিলে তিলে গড়ে তোলা সাজানো গোছানো দেশটাকে গত ১৬মাসে ধ্বংস ক'রে দিল আন্তর্জাতিক নানা দেশের নানা মহান পুরস্কারে পুরস্কৃত বহিঃশক্তির হাতের পুতুল হয়ে থাকা লেখাপড়াজানাওয়ালা ইউনুস একটা নিকৃষ্ট মনের হিংসুটে মানসিকতার অধিকারী দেশের মদতে।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফাঁসির রায় ঘোষণা হয়েছে। হাসিনাকে ফাঁসি দিতে হ'লে তো আগে ভারতের থেকে তাঁকে ইউনুসের হেফাজতে নিতে হবে। কি উপায়ে হাতে নেবে হাসিনাকে ইউনুসের বাংলাদেশ? কোন অধিকারে? বাংলাদেশে কি কোনও বৈধ সরকার আছে? আছে কোনও বৈধ সরকার প্রধান? কার হাতে তুলে দেবে? কেন তুলে দেবে? কে বিচার করবে দেশের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীকে? অবৈধ দখলদার বিচার করবে বৈধ দেশের প্রধানমন্ত্রীকে? এটাই এখন সত্য? এটাই এখন সততা? আন্তর্জাতিক বিশ্ব এই অবৈধ দখলকে ও দখলদারিকে স্বীকৃতি দেয়? সমগ্র বিশ্বের ছাত্র ও যুব সমাজ ভেবে দেখবে না বৈধতা, নৈতিকতার প্রশ্নে বিষয়টাকে? কোন ভয়ঙ্কর ধ্বংসের বারুদের স্তুপের ওপর রেখে যাচ্ছে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে? মেটিকুলাসদ ডিজাইনে ছাত্র যুবকে ক্ষেপিয়ে দিলেই ক্ষেপে যাবে ছাত্র যুব জনতা? দেশ বিদেশের উচ্চ লেখাপড়া জানাওয়ালা ধনী ব্যক্তিরা সুকৌশলে দেশে দেশে জেনোসাইড ঘটিয়ে দেবে? কোথায় যাচ্ছে মানব সভ্যতা ও মানবিকতা? কোথায় আজ মানুষের মনুষ্যত্ব? বিশ্বের সমস্ত উন্নত শিক্ষিত সভ্য দেশের উন্নত শিক্ষিত সভ্য মানুষ এই অন্যায়, অবৈধ, অনৈতিক ও অগণতান্ত্রিক উপায়ে ক্ষমতা দখলকে স্বীকার করে? তাহ'লে সত্যি সত্যিই কি মানুষের মনুষ্যত্ব লুপ্ত হ'য়ে যাচ্ছে ধীরে ধীরে?

এইজন্যেই সত্যদ্রষ্টা পুরুষোত্তম পরমপিতা পরমপ্রেমময় শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র বলেছিলেন,
"দুনিয়ার সামনে একটা সর্বনাশ আসছে যার তুলনায় এই মহাযুদ্ধ (২য় বিশ্বযুদ্ধ), লোকক্ষয়, সম্পদের ক্ষয় কিছুই না। গতিক দেখে মনে হয়, মনুষ্যত্বের মূল বুনিয়াদ লোপ পেয়ে যাওয়া অসম্ভব কিছুই নয়।"

যদি শেখ হাসিনাকে মারার ক্ষমতায় থাকতো তাহ'লে যেদিন বাংলাদেশের সেনাবাহিনী তোয়াজ ক'রে ভারতে দিয়ে গিয়েছিল হাসিনাকে, সেদিনই মেরে ফেলতে পারতো। কেন তারা ভারতে দিয়ে গিয়েছিল হাসিনাকে? কেন হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে একজন মুসলমান নেত্রীকে মুসলিম দেশের সেনাবাহিনী দিয়ে গেল? কেন বিশ্বের অন্যান্য ৫৬টি মুসলমান দেশে হাসিনাকে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী রেখে এলো না? ভারত তো বাংলাদেশে সেনাবাহিনী পাঠিয়ে হাসিনাকে নিজের দেশে নিয়ে আসেনি। ভারত তো হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে একজন মুসলমান নেত্রীকে আশ্রয় দিতে নাই পারতো। ভারতের কাছে আশ্রয় নেওয়া কোনও মানুষকে কি কোনও সভ্য দেশ জেনেশুনে মৃত্যু মুখে ঠেলে দিতে পারে? ভারত অতিথিপরায়ণ দেশ, ভারতের দর্শন 'অতিথি দেব ভব', ও ভারত 'বসুধৈব কুটূম্বকম' নীতিতে বিশ্বাসী। এর ওপর দাঁড়িয়ে আছে ভারত। এই ভিত্তিভূমি ভারতের চিরকালীন ভিত্তিভূমি। ভারতের এই দর্শন, এই নীতি যেদিন ধ্বংস হ'য়ে যাবে সেদিন বিশ্ব ধ্বংস হ'য়ে যাবে। বিশ্বের কোনও শক্তি আর পৃথিবীকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে সমর্থ হবে না।

মনে মনে ভাবি, হিংসা মানুষকে কোথায় নামিয়ে এনেছে! পৃথিবী জুড়ে আজ ভয়ংকর হিংসার আগুন জ্বালিয়ে পুড়িয়ে খাক ক'রে দিচ্ছে চারপাশ। ক্ষমতাশালী বড়লোকেরা অর্থের ক্ষমতায় গঠনমূলক কাজে ইন্টারেস্ট পায় না, আনন্দ পায় না। একটা বদ্ধ উন্মাদের মত অবস্থার শিকার তারা। ধ্বংস কাজে আজ আনন্দ বেশী। পৃথিবীকে ধ্বংস করার জন্য উন্মত্ত আজ বিশ্বের ক্ষমতাধর উচ্চলেখাপড়া জানাওয়ালা ও ধনী লোকেরা। চোখের সামনে বিশ্ব দেখলো ৫৪বছর ধ'রে আভ্যন্তরীণ নানা ঘাত প্রতিঘাতে জর্জরিত হ'য়ে, মৃত্যুকে আলিঙ্গন ক'রে উন্নয়নের পথে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাওয়া একটা দেশ বাংলাদেশ কিভাবে চক্রান্তের শিকার হ'য়ে ধ্বংসকে বেছে নিলো, বেছে নিলো দেশের ছাত্র যুবসমাজ। ভারতের চারপাশে আজ এইরকম শোচনীয় অবস্থা। ভারতের অভ্যন্তরেও একইরকম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে উচ্চ লেখাপড়াজানাওয়ালা ও ধনী লোকেরা। এইসমস্ত উচ্চ লেখাপড়াজানাওয়ালা ও ধনী লোকেরা প্রেমহীন, ভালোবাসাহীন এক রোবটে পরিণত হয়েছে। শুধু ক্ষমতার আস্ফালন আর হুংকার।

পরমপ্রেমময় শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র এঁদের উদ্দেশ্যে বললেন, "তুমি যদি এমন শক্তি লাভ ক'রে থাক, যাতে চন্দ্র-সূর্য কক্ষচ্যুত ক'রতে পার, পৃথিবী ভেঙ্গে টুকরা টুকরা ক'রতে পার বা সব্বাইকে ঐশ্বর্য্যশালী ক'রে দিতে পার, আর যদি হৃদয়ে প্রেম না থাকে, তবে তোমার কিছুই হয়নি।"
কিন্তু কে শোনে কার কথা।

বাংলাদেশের রূপকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবরের ফ্যামিলি শেষ হ'য়ে গেল ১৯৭৫সালের ১৫ই আগস্ট। পাকিস্তানের জনসংখ্যা আজ প্রায় ২৫কোটি আর বাংলাদেশের জনসংখ্যা সাড়ে ১৭কোটি। ১৯৪৭সালে পূর্ব পাকিস্তানে (বর্তমান বাংলাদেশে) জনসংখ্যা ছিল ৪কোটি ৪০লক্ষ আর পশ্চিম পাকিস্তানে ছিল ২কোটি ৫০লক্ষ। অথচ শাসক ছিল সংখ্যালঘু উর্দুভাষী মুসলমান। সংখ্যালঘু উর্দুভাষী মুসলমান সংখ্যাগুরু বাংলাভাষী মুসলমানের ওপর চালাত শাসন যন্ত্র। সেই উর্দুভাষী পাকিস্তানের আগ্রাসন থেকে বাংলাভাষী বাঙালি মুসলমানদের বাঁচাতে শেখ মুজিবর রহমান তাঁর জীবন উৎসর্গ করেন। তাঁকে ও তাঁর পুরো পরিবারকে নির্ম্মম ভাবে হত্যা করা হয়। সেইসময় শেখ হাসিনা বাইরে থাকায় বেঁচে যান নিষ্ঠুর জল্লাদদের হাত থেকে। শেখ হাসিনার আজ বয়স ৭৮বছর, আর ইউনুসের বয়স ৮৫বছর। শেখ হাসিনা মহম্মদ ইউনুসের চেয়ে ৮ বছরের ছোটো। ১৯৭১সালে ইউনুস ৩১বছরের তরতাজা যুবক ছিলেন। তিনি সেই রক্তাক্ত ভয়ঙ্কর দিনগুলির সময়ে দেশে ছিলেন না, ছিলেন আমেরিকায় উচ্চ শিক্ষার্থে নিজের ক্যারিয়ার গড়ার লক্ষ্যে। আবার ২০২৪-এর জুলাই-আগষ্ট মাসে ছদ্ম ছাত্র রাজনীতিতে উত্তাল বাংলাদেশেও তিনি ছিলেন না, সেইসময়েও ইউনুস ছিলেন আমেরিকায় নিজের ক্যারিয়ার গড়ার লক্ষ্যে, কোনও প্রত্যক্ষ অবদান কোনদিনও ছিল না ইউনুসের দেশকে পরাধীনতার হাত থেকে মুক্ত কিংবা স্বাধীন করার।

আর হাসিনা ১৯৭১-এ ছিলেন ২৩বছরের যুবতী। ১৯৯৬ সালে ৪৯ বছর বয়সে তিনি প্রথম দেশের শাসনভার গ্রহণ করেন। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ এবং ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সর্বমোট তিনি ২১বছর দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।

বাংলাদেশের আদালত শেখ হাসিনার ফাঁসির রায় ঘোষণা করার পর এই রায়ে উল্লসিত হাসিনা বিরোধীরা আবার গভীরভাবে চিন্তিত এই রায়ের ফাঁকফোকর নিয়ে। যদি এই রায়ের ফাঁকফোকর দিয়ে হাসিনা বেড়িয়ে যায় এইজন্য এই রায়কে ত্বরান্বিত করার জন্য তারা তৎপর, প্রায় উন্মাদ।

তাই, হাসিনার ফাঁসির রায়ে ফাঁকফোকর আছে কি নেই সেই ব্যাপারে যদি শেখ হাসিনার বিরোধীদের সন্দেহ থেকে থাকে তাহ'লে তারা জাতিসংঘের প্রধান বিচার বিভাগীয় অঙ্গ আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (International Court of Justice)-এ কেসটা নিয়ে যেতে পারে যাতে নিশ্চিন্তে তাঁর ফাঁসি হয়, শেখ হাসিনা বিরোধীদের মনোবাসনা পূরণ হয়। বলা হচ্ছে, মানবতা বিরোধী ও হত্যাকারী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ফাঁসির এই রায় বাংলাদেশের সমস্ত মানুষের রায়। বাংলাদেশের কারও মনে যদি সন্দেহ না থেকে থাকে হাসিনার মানবতা বিরোধী অপরাধ সম্পর্কে, তাহ'লে মনে হয় বাংলাদেশের প্রায় ১৮ কোটি মানুষ হাসিনার বিরুদ্ধে। তাহ'লে ভয় কোথায় হাসিনা বিরোধীদের? নির্বাচনের মধ্যে দিয়েই তো ১০০% মানবতা হত্যাকারী হাসিনার বিচার হ'য়ে যায়। তাই না? তাহ'লে এইরকম অন্যায় ভাবে অবৈধ দখলদার কর্তৃক নিয়োজিত অবৈধ বিচার ব্যবস্থার হাতে বিচার কেন? আগে তো দেশে নির্বাচিত সরকার হ'ক, বৈধ সরকার গঠন হ'ক দেশে, নৈতিক ও গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে দেশের সমস্ত রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে আসুক জনগনের সরকার, তারপর হ'ক বৈধ সরকার গঠন। হ;ক বৈধ সরকারের বৈধ বিচার ব্যবস্থার মাধ্যমে তাঁর বিচার।

আর, অবৈধ অনৈতিক অগণতান্ত্রিক দখলদারকে সরকার বলা যায় কি? নাকি দখলদার সরকারের কোনও অধিকার আছে কারও বিচার করার? যে নিজেই অবৈধ, যে নিজেই অনৈতিক, যে নিজেই অগণতান্ত্রিকতার প্রতীক তার গ্রহণযোগ্যতা কোথায়? আগে তো দেশের ভিতরেই দেশের ১৮ কোটি জনগণের কাছে দেশের পরিচালক, দেশের বিচার ব্যবস্থার গ্রহণযোগ্যতা আছে কিনা তার প্রমাণ হ'তে হবে, তারপর তো হাসিনার বিরুদ্ধে যে রায় প্রকাশ হয়েছে সেই রায়ের দেশের ভিতরে ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্যতার প্রশ্ন উঠবে? তাই না? কারও চাওয়া, না-চাওয়ায় কিছু আসে যায় কি? আগে তো দেশের জনগণের কাছে ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে অবৈধভাবে, অনৈতিকভাবে, অগণতান্ত্রিক ভাবে দখলদার সরকারের প্রধান ও সরকারের গ্রহণযোগ্যতা আছে কিনা তা' প্রমাণ করুক সততার সঙ্গে তারপর তো আসামীর বিচার করার অধিকার ও ফাঁসির রায় লিগালি সাউন্ড অর্থাৎ আইনত বৈধ বা আইনসম্মত কিনা তার প্রশ্ন আসবে। গ্লোবাল প্ল্যাটফর্ম কি অবৈধ, অনৈতিক, অগণতান্ত্রিক পথে দখলদারদের প্ল্যাটফর্ম ব'লে মনে করে হাসিনা বিরোধীরা?

হাসিনা বিরোধীদের শান্ত ঠান্ডা মাথায় একটা ভয় কাজ করছে কেউ হয়তো চ্যালেঞ্জ করবে এই ফাঁসির রায়ের বিরুদ্ধে। তাঁদের উদ্দেশ্যে বলি, ভয় নেই। হাসিনা বিরোধীরা নিশ্চিন্ত থাকুন সত্যের জয় হবেই, জয় হবেই দেশের জনগণের। ইউনুস বা কোনও ব্যক্তির, সে যেই-ই হ'ক, এই ফাঁসির রায় ঘোষণার ফলে কারও ব্যক্তিগত জয় মানবতা ও মনুষ্যত্ব ধ্বংসকে নিশ্চিত করে। ঈশ্বরের দরবারে মিথ্যার কোনও স্থান নেই। ঈশ্বর বা আল্লার বিচার শেষ বিচার। শেখ হাসিনার বিরোধীদের হিংস্র চাওয়া, না-চাওয়া দিয়ে ঈশ্বর বা আল্লা বিচার করেন না। সত্যের জয় হবেই হবে।

কথায় আছে, ঈশ্বর বা আল্লার দরবারে 'দের হ্যাঁয় লেকিন অন্ধেরা নেহী হ্যাঁয়'। ভয় নেই, 'রাত হয়, কিন্তু অন্ধকার নয়।' রাত আসে কিন্তু সময় পার হয়, সব সময় তা অন্ধকার হয় না, বরং কখনও কখনও সেখানে আলো থাকে বা শান্তি থাকে। সেদিনের অপেক্ষায়। ১৯৭১-এও পাকিস্তানের হাতে ৩০ লক্ষ বাঙ্গালীর মৃত্যু ও ৪লক্ষ মা-বোনেদের ইজ্জৎ লুন্ঠন ও নির্মম হত্যার ভয়ঙ্কর নারকীয় দিনগুলিতে ভারত মানবতার খাতিরেই মনুষ্যত্বকে রক্ষা করার জন্য আমেরিকার রক্তচক্ষু উপেক্ষা ক'রে বাংলাদেশের পাশে ছিল, আজও বাংলাদেশের সঙ্কটে ভারত পাশে আছে। কারও রক্তচক্ষু ভারত সহ্য করে না। কালো মেঘ কেটে যাবে, আবার আকাশ হাসবে। আবার গাছে গাছে ফুল ফুটবে, পাখি গান গাইবে, আজানের ধ্বনি ভেসে আসবে, ভেসে আসবে সন্ধ্যারতির ঘন্টাধ্বনি, ভেসে আসবে মন্দির, মসজিদ, গীর্জা, বিহার ইত্যাদি সমস্ত সম্প্রদায়ের উপাসনালয় থেকে নোতুন ক'রে বাঁচার ও বেড়ে ওঠার গান, মিলনের গান। সেদিন সমাগত।
প্রকাশ বিশ্বাস।
ভদ্রকালী, উত্তরপাড়া।


Sunday, November 23, 2025

বিচিত্রাঃ ২০৬

ভালো মানুষেরা রাজনীতিতে আসে?
আসতে দেওয়া হয়? 
কেন আসে না বা আসতে দেওয়া হয় না?
আসলে পরে ভালো থাকে? 
কেন থাকে না?
( ২৪শে নভেম্বর'২০১৮)

তোমার যা ইচ্ছে তাই করো, 
তোমার মন যা চাই তাই বলো, 
তোমার চোখ যা চাই তাই দেখো, 
কিন্তু মনে রেখো-----
সময় সবসে বড়া বলবান!

তুমি ঠাকুরের চোখে চোখ রেখে বলো দেখি বন্ধু, 
তুমি নির্দোষ! তুমি নিরপরাধ!
আলো নিভিয়ে, বিষ ছড়িয়ে করোনি তুমি 
কাউকে নির্মম আঘাত!?
( ২৪শে নভেম্বর'২০১৯)

হে আমার প্রিয়জন,
এসো সবাই আমরা দৃঢ়চিত্তে গভীর বিশ্বাস নিয়ে বলি,
শোনো শয়তান!
আমাকে স্পর্শ ক'রো না। আমি দয়ালকে স্পর্শ ক'রে বসে আছি; বসে আছি শয়নে স্বপনে জাগরণে শরীরে মনে আত্মায়! শোনো রোগ, শোক, গ্রহদোষ, বুদ্ধি বিপর্যয় আর দারিদ্র‍্যাদি আমাকে ভুলেও স্পর্শ ক'রো না; ঝলসে যাবে, ধ্বংস হ'য়ে যাবে, শেষ হ'য়ে যাবে, মুছে যাবে চিরতরে।
( ২৪শে নভেম্বর'২০২২)

চলতে চলতে হঠাৎ চলা থেমে গেলে তার অসহ্য কষ্ট, যন্ত্রণা তুমি বুঝবে না। কারণ হয় তুমি চলা শুরুই করোনি কিংবা সবে শুরু করেছো। এখনও পথ চলা বহুদূর বাকি। বাকী অনেক অজানা অচেনা পথ আর তার রহস্যময়তা। পথের বাঁকে বাঁকে লুকিয়ে থাকা না জানা নানা বাধা বিপত্তি।

অনেক কষ্ট ক'রে, ঘাম রক্ত ঝড়িয়ে, রক্ত জল করা অর্থের অর্থ না বুঝে খরচ ক'রে, বাড়ির খেয়ে বনের মোষ তাড়িয়ে কোনও কিছু গড়ে তোলা জিনিস যখন ভেঙে যায় কিংবা কেউ ভেঙে দেয় তখন সে যন্ত্রণা যে জন্ম দেয় সে ছাড়া আর কেউ বোঝে না। সাজানো বাগানে ফুল তুলতে আসা মানুষ সে যন্ত্রণার ধার ধারে না।
( ২৪শে নভেম্বর'২০২৩)

Saturday, November 22, 2025

বিচিত্রা ২০৫

হে দয়াল! হে প্রভু! মনের কথা, মনের ব্যথা শুধায় কারে বলো! 
মনের স্বপ্ন মনেই মিলায় মনমাঝারে মরু থরথর!!

হয় বিশ্বাসঘাতকতা!
নয় গোলমাল,
কাজে এলোমেলো! কে ফেরাবে হাল! 
কে দেখাবে আলো!!
কে নেবে দায়? কে নেবে দায়িত্ব?

আমার পরাণও যাহা চায়
তাই পাই কি?
আমার জীবনও যাহা পায়
তাই চাই কি?
( লেখা ২২শে নভেম্বর'২০১৭)


দয়ালের যত কাছে যাবে তত বুঝতে পারবে দয়াল প্রেমের, ভালোবাসার মহাসমুদ্র! আর সেই প্রেমের সমুদ্রে যেই ডুব দেবে সর্বাঙ্গ ভিজে চপচপে হ'য়ে যাবে প্রেম রসে। তখন বুঝতে পারবে জীবন কত মিষ্টি, কত সুন্দর!

শ্রীশ্রীঠাকুর হ'লেন
Ocean of love,
ভালোবাসার মহাসমুদ্র।
এই সমুদ্রের জলের ছিটেফোঁটাও যদি গায়ে লাগে তাহ'লে মহাপাষন্ডও প্রেমিক হ'য়ে ওঠে, প্রতিটি সংসার মধুময়, আলোময় হ'য়ে ওঠে। আমরা সৎসঙ্গীরা হ'য়ে উঠছি কি? আমাদের সংসার হ'য়ে উঠছে কি?
( লেখা ২২শে নভেম্বর'২০২৪)

তুমি তোমার ঘর (ধর্ম) ছেড়ে অন্যের ঘরে আশ্রয় নেবে কেন? 
তুমি তোমার ঘরে যদি কিছু ময়লা থাকে তাকে পরিষ্কার কর, 
কর পরিশুদ্ধ।
( লেখা ২২শে নভেম্বর'২০২৪)















প্রসঙ্গঃ প্রকৃত দাদাগিরি!!!!

রফিক ভাইকে নিয়ে লেখাটা post করার পর অনেক comments, message যেমন এসেছে তেমন অনেক পরিচিত জনের ফোনও পেয়েছি। প্রত্যেককেই রফিকের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। অনেকের অনেক প্রশ্নের উত্তর একসঙ্গে দেবার জন্য এই লেখাটা post করলাম। রফিক ভাই যেটা করেছে সেটা বিবেকের ডাকে সাড়া দিয়ে করেছে। বিবেকের ডাকে যারা সাড়া দেয় তারা কখনোই প্রচারের জন্য করে না। ইতিহাস তাই বলে। আর এটা আমার বিলক্ষণ জানার মধ্যেই পড়ে। বিদ্যাসাগর, কর্ণ, তুলসীদাস, কবীর ইত্যাদি আরো অনেক অনেক মহাপুরুষদের জীবন তাই বলে। এঁরা এঁদের দানের কথা নিজের মুখে কোনদিন বলেননি। তাহ'লে আমরা জানলাম কোথা থেকে? এঁরা বলেন না। নিজেদের ঢাক এঁরা নিজেরা পেটান না। কথায় আছে "Empty vessels sound much" Too much talk ends in nothing. অসারের তর্জন গর্জনই সার”।

কারা নিজেদের ঢাক নিজেরা পেটায় এ-থেকে তা বোঝা যায়। কিন্তু রফিকরা তো এর বিপরীত!! তাই যাদের জন্য রফিকের মত মানুষেরা করেন তাদেরই দায়িত্ব, সামাজিক দায়িত্ব থেকে যায় এঁদের কথা সমাজের কাছে তুলে ধরার। এঁরা খুশি বা অখুশি হবেন কিনা সেদিকে তাকিয়ে সামাজিক দায়বদ্ধ মানুষেরা সমাজের বৃহত্তর স্বার্থে সত্য প্রচারে পিছিয়ে আসেন না। এঁদের খুশি করার জন্য সামাজিক দায়বদ্ধ মানুষেরা কোন প্রচারে লিপ্ত হন না। দায়িত্ববোধ, কর্তব্যবোধ থেকেই এরা এই সমস্ত মহৎ মানুষদের জন্য যা করার করেন। এঁদের জীবনের কথা প্রচার নাহ'লে মানুষ সমাজের জন্য, পরবর্তী প্রজন্মের জন্য ভালো কাজ করার উৎসাহ, প্রেরণা পাবে কোথা থেকে? আর বন্ধুরা আমার, আমি তো সমাজের জন্য ভালো কাজ করতে পারিনি কিছু; না’হয় রফিক ভাইয়ের কথা প্রচার ক’রে কিছু না করতে পারার গ্লানিটা একটুখানি পুষিয়ে নিলাম। আজকের অসভ্যতার যুগে কেউ কারও ঢাক পেটানো তো দুরের কথা কারও প্রশংসাজনক কাজকে কবরস্থ করতে বা করাতে তৎপর ষষ্ট রিপু জ্বরে আক্রান্তরা। আর রফিক ভাইয়ের মত মানুষেরা যেমন কাউকে বলেন না নিজের ভালো কাজের প্রচার করতে ঠিক তেমনি কেউ যদি স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে তাঁর ভালো কাজের প্রচার করে তা’তে তাঁরা অখুশি বা রুষ্ট হন না, এ আমার গভীর বিশ্বাস। প্রত্যেকেই নিজের ভালো কাজের জন্য প্রশংসা শুনতে ভালোবাসেন। এটা স্বাভাবিক ও স্বতঃসিদ্ধ। ব্রিটিশরা দু'শো বছর রাজত্ব ক'রে গেছে এ-দেশটাতে। আমরা গোলামী করেছি দু'শো বছর। তাই তাদের ছেড়ে যাওয়া খারাপটাই আমরা নিয়েছি আর তাহ'ল Divide & rule এবং অন্যান্য আরো অনেক কিছু। কিন্তু ভালোগুলি নিতে পারিনি। কি কি গুণের অধিকারী হ'লে একটা জাত প্রায় গোটা পৃথিবীটাতেই রাজত্ব করেছিল তা আমরা কোনদিন ভেবে দেখিনি। দেশটাকে স্বাধীন করার নেশাতেই আমরা মেতে থেকেছি। ভেবে দেখিনি তাঁরা চলে গেলে কাদের ওপর বহু ভাষা, বহু জাতি, বহু সম্প্রদায়, বহু ধর্ম-এর এতবড় দেশটাকে চালাবার ভার দেবো!

 ইংরেজদের অনেক গুণের কথা নাইবা বললাম। অনেক গুণের মধ্যে একটা বড় গুণ ছিল ব্রিটিশদের তা হ’ল অন্যের ভালো কাজের প্রশংসা করা, তারিফ করা, বাহবা দেওয়া, মান্যতা বা স্বীকৃতি দেওয়া। প্রশংসা করা ছিল তাদের রক্তে। আমরা সেটা তাদের থেকে নিতে পারিনি। বুক বাজিয়ে বলতে পারিনি, তুলে ধরতে পারিনি সত্যকে সত্য বলে হীনমন্যতা ও পরশ্রীকাতরতার দরুন। তথাকথিত উদারতার দোহাই দিয়ে, কথার ঝিকিমিকিতে নিষ্ক্রিয় ভালোমানুষ হ'য়ে থাকার মানে রফিক ভাইদের মত মানুষদের প্রকৃত দাদাগিরি মানুষকে জানতে, চিনতে না দেওয়া এবং পরবর্তীকে, পরবর্তী প্রজন্ম-কে তাঁদের মত হতে না দেওয়া। রফিকের মত মানুষেরা যা করেছে বা করছে সেটাই তো প্রকৃত দাদাগিরি, !! তাই না?

ফেসবুক বন্ধুরা আমার, তাই আসুন এবং এসো আমরা সবাই মিলে এই দাদাগিরির কথা তুলে ধরি, পৌঁছে দিই ঘরে ঘরে। সমস্বরে বলি রফিক ভাই দেশ তোমাকে যা' দিয়েছে, দেশের মানুষ তোমায় যা' দিয়েছে, ভগবান বা আল্লা তোমায় যা' দিয়েছেন তুমি ফিরিয়ে দিয়েছ তা' তোমার দেশকে, দেশের মানুষকে। দেখিয়েছ প্রকৃত দাদাগিরি!! তোমায় দেখে প্রেরণা পেয়ে এগিয়ে আসুক অন্য আরও সবাই। তুমি বাংলাদেশের রত্ন!!! দেশ তোমায় “বাংলাদেশ রত্ন” উপাধি দিক না দিক তুমি আমাদের কাছে “বাংলাদেশ রত্ন” !
( লেখা ২২শে নভেম্বর'২০১৩)


Tuesday, November 18, 2025

প্রসঙ্গঃ মামেকং শরণং ব্রজ।

মামেকং শরণং ব্রজ।
আমাকেই একমাত্র স্মরণ করো।

ইশ্বর ছাড়া কেউ বন্ধু নয়। জীবনে প্রকৃত বন্ধু পেতে গেলে নিজেকে প্রকৃত হ'য়ে উঠতে হয়। ঈশ্বরের স্পর্শ ছাড়া, সান্নিধ্য ছাড়া প্রকৃত হ'য়ে ওঠার দ্বিতীয় কোনও পথ নেই। আর মানুষ যখন প্রকৃত মানুষ হ'য়ে ওঠে না তখন কেউ কারও নয়। না আমি কারও, না কেউ আমার। ইশ্বর মানে জীবন্ত ইশ্বর! রক্তমাংসসংকুল আমান ইশ্বর! এ ছাড়া ঈশ্বর ব'লে কেউ নেই, কিছু নেই।

আমার ইশ্বরঃ প্রভু শ্রীশ্রীরাম, শ্রীশ্রীকৃষ্ণ, শ্রীশ্রীবুদ্ধ, শ্রীশ্রীযীশু, শ্রীশ্রীহজরত মহম্মদ, শ্রীশ্রীমহাপ্রভু, শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ সর্বশেষ শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র। তাঁরা একজনই বিভিন্ন সময়ে এসে বিভিন্ন ভাবে সেই একই কথা বারেবারে ব'লে গেছেন,
"মামেকং শরণং ব্রজ"
যার অর্থ, আমাকেই একমাত্র স্মরণ করো।

আমার জন্য আছেন প্রভু,
প্রভুর জন্য কি আমি?
একথা কি ভেবেছি কভু
প্রভু আমার জীবন স্বামী!?

হে আমার প্রিয়!
পৃথিবীতে জীবন্ত ঈশ্বর তোমার দয়াল ঠাকুর ছাড়া
আর কাউকে বিশ্বাস ক'রো না
আর কারও উপর নির্ভর ক'রো না।
(লেখা ১৮ই নভেম্বর'২০২৪)
(ছবি ১৮ই নভেম্বর/২০১৭)।


 

প্রসঙ্গঃ সৎসঙ্গী সমাজ।

যখনই দেশে ও বিদেশে কোনও প্রলয়ঙ্কর ঘটনা ঘটে সমাজের ভিত নড়ে ওঠে তখনও চুপ থাকে সৎসঙ্গ। এই অভিযোগ সৎসঙ্গ জগতে কিছু সৎসঙ্গীদের, এবং এই অভিযোগে তারা বিরোধী মন্তব্যও ক'রে বসে সোশ্যাল মিডিয়ায় সৎসঙ্গের বিরুদ্ধে, কখনও কখনও বা আচার্য্যের বিরুদ্ধে শানিত অস্ত্র হ'য়ে ওঠে। কেউ কেউ বা এক্ষেত্রে ঋত্ত্বিকের ভূমিকাকেও কথার জাগলিং-এ আচার্য্যের উপরে প্রাধান্য দিয়ে বসে। এরা সবাই নিজস্ব বোধবুদ্ধি থেকে নির্গত কথার স্রোতে ভাসা সৎসঙ্গী। এরা শ্রীশ্রীঠাকুরের গ্রন্থ না পড়া, ঠাকুরের মিশন না জানা, আচরণ সিদ্ধ না হওয়া, ঠাকুরের বিধিবিধান বিন্দুমাত্র পালন না করা, আচার্য সঙ্গ না করা, আচার্য নির্দেশ ও নিদেশ না মানা, আচার্যের ওপরে ঋত্ত্বিককে স্থান দেওয়া ভিত্তিহীন অর্থহীন কর্মহীন কথার স্রোতে ভাসা সৎসঙ্গী, শুধুই ফাঁপা শোম্যানশিপ। এরা প্রভাবিত করতে চায় সমগ্র সৎসঙ্গীদের।

যাই হ'ক যেদিন মহাপ্রলয় আসবে সেদিনও সৎসঙ্গ চুপ থাকবে। কারণ সে জানে মহাপ্রলয় আসবে, লুপ্ত হ'য়ে যাবে মানব সভ্যতা, ধ্বংস হ'য়ে যাবে পৃথিবী। কে রক্ষা করবে এই মহাপ্রলয়ের হাত থেকে? কিভাবে রক্ষা করবে? কি তার Blue print?

শ্রীশ্রীঠাকুর সৃষ্ট প্রতিষ্ঠান 'সৎসঙ্গ' জানে শ্রীশ্রীঠাকুরের ব'লে যাওয়া কথা, "তোদের সামনে এমন একদিন আসছে সেদিন একমুঠো সোনার বদলে একমুঠো চাল পাবি না। দুনিয়ার সামনে একটা সর্বনাশ আসছে যার তুলনায় এই মহাযুদ্ধ, লোকক্ষয়, সম্পদের ক্ষয় কিছুই না। গতিক দেখে মনে হয় মনুষ্যত্বের ভিত পর্যন্ত লোপ পেয়ে যাওয়া অসম্ভব কিছুই নয়। তাই শিক্ষা, দীক্ষা, বিবাহ এই তিনটে জিনিস ঠিক ক'রে দেন আপনারা।"

তাই শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র সৃষ্ট এক ও একমাত্র প্রতিষ্ঠান 'সৎসঙ্গ' সেই মানুষের মনুষ্যত্বের ভিতকে রক্ষা করার জন্য যে মহা আন্দোলন সেই আন্দোলনে মগ্ন। বিশাল প্রাসাদের ভিতটাই যদি নড়ে যায় তাহ'লে কি হবে? ভেঙ্গে পড়বে বিশাল অট্টালিকা। তা' সে যতই শক্তিশালী প্রাসাদ হ'ক না কেন? প্রাকৃতিক ও মানুষের কারণে ভয়ংকর ভূমিকম্পে যখন ভূস্তরের প্লেটগুলি নড়ে ওঠে এবং সরে যায় আর তখনই হয় ভূমিকম্প। আর, ভেঙ্গে পড়ে গাছপালা, ছোটোবড় বাড়িঘর, প্রাসাদ অট্টালিকা মাটির ওপরে সবকিছু। ঠিক তেমনি মানুষের ভিত যে মনুষ্যত্ব সেই মনুষ্যত্বের ভিত যদি লোপ পেয়ে যায় তখন গোটা মনুষ্য সমাজ, মানব সভ্যতা ধ্বংস হয় এবং তারপর নেমে আসে গভীর শীতল যুগ। মানব সভ্যতার অবনতি, মনুষ্যত্বের ভিত যে প্রায় লুপ্ত হওয়ার পর্যায়ে তা' আমরা বর্তমান পৃথিবীর প্রতিটি দেশে দেশে আমরা দেখতে পাচ্ছি।

সেই বর্তমান অস্থির সময়ে যখন তথাকথিত গোটা মানব সভ্যতার মনুষ্যত্বের ভিত নড়ে উঠছে, অশনি সঙ্কেতের ইঙ্গিত দিচ্ছে তখন সবাই যখন Superficial thoughts-ওপর দাঁড়িয়ে অর্থাৎ ভাসাভাসা, উপর উপর, অগভীর চিন্তাভাবনার ওপর দাঁড়িয়ে বিভিন্ন বিষয়ে আন্দোলনরত, কখনও বা Pseudo politics (ছদ্ম রাজনতির) এর ওপর দাঁড়িয়ে Pseudo movement ( ছদ্ম আন্দোলন) করে নিজের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য উন্মত্ত, সেরকম আন্দোলন পুরুষোত্তম পরমপিতা জীবন্ত ঈশ্বর শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র সৃষ্ট প্রতিষ্ঠান 'সৎসঙ্গ' করে না।

'সৎসঙ্গ' মনুষ্যত্বের ভিত যাতে লোপ না পেয়ে যায়, যা যা করলে মনুষ্যত্বের ভিত টেকসই, দীর্ঘস্থায়ী হয়, কঠিন মজবুত হয় সেই বিষয়ে 'সৎসঙ্গ' বিভোর, তন্ময়, সমাচ্ছন্ন, সাধিস্থ। মানব জাতি যাতে তাদের জ্ঞানের অহংকারে লুপ্ত হ'য়ে না যায়, জ্ঞানের অভাবে জাগতিক নানারকম ধাঁধায় বিভ্রান্ত হ'য়ে ভুল পথে পরিচালিত হ'য়ে অস্তিত্ব সংকটে পড়ে ও ধ্বংস হ'য়ে যায় সেই কঠিন আন্দোলনে 'সৎসঙ্গ' মগ্ন, অন্তর্লিপ্ত। প্রত্যেকটি ধর্ম প্রতিষ্ঠানের তার নিজের নিজের চিন্তাভাবনা অনুযায়ী সমাজের জন্য কাজ আছে। বহিরঙ্গ ও অন্তরঙ্গ দুইভাবে সমাজ সেবা হয়। সমস্ত ধর্ম প্রতিষ্ঠান তাদের শক্তি সামর্থ্য দিয়ে অন্ন, বস্ত্র, চিকিৎসা ইত্যাদি বিভিন্ন অন্তরস্পর্শী সেবার মধ্যে সমাজের বহিরঙ্গের সেবা করছে। ছদ্ম সেবা হ'ক আর প্রকৃত সেবা হ'ক দুই সেবায় সমাজকে বহিরঙ্গে টিকিয়ে রাখতে সাহায্য করে। সময়ের কষাঘাতে টিকে থাকে প্রকৃত সেবা। আর, শীতের শেষে ঝরা পাতার মত সময়ের কষাঘাতে সময়মত লুপ্ত হ'য়ে যায় ছদ্ম সেবা প্রতিষ্ঠান। আর অন্তর অঙ্গের সেবা করে ঈশ্বর স্বয়ং ও তাঁর সৃষ্ট প্রতিষ্ঠান। 'সৎসঙ্গ' প্রতিষ্ঠান এই দুনিয়ার বুকে ঈশ্বর যতবার এসেছেন,--- আট আটবার এসেছেন,----কিন্তু তিনি কোনও প্রতিষ্ঠান এর আগে নিজের হাতে গড়ে দিয়ে যাননি, তাঁকে কেন্দ্র ক'রে গড়ে উঠেছিল সমস্ত প্রতিষ্ঠান তাঁর প্রধান প্রধান ভক্তদের উদ্যোগে। কিন্তু এক ও একমাত্র প্রতিষ্ঠান 'সৎসঙ্গ' প্রতিষ্ঠান নিজের হাতে গড়ে দিয়ে গিয়েছিলেন বর্তমান সৃষ্টিকর্তা, জীবন্ত ঈশ্বর, সদগুরু, সর্বদর্শী, সর্বশক্তিমান, সর্বব্যাপী, সর্বজ্ঞ, সর্বজন কল্যাণকর, পরম কারণ, পরম উৎস, পরমপুরুষ, পুরুষোত্তম, পরমপিতা শ্রীশ্রীরাম, কৃষ্ণ, বুদ্ধ, যীশু, মহম্মদ, মহাপ্রভু, রামকৃষ্ণ এঁদের নবরূপ পরমপ্রেমময় শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র।

'সৎসঙ্গ' শ্রীশ্রীআচার্যদেবের নেতৃত্বে শ্রীশ্রীঠাকুর ও শ্রীশ্রীঠাকুরের মিশন প্রতিষ্ঠায় মগ্ন, বিভোর। তাই, আমরা যদি প্রকৃতই ঠাকুরকে ভালোবেসে থাকি, তাঁর আসার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বুঝে থাকি, তিনি আমাদের কাছে কি চেয়েছিলেন তা' যদি বুঝে থাকি তাহ'লে আমাদের সৎসঙ্গীদের শ্রীশ্রীঠাকুরের মত জীবন্ত একজনের আদেশ মাথায় নিয়ে চলতে হবে নিজেদের বালখিল্য বোধবুদ্ধিকে দূরে সরিয়ে রেখে। তবেই আমরা শ্রীশ্রীঠাকুরের স্বপ্ন 'সৎসঙ্গী সমাজ' জগতের বুকে প্রতিষ্ঠা করতে পারবো।

শ্রীশ্রীঠাকুরের বাণী "এক আদেশে চলে যারা তাদের নিয়েই সমাজ গড়া"-র শৃঙ্খলিত, শিক্ষিত, সভ্য, জ্ঞানী সৎসঙ্গী হ'তে পারবো।
আর, যিনি শ্রীশ্রীঠাকুরের সৎসঙ্গী সমাজ গঠনে আমাদের নেতৃত্ব দেবেন, যাঁর আদেশ আমরা মেনে চলবো, যাঁর নির্দেশ ও নিদেশ মেনে আমরা শ্রীশ্রীঠাকুরের সমাজ গড়ার লক্ষ্যে অংশ নিতে পারবো ও 'সৎসঙ্গ' প্রতিষ্ঠানের সৈনিক হ'তে পারবো তিনি হলেন এক ও একমাত্র শ্রীশ্রীআচার্যদেব! আচার্যদেব!! আচার্যদেব!!! অন্য কেউ নয়।।
( লেখা ১৮ই নভেম্বর'২০২৪)

প্রসঙ্গঃ ট্যাঙ্কির একটা ফুটো ও দশটা ফুটো।

নানা ধর্মগুরুর খুব সুন্দর সুন্দর ধর্মীয় পরামর্শ মেনে চললে মানুষ নিশ্চিত উপকৃত হবে, উপকৃত হবে তাঁদের জীবন বৃদ্ধির সুপরামর্শে। তবে এইসমস্ত পরামর্শ মেনেও মানুষ মৃত্যুকে আটকাতে পারে না। কারণ জন্মগতভাবে নিয়ে আসা নির্দিষ্ট আয়ু এইরকম পরামর্শ অনুযায়ী নিখুঁত চললে সেটা পুরোপুরি ছুঁতে পারে। কিন্তু বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই নির্দিষ্ট আয়ুর আগেই মানুষ ভুল জীবনযাপনের জন্য বিদায় নেয়। দীর্ঘায়ু ও সুস্থ বলিষ্ঠ স্বাস্থ্যের অধিকারী হওয়া এই পরামর্শের অঙ্গীভুত হ'লেও বংশধারা একটা মূল ব্যাপার। আর এর সঙ্গে তাঁরা ধ্যানের কথা বলেন। যেটা বলেন না সেটা হ'লো কার ধ্যান করবো, কি ধ্যান করবো। নামকরা প্রতিষ্ঠিত লোকেদের একটা অসুবিধা থাকে তাঁরা সরাসরি ঈশ্বরের সঙ্গে যুক্ত থাকার কথা বলতে পারেন না। আবার কেউ কেউ বললেওও জীবন্ত ঈশ্বরের কথা বলেন না বা স্বীকার করেন না। বললে বা স্বীকার করলেও একটা অদৃশ্য শক্তির কথা বলে বা স্বীকার করে। একটা সূক্ষ্ম ইগো কাজ করে এর পিছনে। এই সূক্ষ্ম ইগোর কারণে অর্জিত শক্তি ধীরে ধীরে নিঃশেষ হ'য়ে যায়।

'সৎসঙ্গ' প্রতিষ্ঠানের সৎসঙ্গীদের উদ্দেশ্যে শ্রীশ্রীবড়দা বলেছিলেন, " ট্যাঙ্কের একটা ফুটোও ফুটো, দশটা ফুটোও ফুটো। একটা ফুটো দিয়ে জল বেড়িয়ে যাবে, দশটা ফুটো দিয়েও জল বেড়িয়ে যাবে। দশটা ফুটো দিয়ে তাড়াতাড়ি বেড়িয়ে যাবে, আর একটা দিয়ে ধীরে ধীরে বেড়িয়ে যাবে, কিন্তু বেড়িয়ে যাবে।"

সৎসঙ্গী গুরুভাইবোনেরা আমার, আজ নয়তো কাল শূন্য হ'য়ে যাবে ট্যাঙ্কি। তাই সৎসঙ্গী সাবধান।
( লেখা ১৮ই নভেম্বর'২০২৩)

বিচিত্রা ২০৪

ইশ্বর ছাড়া কেউ বন্ধু নয়। জীবনে প্রকৃত বন্ধু পেতে গেলে নিজেকে প্রকৃত হ'য়ে উঠতে হয়। ঈশ্বরের স্পর্শ ছাড়া, সান্নিধ্য ছাড়া প্রকৃত হ'য়ে ওঠার দ্বিতীয় কোনও পথ নেই। আর মানুষ যখন প্রকৃত মানুষ হ'য়ে ওঠে না তখন কেউ কারও নয়। না আমি কারও, না কেউ আমার।  

ইশ্বর মানে জীবন্ত ইশ্বর! রক্তমাংসসংকুল আমান ইশ্বর! এ ছাড়া ঈশ্বর ব'লে কেউ নেই, কিছু নেই। আমার ইশ্বরঃ প্রভু রাম, কৃষ্ণ, বুদ্ধ, যীশু, হজরত মহম্মদ, মহাপ্রভু, রামকৃষ্ণ সর্বশেষ শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র। তাঁরা বিভিন্ন ভাবে সেই একই কথা বারেবারে ব'লে গেছেন, "মামেকং শরণং ব্রজ" যার অর্থ, আমাকেই একমাত্র স্মরণ করো। 

আমার জন্য আছেন প্রভু,
প্রভুর জন্য কি আমি?
একথা কি ভেবেছি কভু
প্রভু আমার জীবন স্বামী!?
( লেখা ১৮ই নভেম্বর'২০১৭)

J.N.U-এর সমর্থনে যাদবপুর কবে পথে নামবে? 
বিবেকানন্দের অপমানের বিরুদ্ধে দেশের সেরা শিক্ষা কেন্দ্রের ছাত্র প্রতিক্রিয়া কি?

ছাত্র কবে তোমার ভাঙবে ঘুম?
আন্দোলন নাকি অরাজকতার ধুম?
ছাত্র জীবন নষ্ট করার জন্য দায়ী কে?

J. N. U-র গরীব ছাত্রের আর্থিক অবস্থা দেশের আম জনতাকে জানাবে কি আন্দোলনকারীরা?

J.N.U-র গরীব ছাত্রদের Economic profile দেশের আম জনতাকে জানানো হ'ক।

দেশ রত্নদের অপমানের দায় কি কমিউনিষ্টরা নেবে? কমিউনিস্টদের বদনাম করার জন্যই J.N.U-তে বিবেকানন্দের অপমান? কি বলে কমিউনিস্টরা?

ভারতের কমিউনিস্টদের দেশ রত্নদের চেয়ে বিদেশী রত্ন কেন ভালো লাগে!? দেশ রত্নদের গায়ে আধ্যাত্মিকতার গন্ধ আছে তাই?
( লেখা ১৮ই নভেম্বর'২০১৯)

হে আমার প্রিয়!
পৃথিবীতে জীবন্ত ঈশ্বর তোমার দয়াল ঠাকুর ছাড়া আর কাউকে বিশ্বাস ক'রো না আর কারও উপর নির্ভর ক'রো না। 
( লেখা ১৮ই নভেম্বর'২০২২)









































































Monday, November 17, 2025

বিচিত্রা ২০৩

আসুন ভেবে দেখি।

১) আবেগ ভালো আবেগে ভেসে যাওয়া ভালো নয়।
২) সরল হওয়া ভালো কিন্তু সব বিষয়কে সরলীকরণ করা ভালো না।
৩) সাহস ভালো দুঃসাহস ভালো না।
৪) নারী হ'ন আর পুরুষ হ'ন বাস্তব অবস্থা অস্বীকার করা মূর্খামি।
৫) আপনি নারী এই বাস্তব সত্য অস্বীকার করা আর জেনে শুনে বিষ পান করা সমার্থক।
৬) বিপদে পড়লে মানুষ যতই ছুটে আসুক আর না আসুক বিপদে পড়ার জন্য নিজের অসচেতনতা, অসতর্কতা, অজ্ঞানতা প্রথমে দায়ী।
৭) আপনার ক্ষতি হ'লে আপনার, অন্যের বা কারও নয়, এটা নির্ম্মম অপ্রিয় সত্য। বড়জোর প্রিয়জন দু'ফোটা চোখের জল ফেলবে। তারপর সব ভুলে যাবে।
৮) যে নিজেকে রক্ষা করতে ও নিরাপদে রাখতে জানে না সে অন্যের দায়িত্ব নেওয়ার পক্ষে অনুপযুক্ত ও অযোগ্য, অদক্ষ।
৯) নিখুঁত সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থা ইউটোপিয়া। ভাবা বা আশা করা বেকুবি বা মুর্খামি।
১০) যে নিজের অস্তিত্বকে ভালোবাসে না সে কোনও অস্তিত্বের পরিপূরক নয়।
এখানেই ইতি টানলাম। ভালো লাগতেও পারে, নাও পারে। জ্ঞান বা বকোয়াস মনে হ'তে পারে। গ্রহণ বর্জন ব্যক্তিগত।
( লেখা ১৭ই নভেম্বর'২০২৩)

Sunday, November 16, 2025

বিচিত্রা ২০২

শয়তানের হাসি ভগবানের চেয়েও মিষ্টি!
দুঃখ কষ্ট জেনো অনিবার্য, জেনো নিশ্চিত;
যদি না থাকে ধরার ক্ষমতা, স্বচ্ছ দৃষ্টি।

সত্য ধরার ক্ষমতা ও দেখার স্বচ্ছ দৃষ্টি
লাভ করা নয় সহজ কথা, নয় বটতলার
সংস্কৃতি আর কৃষ্টি!!
( লেখা ১৬ই নভেম্বর'২০১৭)

Digestive power is at the bottom today for any altered state rather Everyone is an instant responder. But Today everyone is silent on the question of destroying the basic foundation of humanity.
( লেখা ১৬ই নভেম্বর'২০২৩)
































অভিজ্ঞতা ও উপলব্ধিঃ দুরন্ত এক্সপ্রেস ও আমার দয়াল ঠাকুর।

১১/১১/২২ শুক্রবার থেকে ১৩/১১/২২ রবিবার যাওয়া আসা নিয়ে তিনদিনের জন্য দেওঘর গিয়েছিলাম আচার্যদেবের কাছে বিশেষ নিবেদনের উদ্দেশ্যে। আমাদের পরিবারের সঙ্গে গিয়েছিল কলকাতা থেকে গুরুবোন সোনাই ঢালি। কিন্তু খবর নিয়ে জানলাম আচার্যদেব ব্যাঙ্গালোরের উদ্দেশ্যে বেরিয়েছেন সেখান থেকে যাবেন উড়িষ্যা। সম্ভবত ফিরবেন ২০তারিখ রবিবার। ইতিমধ্যে আমাদের টিকিট কাটা হ'য়ে গেছে! তাই ঠাকুরবাড়ি যাবার জন্য যখন মন স্থির করেছি তখন যাওয়াটাকেই প্রাধান্য দিলাম। তাই আর টিকিট ক্যান্সেল করলাম না। শনিবার ১২/১১/২২ সকালবেলা পূজনীয় বিঙ্কিদার দর্শন, প্রণাম ও দীর্ঘ সময় আলোচনা এবং রাতে পূজনীয় অবিনদাদার দর্শন, প্রণাম ও আলোচনায় মনপ্রাণ ভরে গেল। এবার রবিবারে ফেরার পালা। ভোর ৫টা ৫মিঃ-এ ট্রেন। উঠেছিলাম চৌধুরী ভিলায়। এবার আসি ফেরার অভিজ্ঞতায়।

শ্রীশ্রীঠাকুরের কয়েকটি প্রিয় কোটেশানের মধ্যে একটি ছিল শেক্সপিয়ারের 'হ্যামলেট' নাটকের একটি সংলাপ। সেটি হ'লো,
"There are more things in heaven and earth, Horatio, than are dreamt of in your philosophy." এর ভাবার্থ হ'লো, "স্বর্গ ও পৃথিবীর মাঝখানে আরও বহু জিনিস আছে, হোরেশিও, যা তোমার দর্শনের পাল্লার বাইরে ও অতীত।"

ফেরার সময় সত্যি অবিশ্বাস্য অভিজ্ঞতা হ'লো!!!!!! যা আমার দর্শনের পাল্লার বাইরে ও অতীত! সত্যি সত্যি দয়াল সব অ্যারেঞ্জ ক'রে রেখেছেন!!!!

বাড়ি ফেরার সময় দূরন্ত লেট করার পিছনে কি কারণ ছিল আমার জানা নেই কিন্তু আমার বিশ্বাস এটা দয়ালের দয়ায় সম্ভব হয়েছে। আর আমি জানি, গভীর বিশ্বাস আর আকুল প্রার্থনায় অনেক অসম্ভব সম্ভব হয়।

আমার মনে আছে দূরন্তর জসিডি থেকে সম্ভবত ৫টা ৫মিঃ ছাড়ার কথা ছিল। কিন্তু ট্রেন লেট ছিল প্রায় ৩ঘন্টা। সেটা কভার ক'রে শেষ টাইম নেটে যা দেখিয়েছিল তা ছিল ৭টা ৫মিঃ-এ জসিডিতে আসবে। কিন্তু হঠাৎ নেট জানায় ট্রেন ৬টা ৩০মিঃ ঢুকবে মানে আরও ৩০মিঃ কভার ক'রে ফেলেছে দূরন্ত। সারা রাত কেউ ঘুমাতে পারিনি বারবার ট্রেনের টাইম দেখবার জন্য।

যাই হ'ক সময় হিসেব ক'রে সবাই চৌধুরী ভিলা থেকে বেরোয়। আমার একটু দেরী হয়েছিল বেরোতে। আমার জন্য লেট হওয়াতে মনে একটা অপরাধ বোধ জন্মেছিল। পথে শেষ আশ্রয় নাম করতে করতে যাচ্ছিলাম। অটো ছুটে চলেছে সঙ্গে ছুটে চলেছে ট্রেন মিস করার একটা আশঙ্কা। প্রাণপণে নাম করছিলাম সবাই। মাঝে মাঝে অটো ধীরগতিতে ছুটছে তখন টেনশন বেড়ে দশগুণ। অটো চালককে বলছিলাম জোড়ে চালাবার কথা কিন্তু ব্যাটারি সমস্যার কারণে মাঝে মাঝে স্লো হ'য়ে যাচ্ছে। ফলে ঐ সকালে সকলেই ঠান্ডায় উত্তেজনায় ভয়ে টেনশানে প্রায় ঘেমে যাচ্ছি।

যখন আমরা প্ল্যাটফর্মে পৌঁছলাম তখন দুরন্তর সময় অনুযায়ী ট্রেন না পাওয়ার কথা। প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা। সময় প্রায় ৬টা ৫০মিঃ। অটো থেকে নেবে তাড়াহুড়োয় ব্যাগ নিয়ে দৌড়ে আসতে যেয়ে মেয়ে আর বৌমার শরীর খারাপ হ'লো। প্রত্যেকেই যার যার ব্যাগ নিয়ে হন্তদন্ত হ'য়ে ঠাকুরের নাম করতে করতে দৌড়ে প্ল্যাটফর্মে পৌঁছে শুনলাম ট্রেন এখনও স্টেশনে আসেনি। দেখলাম প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে রয়েছে অন্য একটি ট্রেন। হঠাৎ অনুভব করলাম বি-রা-ট একটা বোঝা ঝপ ক'রে মাথা থেকে কাঁধ বেয়ে নীচে নেবে গেল। শরীরটা হালকা বোধ হ'লো। মেয়ে বৌমার শরীর ভালো বোধ হ'তে লাগলো। বৌ, ছেলে, জামাই সবাই টেনশন মুক্ত হ'লো। নিজের অজান্তে উর্ধ্বে মাথা তুলে শুধু বিস্ময়ে হতবাক আমি ছলছল চোখে শুধু বললাম, 'হে দয়াল!!!!!

প্ল্যাটফর্মের গেট দিয়ে ঢুকতেই সামনেই যে বসার জায়গা ছিল সেখানে সোনাই বসেছিল মায়েদের রক্সালে তুলে দিয়ে আমাদের অপেক্ষায়। সোনাইয়ের মা আর মায়েদের একটা দল এসেছিল ঠাকুরবাড়ি। তাঁরা ফিরে যাচ্ছে রক্সালে। অদ্ভুত তাদের কারোও ফেরার টিকিট কাটা ছিল না। সোনাই ভেবেছিল, জসিডি-কলকাতা ট্রেনে তাঁরা ফিরে যাবে। সোনাইয়ের কথামতো তাঁরা এসেছিল। কিন্তু আগেরদিন রাতে যখন শুনলো সকালে জসিডি-কলকাতা ট্রেন যাবে না তখন নিজেদের মধ্যে একটু গন্ডগোল হয়েছিল। সমস্ত দোষ এসে পড়েছিল সোনাইয়ের উপর। আগের দিন রাতে জামতলা ঘরে ঠাকুরের সামনে বসে অনেকক্ষণ কেঁদেছিল সোনাই। কারণ তার কনফার্ম টিকিট আছে দুরন্ততে, সে যাবে আরামে কিন্তু অতগুলো বয়স্ক মানুষ তাদের কারোও টিকিট নেই, কি ক'রে ফিরে যাবে, সে জানতো না যে জসিডি-কলকাতা রবিবার যাবে না এই চিন্তায় চিন্তায় সে কেঁদে ভাসিয়েছিল ঠাকুরের সামনে। কিন্তু কি আশ্চর্য আজ যখন সকালে মায়েদের তুলে দিতে স্টেশনে এসেছিল তখন দেখলো কুম্ভ রক্সালের জেনারেল একদম ফাঁকা!!!! জেনারেলে মায়েদের তুলে দিয়ে নিশ্চিন্তে আমাদের অপেক্ষায় বসেছিল স্টেশনের গেট দিয়ে ঢুকতেই সামনের বসার জায়গায়।

সোনাই ঢালি সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনটাকে দেখিয়ে বলেছিলে, 'এই ট্রেনটা ছাড়তে লেট করছে তাই দূরন্ত প্ল্যাটফর্মে ঢুকতে পারছে না।' আমি বিস্ময়ে আবার বললাম, দয়াল! তুমি এত দয়াময়!? তখন সোনাই বলেছিলে, 'দয়ালের উপর অনেক চাপ দিচ্ছি আমরা।'

আর তখনি আমরা স্টেশনে পৌছনোর সঙ্গে সঙ্গেই স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনটি ছেড়ে দিল। ট্রেন স্টেশন ছেড়ে চলে যাবার পরেই মাইকে দূরন্তর প্ল্যাটফর্মে ঢোকার ঘোষণা দিল। 'ট্রেনটা কেন ছাড়তে দেরী করলো'-কথাটা ভাবতে ভাবতে আমরা আমাদের কামরার নির্দিষ্ট জায়গার দিকে ধীরে ধীরে এগিয়ে চললাম। যখন নির্দিষ্ট জায়গায় এসে দাঁড়ালাম দেখলাম ট্রেন প্ল্যাটফর্মে ঢুকছে। ট্রেন আসার পর আমরা ট্রেনে উঠে আমাদের নির্দিষ্ট সিটে বসলাম। তারপর ট্রেন ছেড়ে দিল; জসিডিকে পিছনে ফেলে এগিয়ে যেতে থাকলো। দু'হাত তুলে দয়ালকে প্রণাম জানালাম। কিন্তু সারাক্ষণ ঘটে যাওয়া বিষয়টাকে ঘিরে একটা বিস্ময় আমাকে আচ্ছন্ন ক'রে রাখলো আর মনটা খচখচ করতে লাগলো সোনাই-এর বলা 'ঠাকুরের ওপর অনেক চাপ দিচ্ছি আমরা' কথাটায়। সারা রাস্তা ভুলতে চেষ্টা করলাম অনেক কিন্তু পারছিলাম না।

মনে পড়লো আবার দয়াল ঠাকুরের প্রিয় উপরের কোটেশানটাঃ
"There are more things in heaven and earth, Horatio, than are dreamt of in your philosophy." এর ভাবার্থ হ'লো, "স্বর্গ ও পৃথিবীর মাঝখানে আরও বহু জিনিস আছে, হোরেশিও, যা তোমার দর্শনের পাল্লার বাইরে ও অতীত।"

আর মনে পড়লো দয়ালের বলা কথা, "প্রতিমুহূর্তে কত ছোটো ছোটো দয়া তোমাদের যে রক্ষা করছে তা তোমরা জানো না।"

একটা অপরাধবোধ চোখকে ভিজিয়ে দিতে লাগলো বারেবারে। রুমাল দিয়ে চোখটাকে আড়াল করলাম আমি।-

Friday, November 14, 2025

বিচিত্রা ২০১

অনুভবশক্তি হীন ভালোবাসা জেনো ফাঁকি!
শুক্রাণু ডিম্বানু ছাড়া ভ্রূণ হয় নাকি!?
( লেখা ১৫ই নভেম্বর'২০১৭)

জে. এন. ইউ-মে ক্যা হো রহা হ্যায়?
ছাত্র আন্দোলন ইয়া ভাঁড় মে যায় দেশ, 
ভাঁড় মে যায় সভ্যতা আন্দোলন!?

জে. এন. ইউ ক্যা হ্যায়?
শিক্ষসা প্রতিষ্ঠান ইয়া নারা প্রতিষ্ঠান?
জে. এন. ইউ = জহর (বিষ) নারা (আন্দোলন) ইউনিভার্সিটি!
( লেখা ১৫ই নভেম্বর'২০১৯)

যদি বাঁচতে চাও গ্রহণ করো তাঁরে আর চালাও নাম অবিরাম মনের গভীরে আর যদি মনে হয় এসব বকোয়াস তবে বালখিল্য রসে হ'য়ে টইটম্বুর করো আয়াস বিন্দাস। কিন্তু মনে রেখো ভয়ানক শেষ নিঃস্বাস!
( লেখা ১৫ই নভেম্বর'২০২১)



Thursday, November 13, 2025

বিচিত্রা ২০০

জিজ্ঞাস্যঃ ১
সৎসঙ্গীদের দীক্ষা কে দেন?
শ্রীশ্রীঠা
কুর স্বয়ং নাকি ঋত্বিক?

জিজ্ঞাস্যঃ ২
সৎসঙ্গের দীক্ষা গ্রহণের সময় যে সংকল্প করেছিলাম,
কার কাছে করেছিলাম? শ্রীশ্রীঠাকুর নাকি ঋত্ত্বিক?

জিজ্ঞাস্যঃ ৩
সৎসঙ্গের দীক্ষা গ্রহণের সময় বলেছিলাম, 
"আপনি আমার প্রতি প্রীত হউন।" 
এই আপনিটা কে?
শ্রীশ্রীঠাকুর নাকি ঋত্বিক?


জিজ্ঞাস্যঃ ৪
সৎসঙ্গের দীক্ষা গ্রহণের সময় ঋত্বিক প্রণামী দিয়েছিলাম।
সেই ঋত্বিক প্রণামী কার? শ্রীশ্রীঠাকুর নাকি ঋত্বিকের?

জিজ্ঞাস্যঃ ৫
শ্রীশ্রীঠাকুরের দীক্ষা নেওয়ার সময় কেন প্রথম ঋত্বিক প্রণামী দিয়েছিলাম?

জিজ্ঞাস্যঃ ৬
শ্রীশ্রীঠাকুরের দীক্ষা নেওয়ার সময় শ্রীশ্রীঠাকুর প্রণামী দেওয়ার আগে ঋত্বিক প্রণামী দিয়েছিলাম কেন?

জিজ্ঞাস্যঃ ৭
শ্রীশ্রীঠাকুরের দীক্ষা নেওয়ার সময় শ্রীশ্রীঠাকুর প্রণামীর পর কেন শ্রীশ্রীআচার্য প্রণামী দিই?

জিজ্ঞাস্যঃ ৮
"সিদ্ধ নয় মন্ত্র দেয়, মরে মারে করেই ক্ষয়"
এটা কার বাণী? এই বাণী কি ঋত্ত্বিকদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য?

জিজ্ঞাস্যঃ ৯
"নিজে সিদ্ধ না হ'য়ে যে লোকে মন্ত্র কয়, নিজের করে সর্বনাশ যজমানেরও ক্ষয়"--এই বাণী ঋত্ত্বিকদের জন্য প্রযোজ্য?

জিজ্ঞাস্যঃ ১০
ঋত্বিক আর প্রতীক গুরু শ্রীশ্রীআচার্যদেব সমগোত্রীয়?

জিজ্ঞাস্যঃ ১১
ঋত্বিক স্বয়ং শ্রীশ্রীঠাকুর, দীক্ষা দেন তিনি। দীক্ষাদাতা ঋত্বিক তাঁর মাধ্যম, দীক্ষার সময় ঋত্বিক প্রণামী কার?

জিজ্ঞাস্যঃ ১২
শ্রীশ্রীঠাকুর রেত শরীরে সুপ্ত থেকে জ্যান্ত থাকেন শ্রীশ্রীআচার্যদেবের মধ্যে। তিনি আর ঋত্ত্বিক সমতুল্য?

জিজ্ঞাস্যঃ ১৩
শ্রীশ্রীঠাকুর রেত শরীরে সুপ্ত থেকে জ্যান্ত শরীরে প্রতীক গুরু রূপে শ্রীশ্রীআচার্যদেবের মধ্যে। শ্রীশ্রীআচার্যদেবের আশীর্বাদ আর ঋত্ত্বিকের আশীর্বাদ সমান?

জিজ্ঞাস্যঃ ১৪
শ্রীশ্রীআচার্যদেবের কাছে যে নির্দেশ ও নিদেশ এবং সমস্যার সমাধান পাওয়া যায় তাই ঋত্ত্বিকের কাছে পাওয়া যায়?

জিজ্ঞাস্যঃ ১৫
"এক আদেশে চলে যারা তাদের নিয়ে সমাজ গড়া"---এই আদেশ সৎসঙ্গীদের কে দেবে? শ্রীশ্রীআচার্যদেব নাকি ঋত্বি

জিজ্ঞাস্যঃ ১৬
শ্রীশ্রীঠাকুর পুরুষোত্তম, শ্রীশ্রীঠাকুর পরমপিতা, শ্রীশ্রীঠাকুর জীবন্ত ঈশ্বর, আবার শ্রীশ্রীঠাকুর ঋত্বিক। বাকীরা যারা দীক্ষা দেন, তাঁরা শ্রীশ্রীঠাকুরের বার্তাবাহক, Messenger of the Lord, SriSriThakur, কেউ রফৃত্ত্বিক নয়, সবাই প্রতিঋত্ত্বিক, সহ প্রতিঋত্ত্বিক; তাহ'লে দীক্ষার সময় প্রদেয় ঋত্বিক প্রণামী কার প্রাপ্য?

জিজ্ঞাস্যঃ ১৭
ঋত্ত্বিককে আমরা ঋত্বিক নামে সম্বোধন করি, কারণ ঠাকুর তাদের ঋত্বিক নামে সম্বোধন করতেন, যদিও তাঁরা প্রতিঋত্ত্বিক বা সহপ্রতিঋত্ত্বিক। প্রকৃতপক্ষে তাঁরা শ্রীশ্রীঠাকুরের বার্তা বাহক মাত্র, Messenger of the Lord, SriSriThakur, তাহ'লে দীক্ষার সময় ঠাকুরের কথামত শ্রীশ্রীঠাকুর যখন স্বয়ং দীক্কা দেন তাহ'লে ঠাকুরই আমার ঋত্বিক, তাই না? সেই অর্থে দীক্ষার সময় ঋত্বিক প্রণামীও ঠাকুরের, তাই তো? ঠাকুরের কথা যদি মেনে চলি তাহ'লে যুক্তি বলে? এর উত্তর নিশ্চয়ই আচার্যকেন্দ্রিক ইষ্টপ্রাণ ঋত্ত্বিকেরা জানেন? দীক্ষার শেষে ঋত্ত্বিক নামে সম্বোধিত ঠাকুরের বার্তাবাহককে শ্রদ্ধার্ঘ্য স্বরূপ অর্থ দেওয়া হয়, ঠিক কি? আমার জানা অনুযায়ী বললাম।    



Wednesday, November 12, 2025

বিচিত্রা ১৯৯

চোখ দ্যাখে দোষ, মন খোঁজে দোষ, 
মুখ বলে খালি দোষের কথা!বিবেক বলে, 
জীবন মাঝে আমি কোমাছন্ন; আমি মৃত সেথা!!

এমন চোখ, এমন মন, মুখ যেমন তেমন!
দ্যাখে বুড়া, সোচ বুড়া, বাত বদতমিজ এমন
দুর্গন্ধে আকাশ-বাতাস গরম!!

আত্মপ্রতিষ্ঠার অন্ধ মোহে আজ ক্ষতবিক্ষত সবাই; 
সময় থাকতে নিজেকে শুধরে নিই 
দয়ালের চলন চুমি এসো বন্ধু, এসো ভাই।

দয়াল আছে যার জীবনে জীবন আছে
সেই জীবনেরই হৃদয়ে প্রেম আসে
মনের আড়ালে বুকের গভীরে ওই
বিবেক চিরদিনই নীরবে ডেকে যাবে!
( লেখা ১৩ই নভেম্বর'২০১৯)।

একদিন অভাব ছিল টাকার;
টাকার অভাব মিটে গেল কিন্তু
স্বভাব জীবন করলো সাবাড়।

একদিন অভাব ছিল টাকার;
টাকার অভাব মিটে গেল কিন্তু
স্বভাব জীবন করলো সাবাড়।
( লেখা ১৩ই নভেম্বর'২০১৭)।





























মিডিয়ার সকাল ও সাদা দিন! রিফর্মেশনের যুগ!!

মিডিয়া কি নতুনভাবে জেগে উঠলো নতুন সকাল নিয়ে ভারতের মাটিতে জার্নালিস্ট অর্ণব গোস্বামীর দেখানো পথে?

জার্নালিস্ট অর্ণব গোস্বামীর গ্রেপ্তারের দিন ৪/১১/২০ বুধবার নাকি সুপ্রিমকোর্ট দ্বারা মুক্তির দিন ১১/১১/২০ বুধবার মিডিয়ার সাদা দিন হিসেবে চিহ্নিত হবে?
ভারতের মিডিয়ার আকাশে বুধবার মহত্বপূর্ণ বার?
শুভ-অশুভ একই সঙ্গে চিহ্নিত হ'য়ে রইলো 'বুধবার' ভারতের সাংবাদিকতার জগতে?
ভারতের মিডিয়া কি রিপাবলিক ভারতের চিফ এডিটর জার্নালিস্ট অর্ণব গোস্বামীর হাত ধ'রে সাবালক হওয়ার পথে পা বাড়ালো?
ভারতের মিডিয়া কি অর্ণব গোস্বামীর নেতৃত্বে সাংবাদিকতায় সীমাবদ্ধতার গন্ডি ভেঙে সাংবাদিকতার অসীম মহাকাশে পাড়ি দিল?
ভারতের মিডিয়া কি মিডিয়া স্বাধীনতার নতুন যুগের সূচনা করল অর্ণব গোস্বামীর স্পর্শে?
ভারতের মিডিয়ার নব জাগরণের শঙ্খ বাজালো অর্ণব গোস্বামী?
যে পথ দেখায় তাকে কণ্টকাকীর্ণ পথের উপর দিয়ে হেঁটে ক্ষতবিক্ষত রক্তাক্ত জখম হ'য়েই পথ দেখাতে হয়। অর্ণব গোস্বামী তাই-ই দেখালো ভারতের মিডিয়ায়। নতুন সূর্য উঠলো ভারতের সাংবাদিকতার আকাশে!
মিডিয়ার কি নবজাগরণ হ'লো!? হ'লো সত্যের পথে চলা!? তবে কি হলুদ সাংবাদিকতা, চাটুকারিতা, পদলেহন, ক্ষমতার অলিন্দে ঘুরে বেড়ানো আয়েশি যুগের অবসান হ'লো ভারতের সাংবাদিকতার জগতে!?
কি জানি! তবে শুরু হ'লো সবে পথ চলা। দিল্লি এখনো বহু দূর! তবে ভারতের সাংবাদিকতার আকাশে ধ্রুবতারার মত চিহ্নিত ও উজ্জ্বল নক্ষত্র হ'য়ে রইলো বিতর্কিত, বহু চর্চিত ও একশ্রেণীর জার্ণালিস্টের কাছে নিন্দিত অর্ণব গোস্বামী!
( লেখা ১৩ই নভেম্বর'২০২০)।



প্রবন্ধঃ শ্রীশ্রীঠাকুরের বিবাহ নীতি বা বিবাহ বিজ্ঞান সম্পর্কে দু' এক কথা।

বিবাহ বিজ্ঞান সম্পর্কে খুঁটিনাটি ডিটেইলসে না জেনে শ্রীশ্রীঠাকুরেরবিবাহ বিজ্ঞান নিয়ে পোষ্ট করা ও আলোচনা করা বিপদজনক।
শ্রীশ্রীঠাকুর বিবাহ সম্পর্কে যে বাণী দিয়েছেন সেই বাণী যেটা আমি পোষ্ট করছি সেই বাণী সম্পর্কে ঠিক কি বলতে চেয়েছেন সেটা কি আমি বুঝেছি?

সবর্ণ বিবাহ ও অনুলোম বিবাহ এবং প্রতিলোম বিবাহ সংক্রান্ত নিয়মকানুন খুবই জটিল একটা বিষয়। আর, অনুলোম বিবাহ কে করবে, কখন করবে, শ্রীশ্রীঠাকুরের অনুলোম বিবাহ নীতি পালন করার উপযুক্ত সময় এসেছে কিনা সেটা যে বিবাহ করবে বা যে পোষ্ট করবে সেটাও নিজের কাছে ক্লিয়ার হওয়া দরকার। যদিও আমরা অনেকেই অনুলোম বিবাহ করেছি ও করছি শ্রীশ্রীঠাকুরের এই অনুলোম বিবাহে সম্মতি আছে দেখে। কিন্তু এই বিবাহ করা সম্পর্কেও শ্রীশ্রীঠাকুরের কিছু বিধিনিষেধ আছে। তা' না জেনেই আমরা বিবাহ করছি এবং অনেক জায়গায় গোত্র সংক্রান্ত কিছু ব্যতিক্রমী নিয়ম আছে সেটা না জেনেই সগোত্রে বিবাহ নিষেধ জেনে বিবাহ রিজেক্ট করেছি ও করছি। সবর্ণ বিবাহ, অসবর্ণ বিবাহ, সবর্ণ অনুলোম ও প্রতিলোম বিবাহ, অনুলোম বিবাহ, প্রতিলোম বিবাহ, সবর্ণ ও সগোত্রে বিবাহ, সবর্ণ ও ভিন্ন গোত্রে বিবাহ, অসবর্ণ ও সগোত্রে বিবাহ ইত্যাদি বিবাহ সংক্রান্ত জটিল বিজ্ঞানের ওপর আলোকপাত ক'রে গেছেন বিশ্বের বিস্ময়ের বিস্ময় সর্ব্বশ্রেষ্ঠ বিস্ময় শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র।

তাই একজন পুরুষ ক্ষমতার জোরে, অর্থের শক্তিতে, ভয় দেখিয়ে, দরিদ্রতার সুযোগে এবং ধর্মের ও প্রফেটদের বলে যাওয়া বিবাহ সংক্রান্ত বাণীর ইচ্ছাকৃত ভুল বিকৃত ব্যাখ্যা ক'রে একের অধিক বিবাহ করা ও পুরুষ কেন্দ্রিক শাসনব্যবস্থায় বহু বিবাহের স্বপক্ষে আইন পাস করিয়ে বহু বিবাহের আইনত অধিকার আদায় ক'রে বহু বিবাহ তো দূরের কথা তৎসহ অনুলোম বিবাহ কিংবা সবর্ণ বিবাহ পরের কথা আগে পুরুষ একটা বিবাহের জন্য বিবাহ যোগ্য, বিবাহ উপযুক্ত কিনা, যে নারীকে বিবাহ করবে তার যোগ্য কিনা, উপযুক্ত কিনা সেটা আগে দেখুন। তারপর পুরুষের বিবাহ। তা' সে বিশ্বের যে দেশের যে ধর্মের, যে সম্প্রদায়ের, যে জাতের পুরুষ হ'ক না কেন। সৃষ্টিকর্তার বিধান তাঁর সৃষ্ট সমস্ত পুরুষ জাতের জন্য সমান।

এইখানে এইভাবে যদি দেখতে যাই তখন পুরুষের বহু বিবাহ তো দূরের কথা একটা বিবাহও পুরুষের সম্ভব না। নারীর বিবাহ হবে সবসময় বিবাহে উপযুক্ত পুরুষের সঙ্গে। কিন্তু বিবাহে অনুপযুক্ত পুরুষের একটা বিবাহও বিবাহ বিজ্ঞানের দিক থেকে নিষিদ্ধ। তা'তে নারীদের বিবাহ না হ'লেও কাম্য, অবিবাহিত থাকলেও তা' নারীদের কাছে মহা সম্মানের। তথাপি একজন নিকৃষ্ট পুরুষকে বিবাহ করা নারীদের ক্ষেত্রে অপমান ও সমাজ বিধ্বংসী পদক্ষেপ, যা নারীদের ক্ষেত্রে আত্মহত্যার সমতুল্য। নারী নিজে তার থেকে উৎকৃষ্ট পুরুষ ছাড়া কিছুতেই নিকৃষ্ট পুরুষকে বিবাহ করবে না, নিকৃষ্ট পুরুষের নিকৃষ্ট বীজ সে গর্ভে ধারণ ক'রে গর্ভাধানের মত পবিত্র অনুষ্ঠানকে অপমান করবে না। তাহ'লে দেখুন ঈশ্বরের বিধানে জন্ম বিজ্ঞানে বিবাহ বিজ্ঞান কতটা মুখ্য ও সূক্ষ্ম।

আমরা শ্রীশ্রীঠাকুরের বিবাহ নীতি অনুযায়ী বিবাহ করার উপযুক্ত না হয়েও বিবাহ করেছি। অতএব শ্রীশ্রীঠাকুরের বিবাহ সংক্রান্ত বিষয় পোষ্ট করার আগে নিজেদের সতর্ক ও সচেতন থাকতে হবে। পোষ্ট করার পর সেই বাণীর ওপর ভিত্তি ক'রে যে কমেন্ট আসবে তার যথাযথ উত্তর দিতে হবে নতুবা ঠাকুরের বাণীর ভুল ব্যাখ্যা হবে। আর, ভুল মতামত শেয়ার হ'লে মানুষের কাছে বিবাহ সম্পর্কে ভুল মেসেজ যাবে। তা'তে উল্টো এফেক্ট হবে। এ বিষয়ে অনেকবার আমি আমার ভাবনা শেয়ার করেছি, এবারও করলাম। জয়গুরু।
( ১৩ই নভেম্বর'২০২৪)