দিল্লীতে রাজনৈতিক নেতার হাত ধ'রে বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করার পর ধর্ম জগতে প্রবেশ ক'রে প্রকাশ্যে হিন্দু দেবদেবী ও পুরুষোত্তমদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়িয়ে তাঁদের না মানার শপথ গ্রহণ ক'রে 'বুদ্ধং শরণং গচ্ছামি' বলতে পারে হিন্দুধর্ম ত্যাগী দলিত হিন্দুরা। প্রশ্ন জাগে মনে, বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ না ক'রে প্রকাশ্যে বুদ্ধং শরং গচ্ছামি বলতে অসুবিধা কোথায়? আমিও একজন হিন্দু হ'য়ে ফেসবুকের মাধ্যমে প্রকাশ্যে অন্তরের অন্তস্থল থেকে আন্তরিক অকৃত্রিমভাবেই বলছি 'বুদ্ধং শরং গচ্ছামি'। এর সঙ্গে আরও বলছি, ধর্ম্মং শরণং গচ্ছামি, সঙ্ঘং শরণং গচ্ছামি'। এতে বাহাদুরির কি আছে? আর ভুল বা পাপ বা অন্যায় ও দোষেরই বা কি আছে? কেন একজন হিন্দু বুদ্ধং শরণং গচ্ছামি বলতে পারবে না? কেন একজন বৌদ্ধ জয়শ্রী রাম বলতে পারবে না? ঠিক তেমনি মুসুলমান, খ্রিষ্টানদের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। হিন্দু ধর্মে পুরুষোত্তম রাম, কৃষ্ণ, বুদ্ধ, রামকৃষ্ণ, সৎসঙ্গের ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র, খৃস্টান ধর্মে পুরুষোত্তম যীশু, মুসলমান ধর্মে পুরুষোত্তম মহম্মদ তিনারা কি বলেছেন অন্য কোনও ধর্মের পুরুষোত্তমদের নামে জয়ধ্বনি দেওয়া যাবে না? তাঁরা কি বলেছেন পরস্পর পরস্পরকে ঘৃণা করো? তাঁরা কি বলেছেন অন্য ধর্মের ইষ্টদেবতাকে ঘৃণা করো, কুৎসা করো, ভাঙচুর করো আর দাঙ্গা করো? এগুলি কারা শেখাচ্ছেন? কেন শেখাচ্ছেন?
(লেখা ১০ই অক্টোবর'২০২২)
(লেখা ১০ই অক্টোবর'২০২২)
ক্রমশ
No comments:
Post a Comment