কি উত্তর দেবো বলুন তো? অনেকে নানারকম প্রশ্ন করে। ভাবি প্রত্যেকের সব প্রশ্নের উত্তর একে একে ধীরে ধীরে দেবো। আমি একা আর অতগুলো মানুষের অতগুলো প্রশ্ন। চেষ্টা করি অন্য সব কাজকে কিছু সময়ের জন্য দূরে সরিয়ে রেখে ঠাকুরের মুখের দিকে তাকিয়ে ঠাকুরের স্বার্থ প্রতিষ্ঠার স্বার্থে আলোচনার টেবিলে বসার। দুনিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র হচ্ছে 'আলোচনার টেবিল'। এখন আর বিশ্বযুদ্ধ হয় না। দু'একটা দেশ ছাড়া প্রায় সব দেশের হাতেই............... তা' প্রকাশ্য ঘোষণার মধ্যে দিয়েই হ'ক আর গোপনীয়তার মধ্যে দিয়েই হ'ক............পারমাণবিক বোমা আছে। আর তাই যখনই পাশ্ববর্তী রাষ্ট্রের সঙ্গে কোনও রাষ্ট্রের বিবাদ উৎপন্ন হয় তখন সেই বিবাদ নিরসনে মুখ্য ভুমিকা পালন করে 'আলোচনার টেবিল'। আর সেই আলোচনার টেবিল ফলপ্রসু হয় আলোচনায় অংশগ্রহণকারী দেশের মুখ্য ভূমিকায় যারা থাকে তাদের আগ্রহে। আলোচকদের দূরদৃষ্টি, বিষয়বস্তু সম্পর্কিত গভীর জ্ঞান, ভদ্রতা, সভ্যতা, ধৈর্য ও সহনশীলতা ইত্যাদি মহৎ গুণ আলোচনাকে সঠিক দিশায় এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করে। সবচেয়ে বড় কথা আলোচনা করার মানসিকতা। মানসিকতাই যদি না থাকলো তাহ'লে কি হবে বাকী সব গুণ দিয়ে। আলোচনায় মুখ্য ভুমিকা পালনকারীদের অনেক দায়িত্ব থাকে। তাদের কাজ থাকে পাশ থেকে অবাঞ্ছিত যারা অকারণ ভিত্তিহীন কথা ব'লে আলোচনায় চনা ফেলে তাদের মুখ্য ভুমিকা থেকে সরিয়ে রাখা। এইসবগুলি আলোচনার টেবিলকে বাঁচিয়ে রাখে। আলোচনার টেবিলের যেখানে গুরুত্ব বা মূল্য নেই সেখানে দুই রাষ্ট্রের হাতে থাকা পারমাণবিক বোমা কথা বলে। কোনও এক রাষ্ট্র যদি ভাবে আমার হাতে পারমাণবিক বোমা আছে তাহ'লে অন্য রাষ্ট্র তখন সেটা দেখাতে বাধ্য হয়। যদি কোনও রাষ্ট্র মনে করে আমার হাতে এত পারমাণবিক অস্ত্র আছে যে গোটা দেশটাই উড়িয়ে দিতে পারি তাহ’লে অল্প ক্ষমতাধর রাষ্ট্র তখন ভাবে ঠিক আছে আমার গোটা শরীরটা উড়িয়ে তুমি দিতে পারো তবে আমি কিন্তু উড়ে যাবার আগে একটা মোক্ষম ছোবল মেরে এক খন্ড মাংস আমি তোমার শরীর থেকে খুবলে নিয়ে যাবো। কিন্তু আলোচনার টেবিল মধ্যস্থতা রক্ষাকারীর ভুমিকা পালন ক'রে ভারসাম্য বজায় রাখে।
যাই হ'ক চেষ্টা করি প্রশ্নের উত্তর দেবার ও আলোচনা জিইয়ে রাখার। কিন্তু দেখতে পাই তা হবার নয়। যে কথা বলেছি একবার দেখি কিছু প্রশ্নকারী বারবার সেই এককথা ঘুরিয়ে ফিরিয়ে নির্দিষ্ট পক্ষ নিয়ে কথা ব'লে চলে। অকারণ যাদের টেনে আনার নয় তাকে বা তাদের টেনে আনে বারবার। অনেকবার বলেছি আবারও বলছি, কথা নেই বার্তা নেই প্রসঙ্গ বহির্ভূত বিষয় নিয়ে এসে সরাসরি আক্রমণ ক'রে বসে। সত্যি আর মিথ্যের কে ধার ধারছে। নিজেরাই নিজেদের বিবেকের কাছে প্রশ্ন করুক না, উত্তর পেয়ে যাবে। কাউকে কিছু ভুল, ঠিক প্রমাণ করতে হবে না। অকারণ মন্তব্য ক'রে যদি বিস্তার লাভ করা যায় তো করুক না কার কি আসে যায়? আর কেউ যদি অন্যায়কে সমর্থনের মধ্যে দিয়ে বিস্তার লাভ করতে চান তা'তে আমার কোনও আপত্তি নেই। শুধু ভাবি, এক কথা কেন বারবার বলতে হয়? কারও পোষ্টের সঙ্গে কারও মন্তব্যের কোনও সম্পর্ক আমার নেই। আমার কাছে মূলত মুখ্য বিষয় মন্তব্য, মন্তব্যের ভাষা। আমি আগেও বলেছি আবার বলছি আলোচনা যদি সুস্থ আলোচনা হয়, স্বাস্থ্যকর হয় আমি সবার সব পোষ্টের উত্তর দেবো তা কারুর ভালো বা মন্দ লাগুক, পছন্দ বা অপছন্দ যাই হ'ক না কেন। উত্তর দিতে মন চায় কিন্তু দেখি, দীর্ঘ আলোচনায় প্রতিপক্ষের কাছ থেকে একই কথা বারবার ঘুরে ফিরে আসে আর অপমান আর অপমান। আলোচনার টেবিল আর আলোচনার টেবিলের পর্যায়ে নেই আর আশেপাশে থাকে অবাঞ্ছিত অজস্র বাক্যবাণ। ব্যাপারটা যেন ঐ "চোর ডাঁটে কোতোয়ালকে"-এর মত।
যাক এবারে যে কথাটা ব'লে শেষ করি তাহ’ল দেখলাম সমস্ত কাজ থেকে নিজেকে সরিয়ে এনে মাঝে মাঝে দীর্ঘ সময় যা করি তা' "উলু বনে মুক্তো ছড়ানো' ছাড়া আর কিছু নয়। যাই হ'ক সবাই ভালো থাকবেন। পরমপিতার চরণে সকলের মঙ্গল প্রার্থনা ক'রে এই আলোচনা থেকে বিদায় নিলাম।( লেখা ২৫ শে অক্টোবর'২০১৭)
No comments:
Post a Comment