আজ থেকে ১০০ বছর আগে ১৯২৫ সালে শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র প্রতিষ্ঠিত 'সৎসঙ্গ' প্রতিষ্ঠান সরকারী রেজিষ্ট্রিকৃত হয়। একটি সৎসঙ্গ কার্যনির্বাহক কমিটি গঠন করা হয়। সেইসময় কমিটির সভানেত্রী অর্থাৎ সৎসঙ্গের সভাপতি ছিলেন শ্রীশ্রীঠাকুরের মা জননী মনমোহিনী দেবী। এবং সহ সভাপতি ছিলেন শ্রীশ্রীঠাকুরের পরম ভক্ত শ্রী অনন্ত নাথ রায়, যাঁকে আমরা অনন্ত মহারাজ ব'লে জানি। সৎসঙ্গের সম্পাদক ছিলেন শ্রী সুশীল চন্দ্র বসু ও সহ সম্পাদক ছিলেন ব্রজগোপাল দত্তরায়।
আজকের এই পূণ্যদিনে পরমপ্রেমময় শ্রীশ্রীঠাকুরের স্বপ্নের প্রতিষ্ঠান 'সৎসঙ্গ' ১০০ বছরে পা দিল। শ্রীশ্রীঠাকুরের এই 'সৎসঙ্গ' প্রতিষ্ঠান যখন সরকারী রেজিষ্ট্রিকৃত হয় তখন তাঁর বয়স ছিল ৩৬ বছর। শ্রীশ্রীঠাকুর আবেগের সঙ্গে বলতেন। "এ আমার সৎসঙ্গ, সমস্ত মানুষের বাঁচা বাড়ার সৎসঙ্গ।" ধর্ম ও কর্মের অপূর্ব সমন্বয়ে গঠিত তাঁর এই 'সৎসঙ্গ' প্রতিষ্ঠান। তাঁর এই প্রতিষ্ঠানটির নামের তাৎপর্য ব্যখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘সৎ-এ সংযুক্তির সহিত তদগতিসম্পন্ন যাঁরা তাঁরাই সৎসঙ্গী, আর তাদের মিলনক্ষেত্র হল সৎসঙ্গ। শুরু হ'লো তাঁর মানুষ তৈরীর আবাদ। কর্মের মধ্যে দিয়ে যোগ্যতর মানুষ গড়ে তোলাই ছিল তাঁর লক্ষ্য। বর্তমান কাম, ক্রোধ, লোভ, হিংসা ইত্যাদি রিপুতাড়িত জর্জরিত অস্থির পৃথিবীতে মানুষকে সত্যিকারের মানুষ হিসেবে গড়ে তোলাই ছিল ঠাকুরের উদ্দেশ্য। তাঁর সৃষ্ট এই 'সৎসঙ্গ' প্রতিষ্ঠান কোনও সম্প্রদায়-বিশেষের জন্য নয়, বরং হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান, জৈন, শিখ বিশ্বজুড়ে যত সম্প্রদায় আছে সব সম্প্রদায়ের প্ল্যাটফর্ম হ'লো এই 'সৎসঙ্গ' প্রতিষ্ঠান। তিনি নিজেও কোনও সম্প্রদায়-বিশেষের নন, বরং সব সম্প্রদায়ই তাঁর।শ্রীশ্রীঠাকুর বলেছেন, “একজন মানুষের বিনিময়ে আমি একটি সাম্রাজ্য ত্যাগ করতে পারি, কিন্তু একজন মানুষকেও ত্যাগ করতে পারি না।" তাঁর সৃষ্ট প্রতিষ্ঠান দাঁড়িয়ে আছে চারটি পিলারের ওপর। চারটি পিলার হ'লো শিক্ষা, কৃষি, শিল্প ও সুবিবাহ। আর তাঁর সৎসঙ্গ প্রতিষ্ঠানের নীতি হ'লো পাঁচটি। যজন, যাজন, ইষ্টভৃতি, স্বস্ত্যয়নী ও সদাচার। এই পাঁচটি নীতি তিনি তাঁর দীক্ষিত সৎসঙ্গীদের পালন করার জন্য বলে গেছেন। তাঁর সৃষ্ট 'সৎসঙ্গ' প্রতিষ্ঠান হচ্ছে একটি ধর্মীয় আন্দোলন। এই আন্দোলনের আদর্শ হচ্ছে, ধর্ম কোনও অলৌকিক ব্যাপার নয়, ধর্ম হচ্ছে বিজ্ঞানসিদ্ধ জীবন সূত্র। এই আন্দোলনের মূল হচ্ছে ভালোবাসা, ভালোবাসাই মহামূল্য, যা দিয়ে শান্তি কেনা যায়। শ্রীশ্রীঠাকুরকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল ত্রেতা যুগে শ্রীশ্রীরামচন্দ্র এসেছিলেন রাবণ বধ করতে, তাঁর অস্ত্র ছিল তীর ধনুক, শ্রীশ্রীকৃষ্ণ এসেছিলেন কংস বধ করতে, তাঁর অস্ত্র ছিল চক্র। আপনি কা'কে বধ করতে এসেছেন, আর আপনার অস্ত্র কি? শ্রীশ্রীঠাকুর উত্তরে বলেছিলেন, তখন একটা রাবণ, একটা কংস ছিল, আর এখন ঘরে ঘরে রাবণ, কংস। ক'জনকে বধ করবো? আমি এসেছি বশ করতে, বধ করতে নয়। ভালোবাসা দিয়ে, প্রেম দিয়ে বশ করতে। ভালোবাসা, প্রেমই আমার একমাত্র অস্ত্র।"
শ্রীশ্রীঠাকুর তাঁর সৎসঙ্গ আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে আমাদের শেখালেন যে ধর্ম পালনের প্রধান লক্ষ্য হ'লো পারিপার্শ্বিকের সবাইকে নিয়ে জীবন-বৃদ্ধির পথে এগিয়ে চলা। নিজে বাঁচো ও অন্যকে বাঁচাও।
আর, ধর্ম মূর্ত্ত হয় (embodied) আদর্শে এবং শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র হলেন ধর্মের মূর্ত্ত সেই আদর্শ। তিনিই ধর্মের মূর্ত প্রতীক (symbol)। অর্থাৎ ধর্মকে আমরা দেখতে পাই শ্রীশ্রীঠাকুরের সমগ্র জীবনে ফুটে উঠতে। শ্রীশ্রীঠাকুরের সমগ্র জীবনটাই চলমান ধর্ম। প্রতিটি সৎসঙ্গীর জীবনে, প্রতিটি সৎসঙ্গীর চরিত্রে শ্রীশ্রীঠাকুরের জীবন মূর্ত হ'য়ে ওঠার লক্ষ্যে 'সৎসঙ্গ' আন্দোলন এগিয়ে চলেছে নীরবে। ধর্ম বাস্তবায়িত হ'ক প্রতিটি সৎসঙ্গীর জীবনে, চরিত্রে এই ছিল ঠাকুরের স্বপ্ন। সনাতন আর্য জীবনে যে চারটি স্তর আছে ব্রহ্মচর্য্য, গার্হস্থ্য, বানপ্রস্থ ও সন্ন্যাস এই চারটি স্তরই 'সৎসঙ্গ' প্রতিষ্ঠানের পতাকার তলায় সৎসঙ্গীদের সংসার জীবনে এক সামঞ্জস্যপূর্ণ যুগোপযোগী রূপ লাভ করে।
শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র শৈশব অবস্থা থেকে শুরু ক'রে কৈশোর, যৌবন পেরিয়ে প্রৌঢ়ত্বের নানা ঘটনাবলীর মধ্যে দিয়ে তাঁর এই 'সৎসঙ্গ' আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন ও সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য তিনি একমাত্র এই 'সৎসঙ্গ' প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এবং জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তিনি নিরন্তর এই Being & Becoming অর্থাৎ বাঁচাবাড়ার কথা ব'লে গেছেন।
এই জীবনবাদ, অস্তিত্ববাদ অর্থাৎ জীবনের কথা, অস্তিত্বের কথা তিনি ব'লে গেছেন তাঁর জীবনের ৮১ টি বছরের শেষ দিন পর্যন্ত। ব্যক্তিজীবন, সমাজজীবন, রাষ্ট্রজীবন-এর সমস্ত দিক সম্পর্কে তিনি ব'লে গেছেন। ঈশ্বরের সৃষ্টির এমন কোনও দিক বাকী নেই যা তিনি বিশ্বের মানুষের উদ্দেশ্যে তাঁর প্রায় ২৪হাজার বাণীর মধ্যে ব'লে যাননি। এখন বিশ্বের মানুষের ওপর নির্ভর করছে তাঁর বলে যাওয়া বিষয়গুলি নিয়ে মানুষ গবেষণা ক'রে জীবনবৃদ্ধির কাজে লাগাবে কিনা, সৃষ্টিকে রক্ষা করবে কিনা। ১৯৬৯ সনের ২৭ জানুয়ারী তারিখে ৮১ বছর বয়সে তাঁরই প্রতিষ্ঠিত আশ্রম ভারতের বিহার রাজ্যে দেওঘরে ঠাকুর দেহ ত্যাগ করেন। শ্রীশ্রীঠাকুর তাঁরই ঔরসজাত ও কৃষ্টিজাত সুযোগ্য পুত্র, সৎসঙ্গের প্রধান আচার্যদেব, বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি সৎসঙ্গীদের প্রাণের বড়ভাই শ্রীশ্রীবড়দার হাতে সৎসঙ্গ পরিচালনার দায়ভার দিয়ে যান। শ্রীশ্রীবড়দা শ্রীশ্রীঠাকুরের সৎসঙ্গের পতাকা কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন। ১৯৯৪-এ শ্রীশ্রীবড়দার মহাপ্রয়াণ ঘটে। তখন 'সৎসঙ্গ' রথের রশি ধরেন শ্রীশ্রীদাদা অর্থাৎ শ্রীশ্রীবড়দার জ্যেষ্ঠ পুত্র শ্রীঅশোক চক্রবর্তী। শ্রীশ্রীদাদা ১৬ই ডিসেম্বর'২০২১ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এর পরে সৎসঙ্গ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেন বর্তমান শ্রীশ্রীআচার্যদেব বাবাইদাদা। তাঁর যোগ্য ও দক্ষ নেতৃত্বে সৎসঙ্গের রথ এগিয়ে চলেছে।
সৎসঙ্গ কি চায়?
পরমপিতা, পুরুষোত্তম পরমপ্রেমময় শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র বললেন,
সৎসঙ্গ চায় মানুষ,
ঈশ্বরই বল খোদাই বল
ভগবান. বা অস্তিত্বই বল-
ভূ ও মহেশ্বর যিনি এক -তাঁরই নামে
সে বোঝে না হিন্দু, সে বোঝে না খ্রীষ্টান,
সে বোঝে না মুসলমান, সে বোঝে না বৌদ্ধ,
সে বোঝে প্রতি প্রত্যেকে তাঁরই সন্তান,
সে আনত ক'রে তুলতে চায় সকলকে সেই একে,
সে পাকিস্তানও বোঝে না,
হিন্দুস্তানও বোঝে না, রাশিয়াও বোঝে না
চায়নাও বোঝে না, হউরোপ, আমেরিকাও বোঝে না -
সে চায় মানুষ, সে চায় প্রত্যেকটি লোক
সে হিন্দুই হোক, মুসলমানই হোক,
খ্রীষ্টানই হোক, বৌদ্ধই হোক বা যেই যা হোক না কেন
যেন সমবেত হয় তাঁরই নামে
পঞ্চবর্হির উদাত্ত আহবানে -অনুসরণে -পরিপালনে-
পরিপূরণে উৎসৃজী উপায়নে পারস্পরিক সহৃদয়ী সহযোগিতায়
শ্রমকুশল উদ্বর্দ্বনী চলনে
যাতে খেটেখুটে প্রত্যেকে দু'টো খেয়ে -পরে বাঁচতে পারে
সত্তা সাতন্ত্র্যকে বজায় রেখে সম্বর্দ্ধনার পথে চলে,
প্রত্যেকটি মানুষ যেন বুঝতে পারে প্রত্যেকেই তার,
কেউ যেন না বুঝতে পারে সে অসহায়, অর্থহীন, নিরাশ্রয়,
প্রত্যেকটি লোক যেন বুক ফুলিয়ে বলতে পারে
আমি সবারই -আমার সবাই -সক্রিয় সহচর্য্যী অনুরাগোন্মদনায়;
সে চায় একটা পরম রাস্ট্রীক সমবায়
যাতে কারও সৎ-সম্বর্দ্ধনায় এতটুকু ত্রুটি না থাকে
অবাধ হয়ে চলতে পারে প্রতিপ্রত্যেকে এই দুনিয়ার বুকে
এক সহযোগিতায় আত্নোন্নয়নী শ্রমকুশল সেবা সম্বর্দ্ধনা নিয়ে
পারস্পরিক পরিপূরণী সংহতি উৎসারণায়
উৎকর্ষী অনুপ্রেরণায় সন্দীপ্ত হয়ে
সেই আদর্শ পুরুষে সার্থক হতে সেই এক -অদ্বিতীয়ে।
(ধৃতি -বিধায়না,১ম খন্ড/শ্লোক ৩৯৪)
এই মহতী উদ্দেশ্য নিয়ে শ্রীশ্রীঠাকুর সমগ্র পৃথিবীকে একায়িত পৃথিবী করতে চেয়েছিলেন। With this great purpose, Sri Sri Thakur wanted to make the entire world a united world. ভারতের সমস্ত মানুষকে তিনি এরকমভাবে ইষ্টের সাথে লেগে যাওয়ার মধ্যে দিয়ে একই পতাকার তলায় আনতে চেয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, India হবে magnetic pull (চৌম্বক টান)। তখন ইউরোপও এসে ভারতের সাথে যোগসূত্র রচনা করবে। তারপর আরো একটা গুচ্ছ হবে। এভাবে whole world (সমগ্র পৃথিবী) একায়িত হবে। আর তাই-ই হবে united world (একায়িত পৃথিবী)।
একদিন তাঁর স্বপ্ন পূরণ হবে। আজ তাঁর প্রতিষ্ঠিত প্রাণের 'সৎসঙ্গ' প্রতিষ্ঠান ১০০বছর পূর্ণ করলো। এমনিভাবে দিন এগিয়ে যেতে যেতে ২০০বছর পূর্ণ হবে, হবে ৩০০, ৪০০, ৫০০, ১০০০ বছর। আর, এমনিভাবেই 'সৎসঙ্গ' প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বে ভারত একদিন ভয়ংকর শক্তিশালী রাষ্ট্রে পরিণত হ'য়ে জগত সভায় শ্রেষ্ঠ আসন লাভ করবে। কারণ আমরা জানি, Knowledge rules world. আর, শেক্সপিয়ারের কথায় বলতে পারি Knowledge is the wing wherewith we fly to heaven. আর, তা' করবে শ্রীশ্রীঠাকুরের ব'লে যাওয়া ২৪হাজার বাণীর মধ্যে দেখিয়ে দিয়ে যাওয়া পথ ধ'রে। তিনি বলেছিলেন, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ সৎসঙ্গীদের ওপর বাংলার, ভারতের তথা সমগ্র জগতের অনেক কিছু দুঃখ-কষ্টের সমাধান নির্ভর করছে। শ্রীশ্রীঠাকুর সৎসঙ্গীদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, "কি বিজ্ঞানের দিক দিয়ে, কি যন্ত্রপাতির দিক দিয়ে কোনও দিক দিয়ে আমাদের দেশের খাঁকতি থাকে তা' আমার ভালো লাগে না। ধর্মের ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আপনারা সব ব্যাপারে অদ্বিতীয় হ'য়ে ওঠেন এই আমার ইচ্ছে। শিক্ষা কাকে বলে, সভ্যতা কাকে বলে, কৃষ্টি কা'কে বলে, দেবদক্ষ চৌকশ মানুষ কা'কে বলে আমার বড় সাধ হয় তার নমুনা দেখাতে।"
এইজন্য তিনি এই 'সৎসঙ্গ' প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। শ্রীশ্রীঠাকুর বলতেন, এটা আমার 'সৎসঙ্গ'।
আজ দেশ বিদেশের লক্ষ লক্ষ সৎসঙ্গী যুগপুরুষোত্তম পরমপ্রেমময় শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের ১৩৭তম পুণ্য জন্ম-মহামহোৎসব এবং ‘সৎসঙ্গ’ নিবন্ধন শতবার্ষিকী মহাসমারোহ উপলক্ষে আয়োজিত উৎসবে দেওঘরে দু'দিন ধ'রে অবস্থান করছেন, নির্মল আনন্দ উপভোগ করছেন। আজ তাঁদের আনন্দ উপভোগের সঙ্গে সঙ্গে অনুভব করতে হবে, উপলব্ধি করতে হবে কেন শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র জন্মগ্রহণ করেছিলেন ও এই 'সৎসঙ্গ' প্রতিষ্ঠান গঠন করেছিলেন এবং আজ থেকে ১০০ বছর আগে ১৯২৫ সালে শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র প্রতিষ্ঠিত 'সৎসঙ্গ' প্রতিষ্ঠান কেন সরকারী রেজিষ্ট্রিকৃত হয়েছিল।
আর, আজকে সৎসঙ্গীদের ভাবতে হবে, বুঝতে হবে তিনি আমাদের কাছে কি চেয়েছিলেন" আজ এই ১০০তম সৎসঙ্গ প্রতিষ্ঠানের মাহেন্দ্রক্ষণে অর্থাৎ শুভক্ষণে সৎসঙ্গীদের দেওঘর থেকে ফেরার পথে ভাবতে হবে ঠাকুর আমাদের কাছে কি চেয়েছিলেন, আমাদের কেমন দেখতে চেয়েছিলেন। জয়গুরু।
( লেখা ২০শে অক্টোবর'২০২৪)

No comments:
Post a Comment