আর, মেজাজ গরম করলে আমিই হেরে যাবো। যদিও দেশের বর্তমান এই অবস্থায় মেজাজ ধ'রে রাখা ও শান্ত থাকা খুবই কঠিন। যারা পারে তারা মহান। এই জন্যেই আগের ভিডিওতে বলেছিলাম নোবেল কমিটি নোতুন ক'রে ভেবে দেখুক কাকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেবে। শান্তির পক্ষে কাজ করা অশান্ত ব্যক্তিকে শান্তির নোবেল পুরষ্কার দেবে নাকি যে কোনও কঠিন পরিস্থিতিতে শান্ত হ'য়ে বসে থাকার অসীম ক্ষমতা অর্জনকারী ব্যক্তিকে পুরষ্কার দেবে। যদি কোনও প্রতিষ্ঠিত বা প্রতিভাশালী ব্যক্তি মেজাজ হারায় তাহ'লে মানুষ তাঁর গভীর সংবেদনশীল ও স্পর্শকাতর লেখা ও ছবি থেকে, গান, কবিতা ও সাহিত্য রচনা, বিজ্ঞান সাধনা, শাসন ব্যবস্থায় আসীন প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা ও নেতৃত্ব দেওয়া ইত্যাদি সমস্ত থেকে বঞ্চিত হবে দেশবাসী।
এছাড়া, একটা কথা আছে, যার জ্বালা সেই বুঝে। সাপের ছোবল যে খায়নি সে বুঝবে কি ক'রে বিষের জ্বালা কি মারাত্মক? একটা পিঁপড়ের কামড়ে প্রাণ জ্বলে যায়, বিষাক্ত সাপের বিষ তো দুঃস্বপ্নের ব্যাপার। এমন সিঁদুর মুছে দেওয়ার মত নির্ম্মম দুঃস্বপ্ন যেন কেউ না দেখে, জ্বালা কেউ ভোগ না করে।
আর, যারা আজ ভারত সরকারের 'সিন্দূর অপারেশন' নিয়ে মানবতার মৃত্যু হচ্ছে বলে ছদ্ম কান্না কাঁদছে, তাদের কাঁদতে দিন সবাইকে। নির্মল পবিত্র হাসি কান্না নিরুদ্দেশ হ'য়ে গেছে পৃথিবী থেকে। হয়তো অন্য কোনও গ্রহে গিয়ে লুকিয়ে আছে। মানুষ তো গ্রহ থেকে গ্রহান্তরে যাচ্ছে, দেখা যাক যদি নিরুদ্দেশ হওয়া পবিত্র কান্নাকে, হাসিকে সেখানে খুঁজে পায় ও ফিরিয়ে আনে। ততদিন ছেঁদো ও ছদ্ম কান্না ও হাসি হাসতে দিন মানুষকে, যতদিন
কথায় আছে, Every action has opposite and equal reaction.
আর, শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র বললেন, "তুমি যা করছো বা ক'রে রেখেছো ভগবান তাই-ই গ্রাহ্য করবেন আর সেগুলির ফলও পাবে তেমনি। যা ইচ্ছা তাই করবে তুমি তা' করলে রে চলবে না, ভালো ছাড়া মন্দ করলে পরিস্থিতি ছাড়বে না"
তাই, সরকার যেটা ন্যায় ও ন্যায্য মনে করেছে সেইটাই করছে। আর, যারা এই নারীর সিন্দূর মুছে দেওয়ার, স্ত্রীর স্বামী হারানো ও সন্তানের বাবা ডাক হারানোর বদলার অ্যাকশান হিসেবে গৃহীত 'সিন্দূর অপারেশন'-কে যারা অন্যায্য ও মানবতা বিরোধী আখ্যা দেয় তাদের ডাবল স্ট্যান্ডার্ড চরিত্রের জন্য করুণা হয়। এটা যে যুদ্ধ নয়, এটা যে পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার জবাবে ভারতের পাকিস্তানে প্রত্যাঘাত, এটা যে গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে ধর্ম জিজ্ঞেস ক'রে ক'রে পুরুষ পর্যটকদের ২৬ জন পুরুষকে তাদের স্ত্রীদের সামনে হত্যা ক'রে স্ত্রীদের মাথার সিঁদুর মুছে দেওয়ার প্রত্যাঘাত আর সেই প্রত্যাঘাতের সামরিক অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন সিঁদুর' এ কথা বোঝানোর কোনও দরকার নেই তাদের। সময়মতো ইশ্বরের দরবারে তার বিচার হবে। হয়তো দের হ্যাঁয়, লেকিন আন্ধের নেহী হ্যাঁয়।
তাই, দেশবাসী যখন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন তখন নারীর সিঁথির সিঁদুরের ইজ্জৎ ভূলুন্ঠিত হওয়ার প্রতিবাদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারতের নারী শক্তি ভয়ংকর জবাব দিয়ে আবার প্রমাণ করলো ভারত জগৎ সভায় শ্রেষ্ঠ আসনের অধিকারী। ৬-৭ মে মধ্যরাতে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী ৯টি নির্দিষ্ট সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটি ধ্বংস করে দেয়।
এই হল নরেন্দ্র মোদীর সরকার। জাতীয়তাবাদ ও আবেগে কীভাবে নাড়া দিতে হয় সম্ভবত অতীতে আর কোনও সরকার তা এত সুকৌশলে করতে পারেনি। বুধবার ভোর রাতে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ভারত যে সামরিক অভিযান চালিয়েছে তার নাম রাখা হয়েছে অপারেশন সিঁদুর। পহেলগামে ধর্ম জিজ্ঞাসা করে যেভাবে জঙ্গিরা ২৬ জন হিন্দুকে হত্যা করেছে এবং তাঁদের স্ত্রীর সিঁদুর মুছে দিয়েছে, এই অপারেশন ছিল তারই বদলা। পরে কৌশলগত ভাবে দুই মহিলা অফিসারকে দিয়ে সেই অভিযানের ব্রিফিং করাল সাউথ ব্লক— কর্নেল সোফিয়া কুরেশি (Colonel Sophia Qureshi) ও উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিংহ (Wing Commander Vyomika Singh)।
এরা প্রকৃত অর্থেই দেবী দূর্গার জীবন্ত রূপ। দেশবাসীর উদ্দেশ্যে ''অপারেশন সিন্দূর' সম্পর্কে এঁরা দৃঢ়চিত্তে বর্ণনা দিলেন।
হিন্দু ধর্মে মা দূর্গার অসুর নিধনের কাহানী আছে আমরা তা’ দেখতে পাই। আর সেই মা দূর্গাকে নারীপুরুষ সবাই পূজা করে অর্থাৎ স্বাগত জানায়। 'অপারেশন সিন্দুর' প্রমাণ করলো নারী মাত্রেই মা দূর্গা! সেখানে হিন্দু-মুসলমান ইত্যাদি কোনও ভেদ নেই।
বিশ্বের সব নারীই মা দুর্গা, মা কালী ইত্যাদি মাতৃদেবীর প্রতীক। হিন্দুধর্মের সমস্ত নারীদেবীই হিন্দু, মুসলমান, খ্রীষ্টান, বৌদ্ধ , শিখ, জৈন ইত্যাদি সমস্ত ধর্ম্মের মায়ের প্রতীক। নারীর ইজ্জৎ রক্ষার্থে, সিঁথির সিঁদুর মুছে দেবার প্রতিবাদে প্রয়োজনে বিশ্বের সব নারী মা দূর্গা, মা কালীর রূপ ধারণে সক্ষম। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারতের সিন্দুর অপারেশন তার জ্বলন্ত প্রমাণ।
যে অন্যকে ভালোবাসতে পারে না, পারেনি সে নিজেকে কখনই ভালোবাসতে পারেনা, পারেনি। ঠিক তেমনি যে অন্যকে ভালবাসতে জানে না, শেখেনি সে নিজেকেও ভালোবাসতে জানে না, শেখেনি। নমস্কার।
No comments:
Post a Comment