জীবন সম্পর্কে, সৃষ্টি সম্পর্কে, সৃষ্টির স্থিতি ও লয় সম্পর্কে, বেঁচে থাকা ও বেড়ে ওঠা সম্পর্কে নানা প্রশ্নের উত্তর খোঁজার জন্যে মানুষ গরুর গাড়ির যুগে ফিরে যেতে চায়! ফিরে যেতে চায় মানুষ বেদ পূরাণের যুগে!!! ফিরে যেতে চায় এমনকি ঠাকুরের অনেক মন্ত্রশিষ্যও!!!!!! এই পিছন ফিরে দেখা ও সামনে দেখা এই দুই দেখার কোন দেখার মধ্যে দিয়ে যাবে এই ক্ষণস্থায়ী জীবন!? প্রশ্ন জাগে মনে!
সব প্রশ্নের উত্তর সময়োপযোগী ও সহজ সরল ক'রে ব্যাখ্যা দিয়ে গেছেন ঠাকুর যার বিকল্প কোথাও নেই কারণ সময় না হ'লে তা দেওয়া যায় না কারণ সেই সমস্ত অসীম অনন্তের বিশ্লেষণ মূলক ব্যাখ্যা সাধারণ মানুষের পক্ষে তার সীমায়িত বোধ দিয়ে বোঝা, অনুধাবন করা সম্ভব নয়। ঠাকুরের বলা এমন অনেক অনেক কিছু আছে যার ইঙ্গিত মানব ইতিহাসের জ্ঞান ভান্ডারের কোথাও নেই, এমনকি তিনি নিজেও এর আগের রূপে অনেকবার এসেও বলেননি কারণ বলার সময় হয়নি ব'লে। তিনি যখনই কিছু বলেছেন সঙ্গে সঙ্গে তিনি তাঁর পরম ভক্তদের বলেছেন তাঁর বলার সমর্থনে কোথায় কি বলা আছে তা খুঁজে দেখতে! এই খুঁজে দেখতে দেখতে ঠাকুরের চারপাশের ভক্তমন্ডলী এক একজন বিরাট পন্ডিত মানুষে পরিণত হয়েছিলেন!!!!!! যখনই সেইসমস্ত ঠাকুরে উৎসর্গীকৃত প্রাণ ঠাকুরকে ঠাকুরের বলার সমর্থনে খুঁজে পাওয়া মণি মুক্তো ঠাকুরের সামনে উপস্থাপিত করতেন তখন ঠাকুর শিশুর সারল্যে হাসি-গানে মেতে উঠতেন!!!!!! আর যদি কোথাও মিল খুঁজে না পেতেন তাঁরা তখন ঠাকুর তাঁদের উদ্দেশ্যে বলতেন, এই মুখ দিয়ে পরমপিতা যখন একবার কওয়ায় দিছেন তখন আর আমার কিছু করার নাই। আর ঠাকুর মাঝেমাঝেই বলতেন, যা দিয়ে গেলাম আগামী দশ হাজার বছরের মধ্যে কিছু লাগবে না!!!!!! আবার কখনো কখনো বলতেন, আর কিছু বাকি আছে নাকি কেষ্টদা? যদি থাকে তো বলেন এইবেলায় ক'য়ে দিয়ে যায়। এইরকম বহু ইঙ্গিত তিনি দিয়ে গেছেন যা সমঝদারোকে লিয়ে ইশারা কাফি হোতা হ্যায়!!!!!! তাই ঘোর কলি যুগের ট্রানজিশনাল পিরিয়ডে পিছন ফিরে দেখা আর গরুর গাড়ির যুগে ফিরে যাওয়ার অর্থ ঠাকুর কে, তিনি কেন, কি জন্যে এসেছিলেন, কি দিয়ে গেলেন, কেনই বা তিনি এত তাড়াতাড়ি এলেন, কেন এবার জ্ঞানের মহাসমুদ্রের মধ্যে আমাদের ফেলে দিয়ে গেলেন, কেনই বা তিনি যা দিয়ে গেলেন তা কিঞ্চিৎ বুঝতে আরো ১০০বছর লাগবে ইত্যাদি প্রশ্ন সম্পর্কে বিন্দুমাত্র কোনও ধারণা না থাকা!!!!!!!! তাই তো ঠাকুর দুঃখ ক'রে বলেছিলেন, যত দ্রুততার সঙ্গে তোমাদের যা করতে বলেছিলাম ততটাই শিথিলতার সাথে তা গ্রহণ করলে! আর একজন্মে তিনি যা দিয়ে গেলেন আমাদের মতন সীমাহীন ভাঙাচোরা মানুষদের পক্ষে হাজারবার জন্মালেও তা পড়ে শেষ করা ও বোঝা সম্ভব না; করা তো দূর কি বাত!!!!!!! তাই বেদ, পুরাণ, শাস্ত্রতাস্ত্র পড়ে সময় নষ্ট করার কোনও মানে হয় না, ওসব বিলাসিতা ও বাতুলতা মাত্র আর ঠাকুরের কথায় "তাত্ত্বিক আমেজে ডুবে আছো মণি!?" কারণ এই জীবন অল্প ক'দিনের জন্য তাই সময় নষ্ট করার সময় কোথায় দাদা!? পড়তেই যদি হয়, অধ্যয়নের গভীরে ডুবই যদি দিতে হয়, জানতেই যদি হয়, শাস্ত্রতাস্ত্র পড়া যদি মুখে মারিতং জগৎ না হয়, কথার কথা যদি না হয় আর যদি সম্ভব হয় তাহ'লে ঠাকুরের বি-শা-ল সাহিত্য-দর্শন-বিজ্ঞান সমুদ্রে ডুব দিন! তখন দেখতে পাবেন শাস্ত্র-শস্ত্র, বেদ-পুরাণ ইত্যাদি ইত্যাদি সব সব ভেসে যাচ্ছে বানের জলে ভেসে যাওয়ার মত। আর যা বললাম, ঠাকুরের কথায়, যত ডুববেন তত বেমালুম হবেন!!!!!! তল, কূল, ঠাঁই, থই পাবেন না!!!!!!!!!! তাই আসুন সুর ক'রে গেয়ে উঠি, 'তোমার মুখপানে চেয়ে থাকি শুধু, তৃষ্ণা মেটে এ সুখা জীবনের!!!!!! জয়গুরু।-----------প্রবি।
(লেখা ২৮শে জুলাই'২০১৯)
No comments:
Post a Comment