আচ্ছা এ সবই তো তোমার!
এই গ্রহ, নক্ষত্র, আকাশ, বাতাস
এই গ্রহের পাহাড় পর্বত, নদনদী, গাছপালা, জীবজন্তু,
পোকামাকড়, পশুপাখি সবই তো তোমার!
এই গ্রহ, নক্ষত্র ছাড়িয়ে ব্রহ্মান্ড পেরিয়ে
আরও যে হাজার লক্ষকোটি ব্রহ্মান্ড সবই তো তোমার!
এই পৃথিবী নামক আমাদের বিশাল গ্রহের মাঝে
এই যে আমার চোখের সামনে ছোট্ট একটুকরো জমি
এই জমি কার!? এই জমি কি নয় তোমার!?
এই জমির ওপর কার অধিকার!?
শেষমেশ সব জমির মত দিন শেষে অবশেষে
এই জমির-ও মালিক কি প্রমোটার!?
এই জমির ওপর কি নেই তোমার কোনও অধিকার!?
তুমি তো জানো এই বিশাল অন্তহীন অস্তিত্ব মাঝে
আমি ক্ষুদ্র, অতি ক্ষুদ্র এক অস্তিত্ব।
আর বিশাল পারাপারাহীন জগত মাঝে
দৃষ্টিগোচর হীন আমার ছোট্ট বিন্দুসম পরমাণু জগত!
আমি যে অসহায়। তুমি ছাড়া কে হবে আমার সহায়!
চোখের সামনে দেখতে হবে ধীরে ধীরে গ্রাস ক'রে নেবে
ইটের জঙ্গল এই ছোট্ট তোমার জমির আকাশ বাতাস!?
দমবন্ধ করা ইটের স্তুপ কেড়ে নেবে অক্সিজেন ভরা
বিশুদ্ধ বাতাস!? আকাশ হ'য়ে যাবে নিরুদ্ধেশ!?
এই যে কাঁঠাল, বাতাবি, বেল, নারিকেল, পেয়ারা
গাছেদের ভিড়ে গন্ধলেবুর মৌতাত গন্ধে প্রাণ হ'তো মাতোয়ারা!
আর কলাগাছের পাতার ছায়ায় ঘেরা রকমারি ফুলের গন্ধে
এই ছোট্ট জমির উপর দাঁড়িয়ে থাকা গৃহস্থের দাওয়া
নিত আশ্রমিক চেহারা! পথচলতি মানুষ বলতো তাই-ই!
কত মানুষ এসে বসতো দাওয়ায়, ঘরের ছাওয়ায়!
তোমার ছবির সামনে নত মাথে ব'সে
কত ক্লান্ত শ্রান্ত শরীর নিত বুক ভরে শ্বাস মাতাল হাওয়ায়!
কত গান, কত তান, কত বোলতাল
হাতে হাতে বাজতো খোল করতাল
গানে কীর্তনে উঠতো মেতে সবাই
হাসি আনন্দে তোমার কথাকলিতে
আঁধার কেটে ভাসতো তারা আলোর বন্যায়!
এ স্মৃতিচিহ্ন কি সব যাবে মুছে!?
সব যাবে বিলীন হ'য়ে
সময়ের কাল গহ্বরে ইটের পিঞ্জরে !?
ভালোবাসাময় এই ছোট্ট গৃহস্থের দাওয়া থেকে
মুছে যাবে তোমার সব নিশানা!?
তাই কি কখনো হয়!? হয়েছে কখনো!?
জীবন খুঁজে পাবো যেথায় তা কি কখনো
ইটের জঙ্গলে হারায়!?
মন বলে, হারায় না! হারায় না!! কখনো হারায় না!!!
(লেখা ২২শে জুলাই'২০২১)
No comments:
Post a Comment