ঠাকুর সম্পর্কে আপনারা জানেন ঠাকুর পাশ করেছিল কি ফেল করেছিল? ঠাকুরের ডাক্তারি পড়ার ইতিহাস জানেন? কিভাবে তিনি ডাক্তারি পড়ার জন্য চান্স পেয়েছিলেন বা কেন পেয়েছিলেন? একজন স্কুল ফাইনাল পরীক্ষায় না বসা ছাত্র কি ডাক্তারি পড়ার সুযোগ পেতে পারে? তা কি সম্ভব? কি ক'রে এমন অসম্ভব সম্ভব হ'লো? কি ক'রে মেডিকেল প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ প্রধান ঠাকুরের ডাক্তারি পড়ার আবেদন মঞ্জুর করলেন? তাঁর ডাক্তারি পড়ার ছাড়পত্রে অনুমোদন দিলেন? কি সেই রহস্য? কেন তিনি ডাক্তার তকমা নিলেন না? কেন তিনি ডাক্তারি ফাইনাল পরীক্ষায় সমস্ত পেপার পরীক্ষা দেওয়া সত্ত্বেও মৌখিক পরীক্ষায় তিনি কেন নিজেকে অকৃতকার্য হ'তে দিলেন? তিনি কি মৌখিক পরীক্ষায় ফেল করেছিলেন নাকি পরীক্ষকের রোষের কারণ হয়েছিলেন? তাঁকে কি ফেল করানো হয়েছিল? কি ছিল সেই রোষের কারণ? কেন তাঁকে ফেল করানো হয়েছিল? তিনি কি মৌখিক পরীক্ষায় পরীক্ষকদের প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি? অসমর্থ ছিলেন? কেন তা ডাক্তারি পড়া ছাত্রদের কাছে আলোচনায় উঠে আসে না? কেন দেশে এই নিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থায় চর্চা হয় না? আজ পর্যন্ত তার আর কোনও রেকর্ড আছে ইতিহাসের বুকে? যদি থাকে তাহলে তা কেন আছে বা কি ক'রে তা সম্ভব ? এমন হাজারো প্রশ্ন উঠে আসতে পারে! যেমন উঠে আসতে পারে তাঁর জীবনের নানাদিকের রহস্যময় অবস্থান নিয়ে! যেমন কেন তিনি পূর্ববাংলা বর্তমান বাংলাদেশ থেকে চলে এলেন? কেন তিনি এই বাংলায় তাঁর নুতন বৃন্দাবন গড়ে তুললেন না? কেন তিনি বললেন আমার সৎসঙ্গের আন্দোলন বাংলা থেকে উঠবে না, বাংলার বাইরে থেকে উঠবে? কেন তিনি বললেন যা দিয়ে গেলাম আগামী দশ হাজার বছরের মধ্যে আর কিছু লাগবে না? কেন তিনি 'বড়খোকা, বড়খোকা' ব'লে অস্থির হ'য়ে পড়তেন? কেন তিনি ব'লে গেলেন 'রেত শরীরে সুপ্ত থেকে জ্যান্ত তিনি নিরন্তর?' কেন তিনি এবার রামকৃষ্ণ রূপে দেহ ছেড়ে যাবার পর এত তাড়াতাড়ি ২ বছর ২৯ দিনের মাথায় এলেন? এরকম বহু কেন, কেন, কেন নিয়ে প্রশ্ন আছে যা সময়মত একে একে তুলে আনা যাবে!
যাই হ'ক যারা ঠাকুরের মেডিকেলে পড়া নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলে চলেছেন, প্রশ্ন তুলেছেন ঠাকুরের বয়স, মেডিকেলে পড়ার সাল আর মেডিকেল স্থাপনের সাল নিয়ে, আর এই বিতর্কিত প্রশ্ন তুলে সাধারণ ছাত্রছাত্রী ও মানুষের মনে অকারণ সন্দেহ, ঘৃণার জন্ম দিয়েছেন, দিয়ে চলেছেন তারা যদি জানতেন মেডিকেলে পড়ার ইতিহাস, মেডিকেল কলেজের ইতিহাস, খোঁজ নিতেন তাহলে শ্রদ্ধায় ভক্তিতে ভালোবাসায় মাথা নত হ'য়ে যেত তা তাদের ঠাকুরের প্রতি রাগ যে কারণেই হ'ক না কেন! অবশ্য জন্মবিকৃতদের কথা আলাদা। জানি না কতটুকু আর কিই বা তারা জানেন!
যাই হ'ক বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ বিস্ময়কে নিয়ে এমন মন্তব্য বাঙালি হিসেবে নিজেকে বড় ছোট মনে হ'য়। কারণ বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ বিস্ময় বাঙালি ছিলেন!!!!!! অবাঙালীদের কাছে আর বিশ্ববাসীর কাছে আমাদের বাঙালিদের মুখ দেখাতে লজ্জা লাগে যে বাঙালিরা সেই ঠাকুরের প্রথম জীবন থেকে আজ ১৩২ বছর পার হ'য়ে যাওয়া পর্যন্ত ঠাকুরকে শুধু অপমান আর অপমান, লাঞ্ছনা, গঞ্জনা, অপবাদ সহ্য করে যেতে হ'লো!! সহ্য ক'রে চলেছে তাঁর ব্যক্তিগত, বিবাহিত, সাংসারিক, পারিবারিক ইত্যাদি নিয়ে ক'রে চলা অসহ্য গালিগালাজ! কানে গরম তরল সীসা ঢেলে দেওয়া তার থেকেও অনেক-অনেক আরামদায়ক! যা ঠাকুরের দীক্ষিত গুরুভাইবোন বিশেষতঃ যুবসম্প্রদায় বিন্দুমাত্র বোঝার ক্ষমতা রাখে না। যদিও ব্যতিক্রম আছে। আর যারা অপমান করছে তারা কেউ কেউ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবেই করছে আর করছে তাতে সামিল হ'য়ে অদিক্ষিত ইয়ং সম্প্রদায় কিছু না জেনে, না বুঝেই জোশে, হতাশায়! কিন্তু দুঃখের বিষয়, এর জন্যে কোন অদিক্ষিত বাঙালি এলিট সমাজের কোনও বাঙালি প্রতিবাদ করেনি। যাক, ইতিহাস বড়ই নির্ম্মম! আর নির্ম্মম ইতিহাস লেখা থাকবে বাঙালির! একদিন মানুষ বুঝতে পারবে কেন ঠাকুর বলেছিলেন "আমার সৎসঙ্গের আন্দোলনের ঢেউ বাংলার বুক থেকে উঠবে না। বাংলার বাইরে থেকে উঠবে।" ( লেখা ৩১শে জুলাই'২০২০)
প্রবি।
No comments:
Post a Comment