Powered By Blogger

Sunday, January 7, 2024

প্রবন্ধঃ অবতারীদের মূল ধর্মগ্রন্থ।

২০২৩ সালের শেষ দিনে শেষের মুহূর্তে সমস্ত সম্প্রদায়ের সমস্ত মতের সমস্ত ধর্মপ্রাণ, ইষ্টপ্রাণ মানুষদের উদ্দেশ্যে বলা কিছু কথাঃ
আর, কিছুক্ষণ পরেই বিদায় নেবে অনেক সুখদুঃখের স্মৃতি ২০২৩ সাল।

আমার একান্ত উপলব্ধি আপনাদের কাছে জানিয়ে এই বছরকে বিদায় দেবো।

আমাদের মূল সমস্যা হচ্ছে মূল থেকে ডালপালায় ঘোরাঘুরি করার অভ্যাস। যেমন কথায় আছে খাজনার চেয়ে বাজনা বেশী; ঠিক তেমনি পৃথিবী জুড়ে বিশেষ ক'রে ধর্মজগতে গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়লদের ধর্ম সংক্রান্ত বিকৃত তথ্য ও তত্ত্ব নিয়ে মাতামাতি হয় বেশী। আর তা'তে গা ভাসায় সব ধর্মেই চিলে কান নিয়ে গেছে শুনেই কানে হাত না দিয়েই চিলের পিছনে বনবাদাড় ভেদ ক'রে ছুটে যাওয়া মানুষের দল। এটা একধরণের মানসিক ব্যাধি। বিকৃত মানসিকতাসম্পন্ন মানুষ বিকৃত জিনিসের প্রতি রুচি দেখায়। এই বিকৃতি সব সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে আছে কম-বেশী। আমরা কেউই কোনও সম্প্রদায়ের মানুষ নিজ নিজ প্রফেটদের ব'লে যাওয়া গ্রন্থ পড়িনি ও পড়িনা। ব্যতিক্রম অবশ্যই আছে। তবে তাঁরা আজ ধর্মজগতে গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়লদের দাপটে প্রায় ousted হ'য়ে পিছনের সারিতে অবস্থানরত। আর যদিও পড়ে থাকি তাহ'লে পড়েছি মূল গ্রন্থ বাদ দিয়ে প্রফেট অনুগামী পন্ডিতদের প্রফেটের বলা কথার ব্যাখ্যা নতুবা অনুবাদ। যুগাবতারদের বলা গীতা, ত্রিপিটক, বাইবেল, কোরাণ, চৈতন্য চরিতামৃত, রামকৃষ্ণ কথামৃত সর্বশেষ অবতারী শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের সত্যানুসরণ গ্রন্থ, তাঁর ২৪হাজার বাণী ও কথোপকথন সমৃদ্ধ বহু বিভিন্ন গ্রন্থ বিশেষ ক'রে 'ইসলাম প্রসঙ্গে' ইত্যাদি গ্রন্থ কেউই পড়িনি ও পড়িনা। আমরা মূল পড়ার চেষ্টা করি না, মূল জানার চেষ্টা করি না, কিন্তু ডালপালাতে ভীষণ উৎসাহী। বিতর্কিত এবং যে কথা সভ্য জগতের অতি সাধারণ জ্ঞান সম্পন্ন একজন মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য মনে হয় না, যুক্তিহীন ব'লে মনে হয়, মনের মধ্যে ঘৃণা উদ্রেক করে সেই কথা প্রফেটদের কথা ব'লে চালিয়ে দিয়ে যখন মানুষের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয় আর তা'কে গ্রহণ করে সেই সেই সম্প্রদায়ের মানুষ অন্ধভাবে তখন বোঝা যায় একজন মানুষ বায়োলজিক্যালি কতটা ডিফেক্ট হ'লে এটা সম্ভব হ'তে পারে। মানুষ জন্মায় তার বৈশিষ্ট্য নিয়ে। তাই যখন বিশ্বজুড়ে প্রফেটদের নাম দিয়ে মিথ্যাচার হয় আর তা প্রচার করা হয় তখন বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী মানুষ পরিচালিত হয়। প্রজনন বিজ্ঞানে গলদ থাকলে শত কৃষ্টি-সংস্কৃতির ছোঁয়াও কিছু করতে পারে না মানুষের। আর, তাই প্রফেটদের বার বার আসতে হয় যুগ অনুযায়ী ও তাঁর কথা, বাণী যখন ভুল ব্যাখ্যায় বিকৃতিতে রঙ্গিন হ'য়ে ওঠে, ম্লান হ'য়ে যায় স্বার্থান্বেষীদের চক্রান্তে তখন তাঁকে আবার আসতে হয় দূষিত হাওয়া থেকে তাঁর সন্তানদের বাঁচাতে, তাঁর সৃষ্টিকে রক্ষা করতে। তাঁর এই পথে যে বা যারাই বাধাস্বরূপ হ'য়ে দাঁড়াবে তাঁরা কালের নিয়মেই বিধাতার বিধানেই দয়ালের ভয়াল রূপের কাছে ধ্বংস হ'য়ে যাবে, দক্ষের যজ্ঞের অবস্থা হবে।

তাই প্রতিটি সম্প্রদায়ের প্রতিটি অবতারীর প্রকৃত অনুগামীদের উচিত তাঁর নিজ নিজ প্রফেটদের বলা কথা, বাণীগুলি গভীরভাবে অধ্যায়ন করা, অনুধাবন করা, একটা পরস্পরের মধ্যে মেলবন্ধন খুঁজে বার করা ও তা প্রচার ক'রে সমস্ত সম্প্রদায়ের সহজ সরল ঈশ্বর বিশ্বাসী সুস্থ, সৎ ও অস্তিত্ববাদে বিশ্বাসী সমস্ত মানুষের মাঝে তুলে ধরা। যাতে বিশ্বজুড়ে চক্রান্তকারী ধর্মাত্মাদের দ্বারা ধর্ম ও প্রফেটদের বাণীগুলিকে ভুল ব্যাখা ক'রে নিজ নিজ ধর্মের মানুষদের বিভ্রান্ত করার বিরুদ্ধে ঘুম ভাঙ্গিয়ে বিভ্রান্তকারীদের সচকিত ও সতর্ক ক'রে তোলা যায় এবং বিশ্বজুড়ে সবাইকে স্ব স্ব ধর্মমতে অবস্থান ক'রেই কোনওরকম কনভার্সানের ফাঁদে পা না দিয়ে, conversion বা ধর্মান্তর প্রথাকে চূর্ণ ক'রে এক ও অদ্বিতীয় সৃষ্টিকর্তার নোতুন রূপের চরণতলে আনা যায়। যা ক'রে চলেছে শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র প্রতিষ্ঠিত 'সৎসঙ্গ'।

আসুন, সমস্ত ধর্মমতের প্রকৃত অনুগামী ইষ্টপ্রাণ যারা তাঁরা এক ও অদ্বিতীয় সৃষ্টিকর্তা, পরমপিতা, পুরুষোত্তম, জীবন্ত ঈশ্বর, সদগুরু রাম, কৃষ্ণ, বুদ্ধ, যীশু, মোহাম্মদ, মহাপ্রভু, রামকৃষ্ণ ও শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র নাম্নী প্রফেটদের মুখনিঃসৃত বাণীসমূহের ধর্মগ্রন্থ পড়ি ও পড়াবার অভ্যাস করি। কথাপ্রসঙ্গে ব'লে রাখি। অবতারী শ্রীশ্রীরামচন্দ্রের কথা বা বাণী লিপিবদ্ধ আকারে পাওয়া না গেলেও শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের বলা তাঁর অর্থাৎ শ্রীশ্রীরামচন্দ্রের র্সমগ্র জীবনটাই বাণী।

আসুন, বর্তমান শেষ অবতারী শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের ব'লে যাওয়া আহ্বান, নিজে বাঁচি ও অন্যকে বাঁচায় এবং মরবো না, মারবো না, পারলে মৃত্যুকে অবলুপ্ত করবো এই শপথ গ্রহণের মধ্যে দিয়ে পুরুষোত্তমদের গ্রন্থরাজি পড়ার আহ্বান জানিয়ে ২০২৩ কে বিদায় জানায়। জয়গুরু।

All reactions:

No comments:

Post a Comment