Powered By Blogger

Wednesday, January 10, 2024

গান ও প্রেক্ষাপটঃ মাকে ছাড়া বাঁচে কে প্রাণে

এই বিষয়ে আমার উপলব্ধি লেখার সঙ্গে গানের কথাগুলি নীচে দিলাম।  ।
গানের কথাগুলি শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের তৃতীয় প্রজন্ম সৎসঙ্গ আন্দোলনের পুরোধা ঈশ্বরকোটি পুরুষ পরমপূজ্যপাদ শ্রীশ্রীঅশোকদাদার আর সুর যার, তিনি হলেন বিশ্বের কোটি কোটি বাচ্চা-বুড়ো, যৌবন প্রাণে ঝড় তোলা, ইয়ং জেনারেশনের আইকন পরমপূজ্যপাদ শ্রীশ্রীঅবিনদাদা।

সারা বিশ্বে দেখেছো কেউ এমন মহান প্রাণ আছে যিনি বর্তমান হিংসা, মারামারি, কাটাকাটি, কাম-ক্রোধ-লোভ-মোহ-মদ-মাৎসর্য-এ আকন্ঠ ডুবে থাকা ঘোর কলি যুগের অন্ধকার, দুর্গন্ধময় পরিবেশে জীবনে হতাশাগ্রস্থ, ক্লান্ত, বিধ্বস্ত, ক্ষতবিক্ষত, জীবন যুদ্ধে পরাজিত, ব্যর্থ, উগ্র, বিকৃত, ক্ষুব্ধ, নেশাগ্রস্থ প্রকৃত জীবন থেকে হারিয়ে যাওয়া উৎস বিমুখ মানুষকে, যুব সমাজকে আবার ফিরিয়ে দিতে পারে উৎস মুখে, দেখিয়ে দিতে পারে প্রকৃত জীবনের পথ, চিনিয়ে দিতে পারে ভালোবাসার মহাসমুদ্র?

৫ই জানুয়ারি'২৪ শুক্রবার তাঁর ২৪ তম জন্মদিনে দেওঘরের দারোয়া নদীতীর সংলগ্ন দেবঘরে লক্ষ লক্ষ যৌবন প্রাণে উঠেছিল ঝড়, সারা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে হাজার হাজার যৌবন তাঁর ভালোবাসার টানে তাঁর জন্মদিনে উত্তাল হ'য়ে উঠেছিল সুশৃঙ্খল বাতাবরণ তৈরী ক'রে দয়ালের নামে-গানে।

৫ই জানুয়ারি সেদিনটা ছিল ভালোবাসার দিন, জীবনকে খুঁজে পাবার দিন, ঘরে ফেরার দিন। জীবন যুদ্ধে ক্লান্ত, বিধ্বস্ত, পরাজিত প্রাণ সেদিন 'ফিরে চল মন নিজ নিকেতন' আহ্বানে ছুটে গেছিল দিকে দিকে, ফিরে গেছিল নিজ নিজ ঘরে ভালোবাসার ও জীবন খুঁজে পাওয়ার উদগ্র টানে।

দয়াল প্রভু আমার তাঁর আগের রূপে বলেছিলেন, "আমি খুব শিগগিরি আসছি, যাবো আর আসবো।" দয়াল ঠাকুর বলেছিলেন, যখনই ধর্মের গ্লানি হয় আর অধর্মের উত্থান হয় তখনি আমাকে আসতে হয়। তাই তিনি তাঁর কথা রেখেছেন ও বারবার এসেছেন। এবারে দয়াল প্রভুর এত শীঘ্রই আসার অনেক কারণ আছে। অনেক কারণের মধ্যে আবার এত তাড়াতাড়ি আসার অন্যতম কারণ ছিল তাঁর মায়ের আরাধনা। তিনি আগের রূপে এসে মাতৃ আরাধনা করেছিলেন মা-কালীর সামনে। কিন্তু তাঁর ভক্তরা তাঁকে ভুলে মায়ের আরাধনায় মগ্ন হ'য়ে গেছিল। তাঁর মাতৃ আরাধনার ভয়ংকর প্রভাব পড়েছিল সাধারণ মানুষের মাঝে। মায়ের আরাধনায় মেতে উঠেছিল মায়ের ভক্তেরা। যারা ঠাকুর রামকৃষ্ণের শিষ্য তারা যেমন মা কালীর পরম ভক্ত, তেমনি যারা ঠাকুরকে মানে না, বিশ্বাস করে না তারাও কিন্তু মা কালীর ভক্ত পূজারী। ঠাকুর রামকৃষ্ণের শিষ্যরা যেমন মূর্তি পূজার বিরুদ্ধে কথা উঠলেই ঠাকুর রামকৃষ্ণকেই অজুহাত হিসেবে খাড়া করে ঠিক তেমনি ঠাকুর রামকৃষ্ণে অবিশ্বাসী মা-কালীর ভক্তেরা মূর্তি পূজার বিরুদ্ধবাদীদের বিরুদ্ধে সেই ঠাকুর রামকৃষ্ণকেই ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে। ঠাকুর রামকৃষ্ণের অবস্থা শাঁখের করাতের মতো। আসতে-যেতে দু'দিকেই কাটে।

দক্ষিণেশ্বরের কালি বাড়িতে যখন হাজার হাজার মায়ের ভক্তদের লাইন পড়ে মায়ের পূজার ডালা হাতে মাথার ওপর চাঁদি ফাটানো রৌদ্রের মধ্যেও দাঁড়িয়ে সেখানে ঠাকুর রামকৃষ্ণের বহু শিষ্যেরাও থাকেন, তখন সেইখানে সেই দক্ষিণেশ্বরের মন্দিরের পাশে ঠাকুর রামকৃষ্ণের ঘর থাকে ফাঁকা, একদম ফাঁকা!!!! না সেখানে ঠাকুরের শিষ্য, ঠাকুর বিশ্বাসীদের ভিড় উপচে পড়ে, না অবিশ্বাসীদের। অবিশ্বাসীদের না-থাকারই কথা।

যাই হ'ক, এইবার শ্রীশ্রীঠাকুর রামকৃষ্ণ শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূল রূপে এসে দেখালেন প্রকৃত মাতৃ আরাধনা। তিনি নিজে ক'রে করিয়ে আমাদের শেখালেন প্রকৃত মাতৃ আরাধনা কোথায় লুকিয়ে আছে। শ্রীশ্রীঠাকুর রামকৃষ্ণ যেমন 'মা, মা' ব'লে পাগল হ'তেন ঠিক তেমনি শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলও 'মা, মা' বলতে পাগল ছিলেন। আর সেই উগ্র মাতাল পাগলামো ছিল শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলের নিজের মা মনমোহিনীদেবীকে ঘিরে। মা-কে এক মুহূর্ত চোখের আড়াল করতে পারতেন না। সবসময় সেই ছোটোবেলা থেকে শেষ বয়স পর্যন্ত 'মা, মা' ব'লে পাগল হ'য়েছিলেন। মাকে একটু খুশী করার জন্য, মায়ের মুখে হাসি ফোটাবার জন্য তিনি তাঁর সমগ্র জীবনটাই উৎসর্গ করেছিলেন। এই যে সৎসঙ্গের বিশাল কর্মকান্ড সব ছিল তাঁর মাকে কেন্দ্র করেই। মায়ের বিয়োগ ব্যাথায় তিনি এতটাই কাতর হ'য়ে পড়েছিলেন যে যদি ঠিক সেইমুহূর্তে শ্রীশ্রীবড়মা মায়ের মতো ঠাকুরকে আগলে না রাখতেন হয়তো বা আমরা ঠাকুরকে আরও অনেক আগেই হারিয়ে ফেলতাম। এতটাই তিনি বিবশ ছিলেন মায়ের নামে। মা ছাড়া তিনি এই জগতকে ভাবতেই পারতেন না। মায়ের মৃত্যুতে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন শিশুর মতো, অসাড় অবশ হ'য়ে গিয়েছিলেন, শোকে-কষ্টে-দুঃখে কথা হারিয়ে ফেলেছিলেন। কলকাতায় তিনি যখন অবস্থান করছিলেন তখন তিনি মা'কে বারবার কলকাতায় আসতে নিষেধ করেছিলেন কিন্তু পুত্র সন্তানের টানে মা ছুটে এসেছিলেন কলকাতায় ফলে যা হওয়ার তাই হ'য়েছিল তাঁর নির্দেশ না মানার কারণে। পরবর্তী সময়ে পরম মমতায় একই রকম মাতৃস্নেহে, ভালোবাসায়, পালনে, পোষণে, পূরণে আগলে রেখেছিলেন শ্রীশ্রীঠাকুরকে আমাদের জগজ্জননী শ্রীশ্রীবড়মা। আর, তার ফলে গড়ে উঠেছিল এই বিশাল সৎসঙ্গ পরিবার যা'র ট্রাডিশান আজও ব'য়ে চলেছে। ঠাকুরবাড়ির মেমোরিয়াতে গেলে দেখতে পাবো মায়ের স্মৃতি বিজড়িত বাসভূমিকে কিভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে যত্ন ক'রে রাখতেন ঠাকুর যা'তে মা আবার একদিন আসবেন এই পরিত্র ঘরে এই গভীর বিশ্বাসে আর আজও সেখানে লেখা আছে মায়ের উদ্দেশ্যে শ্রীশ্রীঠাকুরের নিজের হাতে লেখা এই বিষয়ে। মেমোরিয়াতে গেলেই দেখতে পারবেন পাঠক। মায়ের প্রতি কি অসম্ভব সাঙ্ঘাতিক ভালোবাসার নিদর্শন! মনে পড়িয়ে দেয় শ্রীশ্রীঠাকুর রামকৃষ্ণের 'মা-কালী'র প্রতি তীব্র পাগলপারা ভক্তি, ভালোবাসার কথা আর 'মা, মা' ডাকের আকুতি। এবারের অনুকূল রূপে এসে তিনি তাঁর সন্তানদের শিখিয়ে দিলেন আসল মা-কে ভালোবাসা কা'কে বলে। মৃন্ময়ী মা অর্থাৎ মাটির তৈরী মা হ'য়ে উঠলো চিন্ময়ী অর্থাৎ চৈতন্যরূপী, জ্ঞানময় নিজের মা রূপে তাঁর নোতুন রূপের মাঝে মাতা মনমোহিনীদেবীকে ঘিরে। আর, তার ধারা ব'য়ে চলেছে বংশ পরম্পরায় রেত ধারার মধ্যে দিয়ে। এর প্রমাণ আমরা দেখতে পাই শ্রীশ্রীবড়দা থেকে শুরু ক'রে পূজ্যপাদ শ্রীশ্রীঅবিনদাদা পর্যন্ত পিতাপুত্রের লীলার মধ্যে দিয়ে।

মায়ের উদ্দেশ্যে পূজ্যপাদ শ্রীশ্রীঅশোকদাদা রচিত ও শ্রীশ্রীঅবিনদাদা সুরারোপিত 'মাকে ছাড়া বাঁচে কে প্রাণে ' গান আজ সৎসঙ্গ জগতে সৎসঙ্গীদের প্রাণে নিজের মা;কে ভালোবাসার যে ঝড় তুলেছে তা' আজ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে সমগ্র বিশ্বে। আমরা এতদিন মৃন্ময়ী মা মা-কালীর উদ্দেশ্যে মাকে ভালোবাসার, মাতৃপ্রেমের কালজয়ী অসাধারণ গান শুনেছি মায়ের ভক্তদের গলায়। কিন্তু সেই গানে ভক্তদের প্রাণে নিজের চিন্ময়ী মা-কে ভালোবাসার প্রতিফলন দেখতে পাইনি ছিটেফোঁটাও।

আমরা দেখেছি বহু মা-কালী ভক্তদের যারা নিজের মা-কে ঘরে ঘরে কষ্ট দিয়েছে, চোখের জলে ভাসিয়েছে, জ্বালা যন্ত্রণায় তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে দিয়েছে, একাকীত্বের যন্ত্রনায় ভরিয়ে দিয়েছে মায়ের জীবন আর মা-কালির মন্দিরে গিয়ে ভক্তিভরে ঢাকঢোল, কাঁসরঘণ্টা, ধূপধূনো, সিঁদুর-আলতা, চন্দনে শরীর লেপ্টে নানা শাস্ত্রীয় আচার-আচরণে নিজেকে ডুবিয়ে উপবাসে শুকিয়ে কাঠ হ'য়ে মায়ের পুজো করতে। এদের শেষের সেদিন হয়েছে প্রত্যেকের ভয়ংকর ভয়াবহ।

কিন্তু আমরা দেখলাম এবার রক্তমাংসের তৈরী চিন্ময়ী মায়ের উদ্দেশ্যে পূজ্যপাদ শ্রীশ্রীঅশোকদাদার লেখা ও শ্রীশ্রীঅবিনদাদার সুরে প্রকৃত মায়ের গান। মায়ের উদ্দেশ্যে অভূতপূর্ব এই গান বর্তমান উত্তাল সময়ের স্রোতে ভেসে যাওয়া যুব সমাজকে পূজ্যপাদ শ্রীশ্রীঅবিনদাদার উত্তাল সুর মিশ্রিত পূজ্যপাদ শ্রীশ্রীঅশোকদাদার মাতাল করা কথার স্রোতে ভাসিয়ে নিয়ে এলো নিজের গর্ভধারিণী মায়ের চরণ তলে। এখানে নেই মদের উগ্র গন্ধ, নেই মায়ের পুজোর নামে পশুবলী দিয়ে রক্ত-মাংস-হাড়ের উৎকট গন্ধ ও ভয়াবহ মৃত্যুর দৃশ্য, নেই রিপু তাড়িত কপট ভক্তি ভালোবাসার ভন্ডামি। এখানে নেই সিন্দুর, আলতা, রক্তে ল্যাপ্টানো ভয়ংকর উগ্র মুখশ্রী, নেই কোনও-ঢাকঢোল, কাঁসর-ঘন্টার তাল, ছন্দ হারানো আসুরিক হিক্কারের তীব্র শব্দদূষণ, নেই কোনও ধূপধুনোয় ভরা দমবন্ধ করা পরিস্থিতি পরিবেশ। আছে শুধু মায়ের নরম কোল, চরম তৃপ্তির আশ্রয়, মায়ের হাতের স্পর্শে স্বর্গীয় অনুভূতি, আছে ছোটোবেলার মায়ের আঁচলের মাতাল করা গন্ধ। চিন্ময়ী মায়ের কাছে আছে কোল, আছে আশ্রয়, আছে স্বর্গীয় অনুভূতি, আছে আঁচলের গন্ধ!!!! আ! কি আরাম! যে আরামে আছে দয়াল প্রভু আমার রাম!!!!

মৃন্ময়ী মা-কালীর উদ্দেশ্যে গাওয়া মায়ের যে গানগুলি এতদিন উত্তাল বিকৃত ভন্ডামিতে পরিপূর্ণ মিথ্যে অসাড় পুজোতে ডুবে থাকা মায়ের ভক্তদের চেতনা জাগাতে পারেনি, ফিরিয়ে আনতে পারেনি প্রকৃত মায়ের প্রতি ভালোবাসায়, উল্টে মায়ের কাছে তাঁর সন্তানকে বলী দিয়ে সেই মাংস সঙ্গে মদ মাটির মাকে সমপর্ণ ক'রে, মাকে ঠোঁটে ছুঁইয়ে দিয়ে সেই জীবন বিধ্বংসী মদ-মাংসকে প্রসাদ বানিয়ে বৃত্তি-প্রবৃত্তিতে রসদ যুগিয়ে উদোর পুর্তি ক'রে রিপুকে সুড়সুড়ি দিয়ে উগ্র ও শক্তিশালী করেছে মায়ের ভক্তেরা, মৃত্যুকে আবাহন করেছে নিজের জীবনে ও সমাজ জীবনে। আর, তাই প্রশ্রয় পেয়ে চলেছে ধর্মের নামে যুগ যুগ ধ'রে হাজার বছর। তাদের পরিণতি শেষের সেদিন হয়েছে ভয়ংকর।

অমূর্ত ভগবান, আকাশের ভগবান, মৃন্ময়ী বোবা ভগবান মূর্ত হ'য়ে, বাস্তবের ভগবান হ'য়ে, রক্তমাংসের কথা বলা ভগবান হ'য়ে বারবার নেমে আসা সত্ত্বেও সাধারণ মানুষের চেতনা ফেরাতে পারেনি। বরং তাঁর লোকেরা করেছে তাঁর সঙ্গেই বেইমানি। তাই তাঁকে আবার আসতে হ'লো তাঁর আগের রূপে এসে চলে যাবার ২ বছর ২৯ দিনের মাথায়। তাঁর আবার আসার অনেক কারণের একটা কারণ এই মৃন্ময়ী মায়ের পরিবর্তে চিন্ময়ী মায়ের পুজা ঘরে ঘরে চালু করা।

তাই তিনি আবার এলেন, নিজের মাকে অভূতপূর্ব ভালোবাসায় ভরিয়ে দিয়ে আমাদের সৎসঙ্গীদের শেখালেন নিজের নিজের গর্ভধারিণী মা-কে ভালোবাসতে। আর, বললেন, যা দিয়ে গেলাম যা দিয়ে আগামী দশ হাজার বছর আর আসতে হবে না। সঙ্গে বললেন,
ইষ্টগুরু পুরুষোত্তম, প্রতীক গুরু বংশধর
রেতশরীরে সুপ্ত থেকে জ্যান্ত তিনি নিরন্তর।"

আর তা দেখতে পেলাম শ্রীশ্রীবড়দা হ'য়ে শ্রীশ্রীঅশোকদাদা, বর্তমান আচার্যদেব শ্রীশ্রীবাবাইদাদা হ'য়ে শ্রীশ্রীঅবিনদাদার মধ্যে! দেখতে পেলাম আবার সেই শ্রীশ্রীঠাকুরের অভূতপূর্ব মাতৃপ্রেমের নিদর্শন চিন্ময়ী মায়ের উদ্দেশ্যে পূজ্যপাদ শ্রীশ্রীঅশোকদাদার অভুতপূর্ব লেখা ও পূজ্যপাদ শ্রীশ্রীঅবিনদাদার যুগোপযোগী কালজয়ী সুরে ভাসা গানের মধ্যে! আসুন আমরা একবার দেখে নিই চিন্ময়ী মায়ের উদ্দেশ্যে পূজ্যপাদ শ্রীশ্রীঅশোকদাদার লেখা গানের কথাগুলি।

দুর করে দেয় সকল ক্লান্তি
ক্ষমা করে অপার ভ্রান্তি
মায়ের পায়ে সকল শান্তি আসে জীবনে
মাকে ছাড়া বাঁচে কে প্রাণে
মায়ের মতো এমন আপন নাই তো ভুবনে
মাকে ছাড়া বাঁচে কে প্রাণে।
মাকে ছাড়া বাঁচে কে প্রাণে ||

প্রাণ দিয়েছো মান দিয়েছো
সদাই তুমি সঙ্গে আছো মা
হয়ে, তোমার সেবায় সুখে
মুখর ভুবন ভরায় প্রাণে মা

মায়ের পায়ে সকল শান্তি আসে জীবনে
মাকে ছাড়া বাঁচে কে প্রাণে
মায়ের মতো এমন আপন নাই তো ভুবনে
মাকে ছাড়া বাঁচে কে প্রাণে
মাকে ছাড়া বাঁচে কে প্রাণে ||

তুমি আছো বুঝি মাগো
তাইতো আমি আছি
ধরে রাখো তাইতো মাগো
পরম সুখে বাঁচি

মায়ের পায়ে সকল শান্তি আসে জীবনে
মাকে ছাড়া বাঁচে কে প্রাণে
মায়ের মতো এমন আপন নাই তো ভুবনে
মাকে ছাড়া বাঁচে কে প্রাণে
মাকে ছাড়া বাঁচে কে প্রাণে ||

No comments:

Post a Comment