একবার রামকৃষ্ণ মিশনের কিছু সন্ন্যাসী শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র দর্শনে গিয়েছিলেন। সেখানে তাঁরা শ্রীশ্রীঠাকুর দর্শন ও প্রণাম শেষে ঠাকুরের সঙ্গে আলোচনা করছিলেন। সেই সময় তাঁরা ঠাকুরের সঙ্গে আলোচনায় বিবেকানন্দ প্রসঙ্গ বারবার টেনে আনছিলেন এবং সারাক্ষণ তাঁরা ঠাকুরের সঙ্গে বিবেকানন্দকে নিয়ে আলোচনায় মগ্ন হ'য়ে রইলেন। শ্রীশ্রীঠাকুর চুপ ক'রে ধৈর্য ধ'রে দীর্ঘসময় তাঁদের কথা শুনছিলেন। দীর্ঘসময় আলোচনায় সন্ন্যাসীরা একবারও শ্রীশ্রীঠাকুর রামকৃষ্ণের প্রসঙ্গ উত্থাপন না করায় শ্রীশ্রীঠাকুর খুব অস্বস্তি বোধ করছিলেন। শ্রীশ্রীঠাকুরের ভালো লাগছিল না সন্ন্যাসীদের কথা। তখন শ্রীশ্রীঠাকুরকে এই অস্বস্তির কারণ জিজ্ঞেস করায় তিনি শুধু বলেছিলেন, "আমার বিবেকানন্দীয় রামকৃষ্ণ ভালো লাগে না; আমার ভালো লাগে রামকৃষ্ণীয় বিবেকানন্দ।"
অর্থাৎ শ্রীশ্রীঠাকুর বলতে চেয়েছিলেন, বিবেকানন্দের পরিচয়ে রামকৃষ্ণের পরিচয় নয়; রামকৃষ্ণের পরিচয়ে বিবেকানন্দের পরিচয়। এটা যেন রামকৃষ্ণের শিষ্যরা ভুলে না যায়। প্রত্যেকেই যেন বিবেকানন্দের মতো রামকৃষ্ণ অন্তপ্রাণ পরম ভক্ত হ'য়ে উঠতে পারে।
সেই বিবেকানন্দীয় রামকৃষ্ণ ট্রাডিশান সমানে চলেছে। আমরা যেন রামকৃষ্ণীয় বিবেকানন্দ সংস্কারে সংস্কৃত হ'ই।
সেই পরমপুরুষ পরমপিতা শ্রীশ্রীঠাকুর রামকৃষ্ণের পরম একনিষ্ঠ ভক্ত রামকৃষ্ণ অন্তপ্রাণ শ্রীশ্রীবিবেকানন্দের জন্মদিনে তাঁর রাতুল শ্রীচরণে আভুমি প্রণাম জানাই। আমরা যেন সবাই পরমভক্ত বিবেকানন্দের মতো হ'তে পারি।
( লেখা ১২ই জানুয়ারি'২০২৩ )
No comments:
Post a Comment