"এই ধর্ম্মের প্রধান কীলকই হচ্ছেন আচার্য্য,
তাঁকে অগ্নিমূখ বলা হয়
তিনিই মানুষের মূর্ত্ত কল্যান,
শুভ সন্দীপনার পরম হোতা, শ্রদ্ধোচ্ছল
নিষ্ঠায় আচরনের ভিতর-দিয়ে অনুশীলনের ভিতর-দিয়ে। এই বিধি গুলিকে উন্মোচিত ক'রে তদনুগ চলনে অনুপ্রেরিত করেন বলেই
তাঁকে আচার্য্য বলা হয়; এমনতর আচার্য্যই
প্রিয় পরম,আর, প্রিয়পরম যিনি-আচার্য্যদেরও আচার্য্য,পরম আচার্য্য
তাঁকেই প্রেরিত পুরুষ বলা হয়,
অবতার পুরুষও বলা হয়;
~শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র।।"
~ধৃতি বিধায়না-২(বাণী সংখ্যা-৩২৩)
শ্রীশ্রীঠাকুরের এই বাণীটা আচার্যদেবের ফটোর সঙ্গে খাটছে না। আর এই প্রকাশ্যে মিডিয়ায় ফেসবুকের মাধ্যমে এই বাণী সম্বলিত আচার্যদেবের ছবি পোষ্ট করার ফলে সৎসঙ্গ বিরোধীদের কাছে, আচার্যপ্রথা ও আচার্য পরম্পরা বিরোধী ও ঈশ্বর অবিশ্বাসীদের কাছে ভুল বার্তা যাচ্ছে। ভুল বার্তা যাচ্ছে আমাদের মতন শৌখিন কথার স্রোতে ভাসা সৎসঙ্গীদের অপক্ক বোধ সম্পন্ন ও উপলব্ধিহীন অতি ভক্তির কারণে। সুযোগসন্ধানীরা সুযোগ পেয়ে যাচ্ছে ঠাকুরের বাণীর অপপ্রয়োগের। যেখানে মূল কেন্দ্রের বা ঠাকুরবাড়ির কোনও ভূমিকা নেই। ঠাকুরের বাণীর অন্তর্নিহিত অর্থ বুঝেই সৎসঙ্গীদের তা যথাস্থানে প্রয়োগ করা উচিত। নইলে যার ক্ষেত্রে ( শ্রীশ্রীদাদা ও শ্রীশ্রীবাবাইদাদা ) ব্যবহার করা হচ্ছে তাঁকেই অকারণ অসুবিধায় ফেলা হয়, অহেতুক তাঁকে কলঙ্কিত করা হয়। আমাদের অতি ভক্তি ও অজ্ঞানতার জন্য তাঁরা তাঁদের কোনও দোষ না থাকা সত্বেও সমাজে নিন্দিত ও সমালোচিত হন ও হ'য়ে চলেছেন ক্রমাগত। সেক্ষেত্রে আমাদের আমরা যারা প্রকৃতই আচার্যপ্রথা ও আচার্য পরম্পরা মানি তাদের সতর্ক থাকা উচিত ঠাকুরের বাণী পোষ্ট করার আগে। কোন বাণী পোষ্ট করা উচিত, কোন বাণী কোথায় খাটে, কোন বয়সের ক্ষেত্রে, কোন প্রসঙ্গে কোন বাণী পোষ্ট করলে দৃষ্টিকটু নয় ও অকারণ বিতর্কের জন্ম হয় সেদিকে খেয়াল রেখে আমাদের সৎসঙ্গীদের ফেসবুকে বাণী ব্যবহার ও পোষ্ট করা উচিত।
যাই হ'ক, আবেগ ভালো কিন্তু ঠাকুরের বাণীর অন্তর্নিহিত অর্থ না বুঝে আবেগে ভেসে গিয়ে ফেসবুকে যত্রতত্র বাণীর ব্যবহার ক'রে সৎসঙ্গীদের বিভ্রান্ত ক'রে তুলে, সৎসঙ্গীদের মাঝে বিতর্কের জন্ম দিয়ে, বিভেদ বা বিচ্ছেদের বীজ বপন ক'রে নিজে ভেসে যাওয়া ও সবাইকে ভুল পথে ভাসিয়ে নিয়ে যাওয়া ভালো নয় ও প্রকৃত ঠাকুর প্রেম নয়। এটা ঠাকুরের মিশন প্রতিষ্ঠা এবং তার প্রচার ও প্রসারের ক্ষেত্রে অন্যতম প্রধান অন্তরায়।
সৎসঙ্গী পাঠক কথাটা বোঝার চেষ্টা করবেন, অন্যভাবে নেবেন না। আপনার মূল্যবান মতামত দিয়ে আমাকে সমৃদ্ধ করবেন। পাঠকেরা আমার ভালোবাসা নেবেন। জয়গুরু।----প্রবি।
No comments:
Post a Comment