মহাশক্তি ঘুমায় তোর হৃদয়ে তুই কেন রে মরার মত!?
জয়গুরু। আশা করি বিশ্বজুড়ে আমার সমস্ত সৎসঙ্গী গুরুভাইবোন বর্তমান করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত মহামারীর ভয়ঙ্কর প্রকোপের সময়ে সুস্থ ও স্বস্থ আছে, আছে স্থির ও শান্ত। এই কঠিন সময়ে আমরা সবাই ঘরবন্দী। প্রতিদিন টিভিতে আমরা করোনার ভয়াবহতা ও বৃদ্ধি সম্বন্ধে জানতে পারছি, জানতে পারছি এর বিরুদ্ধে দেশ-বিদেশের সরকার দ্বারা গৃহীত পদক্ষেপ। এছাড়া ফেসবুকও সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। নানাভাবে সতর্ক ক'রে চলেছে মানুষকে। এরমধ্যে স্বভাবগত ভাবেই সরকারের পদক্ষেপ নিয়ে প্রশংসা ও সমালোচনা হ'য়ে চলেছে। ব্যক্তিগত উদ্যোগে অনেকেই অতি উৎসাহে সরকারকে খোঁচা মারতেও ছাড়ছে না। রাস্তায় সরকারের বেরোনো নিয়ে নিষেধ সত্বেও বেরোনো নিয়ে ও বেরোনোর বিরুদ্ধে প্রশাসনের কড়া পদক্ষেপ নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে চলছে মতামতের ঝড়। কোথাও কোথাও পুলিশের সঙ্গে ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়ছে নারীপুরুষ। করোনার ভয়াবহতায় উদাসীন কিছু মানুষ ঘরে বন্দী না থেকে নেবে পড়ছে রাস্তায় অপ্রয়োজনে। দোকানপাট বন্ধ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দোকান ও বাজার ছাড়া। সুযোগ বুঝে জিনিসের বাড়তি দাম হাতিয়ে নিচ্ছে কেউ কেউ। ঘরে বসে চলেছে অফিসের কাজ। এই অবস্থায় কারও পৌষ মাস, কারও বা সর্বনাশ! সর্বনাশের ঘন্টা তো বেজে গেছে অনেক আগেই। এখন কার কপালে কি আছে কেউ জানে না! এ জন্মে যে এমন মহামারীর সাক্ষী হ'য়ে থাকবো তা স্বপ্নেও কখনও ভাবিনি। এমন বিপদের ইঙ্গিত দয়াল ঠাকুর শ্রীশ্রীঅনুকূলচন্দ্র অনেক আগে অনেকবার ব'লে গেছেন। এর চেয়েও আগামী আরও ভয়াবহ, আরও ভয়ঙ্কর বিপদের ও ধ্বংসের কথা ব'লে, মৃত্যু মিছিলের ইঙ্গিত দিয়ে, পচা গলা মরদেহের স্তূপের কথা ব'লে, গঙ্গা দিয়ে জলের পরিবর্তে রক্তের স্রোত ব'য়ে যাবার আগাম বীভৎস ছবি দেখিয়ে আমাদের সাবধান ক'রে দিয়ে গেছেন সত্যদ্রষ্টা পরমপুরুষ পুরুষোত্তম পরমপিতা শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র।
তাই এখন আমাদের সতর্ক থাকার পালা। এই যে বর্তমানে করোনা ভাইরাসের আক্রমণ থেকে আমাদের সতর্ক থাকার কথা বলা হচ্ছে এই সতর্কতা সম্পূর্ণ সদাচার নির্ভর সতর্কতা! এছাড়াও জীবনের সমস্ত দিকে এমনকি ইহকাল, পরকাল সম্পর্কেও আমাদের সতর্ক থাকার কথা বলে গেছেন দয়াল ঠাকুর! ভবিষ্যৎ আমাদের জন্য কি নিয়ে আসছে তা বর্তমানের উপর একটু নজর দিলেই আমাদের চোখের সামনে ধরা পড়তে বাধ্য। আসলে আমরা উদাসীন! আমাদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে কোনও ভয় নেই! আমাদের বুকের মধ্যে যে একটা মহাশক্তি ঘুমিয়ে আছে সে সম্পর্কে আমাদের কারো আগাম কোনও জানকারীও নেই!
জয়গুরু। আশা করি বিশ্বজুড়ে আমার সমস্ত সৎসঙ্গী গুরুভাইবোন বর্তমান করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত মহামারীর ভয়ঙ্কর প্রকোপের সময়ে সুস্থ ও স্বস্থ আছে, আছে স্থির ও শান্ত। এই কঠিন সময়ে আমরা সবাই ঘরবন্দী। প্রতিদিন টিভিতে আমরা করোনার ভয়াবহতা ও বৃদ্ধি সম্বন্ধে জানতে পারছি, জানতে পারছি এর বিরুদ্ধে দেশ-বিদেশের সরকার দ্বারা গৃহীত পদক্ষেপ। এছাড়া ফেসবুকও সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। নানাভাবে সতর্ক ক'রে চলেছে মানুষকে। এরমধ্যে স্বভাবগত ভাবেই সরকারের পদক্ষেপ নিয়ে প্রশংসা ও সমালোচনা হ'য়ে চলেছে। ব্যক্তিগত উদ্যোগে অনেকেই অতি উৎসাহে সরকারকে খোঁচা মারতেও ছাড়ছে না। রাস্তায় সরকারের বেরোনো নিয়ে নিষেধ সত্বেও বেরোনো নিয়ে ও বেরোনোর বিরুদ্ধে প্রশাসনের কড়া পদক্ষেপ নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে চলছে মতামতের ঝড়। কোথাও কোথাও পুলিশের সঙ্গে ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়ছে নারীপুরুষ। করোনার ভয়াবহতায় উদাসীন কিছু মানুষ ঘরে বন্দী না থেকে নেবে পড়ছে রাস্তায় অপ্রয়োজনে। দোকানপাট বন্ধ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দোকান ও বাজার ছাড়া। সুযোগ বুঝে জিনিসের বাড়তি দাম হাতিয়ে নিচ্ছে কেউ কেউ। ঘরে বসে চলেছে অফিসের কাজ। এই অবস্থায় কারও পৌষ মাস, কারও বা সর্বনাশ! সর্বনাশের ঘন্টা তো বেজে গেছে অনেক আগেই। এখন কার কপালে কি আছে কেউ জানে না! এ জন্মে যে এমন মহামারীর সাক্ষী হ'য়ে থাকবো তা স্বপ্নেও কখনও ভাবিনি। এমন বিপদের ইঙ্গিত দয়াল ঠাকুর শ্রীশ্রীঅনুকূলচন্দ্র অনেক আগে অনেকবার ব'লে গেছেন। এর চেয়েও আগামী আরও ভয়াবহ, আরও ভয়ঙ্কর বিপদের ও ধ্বংসের কথা ব'লে, মৃত্যু মিছিলের ইঙ্গিত দিয়ে, পচা গলা মরদেহের স্তূপের কথা ব'লে, গঙ্গা দিয়ে জলের পরিবর্তে রক্তের স্রোত ব'য়ে যাবার আগাম বীভৎস ছবি দেখিয়ে আমাদের সাবধান ক'রে দিয়ে গেছেন সত্যদ্রষ্টা পরমপুরুষ পুরুষোত্তম পরমপিতা শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র।
তাই এখন আমাদের সতর্ক থাকার পালা। এই যে বর্তমানে করোনা ভাইরাসের আক্রমণ থেকে আমাদের সতর্ক থাকার কথা বলা হচ্ছে এই সতর্কতা সম্পূর্ণ সদাচার নির্ভর সতর্কতা! এছাড়াও জীবনের সমস্ত দিকে এমনকি ইহকাল, পরকাল সম্পর্কেও আমাদের সতর্ক থাকার কথা বলে গেছেন দয়াল ঠাকুর! ভবিষ্যৎ আমাদের জন্য কি নিয়ে আসছে তা বর্তমানের উপর একটু নজর দিলেই আমাদের চোখের সামনে ধরা পড়তে বাধ্য। আসলে আমরা উদাসীন! আমাদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে কোনও ভয় নেই! আমাদের বুকের মধ্যে যে একটা মহাশক্তি ঘুমিয়ে আছে সে সম্পর্কে আমাদের কারো আগাম কোনও জানকারীও নেই!
যাই হ'ক বর্তমান চায়না দ্বারা রপ্তানিকৃত হায়নারূপী নৃশংস করোনা আমাদের সৎসঙ্গীদের কিছুই করতে পারবে না কারণ আমাদের মাথার ওপর আছেন বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের মালিক দয়াল ঠাকুর শ্রীশ্রীঅনুকূলচন্দ্র! তিনি আমাদের অনেক আগেই অভয় দিয়ে বলে গেছেন,
ঝড় ঝঞ্ঝা যতই আসুক
মনেতে রাখিস জোর
মাথায় আছেন দয়াল ঠাকুর
ভাবনা কিবা তোর!
শ্রীশ্রীঠাকুর আমাদের বুক দিয়ে আগলে রাখতে চেয়েছিলেন আমরা তাঁর দিকে ফিরেও তাকাইনি উচ্শৃঙ্খল বিশৃঙ্খল রিপুর অমোঘ টানে বৃত্তি-প্রবৃত্তির বৃত্তে ঘুরপাক খেতে খেতে বেহুঁশ হ'য়ে গিয়ে! তিনি আমাদের নীরোগ শরীরে-মনে সুস্থ ও স্বস্থ থেকে আনন্দে ভরপুর দীর্ঘ জীবনের অধিকারী হওয়ার জন্য প্রেসক্রিপশন করে দিয়েছিলেন।
কিন্তু শ্রীশ্রীঠাকুর আমাদের জন্য যা যা প্রেসক্রিপশন করেছিলেন অর্থাৎ প্রত্যহ করতে বলেছিলেন আমরা তা করেছি বা করছি?
তিনি আমাদের-----
১) অতি প্রত্যুষে ইষ্টভৃতি করতে বলেছেন। করছি?
২) দু'বেলা প্রার্থনা করতে বলেছেন। করি?
৩) খালি পেটে সকালবেলা থানকুনি পাতা খেতে বলেছেন। খাই?
৪) নামধ্যান আর চলাফেরায় জপ করতে বলেছেন। করি?
৫) সদাচার মেনে চলতে বলেছেন। মেনে চলছি?
৬) মাদক দ্রব্য ও আমিষ গ্রহণ করতে মানা করেছেন। মানছি?
৭) বিবাহ নীতি মেনে বিবাহ করতে বলেছেন। মেনে বিবাহ করছি?
৮) 'মানুষ আপন টাকা পর' নীতি পালন করতে বলেছেন। করছি?
নাকি উল্টোটা করছি?
৯) দীক্ষার সময় নেওয়া 'সংকল্প' পালন করতে বলেছেন। করি?
১০) স্বতঃ-অনুজ্ঞার ভাবগুলি মনের উপর দৃঢ়ভাবে আরোপ করতে বলেছেন। করেছি?
১১) পিতামাতা, গুরুজনদের প্রতি শ্রদ্ধা ও ছোটদের স্নেহ-ভালবাসার কথা বলেছেন। করি?
১২) একজন সু নাগরিক হ'তে বলেছেন। হয়েছি?
এমন আরো অনেক কিছু বলেছেন যা আমাদের জীবনকে জীবাত্মা থেকে মহাত্মায় রূপান্তরিত করতে পারে! আমি মূলত তাঁর বলা কয়েকটা পয়েন্ট তুলে ধরলাম মাত্র।
১) অতি প্রত্যুষে ইষ্টভৃতি করতে বলেছেন। করছি?
২) দু'বেলা প্রার্থনা করতে বলেছেন। করি?
৩) খালি পেটে সকালবেলা থানকুনি পাতা খেতে বলেছেন। খাই?
৪) নামধ্যান আর চলাফেরায় জপ করতে বলেছেন। করি?
৫) সদাচার মেনে চলতে বলেছেন। মেনে চলছি?
৬) মাদক দ্রব্য ও আমিষ গ্রহণ করতে মানা করেছেন। মানছি?
৭) বিবাহ নীতি মেনে বিবাহ করতে বলেছেন। মেনে বিবাহ করছি?
৮) 'মানুষ আপন টাকা পর' নীতি পালন করতে বলেছেন। করছি?
নাকি উল্টোটা করছি?
৯) দীক্ষার সময় নেওয়া 'সংকল্প' পালন করতে বলেছেন। করি?
১০) স্বতঃ-অনুজ্ঞার ভাবগুলি মনের উপর দৃঢ়ভাবে আরোপ করতে বলেছেন। করেছি?
১১) পিতামাতা, গুরুজনদের প্রতি শ্রদ্ধা ও ছোটদের স্নেহ-ভালবাসার কথা বলেছেন। করি?
১২) একজন সু নাগরিক হ'তে বলেছেন। হয়েছি?
এমন আরো অনেক কিছু বলেছেন যা আমাদের জীবনকে জীবাত্মা থেকে মহাত্মায় রূপান্তরিত করতে পারে! আমি মূলত তাঁর বলা কয়েকটা পয়েন্ট তুলে ধরলাম মাত্র।
আমাদের সবার মধ্যে তিনি আছেন, এই কথা শ্রীশ্রীবড়দা সবসময় বলেছেন, শ্রীশ্রীদাদা বলেছেন ও বলছেন, শ্রীশ্রীবাবাইদাদা প্রতিটি উৎসবানুষ্ঠানে, প্রাত্যহিক দর্শন সময়ে সকল দর্শনার্থীদের ব'লে চলেছেন। তিনি আমাদের প্রত্যেকের বুকের মধ্যে মহাশক্তি রূপে অবস্থান করছেন! শুধু তাঁকে জাগিয়ে তোলায় আমাদের কাজ!
এখন প্রশ্ন হচ্ছে উপরিউক্ত যে ১২খানা করার কথা বললাম তা কি আমরা পালন করি? বলতে লজ্জা নেই, করি না। একটা করলে আর একটা করি না। ইষ্টভৃতি করি তবে অতি প্রত্যুষে করি না, করি না কর্মারম্ভে আর ইষ্টভৃতি করলে বুড়ি ছোঁয়ার মত করি, আর প্রার্থনা করি না, প্রার্থনা করলে নাম ধ্যান করি না, নামধ্যান করলে জপ করি না, 'সংকল্প' ৯০% জানি-ই না, 'স্বতঃ অনুজ্ঞা' মুখস্ত নেই, ভুলে যাই, মনে পড়ে না, মাছ-মাংস, মাদক দ্রব্য লোভের জন্য, নেশার জন্য পারি না ছাড়তে, বিবাহ নীতি জানা নেই, জানলেও সব সময় মেনে ওঠা যাচ্ছে না, থানকুনি পাতা পাই না তাই খাই না, পেলেও সকালবেলা খাওয়ার অভ্যাস নেই, পিতামাতা ও গুরুজনদের শ্রদ্ধা জ্ঞাপন ও ছোটদের স্নেহ-ভালোবাসার মত উপযুক্ত ও যথার্থ পরিবেশ পরিবারে নেই বললেই চলে আর টাকা নিঃসন্দেহে মানুষের চেয়ে বেশি আপন! আর আফসোস, সুনাগরিক বোধহয় আর এ জীবনে হওয়া হ'লো না! পরমপিতার দরবারে তো আর মিথ্যা কথা বলা যায় না।
যাই হ'ক এই যে অপারগতা এটা কেন? কারণ একটা বিরাট শূন্যতার উপর দাঁড়িয়ে আছে জীবন! এই যে বিরাট শূন্যতা, এই শূন্যতা একদিনে সৃষ্টি হয়নি। এই শূন্যতা আমার জন্মজন্মান্তরের শূন্যতা! পারিবারিক ও পরিবেশের শূন্যতা! শৃঙ্খলাবিহীন ও অজ্ঞানতার ঘোর আঁধারে ডুবে থাকা জীবন না ক'রে পাওয়ার বুদ্ধিকে সঙ্গী ক'রে আর কত দূর এগোতে পারে, কতটা ভরাট করতে পারে শূন্য জীবন!? তার উপর জৈবি সংস্থিতিতে যদি গলদ ঢুকে যায় তাহ'লে অনেক বড় বড় প্রতিভা ও রক্তের মধ্যে পূর্বপুরুষের বইয়ে যাওয়া গুণাবলী স্ক্যাটার্ড হ'য়ে যায়।
আর না ক'রে পাওয়ার বুদ্ধি, নিয়ম মেনে না চলে পাওয়ার বুদ্ধি, সস্তায় পাওয়ার বুদ্ধি, যেমন তেমন ক'রে পাওয়ার বুদ্ধি, ঠকিয়ে পাওয়ার বুদ্ধি, কেড়ে নিয়ে পাওয়ার বুদ্ধি ইত্যাদি জীবন বিধ্বংসী বুদ্ধি যখন মানুষকে চালিত করে তখন মানুষ বোঝে না ফল্গুধারার মত বিপদের ধারা বহমান সময়ের তলে তলে বইয়ে যাচ্ছে! মানুষ তখন বুঝতে পারে না যে ইতিমধ্যেই জীবন তার চলমান গতিময়তা হারিয়েছে!
এতকিছুর মধ্যেও বলতে পারি বিধাতার বিধান না মেনে চলার খেসারত তো দিতেই হয়, তবুও প্রতিটি প্রাণের মধ্যে যে মহাশক্তি ঘুমিয়ে আছে সেই মহাশক্তিকে আমরা জাগাবার চেষ্টা করতেই পারি, চেষ্টা ক'রে দেখতে পারি! যে নাম আমরা পেয়েছি সেই নাম-ই ঈশ্বর! এ ছাড়া আর কোনও ঈশ্বর নেই! আর নাম ও নামী অভেদ! ঈশ্বর স্বয়ং নামী হ'য়ে নেবে এসেছেন যুগে যুগে তাঁর সৃষ্ট সৃষ্টিকে বাঁচাতে যুগোপযোগী নাম নিয়ে! সেই সর্বশক্তিমান সৃষ্টিকর্তা হ'লেন যুগে যুগে রাম, কৃষ্ণ, বুদ্ধ, যীশু, হজরত মোহাম্মদ, মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্য, রামকৃষ্ণ ও সর্বশেষ শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র!
তাঁরা যখনই এসেছেন তখনই একটা পরিবর্তনের ব্লু প্রিন্ট নিয়ে এসেছেন কিংবা পরবর্তী পরিবর্তনের আগে পরিবর্তনের ধারাকে বজায় রাখার জন্য এসেছেন, এসেছেন প্রতিবার সময় অনুযায়ী নুতন নাম নিয়ে! এই নামের মধ্যে রয়েছে জগতের সমস্ত রহস্যের, সমস্ত সমস্যার সমাধান! মানবজাতি এই সমাধানের সহজ সরল আধারটাকে মেনে নিতে চায়নি ও চায়না। আর যারা এই রাস্তাকে মেনে নিয়েছে তারা এই রাস্তার ওপর দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে এই রাস্তাকেই হাতিয়ার ক'রে নিয়েছে নিজেদের প্রভাব প্রতিপত্তি বৃদ্ধির, বানিয়ে নিয়েছে উপকরণ অর্থ, মান, যশ উপার্জনের! রাস্তা দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে নিজেদের অজান্তেই হ'ক, প্রভুত্ব বিস্তারের জন্যই হ'ক, সূক্ষ্ম ইগোর কারণেই হ'ক, সহযোগী ধান্দাবাজি সাথীদের কারণেই হ'ক, কপটতা নির্ভর জীবন যাপনের জন্যই হ'ক আর সাধারণ মানুষের অজ্ঞতার কারণেই হ'ক মানুষ ঈশ্বরকে আজ বেঁধে নিয়েছে নিজেদের লাগামছাড়া বৃত্তি-প্রবৃত্তির লালসা পূরণে। পঞ্চ ভুতের ফাঁদে যেমন ব্রহ্মা পড়ে কাঁদে ঠিক তেমনি ধান্দাবাজ, মূর্খ, বেকুব ভক্ত কুল মাঝে নররূপী ঈশ্বরও কাঁদে!
তাই বলি,
এখনও কি সৎসঙ্গীদের ঘুম ভেঙে সবরকম আলসেমী ঝেড়ে জেগে ওঠার সময় হয়নি!?
এখনও কি সৎসঙ্গীরা স্বচ্ছ দৃষ্টির অধিকারী হ'য়ে ত্রিনয়নকে জাগিয়ে তুলবে না!?
এখনও কি সৎসঙ্গীরা আংটি, পাথর, তাবিজ, মাদুলি, লাল সুতো-নীল সুতো-কালো সুতো, তুকতাক-ঝাড়ফুঁক, বাবাজী-মাতাজী, বোবা মাটির ভগবান ইত্যাদি নির্ভর সৎসঙ্গী হবে!?
হে সৎসঙ্গী ভাইবোন! ভয় নেই, নেই কোনও লজ্জা, অনুতাপ।
আসুন পিতার সামনে এসে একবার বসুন, বসুন আপনার ঠিক-ভুল, ন্যায়-অন্যায়, পাপ-পুণ্য সমস্ত কিছু তাঁর চরণে সঁপে দিয়ে নিজের বুকের গভীরে যে দয়াল মহাশক্তি রূপে ঘুমিয়ে আছে তাকে বুক ফাটো ফাটো ক'রে রাধা নামের ধ্বনি তুলে জাগিয়ে দিই! আর সেই আলোর রশ্মির তেজে জ্বলে পুড়ে খাক হ'য়ে যাক সমস্ত করোনারূপী হায়নার দল, খাক হ'য়ে যাক রক্তশোষণকারী অবসাদ উৎপাদক জীবনের যত দুর্বলতা।
আর সবসময় নিজেকে নিজেই বলি,
ভয়, নাই ভয়, হবেই হবে জয়
খুলে যাবে ওই বন্ধ দুয়ার!
আর,
মহাশক্তি ঘুমায় তোর হৃদয়ে তুই কেন রে মরার মত!
রাধা নামের ধ্বনি দিয়ে শক্তিটাকে জাগিয়ে দে তোর!!
পরমপিতার রাতুল চরণে সবার মঙ্গল প্রার্থনা করি!
লেখা ১লা এপ্রিল'২০২০)
No comments:
Post a Comment