কে দায়ী?
অনেকদিন ধ'রেই দেখতে পাচ্ছি ফেসবুকে কিছু মানুষ শ্রীশ্রীঠাকুরকে নিয়ে কটু অশালীন মন্তব্য ক'রে যাচ্ছে। ঠাকুরের দীক্ষিত কেউ কিছু পোষ্ট করলেই সেই পোষ্টে এসে "গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়ল"-এর মত পায়ে পা লাগিয়ে ঝগড়া করতে লম্ফ দিয়ে ঝম্প মারার জন্য মুখিয়ে রয়েছে। এদের উদ্দেশ্যই থাকে ঠাকুর বিষয়ক পোষ্টে সূচ হ'য়ে ঢুকে ফাল হ'য়ে বেরোবার মত কমেন্টের মধ্যে প্রবেশ করো আর তারপর উত্তর দিলেই মনের সুখে ঠাকুরের বাপবাপান্ত ক'রে ছাড়ো। ঠাকুরকে অপমান, লাঞ্ছনা করবো, যেনতেনপ্রকারেন কুৎসা করবো। এদের মধ্যে আবার কিছু আছে যারা পৈতৃক সম্পত্তির মতো হিন্দু ধর্মকে তাদের পৈতৃক সম্পত্তি ভাবে। হিন্দু ধর্মকে রক্ষা করবার সোল এজেন্সি এরা নিয়ে নিয়েছে "গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়ল"-এর মত। এরা মনে করে সনাতন হিন্দু ধর্মের এরাই মাইবাপ! এদের ছাড়া হিন্দু ধর্ম অক্সিজেন পাবে না, অচিরেই ধ্বংস হ'য়ে যাবে। তাই 'সনাতন হিন্দু ধর্ম, হিন্দু ধর্ম' ক'রে এরা ছুঁচোর কীর্তনের মত ঢাক পেটায়। ঢাক পেটায় শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের বিরুদ্ধে গায়ের ঝাল মিটিয়ে বিরাট ঢাক বাদকের মত, ঐ ব্যাঙ মায়ের মত। ব্যাঙ মায়ের গল্প আমরা জানি। ব্যাঙ মা তার বাচ্চাদের ঘরে রেখে বাইরে গেছে খাবার সংগ্রহের জন্যে। ঘরে বাচ্চারা একা। আর ঠিক এই সময় ঘরের পাশ দিয়ে যাচ্ছিল এক হাতি। ঘরের গর্তের মধ্যে দিয়ে সেই বিশাল শরীরের হাতিকে যেতে দেখে বাচ্চারা কুপোকাত। কোনোদিন এতবড় জন্তু তারা দেখেনি। পোকামাকড় যা এনে মা খাইয়েছে তাই দেখেছে আর দেখেছে বড় জীব বলতে মাকেই। এই বি-শা-ল শরীরের জীবকে দেখে তারা বুঝে উঠতেই পারছে না আসলে এটা কি!!! তাই তারা ভয়ে অন্ধকার গর্তের গভীরে ঢুকে গিয়ে মায়ের অপেক্ষায় ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে সবাই একসঙ্গে জড়াজড়ি ক'রে জড়োসড় হ'য়ে বসে রইলো। তারপর একসময় মা এসে যখন তার ছেলেমেয়েদের কোনও সাড়া না পেয়ে গর্তের ভিতরে গিয়ে এই অবস্থা দেখলো তখন মা ব্যাঙ অবাক হ'য়ে জিজ্ঞেস করলো ছেলেমেয়েদের কি হয়েছে; কেন এমন করছে তারা তা' জিজ্ঞেস করলো। তখন ছেলেমেয়েরা মাকে দেখে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হ'য়ে মাকে ঘটনার কথা জানালে মা তাদের জিজ্ঞেস করলো, কতবড় জন্তু? আমার থেকেও বড়? ছেলেমেয়েরা বললো, না মা তোমার থেকে অনেক বড়। কত বড়? এত বড়? বলেই মা নিজের শরীরকে ফোলাতে লাগলো। ছেলেমেয়েরা বললো, না, না মা! আরো বড়!! এর থেকেও বড়? ব'লে আরো ফোলাতে লাগলো ব্যাঙ মা! ছেলেমেয়েরা বললো, আ-রো বড়। এইভাবে মা ফোলায় আর ছেলেমেয়েরা বলে, আ-রো, আ-রো আ-রো ব-ড়-ওওও!!!!!! মা ব্যাঙ তার শরীর ফোলাতে ফোলাতে অবশেষে একসময় ফটাস ক'রে ফেটে মরে গেল। এই হয়েছে তথাকথিত হিন্দু ধর্ম, সনাতন হিন্দু ধর্ম ও বিভিন্ন ধর্মবাদীদের অবস্থা। তারা কুয়োর মধ্যে থেকে আকাশ দেখা ব্যাঙের মত কুয়োর বাইরের বিশাল অন্তহীন আকাশের বুকে ঘাই মারতে আসে!!!!!! ধর্মের নামে পচা ডোবার মত সংকীর্ণ ও অধর্মীয় দমবন্ধ গণ্ডির মধ্যে হাবুডুব খাওয়া ও আবদ্ধ থাকা অন্ধ, কালা, বোবা ধার্মিক তমসার ওপার থেকে ইষ্টপ্রতীকে আবির্ভূত অচ্ছেদ্য বর্ণ মহান পুরুষ পরমাত্মাকে যায় ধর্ম শেখাতে!!!!! আর এই যে তথাকথিত হিন্দু ধর্ম, সনাতন হিন্দু ধর্মের ঢাক পেটানোর নামে শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের বিরুদ্ধে কুৎসা, অপমান, নিন্দা, অশ্লীল গালাগালির ঢাক পেটায় এই ঢাক পেটানোর অগ্রণি ভুমিকায় আছে একশ্রেণীর বাঙালী হিন্দু!!!!!! আর এদের কুৎসার জবাব দিতে গিয়ে এদের সংগে নিজের অজান্তেই তর্কে জড়িয়ে যায় ঠাকুরের সোনার সৎসঙ্গীরা। সোনার সৎসঙ্গী বললাম কারণ ঠাকুর সৎসঙ্গীদের তাই বলতেন, সেই চোখেই দেখতেন। আবার নিজেদের মধ্যেও সৎসঙ্গীরা একে অপরের সংগে কোন্দলে জড়িয়ে যান। ঠাকুরকে একবার একজন ভক্ত নিজেদের মধ্যে পরস্পর ঝগড়া করা নিয়ে দুঃখ ক'রে বলেছিলেন, 'ঠাকুর আপনি ব'লে দিন কোন দলে যাবো?' উত্তরে ঠাকুর ব্যথাতুর কন্ঠে বলেছিলেন, 'কোন্দলে যেও না মণি, কোন্দলে যেও না।' তাই বলি,
যখন দেখি কোনও গুরুভাই তাঁর সন্তানের জন্মদিনে শ্রীশ্রীঠাকুরের 'সৎসঙ্গ' আয়োজন করেছে তখন ভাবি, বাঃ! এমন সংস্কৃতি, শিক্ষা দেখে ছোটোবেলা থেকে আগামী প্রজন্ম বড় হচ্ছে!! আর এই দেখে আশায় বুক বাঁধতে ইচ্ছে করে। ইচ্ছে ক'রে বাঁচতে, নতুন ক'রে স্বপ্ন দেখতে যখন দেখি The greatest phenomenon of the world SriSriThakur-এর বিরুদ্ধে নাগ-নাগিনীরা চারিদিকে ফেলিতেছে বিষাক্ত নিঃশ্বাস আর সেই বিষাক্ত নিশ্বাসের মাঝে বাবামায়ের হাত ধ'রে আজকের ছোট্ট শিশুরা বুক ভরে নিচ্ছে নিঃশ্বাস আর তাই দেখে মনে হয় 'মরিতে চাহি না আমিও এই সুন্দর ভুবনে'।
যাক যে কথা বলতে চাই ঠাকুরের সুন্দর সুন্দর লেখা, ছবি পোষ্টের মাঝে এই ঢাক পেটানো কদর্য মনের মানুষেরা এমনকি ঠাকুরের দীক্ষিত মানুষেরা যারা ঠাকুর পরিবার নিয়ে, ঠাকুর আত্মজ নিয়ে যখন নোংরা কমেন্ট করে তখন যারা তার বিরোধিতায় রিঅ্যাক্ট করে তাদের কাছে সবিনয়ে জানতে ইচ্ছে করে, এত রিঅ্যাক্ট করার কোনও দরকার আছে কি? এক ফোঁটা চনা যেমন এক কড়াই দুধ কেটে দেবার জন্যে যথেষ্ট ঠিক তেমনি এত সুন্দর পোষ্টের মাঝে এরকম নোংরা মানসিকতায় ভরপুর বিকৃত মানুষের কমেন্ট নিয়ে আলোচনা পরিষ্কার মনকে কি নোংরা ক'রে তোলে না? এই সমস্ত জন্ম বিকৃত মানুষের সংগে কেউ ঝগড়া, তর্কে যায়!? এ তো আলোচনায় চনা ফেলে দেবার জন্য একেবারে উপযুক্ত লোক তা' বুঝেও বুঝি না? এদের কমেন্ট ব'লে দেয় এরা মানসিকভাবে একেবারে বিধ্বস্ত, চরম হতাশাগ্রস্ত সীমাহীন নেগেটিভ মানসিকতয় ভরপুর রক্তদোষে দুষ্ট মানুষ! এদের রক্তে অশ্রদ্ধার চাষ হয়। অশ্রদ্ধা অসম্মান বাহিত রক্তে এদের জন্ম। এরা জন্মদুষ্ট। এরা পরিবেশগতভাবেও দুষ্ট! ছোটোবেলা থেকে নরক সদৃশ পরিবেশের এরা প্রোডাক্ট!!!!!! জন্মগত ও পরিবেশগত উভয়দিক থেকে বিকৃতির ভাইরাসে আক্রান্ত এরা। তাই এদের সংগে আলোচনায় গিয়ে ঠাকুরকেই ছোটো করা হয়, অপমান করা হয়, করা হয় সুন্দর পোষ্টের শ্রাদ্ধ। জন্ম বিকৃত ও রক্তদোষে দুষ্টদের ধর্মের কথা শোনাতে কেউ যায় !? আমরা কি শুনিনি সেই প্রবাদ, "চোরা না শুনে ধর্মের কাহিনি"!? আমরা সবাই জানি বিশ্বের কত রথী মহারথীরা ঠাকুরের সংস্পর্শে এসে ঐ প্রবাদের মত---- "হাতি ঘোড়া গেল তল আর মশা বলে কত জল"---- তলিয়ে গেল আর ঐ জন্মদোষে দুষ্ট মানুষেরা বলে কিনা কোথায় জল? সাঁতার কাটতে এসেছে নর্দমার কীট মহাসমুদ্রের বুকে!!!!!! এর জন্যে দায়ী কে? দায়ী আপনি। দায়ী আমি। কেন এদের কথার উত্তর দিই আমরা? কেন এদের সংগে কথা বলি? এদের মত মানুষ তো সৃষ্টির প্রথম থেকেই ছিল! এই সমস্ত মানুষ তো আজকে শুধু যে তাঁকে অপমান, লাঞ্ছনা করছে তা'তো না!!!!!!! যতবার তিনি এসেছেন ততবার এরা পিছন পিছন এসেছে তাঁকে অপমান, অশ্রদ্ধা করতে। এ তো একজন্মের ব্যাপার নয়!!! এরা এই জন্মে এসে যে ঠাকুরকে গালাগালি করছে তা নয় এরা জন্মজন্মান্তর জীবন্ত ঈশ্বরকে গালাগালি করবার জন্যেই জন্মেছে ও জন্মাবে। এমনই অভিশপ্ত জীবন এদের! এদের আত্মা বন্দী হ'য়ে আছে জন্মজন্মান্তর অভিশপ্ত হ'য়ে! জানি না এদের মুক্তি কিভাবে হবে বা কবে হবে? ঠাকুরই জানেন এদের সম্পর্কে। এদের ঠাকুর সম্পর্কে বলা মানে "উলুবনে মুক্তো ছড়ানো"। এরা হ'লো সেই "অল্প বিদ্যা ভয়ংকরী"। তাই এরা ফাঁকা কলসীর মত আওয়াজ বেশী করে। যত প্রবাদের জন্ম হয়েছে সব এই সমস্ত মানুষের চরিত্রের ওপর ভিত্তি ক'রে। তাই এদের মত মানুষের সংগে কথা বলা তো দূরের কথা মুখ দর্শন পর্যন্ত না করা শ্রেয়। সাবধান থাকতে হবে এই সমস্ত মানুষ থেকে। নইলে এরা সুযোগ পেলেই আমার, আপনার ও আমার, আপনার ঠাকুরের গায়ে গু লেপটে দেবে। এরা হাতে গু দলা পাকিয়ে খেলা করে আর সুযোগের অপেক্ষায় থাকে কখন মহাত্মা শুধু নয় কখন স্বয়ং পরমাত্মার গায়ে গুয়ের দলা ছুঁড়ে মারবে!!!!!!! আর এর জন্যে দায়ী থাকবেন ও থাকবো আপনি, আমি।
তাই আবার বলি, মুখ যেমন মনের আয়না, যেমন প্রবাদ আছে Morning shows the day, উঠন্তো মুলো পত্তনেই চেনা যায় এই প্রবাদ্গুলির অন্তর্নিহিত অর্থ যেমন, ঠিক তেমনি কোনও ব্যক্তির কমেন্ট ও পোষ্ট করা বিষয়বস্তু আর বিষয়বস্তুর ভাষা, তার উপস্থাপনা, তার ধরণ দেখে একজনের জীবনের মান, রুচি, বোধ, শিক্ষা, জ্ঞান ইত্যাদি বোঝা যায়, বোঝা যায় তার জীবনে এসবের গভীরতা। তাই সমঝদারোকে লিয়ে ইসারা যেমন কাফি হোতা হ্যায়, যেমন একটা ভাত টিপলেই সব ভাত সেদ্ধ হয়েছে কিনা বোঝা যায় ঠিক তেমন এই ক্ষেত্রেও, এই ঘৃণ্য মানুষগুলোর জীবনের ক্ষেত্রেও এই কথাগুলি প্রযোজ্য মনে ক'রে নিজেকে আলোচনা থেকে সরিয়ে নিতে হয়। অকারণ পাগলের সাথে কথা ব'লে নিজেকেই পাগল প্রমাণ করা ছাড়া আর কিছুই নয়। মেথরের সাথে ঝগড়া করলে লোকে আপনাকে, আমাকেই বলবে 'গুয়ে দা'। কারণ মেথরের সর্বাঙ্গে গু লেগে থাকাটা তার কাজের ধরণের মধ্যেই পড়ে। এতে না ওর কোনও গন্ধ লাগে না কোনও কষ্ট বা অস্বস্তি হয়। এসব সত্ত্বেও তাকে আমরা সমাজের বন্ধু বলি। এবার আপনি, আমি যদি তার সংগে ঝগড়া করতে যাই আর সে যদি আপনার, আমার গায়ে গুয়ের ডাব্বা উপুর ক'রে ঢেলে দেয় তাহ'লে মেথরকে নিয়ে কেউ হাসাহাসি করবে না, করবে আপনাকে, আমাকে নিয়ে আর শেষে অকারণ নাম হ'য়ে যাবে 'গুয়ে দা'। এতে মেথরের কোনও দোষ নেই। দোষ যে তার সঙ্গে যে গায়ে প'ড়ে গুয়েদাদা, গুয়েদিদি হ'তে চেয়েছে বা চায়। তাই যে 'গুয়েদি' বা গুয়েদা তাকে গুয়ের ডাব্বার কাছে থাকতে দিন না, কেন অকারণ ডাকাডাকি ক'রে 'গুয়েদাদা' ও 'গুয়েদিদি' কে কুঞ্জবনে আনতে চাইছেন বা চাইছি!? জোর ক'রে কাউকে কুঞ্জবনে আনতে পারবো? নাকি গায়ে 'গু' লাগা অবস্থায় কুঞ্জবনে আনবো আর এনে কুঞ্জবনকে 'গুয়েবন' ক'রে তুলবো!? প্রবাদ্গুলি তো এমনি এমনি হয়নি দাদারা আমারঃ "পাগলে কিনা বলে আর ছাগলে কিনা খায়"!!!!!!!! তাই যে যেমন তাকে তাই থাকতে দিই আমরা আর তাই খেতে দিই আর ছেড়ে দিই ঠাকুরের উপর। বিচারের ভার ঠাকুর নিজের হাতে নিতে বারণ করেছেন। আপনি, আমি তাকে একবার কি দু'বার সত্যের সন্ধান দিতে পারি ব্যস ঐ পর্যন্ত। বরং ঠাকুর যা চান তাঁর মতো 'হ'য়ে ওঠা' তাই করি আসুন আমরা। ঠাকুর বলতেন, "তোমাকে দেখে চিনবে তোমার ঠাকুর কেমন!" ঠাকুর কি আপনাকে আমাকে বলেছেন নাকি ভুল ভাবে মুভ করতে!? জানেন তো ঠাকুর কি বলতেন সবসময়? বলতেন।
"মরম না জানে ধরম বাখানে এমন আছয়ে যারা,
কাজ নাই সখি তাদের লইয়া বাহিরে থাকুক তারা।"
তাই যারা বাইরে থাকুক আর যারা ঠাকুর ঘরে থাকতে চায় তারা ঠাকুর ঘরে থাকুক।
আপনারা সবাই ভালো থাকুন। জয়গুরু।
( লেখা ১৪ই জুন'২০১৮)
No comments:
Post a Comment