বৃত্তি-প্রবৃত্তির হাত ধ'রে ঢুকে পড়ছে নাতো
শয়তান তোমার জীবনে তোমাকে তোমার
সৎসঙ্গকে বিষাক্ত ছোবল মারবে ব'লে?
জেগে আছো তো? রাজনীতির বিষাক্ত
কালো হাওয়া ঢুকে পড়ছে নাতো তোমার
মনের অভ্যন্তরে লুকিয়ে থাকা লখিন্দরের
বাসর ঘরের সরু চুলের মতো ফাটল দিয়ে?
হামাগুড়ি দিয়ে ঢুকে পড়ছে নাতো রাজনীতি
অর্থ-মান-যশের উপঢৌকন হাতে নিয়ে
সংক্রামক ব্যাধির মতো বিভেদের বীজ
তোমার আমার মাঝে নীরবে নিভৃতে বপন
করবে ব'লে? তোমার বিশ্বাসে কেউ দিচ্ছে
নাতো হানা? হানছে নাতো আঘাত তোমার
জীবনবাদে বিশ্বজুড়ে যত মিথ্যে অসম্পূর্ণ
রঙীন ঝলমলে মতবাদের পশরা দিয়ে?
হাউই বাজির মতো হাজারো রঙিন আলোর
ফোয়ারা ছিটিয়ে উপরে উঠে নিভে গিয়ে
দ্বিগুন অন্ধকার নাবিয়ে আনার মতবাদের
পশরা হাতে যত বৃত্তি-প্রবৃত্তির বৃত্তে
তাত্ত্বিক আমেজে ডুবে থাকা বুদ্ধিকে জীবিকা
ক'রে জীবন চালানো দল হানছে নাতো আঘাত
তোমার 'বিশ্বের শিক্ষক শ্রেষ্ঠ পূরণকারী'-র
জীবনবাদকে তছনছ করবে ব'লে?
সাবধান থেকো তা থেকে। মিথ্যে জঞ্জাল থেকে।
মনে হ'তে পারে তোমার
অপ্রিয় জ্বালাধরা কথাগুলি খারাপ আমার।
দূর্বলতা আমাদের মহাকাল রূপে হানছে আঘাত
অসুস্থ রূগ্ন আমি তুমি রিপু তাড়িত শরীরে মনে
বৃত্তি-প্রবৃত্তি তাই প্রবলবেগে দিচ্ছে ব্যাঘাত
হাজারো সংস্কার আর দেবদেবীর ঠাসাঠাসি ভিড়ে
এক ও অদ্বিতীয় দয়াল পানে ছুটে চলতে
শয়নে-স্বপনে-জাগরণে। হে সৎসঙ্গী!
'পরমপিতার সংস্কার ছাড়া বাকী সব বন্ধন'
এ কথা বলেছেন স্বয়ং দয়াল।
এ কথা তুমি শোনোনি কি?
জেনেও জানোনি কি তুমি এ কথা?
নাকি শুনে জেনেও মানোনি তা?
মিথ্যাকে বুকে আঁকড়ে ধ'রে তুমি করছো
তাঁর কথা খন্ডন? আর তুমি রাখোনি
রাখছো না তার অমোঘ কথামৃতের খেয়াল?
এর পরেও তুমি পেতে চাও তাঁর দয়া আর
হাজারো দেবতার ভিড়ে তাঁকে গুলিয়ে দিয়ে
পেতে চাও তাঁর কৃপা? হাজারো সংস্কারের
অক্টোপাশে নিজেকে বেঁধে নিয়ে তাঁর সংস্কার
পিছনে ঠেলে ফেলে কিম্বা ভুলে গিয়ে পেতে চাও
সংসার জীবন যন্ত্রণা থেকে মুক্তি!?
এ তোমার কেমন বোধ!? কেমন বুদ্ধি!?
কেমন মায়াময় তোমার এ কায়া!?
হে সৎসঙ্গী! এ তুমি কেমন তুমি!?
No comments:
Post a Comment