একটা জিনিস অনেকদিন থেকে লক্ষ্য করছি তা হ'লো ঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের দীক্ষিতরা কি সৎসঙ্গে দাঁড়িয়ে, কি ফেসবুকে ঠাকুরের বাণী আউড়ে বা পোষ্ট ক'রে যেমন ইচ্ছা মনগড়া ব্যাখ্যা দিয়ে যাচ্ছেন যেন মনে হচ্ছে এক একজন ঠাকুরের হাজার হাজার বাণী, ছড়া, ঠাকুরের আলোচনার উপর বিরাট গবেষণা ক'রে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেছেন। ঠাকুরকে এরা এত সস্তা ক'রে দিয়েছে ও দিচ্ছে যে ঠাকুর সম্পর্কে সমাজের এলিটেরা আগ্রহ প্রকাশ করেন না। সৎসঙ্গগুলিতে যারা সামনে বসেন সাদা জামা কাপড় পড়ে (ব্যতিক্রম অবশ্যই আছে) তাদের চিন্তাভাবনা, চালচলন, কথাবার্তা, ধ্যানধারণা এতটাই নিম্নমানের, এতটাই বেমানান, এতটাই লোক দেখানো, এতটাই কপট যে সমাজের শিক্ষিত রুচিশীল বংশমর্যাদাসম্পন্ন মানুষ মাত্রই সতর্কতার সংগে সম্মানজনকদূরত্ব পালন করে। যদিও এলিটদের এই ধরণের মানসিকতা সমর্থন যোগ্য নয়, নয় গ্রহণযোগ্য তথাপি এটাও লক্ষ্য রাখতে হবে সৎসঙ্গে যেভাবে (উদাহরণ স্বরূপ) ব্যাঙ আর সাপের গল্প শুনিয়ে ঠাকুর দর্শনের সস্তা মহিমা গাওয়া হয়, যেভাবে 'সন্ধ্যা প্রার্থনা' শব্দের জ্ঞানগর্ভ ভুল ব্যাখা করা হয়, যেভাবে তাঁর ছড়ার 'না' আর 'হয়না'র বিকৃত ব্যাখ্যা করা হয় তা'তে সমাজের শিক্ষিত সম্প্রদায় 'সৎসঙ্গ'- এ থাকা তো দূরের কথা আসতেই চায় না। এরকম উদাহরণ অনেক দেওয়া যেতে পারে যা সৎসঙ্গীরা সৎসঙ্গে দাঁড়িয়ে না বুঝেই, না জেনেই বুক বাজিয়ে বলে। ঠাকুরের কথা মাথায় রেখেই কোয়ান্টিটির সংগে কোয়ালিটির কথাটাও মাথায় রাখতে হবে সৎসঙ্গীদের, সৎসঙ্গ আয়োজকদের।
ব্যাপারটা কেন এমন আর কোথায় বা এর সমাধান? ঠাকুরের বাণীর মানে বুঝতে হ'লে বাণীর গভীরে যেতে হবে। দাঁড়ি, কমা, ইনভার্টেড কমা ইত্যাদির মানে বুঝতে হবে। প্রতিটি শব্দের মানে বুঝতে হবে। বাণীর জন্ম ইতিহাস ও বাণী নিয়ে কখন, কোথায় কি বিরোধ হয়েছে, কি প্রশ্ন উঠেছে, কি আলোচনা হয়েছে আর সেই বিরোধ নিয়ে, সেই প্রশ্ন নিয়ে ঠাকুরের সংগে আলোচনা কি হয়েছে, ঠাকুর কি ব্যাখ্যা দিয়েছেন সেই বিষয়ে জানা থাকতে হবে। ঠাকুরের 'সত্যানুসরণ' গ্রন্থের ব্যাখ্যা শ্রীশ্রীবড়দা ছাড়া কারও পক্ষে যে সম্ভব নয় তা সৎসঙ্গের শ্রদ্ধেয় গুণী পরম ভক্ত মাত্রই জনেন। শ্রীশ্রীবড়দা জীবন্ত ও চলন্ত সত্যানুসরণ। যেমন ইচ্ছা নিজের মত ঠাকুরের বাণী, ঠাকুরের বলা ইত্যাদির ব্যাখ্যা করলে হবে না। আমাদের মনগড়া ব্যাখ্যা অনুযায়ী ঠাকুর বাণী বা ছড়া দেননি, কোনও আলোচনা করেননি। আর বাণী, ছড়া, ঠাকুরের বক্তব্যের অন্তর্নিহিত অর্থ না বুঝে অনেকে বিরূপ মন্তব্য করে, কটূক্তি করে আবার শুভানুধ্যায়ী কেউ কেউ কষ্ট পায়, দুঃখ পায়। কটূক্তি, বিরূপ মন্তব্য ঠাকুর জীবিত থাকতে ঠাকুরকে বহু সহ্য করতে হয়েছে এখনও হচ্ছে সেগুলির কোনও গুরুত্ব শিক্ষিত সমাজের কাছে বিন্দুমাত্র নেই। কিন্তু কে কষ্ট পেয়েছে, কে দুঃখ পেয়েছে তা দেখতে গেলে চলবে না। কারণ ঠাকুরের বাণী বোঝা তো দূরের কথা ঠাকুর সম্পর্কেই জানে না যারা তাদের আবার কিসের দুঃখ আর কিসের কষ্ট প্রকাশ আর তা নিয়ে কিসের মাথাব্যাথা? কিসের দায়? মন্তব্য প্রকাশ করার আগে সাবধানে পা ফেলতে হবে। ঠাকুরের বাণী পড়ার বা শোনার ইচ্ছা নেই, বোঝার ক্ষমতা নেই, জানার ইচ্ছা বা চেষ্টা নেই, শোনার মানসিকতা নেই অথচ বাণী নিয়ে একটা যে কোন মত প্রকাশে বাহাদুরি দেখাতেই হবে এমন বালখিল্য মানসিকতা নিয়ে ঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের অঙ্গনে এসে নিজেকে ছোটো ও খেলো না করা বুদ্ধিমানের কাজ। আর এই বুদ্ধি যদি না থাকে তাহ'লে নিজের পাঁঠা নিজে ল্যাজে কাটবে নাকি মাথায় কাটবে সেটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। কারো কিছু আসে যায় না।
ব্যাপারটা কেন এমন আর কোথায় বা এর সমাধান? ঠাকুরের বাণীর মানে বুঝতে হ'লে বাণীর গভীরে যেতে হবে। দাঁড়ি, কমা, ইনভার্টেড কমা ইত্যাদির মানে বুঝতে হবে। প্রতিটি শব্দের মানে বুঝতে হবে। বাণীর জন্ম ইতিহাস ও বাণী নিয়ে কখন, কোথায় কি বিরোধ হয়েছে, কি প্রশ্ন উঠেছে, কি আলোচনা হয়েছে আর সেই বিরোধ নিয়ে, সেই প্রশ্ন নিয়ে ঠাকুরের সংগে আলোচনা কি হয়েছে, ঠাকুর কি ব্যাখ্যা দিয়েছেন সেই বিষয়ে জানা থাকতে হবে। ঠাকুরের 'সত্যানুসরণ' গ্রন্থের ব্যাখ্যা শ্রীশ্রীবড়দা ছাড়া কারও পক্ষে যে সম্ভব নয় তা সৎসঙ্গের শ্রদ্ধেয় গুণী পরম ভক্ত মাত্রই জনেন। শ্রীশ্রীবড়দা জীবন্ত ও চলন্ত সত্যানুসরণ। যেমন ইচ্ছা নিজের মত ঠাকুরের বাণী, ঠাকুরের বলা ইত্যাদির ব্যাখ্যা করলে হবে না। আমাদের মনগড়া ব্যাখ্যা অনুযায়ী ঠাকুর বাণী বা ছড়া দেননি, কোনও আলোচনা করেননি। আর বাণী, ছড়া, ঠাকুরের বক্তব্যের অন্তর্নিহিত অর্থ না বুঝে অনেকে বিরূপ মন্তব্য করে, কটূক্তি করে আবার শুভানুধ্যায়ী কেউ কেউ কষ্ট পায়, দুঃখ পায়। কটূক্তি, বিরূপ মন্তব্য ঠাকুর জীবিত থাকতে ঠাকুরকে বহু সহ্য করতে হয়েছে এখনও হচ্ছে সেগুলির কোনও গুরুত্ব শিক্ষিত সমাজের কাছে বিন্দুমাত্র নেই। কিন্তু কে কষ্ট পেয়েছে, কে দুঃখ পেয়েছে তা দেখতে গেলে চলবে না। কারণ ঠাকুরের বাণী বোঝা তো দূরের কথা ঠাকুর সম্পর্কেই জানে না যারা তাদের আবার কিসের দুঃখ আর কিসের কষ্ট প্রকাশ আর তা নিয়ে কিসের মাথাব্যাথা? কিসের দায়? মন্তব্য প্রকাশ করার আগে সাবধানে পা ফেলতে হবে। ঠাকুরের বাণী পড়ার বা শোনার ইচ্ছা নেই, বোঝার ক্ষমতা নেই, জানার ইচ্ছা বা চেষ্টা নেই, শোনার মানসিকতা নেই অথচ বাণী নিয়ে একটা যে কোন মত প্রকাশে বাহাদুরি দেখাতেই হবে এমন বালখিল্য মানসিকতা নিয়ে ঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের অঙ্গনে এসে নিজেকে ছোটো ও খেলো না করা বুদ্ধিমানের কাজ। আর এই বুদ্ধি যদি না থাকে তাহ'লে নিজের পাঁঠা নিজে ল্যাজে কাটবে নাকি মাথায় কাটবে সেটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। কারো কিছু আসে যায় না।
যাই হ'ক, এবার বলি ঠাকুরের বাণী, ছড়া, দর্শন পোষ্ট করার আগে সে সম্পর্কে ভালো ক'রে পড়ুন, বাণী, ছড়া ইত্যাদির অন্তর্নিহিত অর্থ জেনে নিন, বুঝে নিন তারপরে পোষ্ট করুন। তারপরে ঠাকুরের বাণী বা ছড়া বা তাঁর বলার ব্যাখ্যা বা বিশ্লেষণ করার বা আলোচনার সময় ঠাকুরের বাণী প্রয়োগের ক্ষেত্রেও সাবধান থাকতে হবে। সব জায়গায় সব বাণী প্রয়োগ করলে চলবে না। ঠাকুরের আলোচনা, বাণী, ছড়া বেশিরভাগ সময়েই স্থান, কাল, পাত্র অনুযায়ী এবং স্থান, কাল, পাত্রের উপর নির্ভর ক'রেই সৃষ্টি হয়েছে।
তাই গুরুভাইবোনেদের কাছে অনুরোধ এই বিষয়ে সতর্ক ও সজাগ থাকুন। অন্যথায় মানুষের কাছে ভুল মেসেজ যাবে। যদিও ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র হ'লেন 'The greatest phenomenon of the world'. বিশ্বের Phenomenon-রা ঠাকুরকে সহজেই চিনে নেন আর শ্রদ্ধায় মাথা নত করেন। তবুও আমাদের সাধারণ সৎসঙ্গীদের তাঁর শিষ্য ও অনুগামী হিসেবে একটা মিনিমাম দায়িত্ব থেকে যায় আর তা পূরণ করতে যেন আমরা ভুল না করি।
(লেখা ২৫শে এপ্রিল'২০১৮)
No comments:
Post a Comment