Powered By Blogger

Wednesday, August 9, 2023

প্রবির প্রশ্ন ও উত্তর।

প্রশ্নঃ ১) ঈশ্বর ক'বার এসেছেন তার সৃষ্ট এই পৃথিবীতে? উত্তরঃ আটবার।প্রশ্নঃ তারা কে কে?
উত্তরঃ রাম, কৃষ্ণ, বুদ্ধ, যীশু, মোহাম্মদ, মহাপ্রভু, রামকৃষ্ণ ও শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র।
প্রশ্নঃ ২) ঈশ্বর মানুষের রুপে কেন বারবার আসেন?
উত্তরঃ ঈশ্বর মানুষের রূপে আসেন তাঁর শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি মানুষকে বাঁচাতে, রক্ষা করতে।
প্রশ্নঃ ৩) ঈশ্বর কি বিশেষ কোনও সম্প্রদায়ের জন্য মানুষ রুপে নেবে আসেন?
উত্তরঃ না। ঈশ্বর পৃথিবীর সমস্ত মানুষের জন্য (প্রায় ৮০০ কোটি) জীবন্ত ঈশ্বর হ'য়ে নেবে আসেন।
প্রশ্নঃ ৪) ঈশ্বর কি নিরাকার? নাকি সাকার? তাঁর কি কোনও রুপ আছে?
উত্তরঃ দু'টোই। আমাদের চোখের সামনে যা দেখতে পাই সবই তাঁর সাকার রুপ। আর যা দেখতে পাই না দৃষ্টির বাইরে বিদ্যমান সে সবই তাঁর নিরাকার রূপ। তাঁর শ্রেষ্ঠ সাকার রূপ পুরুষোত্তম রূপ।
প্রশ্নঃ ৫) ঈশ্বর যখনই কোথাও জীবন্ত ঈশ্বর হ'য়ে নেবে আসেন তখনই তিনি কেন বিশেষ গোষ্ঠী বা সম্প্রদায়ের হ'য়ে যান?
উত্তরঃ তাঁর স্বার্থান্বেষী অনুগামীরা নিজেদের কায়েমি স্বার্থসিদ্ধির জন্য, মৌরসীপাট্টা জমিয়ে রাখার জন্য তাঁকে ছোট্ট গন্ডীর মধ্যে বেঁধে মানুষ থেকে দূরে সরিয়ে রাখেন।
প্রশ্নঃ ৬) যে সম্প্রদায়ের মধ্যে নিরাকার ঈশ্বর রক্তমাংসের মানুষের রূপে জীবন্ত ঈশ্বর হ'য়ে নেবে এসেছেন সেই সম্প্রদায়ের সব মানুষই কি তাকে মেনে চলেন? তাকে অনুসরণ করেন?
উত্তরঃ না। যদি চলতো, নিখুঁত অনুসরণ করতো তবে সম্প্রদায়ে সম্প্রদায়ে এত বিরোধ হ'তো না।
প্রশ্নঃ ৭) কাদের জন্য সম্প্রদায়ে সম্প্রদায়ে এত বিরোধ?
উত্তরঃ সাধারণ মানুষের জন্য। প্রশ্নঃ কেন!? উত্তরঃ সাধারণ মানুষ চায় অন্ধকারে থাকতে। অজ্ঞ থাকতে। মূর্খ থাকতে। দূর্বল থাকতে। চায় ঠকতে। তাই ঠগবাজেরা সম্প্রদায়ে সম্প্রদায়ে বিরোধ লাগাবার সুযোগ পায়।
প্রশ্নঃ ৮) মুনি, ঋষি, সাধু, সন্ন্যাসী ও আধ্যাত্মিক জগতের মানুষ, মহাপুরুষদের সংগে জীবন্ত ঈশ্বর পুরুষোত্তমের তফাৎ কি?
উত্তরঃ মুনি, ঋষি ইত্যাদিরা যা ব'লে যান, ব'লে গেছেন তাদের সেই বলার মধ্যে যেটুকু ফাঁক থেকে যায় সেই ফাঁকটুকু জীবন্ত ঈশ্বর পুরুষোত্তম ভরাট ক'রে দেন আর তিনিই পারেন একমাত্র সমস্ত বিপদ থেকে, মৃত্যু থেকে রক্ষা করতে যা বাকীরা পারেন না। 
প্রশ্নঃ ৯) ঈশ্বর ধ'রেও কেন এত কষ্ট পায় মানুষ?
উত্তরঃ ঈশ্বরকে ধরেনি মানুষ। আকাশের ঈশ্বর, মাটির ঈশ্বর, বোবা ঈশ্বর ধ'রে জাগতিক দুঃখ কষ্ট থেকে মুক্তি পাওয়া যায় না। 
(লেখা ৯ই আগষ্ট'২০২১)

প্রশ্নঃ ১০) জীবন্ত ঈশ্বর অর্থাৎ পুরুষোত্তম ধরেও কেউ ভালো নেই কেন?
উত্তরঃ তাঁকে কেউ আমরা ধরিনি। দীক্ষা নিলেই তাঁকে ধরা হয় না। তাঁর চরণপূজা করেছি মাত্র চলনপূজা কেউ করিনি। তাও চরণপূজা করেছি শুধু শুধুমাত্র অর্থ-মান-যশ ইত্যাদি পাওয়ার ধান্ধায়, রোগ, শোক, জ্বালা, যন্ত্রণা থেকে মুক্তির আশায়। তিনি আমাদের কাছে না ক'রে পাওয়ার ও চাহিদা পূরণের যন্ত্র মাত্র। তাঁকে কেউ বুঝতে চাইনি আমরা তিনি প্রকৃত আমাদের কাছে কি চান। বোঝার মানসিকতাও নেই আমাদের। আমরাও আমাদের স্বভাব চরিত্র পাল্টাইনি, পাল্টাতে চাইনি। তাই কেউ আমরা ভালো নেই। কেউ ভালো থাকবোও না।
( লেখা ১০ই আগষ্ট'২০২১)







No comments:

Post a Comment