এই পুজোর বিষয় নিয়ে আমি "ধর্মের নামে কাশ্মীরে মানুষ হত্যা ও কোন্নগরে শকুন্তলা মায়ের পূজায় জীব হত্যা" এই নামে আমার আগের ভিডিওতে বক্তব্য আপনাদের সামনে তুলে ধরেছি। আজ আমি শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের দীক্ষিত সৎসঙ্গী গুরুভাইবোনদের সম্পর্কে কিছু বলবার জন্য এসেছি।
বহু সৎসঙ্গী দাদা ও মায়েদের দেখেছি শকুন্তলা রক্ষাকালী পুজোয় যায় জল ঢালতে ও পুজো দিতে। আজ থেকে ৪০বছর আগে যৌবনে যখন গিয়েছিলাম পুজো দেখতে তখনও দেখেছিলাম আর আজও দেখছি আমার পরিচিত সৎসঙ্গী
বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন, পাড়াপ্রতিবেশী গুরুভাইবোন মায়ের পুজো দিতে যায় কোন্নগর শকুন্তলা মন্দিরে। দেখেছি নধর কচি শিশু ছাগলকে মায়ের সামনে বলি দিতে নিয়ে যেতে। আর দেখেছি সেই ছোট্ট অবলা শিশু ছাগল ছানার কচি মাংস মায়ের প্রসাদ কষা ক'রে রান্না ক'রে খেতে ও আশেপাশের মানুষকে সেই প্রসাদ বিলোতে। আর, মায়ের পূজার নামে সেই অধর্মীয় পাপ আচরণ থেকে উদ্ভূত মায়ের প্রসাদ নামে অভিহিত তামসিক পাপান্ন অভুতপূর্ব ভক্তি ভ'রে মাথায় ঠেকিয়ে গ্রহণ করতে দেখেছি সৎসঙ্গী দাদা ও মায়েদের। অথচ এই সমস্ত সৎসঙ্গীদের মধ্যে অনেকেই জানেন বাংলাদেশে সৎসঙ্গ আশ্রম থেকে অনতিদূরে তান্ত্রিকের তন্ত্র সাধনায় সিদ্ধি লাভের জন্য তান্ত্রিকের আখড়ায় হাঁড়িকাঠের সামনে বেঁধে রাখা ছাগশিশুকে উদ্ধার করার জন্য ঠাকুরের বুকফাটা আকুল কান্না, ছটফটানির কাহিনী। ঠাকুরের সেই আকুল কান্না আর পাগলের মত ছটফটানি দেখে না থাকতে পেরে ঠাকুরের এক ভক্ত প্রাণের মায়া ত্যাগ ক'রে অসীম সাহসে তান্ত্রিকের ডেরায় ঢুকে তান্ত্রিকের সামনে থেকে ছোট্ট ছাগল ছানাকে ছিনিয়ে আনে। আর, ভয়ংকর আক্রোশে পিছন পিছন খাঁড়া হাতে অভিশাপ দিতে দিতে ছুটে আসে সেই ভয়ংকর উন্মাদ তান্ত্রিক। কিন্তু তা'তে ভয় পায় না সেই মূর্খ ভক্ত শিষ্য। ছুটে এসে ঠাকুরের কোলে তুলে দেয় সেই ছোট্ট ছাগলছানাকে। সেই ছোট্ট ছাগশিশুকে কোলে নিয়ে আনন্দে চোখের জলে ভাসতে থাকে ঠাকুর ছোট্ট শিশুর মত। সামনে এসে দাঁড়ায় সেই তান্ত্রিক। ঠাকুরের সেই ছোট্ট ছাগ শিশুকে নিয়ে পাগলের মত আদর করা ও শিশুর মত আনন্দ করা দেখে বিস্ময়ে স্তম্ভিত হ'য়ে দাঁড়িয়ে পড়ে তান্ত্রিক! হাত থেকে খসে পড়ে যায় তান্ত্রিকের খাঁড়া। চোখের সামনে দেখতে পায় জীবন্ত মহাদেবকে। ছোট্ট ছাগ শিশুকে গভীর ভালোবাসায় বুকে জড়িয়ে ধ'রে কাঁদতে থাকা শ্রীশ্রীঠাকুরকে দেখে অনুশোচনায় অনুতপ্ত হৃদয়ে তান্ত্রিকের দু'চোখ বেয়ে নেমে আসে জলের ধারা। হাঁটু গেড়ে বসে পড়ে তান্ত্রিক ঠাকুরের সামনে। সাষ্টাঙ্গে প্রণাম করে ঠাকুরকে। তারপর চোখের জলে ভাসতে ভাসতে চলে যায় সেই তান্ত্রিক। পরদিন সকাল থেকে আর দেখা যায় না গ্রামে সেই তান্ত্রিককে। তাঁর ডেরা ছেড়ে চলে যায় দূরে, অনেক দূরে। পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকে তান্ত্রিকের সেই সাধনার অপবিত্র স্থান। এই ঘটনা সৎসঙ্গীরা জানে। তারা শুনে থাকবে সৎসঙ্গে, পড়ে থাকবে বইয়ের পাতায়।
ভাবলে আশ্চর্য লাগে এই ঘটনা সৎসঙ্গ অনুষ্ঠানে শোনার পরও ঠাকুরের সোনার সৎসঙ্গীদের কেউ কেউ সৎসঙ্গীরা আজও ভিড় করে মায়ের কাছে ছাগশিশুকে বলি দিয়ে মনস্কামনা পূরণ করার জন্য। এ আমাদের সৎসঙ্গীদের লজ্জা, অমার্জনীয় অপরাধ। আমরা জীব হত্যাকারী সৎসঙ্গীরা আর তাবিজ, মাদুলি, আংটি, মালা, শেকড়, হাতে লাল কালো সুতো ধারণকারী, ৩৩ কোটি দেবদেবতায় বিচরণকারী, কুসংস্কার ও মৃত্যুকে আবাহনকারী সৎসঙ্গীরা নাকি ঠাকুরের সোনার সৎসঙ্গী!!!!!! আমাদের মাথায় সমস্ত গ্রহের বিগ্রহ দয়াল ঠাকুরও আছেন ও সমস্ত গ্রহরাও আছে, আছে তাবিজ, মাদুলি, আংটি, শেকড়, জলপড়া, তেলপড়া, হাতে লাল কালো সুতো, গলায় মালা ও কোমরে পাথর, ৩৩ কোটি দেবদেবতা, হাজারো গুরু, কুলগুরু, কুসংস্কার। আছে মাথার ওপর মৃত্যুর দেবতা যমের উপস্থিতি।একসঙ্গে সব গিজগিজ করছে। মাথার ওপর যমের উপস্থিতি এইজন্যে বললাম, মায়ের সামনে বলির জন্য রাখা হাঁড়িকাঠ সেই হাঁড়িকাঠকে গঙ্গার জল ঢেলে ভক্তিভরে প্রণাম করছে দাদারা ও এমনকি মায়েরা। এ কি ক'রে সম্ভব!? যেখানে নিরীহ কচি অসহায় ছাগল ছানার গলা আটকে রেখে নির্ম্মম নৃশংসভাবে শরীর থেকে মাথাকে আলাদা ক'রে দেওয়া হয় ধারালো অস্ত্রের সাহায্যে সেই স্থানকেও কেউ পুজো করতে পারে, বিশেষ ক'রে মায়েরা পুজো করতে পারে তখন সহজেই তাদের বায়োলজিক্যাল মেক আপ বোঝা যায়।
যাই হ'ক, এই পুজোর নাকি বিশেষ বৈশিষ্ট্য আছে। কঠোর নিয়ম ছিল সূর্যাস্তের পরে মূর্তি তৈরী হবে, আবার সূর্য উদয়ের আগেই এই পূজো শেষ হবে। আর, পরের দিন অতি প্রত্যুষেই প্রতিমা বিসর্জন হবে। কে তৈরী করেছিল এই নিয়ম? এই নিয়ম তৈরীর পিছনে আধ্যাত্মিক বা বৈজ্ঞানিক ভিত্তি কি ছিল? কি ছিল যুক্তি?? কি ছিল জানি না। কেউ বলতেও পারেনি। তবে যেটা ছিল সেটা হ'লো একটা রহস্যময় গা ছমছম করা ভয়ার্ত পরিবেশ তৈরী করা। কারণ একটা ভয়ার্ত পরিবেশ সৃষ্টি না করলে ভক্তি আসে না ভক্তদের। অর্থাৎ ভয়ে ভক্তি, কিছু না ক'রে পাওয়ার ভক্তি। কিন্তু শুনেছি এখন নিয়ম পাল্টে গেছে। কবে থেকে এই নিয়ম পরিবর্তন হয়েছে আমার জানা নেই। কেন পাল্টে গেল? কে পাল্টে দিল? এই পাল্টে যাওয়ার পিছনেই বা কি আধ্যাত্মিক ও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে? কোন যুক্তিতে কোন আধ্যাত্মিক বা ধর্মীয় নেতার বিধানে এই নিয়ম পাল্টে গেল? এর বাস্তবতাটা কি?
এই নিয়ম পাল্টে যাওয়ার পিছনে যে বাস্তবতা আছে সেটা জানা যায় যে, এখন এলাকায় পুজোর সংখ্যা বেড়েছে। আগে যেখানে একটা সময় শকুন্তলা কালীপুজোর দিনে এখানে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে একটা দু'টো ক'রে বাড়তে বাড়তে মোট নয়টি পূজা হত। এখন সেখানে পুজোর সংখ্যা বাড়ছে দিনদিন। ফলে বেড়েছে মূর্তি তৈরীর চাপ। সেই কারণে এখন আর আগের নিয়মে এক রাতে সূর্যাস্তের পরে মূর্তি এই নিয়মে পুজো হয় না, মূর্তি তৈরির চাপে আগে থেকেই ঠাকুর তৈরির কাজ শুরু হয়ে যায়। এর থেকে প্রমাণ হয়, নিয়মের কোনও মা-বাপ নেই। প্রকৃত কোনও উৎস নেই। সবটাই মানুষের ইচ্ছেমতো তৈরী।
আর যদি নিয়মের কোনও বিজ্ঞানভিত্তিক উৎস থেকেও থাকে, সেই উৎস আবার কোন নিয়মকে মেনে ও ঐতিহ্যকে রক্ষা করার তাগিদে ভাঙ্গা হয়? প্রশ্নগুলি উঠবে না? উঠতে পারে। কিন্তু তা'তে না উদ্যোক্তাদের, না সাধারণ মানুষের কারও কিচ্ছু এসে যায় না। এর থেকে এটা স্পষ্ট মানুষ নিজে নিজেই নিয়ম তৈরী করে ও নিয়ম ভাঙে। এই নিয়ম তৈরী করার পিছনে যেমন মানুষের জীবনীয় উপাদান আছে আবার আছে মুষ্ঠিমেয় স্বার্থান্ধ মানুষের ভয়ংকর লোভ ও মরণীয় উপাদান। তাই সবকিছু না জেনে, না বুঝে কুসংস্কার ব'লে যেমন উড়িয়ে দেওয়ার কিছু নেই, ঠিক তেমনি তলিয়ে দেখতে হয় এইসমস্ত সামাজিক রীতিনীতি, সংস্কার, ধর্মীয় আচার-আচরণ ইত্যাদির পিছনে বিশেষ কি জ্ঞান অন্তর্নিহিত আছে যা জীবনীয়। যদি মরণীয় কিছু থেকে থাকে তাকে খুঁজে বের ক'রে সমূলে উৎখাত করতে হয়, আর, যদি জীবনীয় কিছু থেকে থাকে তাকে রক্ষা করতে হয়। আর, এসবই করতে হয় মানব জাতির বাঁচা ও বাড়ার স্বার্থে, সভ্যতার বিকাশে। তাই শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র সবসময় তাঁর মায়ের বলা কথাটা বলতেন, "যেখানেই দেখিবে ছাই, উড়াইয়া দেখো তাই, পাইলেও পাইতে পারো অমূল্য রতন।" কিন্তু আমরা তা' কখনোই করি না। ছাই উড়িয়ে দেখি না ছাইয়ের স্তুপের নীচে কিছু আছে কিনা। হয় ছাইকে একনিমেষে ফুঁৎকারে উরিয়ে দিই, নতুবা সেই ছাইয়ের গাদার ওপর বংশ পরম্পরায় ও যুগের পর যুগ নিমজ্জিত থাকি; তা' সে যতই কেউ মহান সংস্কারক, Fulfller the great মহান পরিপূরণকারী বা Fulfiller the best সর্ব্বোত্তম পরিপূরণকারী কেউ আসুক না কে্ন আর এসে আমাদের চোখ খুলে দেবার চেষ্টা করুক না কেন। বরং সেই মহান সংস্কারক বা পরিপূরককে কিংবা মহান সর্ব্বোত্তম সংস্কারক সর্ব্বোত্তম পরিপূরককে হেনস্থা হ'তে হয়েছে এইসমস্ত
মুষ্ঠিমেয় স্বার্থান্ধ মানুষের হাতে। কোনও সরকারও চেষ্টা করেনি এইসমস্ত সংস্কার বা কুসংস্কার সম্বন্ধে মানূষকে সচেতন ক'রে তুলে, চোখ খুলে দিতে।, অজ্ঞানতার অন্ধকার থেকে আলোর বুকে ফিরিয়ে আনতে। আবার কোনও কোনও রাজনৈতিক দল সংস্কার-কুসংস্কার বিচার না করেই সমূলে উৎখাত ক'রে দিতে চেয়েছে সমস্ত ধর্মীয় বিশ্বাস, ঐতিহ্যকে। আর, সাধারণ মানুষ কোনোদিনই চায়নি, চায়ও না জেগে উঠতে, চোখ খুলতে, জানতে, বুঝতে তা সে তাকে যতই বলা হ'ক বা বোঝানো হ'ক না কেন। তাদের ধারণা, আমার গায়ে আঁচ না লাগে ফুরিয়ে যাবে মামলা। কিন্তু তারা এতটাই অজ্ঞ, অদূরদর্শী, এতটাই বেকুব, এতটাই মূর্খ, অলস, দূর্বল, ভীরু আর কুসংস্কারাচ্ছন্ন যে, এই আগুনের আঁচ যে একদিন তাদের গায়ে এসে লেগে তাদের খাক ক'রে দেবে পরিবার পরিজন সহ সেদিকে কোনও হুঁশ নেই। কারণ বিজ্ঞানের ভাষায় যেমন আছে Every action has oposite and equal reaction. ঠিক তেমনি যুগপুরুষোত্তম শ্রীশ্রীঠাকুর উনুকূলচন্দ্র বললেন, "তুমি যা করছো বা ক'রে রেখেছো ভগবান তাই-ই গ্রাহ্য করবেন আর সেগুলির ফলও পাবে ঠিক তেমনি।" "যা ইচ্ছা তাই করবে তুমিই তা' করলে রে চলবে না, ভালো ছাড়া মন্দ করলে পরিস্থিতি ছাড়বে না।"
যেখানে বলীর নামে মায়ের সন্তানকে হত্যা করা হবে সেই হাঁড়িকাঠকে গঙ্গার জল ঢেলে ভক্তিভরে প্রণাম করছে দাদা ও মায়েরা এ দৃশ্য দেখে বিস্ময়ে ভাবি, কি অদ্ভুত দৃশ্য! হত্যাস্থানের প্রতি কি ভালোবাসা, ভক্তি ও মমত্ববোধ মায়ের ভক্তদের!!!
এর একটা কারণও আছে, যারা শিক্ষক, শিক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হ'য়ে শিক্ষা দান ক'রে এদের অজ্ঞানতার ঘোর অন্ধকার থেকে বের ক'রে আনবে তারা মুখে এক আর কাজে আর এক রকমের, অর্থাৎ জালি, কপট চরিত্রের। যাকে বলা হ'য়ে থাকে সর্ষের মধ্যেই ভুত। যে সর্ষে দিয়ে ভূত তাড়াবে সেই সর্ষকেই ভূতে ধ'রে ফেলেছে। তাই তারা সাধারণ মানুষ যে তিমিরে ছিল সেই তিমিরেই থাকে, আর দিনে দিনে আরও অন্ধকারে ডুবে যায়। যদিও এইসমস্ত শিক্ষকেরাও দিনের শেষে নিজেদের হাতে তৈরী এই ভয়ংকর অশিক্ষার, অজ্ঞানতার ঘোর পাপের অন্ধকারে ডুবে যায়, তাদের অস্তিত্ব বিপন্ন হয়।
এরকম সৎসঙ্গীদের মধ্যেও দেখা যায়, প্রচুর পরিমাণে দেখা যায়। সাধারণ সীমাহীন ভাঙাচোরা সহজ, সরল, বেকুব, দুর্বল, ভীরু, মূর্খ, অলস, কুসংস্কারাচ্ছন্ন সৎসঙ্গী যেমন দেখা যায় ঠিক তেমনি দেখা যায় বিশ্বের বিস্ময় সর্ব্বশ্রেষ্ঠ বিস্ময় যুগাবতার যুগপুরুষোত্তম পরম পুরুষ, পরম উৎস, পরম কারণ, পরম অস্তিত্ব, পরম সত্ত্বা, পরম কারণ, সর্ব্বশক্তিমান, সর্ব্বব্যাপি, সর্ব্বজ্ঞ রক্তমাংসঙ্কুল জীবন্ত ঈশ্বর পরমপ্রেমময় শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের যারা প্রথমসারীর বার্তাবাহক, যারা তাঁর বীজনাম বহনকারী ও দানকারী ঋত্বিক, যাজক, অধ্বর্য্যু তাদের মধ্যে অনেককেই দেখা যায় তাবিজ, মাদুলি, আংটি, হাতে গলায় মালা, হাতে লাল হলুদ কালো সুতো, তুকতাক, ঝাড়ফুঁক, তেলপড়া, জলপড়া ইত্যাদি ইত্যাদি বিষয়ের ওপর গভীরভাবে নির্ভরশীল। আবার এরাই জনসমক্ষে দাঁড়িয়ে বলবে শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রই বিশ্বব্রহ্মান্ডের সৃষ্টিকর্তা, তিনি অবতারী, তিনি ব্রহ্মা, বিষ্ণু, তিনি মহেশ্বর, তিনি গণেশ, তিনিই কালী, তিনি দূর্গা, তিনিই তেত্রিশ কোটি দেবদেবতার মূর্ত রূপ!!!!!!! তিনি এক ও অদ্বিতীয়। তাঁর কোনও শরিক নেই। তিনি সমস্ত গ্রহের বিগ্রহ। তিনিই সমস্ত স্পন্দনাত্মক, ধন্যাত্মক, কম্পনাত্মক যত রকমের নাম আছে সমস্ত নামের আধার। এরকম নানারকম জ্ঞানগর্ভ ভাষণ দেবে হাতে গলায় আংটি, মাদুলি, মালা ঝুলিয়ে। এদের সারা শরীরে তাবিজ, আংটি, মাদুলি, মালা আর ঘরে আছে নানা দেবদেবীর মূর্তি, এরাই আবার বহুনৈষ্ঠিক নিয়ে লম্বাচওড়া বক্তৃতা দেবে।
এরা এতটাই চতুর নিজের কাজের স্বপক্ষে দুর্বলতাকে ঢাকতে অজুহাত হিসেবে ঠাকুরকেও ঢাল করতে ছাড়ে না। এরা সগর্বে বলে, ঠাকুরের হাতেও তাবিজ ছিল, আবার কেউ বা বলে ঠাকুরের ডান হাতে নাকি হীরে বাঁধা আছে। হাতে মালা নিয়ে বলে নাম করার সুবিধার জন্য বিক্ষিপ্ত মনকে নিয়ন্ত্রিত করতে হাতে মালা রাখে। ঠাকুর আর্য কৃষ্টির কিছুই বাদ দেননি। তিনি কোনওকিছুকেই অশ্রদ্ধা করেননি, ত্যাগ করেননি, তিনি এটা করেছেন, ওটা করেছেন ইত্যাদি নানা বাক্যবাণে নিজেকে ত্রুটিহীন একনিষ্ঠ ইষ্টপ্রাণ ভক্ত হিসেবে তুলে ধরেন নিজের দুর্বলতাকে ঢাকতে। কিন্তু ভুলে যান এ কথা যে, আমরা কোনটা পালন করবো? তিনি সমগ্র জীবনে যা যা করেছেন সেটা পালন করবো নাকি আমাদের যা যা পালন করতে ব'লে গেছেন সেটা পালন করবো? যতবার ঈশ্বর মানুষের রূপ ধ'রে মটির বুকে নেমে এসেছেন মানুষকে বাঁচাতে ও বেড়ে ওঠার দিকে ন্যে যেতে ততবারই জীবন্ত ঈশ্বর শ্রীশ্রীরামচন্দ্র, শ্রীশ্রীকৃষ্ণ, শ্রীশ্রীবুদ্ধ, শ্রীশ্রীযীশু, শ্রীশ্রীহজুরত মহম্মদ, শ্রীশ্রীমহাপ্রভু, শ্রীশ্রীঠাকুর রামকৃষ্ণ ও বর্তমান সর্বশেষ শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র-এর মিশন প্রতিষ্ঠার পথে বাধা সৃষ্টির কারণ হয়েছে তথাকথিত তাঁদের ভক্তরা। মানুষের বাঁচা-বাড়ার ও জীবনে নির্মল আনন্দ লাভের পথে শত্রু তারাই।
আজ এই পর্যন্তই। নমস্কার। জয়গুরু।
ভাবলে আশ্চর্য লাগে এই ঘটনা সৎসঙ্গ অনুষ্ঠানে শোনার পরও ঠাকুরের সোনার সৎসঙ্গীদের কেউ কেউ সৎসঙ্গীরা আজও ভিড় করে মায়ের কাছে ছাগশিশুকে বলি দিয়ে মনস্কামনা পূরণ করার জন্য। এ আমাদের সৎসঙ্গীদের লজ্জা, অমার্জনীয় অপরাধ। আমরা জীব হত্যাকারী সৎসঙ্গীরা আর তাবিজ, মাদুলি, আংটি, মালা, শেকড়, হাতে লাল কালো সুতো ধারণকারী, ৩৩ কোটি দেবদেবতায় বিচরণকারী, কুসংস্কার ও মৃত্যুকে আবাহনকারী সৎসঙ্গীরা নাকি ঠাকুরের সোনার সৎসঙ্গী!!!!!! আমাদের মাথায় সমস্ত গ্রহের বিগ্রহ দয়াল ঠাকুরও আছেন ও সমস্ত গ্রহরাও আছে, আছে তাবিজ, মাদুলি, আংটি, শেকড়, জলপড়া, তেলপড়া, হাতে লাল কালো সুতো, গলায় মালা ও কোমরে পাথর, ৩৩ কোটি দেবদেবতা, হাজারো গুরু, কুলগুরু, কুসংস্কার। আছে মাথার ওপর মৃত্যুর দেবতা যমের উপস্থিতি।একসঙ্গে সব গিজগিজ করছে। মাথার ওপর যমের উপস্থিতি এইজন্যে বললাম, মায়ের সামনে বলির জন্য রাখা হাঁড়িকাঠ সেই হাঁড়িকাঠকে গঙ্গার জল ঢেলে ভক্তিভরে প্রণাম করছে দাদারা ও এমনকি মায়েরা। এ কি ক'রে সম্ভব!? যেখানে নিরীহ কচি অসহায় ছাগল ছানার গলা আটকে রেখে নির্ম্মম নৃশংসভাবে শরীর থেকে মাথাকে আলাদা ক'রে দেওয়া হয় ধারালো অস্ত্রের সাহায্যে সেই স্থানকেও কেউ পুজো করতে পারে, বিশেষ ক'রে মায়েরা পুজো করতে পারে তখন সহজেই তাদের বায়োলজিক্যাল মেক আপ বোঝা যায়।
যাই হ'ক, এই পুজোর নাকি বিশেষ বৈশিষ্ট্য আছে। কঠোর নিয়ম ছিল সূর্যাস্তের পরে মূর্তি তৈরী হবে, আবার সূর্য উদয়ের আগেই এই পূজো শেষ হবে। আর, পরের দিন অতি প্রত্যুষেই প্রতিমা বিসর্জন হবে। কে তৈরী করেছিল এই নিয়ম? এই নিয়ম তৈরীর পিছনে আধ্যাত্মিক বা বৈজ্ঞানিক ভিত্তি কি ছিল? কি ছিল যুক্তি?? কি ছিল জানি না। কেউ বলতেও পারেনি। তবে যেটা ছিল সেটা হ'লো একটা রহস্যময় গা ছমছম করা ভয়ার্ত পরিবেশ তৈরী করা। কারণ একটা ভয়ার্ত পরিবেশ সৃষ্টি না করলে ভক্তি আসে না ভক্তদের। অর্থাৎ ভয়ে ভক্তি, কিছু না ক'রে পাওয়ার ভক্তি। কিন্তু শুনেছি এখন নিয়ম পাল্টে গেছে। কবে থেকে এই নিয়ম পরিবর্তন হয়েছে আমার জানা নেই। কেন পাল্টে গেল? কে পাল্টে দিল? এই পাল্টে যাওয়ার পিছনেই বা কি আধ্যাত্মিক ও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে? কোন যুক্তিতে কোন আধ্যাত্মিক বা ধর্মীয় নেতার বিধানে এই নিয়ম পাল্টে গেল? এর বাস্তবতাটা কি?
এই নিয়ম পাল্টে যাওয়ার পিছনে যে বাস্তবতা আছে সেটা জানা যায় যে, এখন এলাকায় পুজোর সংখ্যা বেড়েছে। আগে যেখানে একটা সময় শকুন্তলা কালীপুজোর দিনে এখানে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে একটা দু'টো ক'রে বাড়তে বাড়তে মোট নয়টি পূজা হত। এখন সেখানে পুজোর সংখ্যা বাড়ছে দিনদিন। ফলে বেড়েছে মূর্তি তৈরীর চাপ। সেই কারণে এখন আর আগের নিয়মে এক রাতে সূর্যাস্তের পরে মূর্তি এই নিয়মে পুজো হয় না, মূর্তি তৈরির চাপে আগে থেকেই ঠাকুর তৈরির কাজ শুরু হয়ে যায়। এর থেকে প্রমাণ হয়, নিয়মের কোনও মা-বাপ নেই। প্রকৃত কোনও উৎস নেই। সবটাই মানুষের ইচ্ছেমতো তৈরী।
আর যদি নিয়মের কোনও বিজ্ঞানভিত্তিক উৎস থেকেও থাকে, সেই উৎস আবার কোন নিয়মকে মেনে ও ঐতিহ্যকে রক্ষা করার তাগিদে ভাঙ্গা হয়? প্রশ্নগুলি উঠবে না? উঠতে পারে। কিন্তু তা'তে না উদ্যোক্তাদের, না সাধারণ মানুষের কারও কিচ্ছু এসে যায় না। এর থেকে এটা স্পষ্ট মানুষ নিজে নিজেই নিয়ম তৈরী করে ও নিয়ম ভাঙে। এই নিয়ম তৈরী করার পিছনে যেমন মানুষের জীবনীয় উপাদান আছে আবার আছে মুষ্ঠিমেয় স্বার্থান্ধ মানুষের ভয়ংকর লোভ ও মরণীয় উপাদান। তাই সবকিছু না জেনে, না বুঝে কুসংস্কার ব'লে যেমন উড়িয়ে দেওয়ার কিছু নেই, ঠিক তেমনি তলিয়ে দেখতে হয় এইসমস্ত সামাজিক রীতিনীতি, সংস্কার, ধর্মীয় আচার-আচরণ ইত্যাদির পিছনে বিশেষ কি জ্ঞান অন্তর্নিহিত আছে যা জীবনীয়। যদি মরণীয় কিছু থেকে থাকে তাকে খুঁজে বের ক'রে সমূলে উৎখাত করতে হয়, আর, যদি জীবনীয় কিছু থেকে থাকে তাকে রক্ষা করতে হয়। আর, এসবই করতে হয় মানব জাতির বাঁচা ও বাড়ার স্বার্থে, সভ্যতার বিকাশে। তাই শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র সবসময় তাঁর মায়ের বলা কথাটা বলতেন, "যেখানেই দেখিবে ছাই, উড়াইয়া দেখো তাই, পাইলেও পাইতে পারো অমূল্য রতন।" কিন্তু আমরা তা' কখনোই করি না। ছাই উড়িয়ে দেখি না ছাইয়ের স্তুপের নীচে কিছু আছে কিনা। হয় ছাইকে একনিমেষে ফুঁৎকারে উরিয়ে দিই, নতুবা সেই ছাইয়ের গাদার ওপর বংশ পরম্পরায় ও যুগের পর যুগ নিমজ্জিত থাকি; তা' সে যতই কেউ মহান সংস্কারক, Fulfller the great মহান পরিপূরণকারী বা Fulfiller the best সর্ব্বোত্তম পরিপূরণকারী কেউ আসুক না কে্ন আর এসে আমাদের চোখ খুলে দেবার চেষ্টা করুক না কেন। বরং সেই মহান সংস্কারক বা পরিপূরককে কিংবা মহান সর্ব্বোত্তম সংস্কারক সর্ব্বোত্তম পরিপূরককে হেনস্থা হ'তে হয়েছে এইসমস্ত
মুষ্ঠিমেয় স্বার্থান্ধ মানুষের হাতে। কোনও সরকারও চেষ্টা করেনি এইসমস্ত সংস্কার বা কুসংস্কার সম্বন্ধে মানূষকে সচেতন ক'রে তুলে, চোখ খুলে দিতে।, অজ্ঞানতার অন্ধকার থেকে আলোর বুকে ফিরিয়ে আনতে। আবার কোনও কোনও রাজনৈতিক দল সংস্কার-কুসংস্কার বিচার না করেই সমূলে উৎখাত ক'রে দিতে চেয়েছে সমস্ত ধর্মীয় বিশ্বাস, ঐতিহ্যকে। আর, সাধারণ মানুষ কোনোদিনই চায়নি, চায়ও না জেগে উঠতে, চোখ খুলতে, জানতে, বুঝতে তা সে তাকে যতই বলা হ'ক বা বোঝানো হ'ক না কেন। তাদের ধারণা, আমার গায়ে আঁচ না লাগে ফুরিয়ে যাবে মামলা। কিন্তু তারা এতটাই অজ্ঞ, অদূরদর্শী, এতটাই বেকুব, এতটাই মূর্খ, অলস, দূর্বল, ভীরু আর কুসংস্কারাচ্ছন্ন যে, এই আগুনের আঁচ যে একদিন তাদের গায়ে এসে লেগে তাদের খাক ক'রে দেবে পরিবার পরিজন সহ সেদিকে কোনও হুঁশ নেই। কারণ বিজ্ঞানের ভাষায় যেমন আছে Every action has oposite and equal reaction. ঠিক তেমনি যুগপুরুষোত্তম শ্রীশ্রীঠাকুর উনুকূলচন্দ্র বললেন, "তুমি যা করছো বা ক'রে রেখেছো ভগবান তাই-ই গ্রাহ্য করবেন আর সেগুলির ফলও পাবে ঠিক তেমনি।" "যা ইচ্ছা তাই করবে তুমিই তা' করলে রে চলবে না, ভালো ছাড়া মন্দ করলে পরিস্থিতি ছাড়বে না।"
যেখানে বলীর নামে মায়ের সন্তানকে হত্যা করা হবে সেই হাঁড়িকাঠকে গঙ্গার জল ঢেলে ভক্তিভরে প্রণাম করছে দাদা ও মায়েরা এ দৃশ্য দেখে বিস্ময়ে ভাবি, কি অদ্ভুত দৃশ্য! হত্যাস্থানের প্রতি কি ভালোবাসা, ভক্তি ও মমত্ববোধ মায়ের ভক্তদের!!!
এর একটা কারণও আছে, যারা শিক্ষক, শিক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হ'য়ে শিক্ষা দান ক'রে এদের অজ্ঞানতার ঘোর অন্ধকার থেকে বের ক'রে আনবে তারা মুখে এক আর কাজে আর এক রকমের, অর্থাৎ জালি, কপট চরিত্রের। যাকে বলা হ'য়ে থাকে সর্ষের মধ্যেই ভুত। যে সর্ষে দিয়ে ভূত তাড়াবে সেই সর্ষকেই ভূতে ধ'রে ফেলেছে। তাই তারা সাধারণ মানুষ যে তিমিরে ছিল সেই তিমিরেই থাকে, আর দিনে দিনে আরও অন্ধকারে ডুবে যায়। যদিও এইসমস্ত শিক্ষকেরাও দিনের শেষে নিজেদের হাতে তৈরী এই ভয়ংকর অশিক্ষার, অজ্ঞানতার ঘোর পাপের অন্ধকারে ডুবে যায়, তাদের অস্তিত্ব বিপন্ন হয়।
এরকম সৎসঙ্গীদের মধ্যেও দেখা যায়, প্রচুর পরিমাণে দেখা যায়। সাধারণ সীমাহীন ভাঙাচোরা সহজ, সরল, বেকুব, দুর্বল, ভীরু, মূর্খ, অলস, কুসংস্কারাচ্ছন্ন সৎসঙ্গী যেমন দেখা যায় ঠিক তেমনি দেখা যায় বিশ্বের বিস্ময় সর্ব্বশ্রেষ্ঠ বিস্ময় যুগাবতার যুগপুরুষোত্তম পরম পুরুষ, পরম উৎস, পরম কারণ, পরম অস্তিত্ব, পরম সত্ত্বা, পরম কারণ, সর্ব্বশক্তিমান, সর্ব্বব্যাপি, সর্ব্বজ্ঞ রক্তমাংসঙ্কুল জীবন্ত ঈশ্বর পরমপ্রেমময় শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের যারা প্রথমসারীর বার্তাবাহক, যারা তাঁর বীজনাম বহনকারী ও দানকারী ঋত্বিক, যাজক, অধ্বর্য্যু তাদের মধ্যে অনেককেই দেখা যায় তাবিজ, মাদুলি, আংটি, হাতে গলায় মালা, হাতে লাল হলুদ কালো সুতো, তুকতাক, ঝাড়ফুঁক, তেলপড়া, জলপড়া ইত্যাদি ইত্যাদি বিষয়ের ওপর গভীরভাবে নির্ভরশীল। আবার এরাই জনসমক্ষে দাঁড়িয়ে বলবে শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রই বিশ্বব্রহ্মান্ডের সৃষ্টিকর্তা, তিনি অবতারী, তিনি ব্রহ্মা, বিষ্ণু, তিনি মহেশ্বর, তিনি গণেশ, তিনিই কালী, তিনি দূর্গা, তিনিই তেত্রিশ কোটি দেবদেবতার মূর্ত রূপ!!!!!!! তিনি এক ও অদ্বিতীয়। তাঁর কোনও শরিক নেই। তিনি সমস্ত গ্রহের বিগ্রহ। তিনিই সমস্ত স্পন্দনাত্মক, ধন্যাত্মক, কম্পনাত্মক যত রকমের নাম আছে সমস্ত নামের আধার। এরকম নানারকম জ্ঞানগর্ভ ভাষণ দেবে হাতে গলায় আংটি, মাদুলি, মালা ঝুলিয়ে। এদের সারা শরীরে তাবিজ, আংটি, মাদুলি, মালা আর ঘরে আছে নানা দেবদেবীর মূর্তি, এরাই আবার বহুনৈষ্ঠিক নিয়ে লম্বাচওড়া বক্তৃতা দেবে।
এরা এতটাই চতুর নিজের কাজের স্বপক্ষে দুর্বলতাকে ঢাকতে অজুহাত হিসেবে ঠাকুরকেও ঢাল করতে ছাড়ে না। এরা সগর্বে বলে, ঠাকুরের হাতেও তাবিজ ছিল, আবার কেউ বা বলে ঠাকুরের ডান হাতে নাকি হীরে বাঁধা আছে। হাতে মালা নিয়ে বলে নাম করার সুবিধার জন্য বিক্ষিপ্ত মনকে নিয়ন্ত্রিত করতে হাতে মালা রাখে। ঠাকুর আর্য কৃষ্টির কিছুই বাদ দেননি। তিনি কোনওকিছুকেই অশ্রদ্ধা করেননি, ত্যাগ করেননি, তিনি এটা করেছেন, ওটা করেছেন ইত্যাদি নানা বাক্যবাণে নিজেকে ত্রুটিহীন একনিষ্ঠ ইষ্টপ্রাণ ভক্ত হিসেবে তুলে ধরেন নিজের দুর্বলতাকে ঢাকতে। কিন্তু ভুলে যান এ কথা যে, আমরা কোনটা পালন করবো? তিনি সমগ্র জীবনে যা যা করেছেন সেটা পালন করবো নাকি আমাদের যা যা পালন করতে ব'লে গেছেন সেটা পালন করবো? যতবার ঈশ্বর মানুষের রূপ ধ'রে মটির বুকে নেমে এসেছেন মানুষকে বাঁচাতে ও বেড়ে ওঠার দিকে ন্যে যেতে ততবারই জীবন্ত ঈশ্বর শ্রীশ্রীরামচন্দ্র, শ্রীশ্রীকৃষ্ণ, শ্রীশ্রীবুদ্ধ, শ্রীশ্রীযীশু, শ্রীশ্রীহজুরত মহম্মদ, শ্রীশ্রীমহাপ্রভু, শ্রীশ্রীঠাকুর রামকৃষ্ণ ও বর্তমান সর্বশেষ শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র-এর মিশন প্রতিষ্ঠার পথে বাধা সৃষ্টির কারণ হয়েছে তথাকথিত তাঁদের ভক্তরা। মানুষের বাঁচা-বাড়ার ও জীবনে নির্মল আনন্দ লাভের পথে শত্রু তারাই।
আজ এই পর্যন্তই। নমস্কার। জয়গুরু।
No comments:
Post a Comment