----------------'উন্নয়ন সুপ্রজনন ও রিসার্চ' নামে পেজে এই পোষ্টটা দেখলাম। দেখলাম, 'ইষ্টপ্রসঙ্গে' গ্রন্থ থেকে নেওয়া শ্রীশ্রীবড়দার কথোপকথন তুলে শেষে উপরের লিখিত কথাগুলি লিখে কোনও একজন বালখিল্য শক্ত ভক্ত কোটি কোটি সৎসঙ্গীদের মাঝে নিজেকে অনেক বড় ভক্ত সিদ্ধপুরুষ মহাপুরুষ প্রমান করতে চেয়েছেন। এরকম অনেক গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়ল জাতীয় বালখিল্য ভক্তের দল মাঝে মাঝে ফেসবুকে বিপ্লব খেদাতে আসে। কুজের যেমন শখ হয় চিত হ'য়ে শোয়ার এরকম কিছু বালখিল্য ভক্তের মাঝে মাঝে শখ হয় জ্ঞানী ভক্ত সাজার। তারা এমনই চিমটাধারী স্বঘোষিত সন্ন্যাসী যে চিমটার খটখটানিতে গাজনের পশ্চাদ্দেশ ঘা ক'রে ছেড়ে দিয়েছে আর এখন সেই দগদগে ঘা বি-টেক্স আর ঢোল কোম্পানীর মলম লাগিয়ে লাগিয়ে সারাতে না পেরে মাথার ঘায়ে আর মলদ্বারের ঘায়ে কুত্তা পাগল-এর মত বনবন ক'রে লাট্টুর মত ঘুরে মরছে আর শিং ভেঙ্গে বাছুরের দলে ঢুকে বাছুর সাজার মত বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি সৎসঙ্গীদের মাঝে সৎসঙ্গী সেজে শ্রীশ্রীবড়দা প্রেমী হ'য়ে শ্রীশ্রীবড়দার কথাকে হাতিয়ার ক'রে শ্রীশ্রীবড়দা অনুগামীদের বিরুদ্ধে বিপ্লবের কামান দেগে বালখিল্য বিপ্লবী সেজে মহা উপলব্ধিবান সিদ্ধপুরুষ, মহাপুরুষ হওয়ার তীব্র বাসনায় দিনের শেষে অবশেষে ক্লীবলিঙ্গে বা নপুংসকে পরিণত হয়েছে।
শ্রীশ্রীবড়দার ইষ্ট পুরুষোত্তম ভক্তিকে এরা এমনই উপলব্ধি করেছে যে এইসব বালখিল্য ক্লীবলিঙ্গের দল শ্রীশ্রীবড়দার নামের আগে শ্রীশ্রী বসাতে দ্বিধা বোধ করে আবালের জ্ঞান ভান্ডারের ভাণ্ডারী হ'য়ে!!!!! এরা শ্রীবড়দা লেখে। দুটো 'শ্রীশ্রী' লিখতে এদের বোধের ঘরে চুলকায়। 'শ্রীশ্রী' শব্দের মানে এরাই বোঝে, কোথায় প্রয়োগ হবে আর হবে না এই জ্ঞান একমাত্র এইসমস্ত বালখিল্য মহাপন্ডিতদেরই আছে, আর কারও নেই।
এদের জ্ঞান ভক্তি এতই উচ্চমার্গের যে এরা শ্রীশ্রীঠাকুরের বলা ছিরু বিশ্বাসের দলে পরিণত হয়েছে। ছিরু বিশ্বাসের পরিণতি এদের পরিণতি। এরা ছিরু বিশ্বাসের মত কলঙ্কিত জীবনের অধিকারী। এরা সৎসঙ্গ-এর কলঙ্ক।
এইসমস্ত আবালরা শ্রীশ্রীবড়দা অনুগামীদের শাতন বলে। এইসমস্ত গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়লের মত উচ্ছিষ্ট বালখিল্য স্বঘোষিত সৎসঙ্গীরা শ্রীশ্রীবড়দা অনুগামী শ্রীশ্রীঠাকুর প্রেমীদের সত্তাকে বিকৃত বলে। খড়ের গাদায় সূচ খোঁজার মত, শক্তিশালী দূরবিনেও যাদের অস্তিত্ব ধরা পড়ে না এইসমস্ত তিন নম্বর ছাগল ছানার দল নিজেদের অস্তিত্ব জানান দেওয়ার আপ্রাণ প্রচেষ্টায় ছাগল মায়ের বাঁটের দু'পাশে তিড়িং বিড়িং ক'রে লাফিয়ে বেড়াবার মত মূল কেন্দ্র বিরোধী, শ্রীশ্রীবড়দা বিরোধী, শ্রীশ্রীদাদা বিরোধী এককথায় ঠাকুরবাড়ি বিরোধী নানা কুৎসায় এরা মত্ত থেকে ঠাকুরবাড়ির বিরুদ্ধে লাফিয়ে ছটপটিয়ে মরে। সেই যে ছটফটানি নরকের মরা কান্না শুরু হয়েছে ঠাকুর দেহ রাখার পরেপরে শ্রীশ্রীবড়দার বিরুদ্ধে বিষোদ্গার ক'রে, কুৎসা, নিন্দা, গালাগালি ক'রে সেই নরক তুল্য ঘৃণ্য বিষাক্ত তীব্র কটু দুর্গন্ধময় কার্যকলাপের ট্রাডিশন সমানে ব'য়ে চলেছে বংশ পরম্পরায়! আর এদের বিষাক্ত নিঃশ্বাস এদের সংস্পর্শে আসা যাদের গায়ে লেগেছে তারাই বিষাক্ত হ'য়ে পড়েছে ও পড়ছে।
এইসমস্ত ছিরু বিশ্বাসের দল নাকি ঠাকুর প্রেমী! এরা নাকি সৎসঙ্গী! এরা নাকি ভক্তপ্রবর! এইসমস্ত বালখিল্য ঋষিরা নাকি ঠাকুরকে প্রতিষ্ঠা, ঠাকুরের স্বার্থ প্রতিষ্ঠা করবে বিশ্বব্যাপী!!!!!! যাদের মুখ দিয়ে টাট্টি কা মাফিক বাত বের হয়, কথাবার্তায় মুখ দিয়ে সাপ, ব্যাঙ, ইঁদুর, ছুঁচো বের হয়, যাদের আচার-আচরণে শুধুই ঠাকুর পরিবারের বিরুদ্ধে, শ্রীশ্রীবড়দা ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে কুৎসা, নিন্দা, গালাগালি ছাড়া আর কিছুই বের হয় না, যাদের নিঃশ্বাসে প্রশ্বাসে বিষাক্ত কার্বণ ডাইঅক্সাইড বের হয়, যাদের মনেপ্রাণে শুধুই হিংসা আর হিংসা তারা নাকি পরমপ্রেময়ের প্রেমের পূজারী!!!!! ঐ যে বাংলাদেশে কি একটা প্রবাদ আছে, "আস্তে কন দাদা ঘোড়ায়ও হাসবো"---ঠিক তেমনি এদের মুখে ঠাকুরের নাম শুনলে তেমনই মনে হয়, ঘোড়া গাধায় হাসে। এরা যখন ঠাকুর আত্মজদের নিয়ে কুৎসা করে, নিন্দা করে, গালাগালি করে তখন কি এদের ঠাকুরের ব'লে যাওয়া হাজার হাজার বাণীর কথা মনে পড়ে না!? এদের যারা অভিভাবক তারা কি এদের শাসন করে না!? এদের ঠাকুরের শিক্ষায় শিক্ষিত ক'রে তোলার শিক্ষা দেয় না!? ঠাকুর যা যা পছন্দ করতেন না সেইসমস্ত বদগুণগুলিই এদের চরিত্রে জ্বলজ্বল করছে বিগত ৫০ বছর ধ'রে!!!!
এরা ঠাকুরকে নিয়ে দেখি শোভাযাত্রা করে ঠাকুরকে রাস্তার ঠাকুর, গলির ঠাকুর, বস্তির ঠাকুর, চোরুয়া ঠাকুর সাজিয়ে! থালার মধ্যে মা মনসা, মা শেতলার মত ঠাকুরের ফটো বসিয়ে, মাথার ওপরে ঠাকুরের ফটো নিয়ে ঠাকুরকে বাবাজি, দাদাজি সাজিয়ে, ছুমন্তর ফুসমন্তর বাবা সাজিয়ে এরা যেমন তেমন সাজে নিজেরাও সেজে, মায়েরাও যেমন তেমন পোশাক পড়ে রাস্তায় ঢোল পিটিয়ে বেড়িয়ে পড়ে!!!! এইসমস্ত দু'পয়সার যোগ্যতাহীন ভক্তপ্রাণ বিচার করে কে আচার্য আর কে আচার্য নয়! এরা শ্রীশ্রীবড়দাকে এখন চালাকি ক'রে প্রেম দেখিয়ে বড়দা প্রেমী সেজেছে! এরা এখন বড়দাকে বলছে বড়দা নাকি সুযোগ্য সৎসঙ্গ পরিচালক প্রধান কিলক! আবার ঠাকুর পরবর্তী এই বড়দারই নেওয়া প্রতিটি সিদ্ধান্তের এরা তীব্র বিরোধী ও কটু সমালোচক ছিল ও সেই ধারা বজায় রেখে চলেছে এখনও নিজেদের গাঁয়ে মানে আপনি মোড়ল সাজিয়ে! এরা বড়দাকে ত্যাগ ক'রে চলে গিয়ে পালটা সংগঠন করতে দ্বিধা করেনি! এরা ঠাকুর জীবিত থাকতেই মাথায় ঠাকুরের ফটো নিয়ে বন্দে পুরুষোত্তম ধ্বনি দিয়ে জীবন্ত ঠাকুরকে ত্যাগ ক'রে, ঠাকুরকে তীব্র ব্যথা দিয়ে সংগঠনকে ঠাকুরের উপস্থিতিতেই ভাঙতে বিন্দুমাত্র চিন্তা করেনি! এরা এদের পূর্বসূরি বড় বড় ভক্তরা বড়দাকে স্বীকার করতে, বড়দার নেতৃত্বকে মানতে চাননি! বড়দাকে অমান্য করতে, অপমান করতে, জনসমক্ষে হেয় করতে, ছোট করতে, সমালোচনা করতে বিন্দুমাত্র চিন্তা করেনি। ঠাকুরের পরম আদরের বড়খোকাকে, ঠাকুরের প্রথম সন্তানকে, ঠাকুরের পরম ভক্তকে, ঠাকুরের আত্মজকে, ঠাকুরের চোখের মণিকে অবজ্ঞা, অবহেলা, তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করতে সবরকম প্রচেষ্টা চালিয়ে গেছিল এই সমস্ত তথাকথিত ভন্ডদের দল। এরাই এখন বালখিল্য ঋষির মত লম্ফ দিয়ে ঝম্প মেরে আকাশের চাঁদ ধরার মত অলীক স্বপ্ন দেখে চলেছে বড়দাকে ভক্তি দেখিয়ে আম সৎসঙ্গীদের বুরবক বানাবার প্রচেষ্টায়! হে ভন্ড! হে জালি শক্ত ভক্তের দল জেনে রেখো সে গুড়ে বালি! মনে রেখো হে দু'পয়সার ভন্ড ভক্তের দল ঠাকুরের বাণী, "-----------ঠাকুর কি তোর এতই বেকুব! ফাঁকি দেখে নয় সামাল!?"
ভন্ডামি আর কপটতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত, উদাহরণ এরা!
যারা ঠাকুরের পরম ভক্ত, প্রধান ভক্ত, ঠাকুরের বড়খোকাকে, সৎসঙ্গের বড়ভাই সৎসঙ্গ জগতের সবার বড়দাকে মানে না তারা নিজেরাও নিজেদের ঘরের বড়ভাইকে মানে না, শ্রদ্ধা সম্মান করে না, ভালোবাসে না। এমনকি তারা যারা বাড়ির বড়ভাই তারাও তাদের ছোটোদের কাছে বড়ভাইয়ের শ্রদ্ধা, সম্মান, ভালোবাসা পায়না, বড়ভাই তথা বড়দার স্বীকৃতি পায় না।
হে আমার পরম বোদ্ধা ভক্তগণ!
শ্রীশ্রীঠাকুরের নিম্নলিখিত এই বাণীটা ব্যখ্যা ক'রে বুঝিয়ে দেবেন।
"পুরুষোত্তমই রাজা-প্রজা জীবন যশের খেই,
জন্মগত গুরু-আচার্য্য ঋত্বিক-অধ্বর্য্যুও সেই;
যাজক-পূজক-শিষ্য তিনি গরীব-ধনী একই জন,
হৃদয় জোড়া সৃষ্টিছাড়া সৎ-অসৎ-এর বিশ্রয়ণ।"--------শ্রীশ্রীঠাকুর (অনুশ্রুতি ১)
অপেক্ষায় রইলাম।
( লেখা ১৭ই এপ্রিল' ২০২১)
No comments:
Post a Comment